শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৪

হরিঢালী-কপিলমুনি ডিগ্রী মহিলা কলেজের অধক্ষ্য মেজবাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ

দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর অপসারনসহ অধিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছার হরিঢালী-কপিলমুনি ডিগ্রী মহিলা কলেজের অধ্য শেখ মেজবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অসাদাচারণ, অনিয়মসহ নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া গেছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্ত ২৯ জন শিক স্বারিত এ সংক্রান্ত এক লিখিত অভিযোগ স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
    অভিযোগেসুত্রে জানাযায়, অত্র কলেজটি হরিঢালী, কপিলমুনির একমাত্র মহিলা কলেজ। বর্তমানে কলেজটিতে ৩৪ জন এমপিওভূক্ত শিক, কর্মচারী রয়েছে। তারমধ্যে ২৯ জন শিক অধ্য শেখ মেজবাহ উদ্দীনের কুকীর্তির নানাবিধ লিখিত অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সংসদ বরাবর একটি আবেদন করেছে। উল্লেখ্য অধ্য শেখ মেজবাহ উদ্দীন ঘুষ-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎসহ নানাবিধ অভিযোগে ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটেন। জেলে থাকাবস্থায় ওই সময়কার বেতন পরবর্তীতে অবৈধভাবে উত্তোলন করেন। অধ্যর বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে-বিভিন্ন অজুহাতে শিক কর্মচারীদের কাছ থেকে অযাচিত ঘুষ গ্রহন, জেলা, উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের চাউল, গম, বিক্রিত অর্থ এবং নগদ অর্থ নামমাত্র প্রকল্প করে ৯০% টাকা আত্মসাথ, বিনা ভোটে বিনা সমর্থনে তার স্বার্থে তার পছন্দের ব্যক্তিকে শিক প্রতিনিধি তৈরী করা, ছাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধ অযাচিত ফিস আদায়, শিক্কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকার অধিক অবৈধভাবে আদায় করা, ভূয়া ভাউচারে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, শিক কর্মচারীদের প্রাপ্য প্রয়োজনীয় নৈমিত্তিক ছুটি না দেয়া এবং হয়রাণী করাসহ বাজে কথা বলা এবং শেষমেষ ছুটি নিতে হলে অনৈতিক কাজের সহযোগিতা করা, শিক, কর্মচারীদের প্রাপ্য টাইম স্কেল এবং সিনিয়র স্কেল প্রাপ্তিতে ফাইল দিতে চল্লিশ হাজার থেকে এক ল পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন ্ত আদায় করা, বিভিন্ন চাকুরী প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী দিতে না পেরে তাদের টাকা কর্মরত শিক কর্মচারীদের দিয়ে বাধ্য করে শোধ করিয়ে নেয়, পূর্বে তিনি শিক কর্মচারীরে স্বারযুক্ত ব্লান্স চেটক নিতে চেষ্ঠা করা, সম্প্রতি ডিগ্রী পর্যায়ে নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, ডিগ্রী পর্যায়ের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা মাফিক জমি না কিনে বিশ্ববিদ্যালয় ভূয়া তথ্য দেওয়া, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বর্তমানে দু’টি শূন্য পদে নিয়োগের ল্েয প্রাথীদের কাছ থেকে আগাম টাকা গ্রহন, মধ্যবর্তী সময়ে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়োগ দিয়ে অনুদানের কোন টাকা কলেজ ফান্ডে না রাখা, জাল নিবন্ধন সনদ তৈরীতে সহযোগিতা করা, কোন কোন শিক, কর্মচারীদের হযরানী করে অন্য শিক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ উত্থাপন করা, ১২/১৫ জন শিক-কর্মচারী তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে থানা সাধারণ ডায়েরী করা, অধ্য হিন্দু তপশীলি ছাত্রীদের উপবৃত্তির বন্ধ হয়ে গেছে, অনুপস্থিত ছাত্রীদের উপবৃত্তি তুলে নেয়া হয়, যত্রতত্র শিক কর্মচারীদের  বেতন বন্ধ করে দেয়া, সাম্প্রতিক জেলা পরিষদের দুই ল এবং উপজেলা পরিষদের বিশ হাজার টাকা কোন প্রকল্প ছাড়ই আত্মসাথ করেছেন। ১৩/০৭/১৩ তারিখে ডিগ্রীপর্যায়ে ১০ জন উপবৃত্তিপ্রাপ্ত তালিকার মধ্যে থেকে ৪ জন ভূয়া ছাত্রীর প্রায় ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে অধ্য, শিক কর্মচারীদেরকে সাময়িক বহিস্কার করে অর্থ আদায় এবং অধ্য তার মনোপুত কথা লিখে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি স্বার করিয়ে নেয়সহ বিভিন্ন দূর্ণীতি, অনিয়মের অভিযোগে অভিযোগ করেছে। তার এসকল দূর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলে শিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন হুমকি প্রদান করা হয়। শিক-কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জের থানা-আদালতে পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা দায়েরের ঘটনাও ইতোপূর্বে ঘটেছে। সর্বপরি ৩৪ জন এমপিও ভূক্ত শিক, কর্মচারীর মধ্যে ২৯ জন যে অধ্য্েযর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে, সেই অধ্যরে অত্র কলেজে থাকা কতটা বাঞ্ছনীয় সেটা বোঝার মত মানসিকতা হয়তো অধ্য শেখ মেজবাহ উদ্দীনের নেই। তাই এই দূর্নীতিবাজ অধ্যরে অপসারনসহ অধিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ২৯ জন শিক, কর্মচারীসহ বিভিন্ন অভিভাবক মহল।
    এ ব্যাপারে অধ্য শেখ মেজবাহ উদ্দীন বলেন- আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। এটা স্রেফ কলেজের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের। এই ধরনের অভিযোগ তারা আগেও করেছেন, তবে তা’ প্রমাণ করাতে পারেন নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন