শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের আনন্দ ম্লান

বিশেষপ্রতিনিধি ॥
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা এক সপ্তাহ সরকারি ছুটি ঘোষনা করা হলেও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের এক আদেশে দেশের সকল স্বাস্থ্য বিভাগকে ঈদের ছুটি ১ দিন করা হয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর ম্লান হয়েছে ঈদের আনন্দ। তেমনি স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
    সূত্রেমতে, আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ, আর ঈদের এ আনন্দ পরিবারের সকলের সাথে ভাগাভাগি বা উপভোগ করার লক্ষে সরকার টানা এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু লম্বা এ ছুটি থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরতদের। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের এক আদেশে ঈদের ছুটি একদিন করা হয়েছে। শুধু মাত্র ঈদের দিন বাদে বাকি সব কয়দিন সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা সহ স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকলকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই জন ডাক্তার ও ছয় জন নার্স সহ ১৯ জন কর্মরত রয়েছে। ৩৭টি কমিউনিটি  ক্লিনিকে ৩৬, কপিলমুনি দশ শয্যা হাসপাতালে ৯ এবং ৬টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১১ জন সহ ৭৫জন কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। কর্মরতদের মধ্যে বেশির ভাগই মুসলিম। ফলে ছুটি না থাকায় ম্লান হতে চলেছে সকলের ঈদের আনন্দ। তিনি বলেন হিন্দুধর্মালম্বি জনবল কম থাকায় মুসলিমদের স্থলে হিন্দুদের ন্যাস্ত করার সুযোগও কম রয়েছে। হিন্দুধর্মালম্বিদের মধ্যে হাসপাতালে ১ জন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩ জন ডাক্তার, ৫ জন নার্স ও ৮টি প্রতিষ্ঠানে ৩ জন ঔষধ বিতরণকারী এবং ৪জন মেডিকেল এ্যাসিস্টান্ড (স্যাকমো) রয়েছে। যাদের দ্বারা উপজেলার ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বিশেষ করে ঈদকে কেন্দ্র করে এ সময় হাসপাতাল গুলোতে সড়ক দূর্ঘটনা ও আত্মহত্যা জনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাই সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে হাসপাতাল, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সব প্রতিষ্ঠানের সবাইকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দেশের অন্যান্য বিভাগের সবাই ঈদের ছুটি ভোগ করবে আর স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরতরা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে এটা খুবই দূভার্গ্য জনক হলেও সাধারণ মানুষের সেবা করার মধ্যেও অনেক আনন্দ রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত অনেকেই জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন