“গো চেনায় দুধ নষ্ঠ”
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ৪৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি প্রকাশের কমিটির নতুন মুখদের মধ্যে ইতিবাচক বক্তব্য লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমান, সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘরানার কমিটি থেকে বঞ্চিত রাজনৈতিক নেতারা রীতিমত রাগে ক্ষোভে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। দলের অনেক ত্যাগী ও সংকটকালের পরিক্ষিত নেতারা অভিযোগ করেছেন কমিটিতে অজ্ঞ, অরাজনৈতিক, বির্তর্কিত এমনকি দলের প্রয়োজনের চাইতে ব্যক্তি প্রয়োজনে ঘনিষ্ট ব্যক্তিদের স্থান দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন উপমহাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামীলীগের তৃনমুলের নেতৃত্ব, কতৃত্ব নিয়ে অভ্যন্তরিন দ্বদ্ধ নিরসন করা না গেলে জামায়াত-বিএনপিকে মোকাবেলা করা দুরের কথা একসময় সংগঠনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন। ঘর সামলাতে অবিলম্বে তৃনমুল নেতাকর্মীরা জেলা ও হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট দলীয় একাধিক সুত্রে জানিয়েছে, তৃনমূল ও উপজেলায় আওয়ামীলীগের সংগঠনকে নতুন মাত্রায় সাজাতে এবং গতিশীল করতে প্রায় ১ যুগ আগের উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহবায়ক করে ৪৭ সদস্যের একটি কমিটি গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। কমিটি প্রকাশের পর দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। দলের অভ্যন্তরে এবং সর্বত্রই কমিটির স্থান পাওয়া সদস্যরা বর্তমান এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক, সাবেক এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা ও বিদায়ী সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামানের সমর্থক কি না বা কে কার লোক এটাই নিয়ে সর্বত্রই চুলচেরা বিশ্লেষন চলছে। একটি সুত্র জানিয়েছে দলের চাইতে ব্যক্তির লোক পরিচয়ের এই সংস্কৃতির চর্চা চলতে থাকলে দলের তৃনমুলে এক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন। অপরদিকে এ কমিটিতে অনেক অরাজনৈতিক, এলাকায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের ঢোকানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। উপজেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষক কুমুদ রঞ্জন ঢালী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেছেন-সারাজীবন দলের প্রয়োজনে দূর্দিন-সুদিনে শ্রম, অর্থ দিয়েও সংগঠনের কাজ করে আসছি। অথচ নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া আমার ইউনিয়নে এক ব্যক্তি যে কখনও কোন সময় দলের কর্মকান্ডে জড়িত ছিল না, এমনকি নূন্যতম যার সদস্যপদও নাই এমন ব্যক্তিকে ঢোকানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সোলাদানা ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কৃষ্ণ সরকার বলেন-দীর্ঘদিন ধরে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছি এবং একাধিকবার মামলার স্বীকারও হয়েছি। তিনি বলেন এক সময়ে যারা দলের বিরোধী লোক ছিল এমন ব্যক্তি পঞ্চানন নামের এক বিতর্কিত লোককে এ কমিটিতে স্থান দেয়ার ঘটনায় তিনি বিষ্মিত হয়েছেন। বিশ্লেষকরা এটাকে প্রথম রাউন্ডের খেলা বলে মনে করছেন এবং আগামীতে উপজেলা মুল কমিটিতে স্থান পেতে উভয় গ্রুপের শীর্ষ নেতাদের সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। কমিটিতে স্থান পাওয়া সাবেক উপজেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিজন বিহারী সরকার বলেছেন- সবকিছুই ভাল হলেও কমিটিতে দু’একজন ব্যক্তির নাম থাকায় এটাকে তিনি এক বালতি দুধে এক ফোটা গো চেনার সাথে তুলনা করেছেন। অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উভয় অংশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দিলে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করলে তৃনমুলে দলের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন।
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ৪৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি প্রকাশের কমিটির নতুন মুখদের মধ্যে ইতিবাচক বক্তব্য লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমান, সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘরানার কমিটি থেকে বঞ্চিত রাজনৈতিক নেতারা রীতিমত রাগে ক্ষোভে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। দলের অনেক ত্যাগী ও সংকটকালের পরিক্ষিত নেতারা অভিযোগ করেছেন কমিটিতে অজ্ঞ, অরাজনৈতিক, বির্তর্কিত এমনকি দলের প্রয়োজনের চাইতে ব্যক্তি প্রয়োজনে ঘনিষ্ট ব্যক্তিদের স্থান দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন উপমহাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামীলীগের তৃনমুলের নেতৃত্ব, কতৃত্ব নিয়ে অভ্যন্তরিন দ্বদ্ধ নিরসন করা না গেলে জামায়াত-বিএনপিকে মোকাবেলা করা দুরের কথা একসময় সংগঠনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন। ঘর সামলাতে অবিলম্বে তৃনমুল নেতাকর্মীরা জেলা ও হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট দলীয় একাধিক সুত্রে জানিয়েছে, তৃনমূল ও উপজেলায় আওয়ামীলীগের সংগঠনকে নতুন মাত্রায় সাজাতে এবং গতিশীল করতে প্রায় ১ যুগ আগের উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহবায়ক করে ৪৭ সদস্যের একটি কমিটি গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। কমিটি প্রকাশের পর দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। দলের অভ্যন্তরে এবং সর্বত্রই কমিটির স্থান পাওয়া সদস্যরা বর্তমান এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক, সাবেক এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা ও বিদায়ী সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামানের সমর্থক কি না বা কে কার লোক এটাই নিয়ে সর্বত্রই চুলচেরা বিশ্লেষন চলছে। একটি সুত্র জানিয়েছে দলের চাইতে ব্যক্তির লোক পরিচয়ের এই সংস্কৃতির চর্চা চলতে থাকলে দলের তৃনমুলে এক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন। অপরদিকে এ কমিটিতে অনেক অরাজনৈতিক, এলাকায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের ঢোকানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। উপজেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষক কুমুদ রঞ্জন ঢালী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেছেন-সারাজীবন দলের প্রয়োজনে দূর্দিন-সুদিনে শ্রম, অর্থ দিয়েও সংগঠনের কাজ করে আসছি। অথচ নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া আমার ইউনিয়নে এক ব্যক্তি যে কখনও কোন সময় দলের কর্মকান্ডে জড়িত ছিল না, এমনকি নূন্যতম যার সদস্যপদও নাই এমন ব্যক্তিকে ঢোকানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সোলাদানা ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কৃষ্ণ সরকার বলেন-দীর্ঘদিন ধরে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছি এবং একাধিকবার মামলার স্বীকারও হয়েছি। তিনি বলেন এক সময়ে যারা দলের বিরোধী লোক ছিল এমন ব্যক্তি পঞ্চানন নামের এক বিতর্কিত লোককে এ কমিটিতে স্থান দেয়ার ঘটনায় তিনি বিষ্মিত হয়েছেন। বিশ্লেষকরা এটাকে প্রথম রাউন্ডের খেলা বলে মনে করছেন এবং আগামীতে উপজেলা মুল কমিটিতে স্থান পেতে উভয় গ্রুপের শীর্ষ নেতাদের সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। কমিটিতে স্থান পাওয়া সাবেক উপজেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিজন বিহারী সরকার বলেছেন- সবকিছুই ভাল হলেও কমিটিতে দু’একজন ব্যক্তির নাম থাকায় এটাকে তিনি এক বালতি দুধে এক ফোটা গো চেনার সাথে তুলনা করেছেন। অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উভয় অংশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দিলে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করলে তৃনমুলে দলের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন