
খুলনা-৬ আসনে (পাইকগাছা-কয়রা) নির্বাচনী তোড় জোড় শুরু করে দিয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী দু'নেতা। ইতোমধ্যে সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেও নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। সম্ভাব্য দু’প্রার্থী জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু ও উপজেলা সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর আগামী রোববার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেন বলে দলীয় সুত্র জানিয়েছে। ১৯৯৬ সালের পর হতে গ্রহণযোগ্য নেতা সংকটের কারনে ধীরে ধীরে নির্বাচনী এ এলাকায় দূর্বল হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম। জাপা নেতা শফিকুল ইসলাম মধু জেলা ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর উপজেলার জাপার হালধরার পর সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে
কিছুটা হলেও সংগঠনের শক্ত ভীত তেরী করতে সম হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে ইতোমধ্যে দু’্উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সম্মেলনও স¤পন্ন করা হয়েছে। এদিকে পার্টির চেয়ারমান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গত কয়েকদিন আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের ঘোষনা দেয়ার পর নড়ে চড়ে বসেছে দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী দু'নেতা। সম্ভাব্য দু’প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধুর চেয়ে পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জনপ্রিয়তায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানন। অনেকেই মনে করেন গ্রহণযোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হলে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সঙ্গে কোন প্রতিদ্বন্দিতায় হবে না। আবার অনেকেই মনে করছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী পরিবর্তন না হলে জাপা থেকে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হলে জাপা এবং আ’লীগের প্রার্থীর মধ্যে তুমূল প্রতিদ্বন্দিতা হতে পারে। সবমিলিয়েই এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী দু'নেতার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন