সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছায় তড়িঘড়ি করে দু’টি মন্দির উন্নয়নে ইট মজুদ

॥ ফলোআপ ॥
পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসনের
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
 পাইকগাছায় মন্দির উন্নয়নের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগের খবর পত্রিকায় প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটি নেতৃবৃন্দের। ইতোমধ্যে মন্দির দু’টি পরিদর্শন করে এক সপ্তাহের মধ্যে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং মন্দিরের উন্নয়ন কাজ করার ল্েয তড়িঘড়ি করে নির্মাণ সামগ্রী (ইট) মজুদ করেছে প্রকল্প কমিটি।
    উল্লেখ্য উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের পূর্ব খড়িয়া গ্রামে পূর্ব খড়িয়া আদর্শ রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সার্বজনীন দূর্গামন্দির ও কালিমন্দির নামে দু’টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠান দু’টি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তৎকালীন স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ২০১২-১৩ অর্থ বছরে মন্দির দু’টির অনুকুলে বিভিন্ন সময় ৫ মেঃ টন গম/চাউল বরাদ্দ দেন। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে মন্দির উন্নয়নে কোন কাজ না করে ইউপি সদস্য ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি প্রনব কান্তি হালদার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিল ভাউচার দাখিল করেছে এমন অভিযোগে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেেিত বিষয়টি গত শনিবার দৈনিক প্রবর্তন সহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের, অপরদিকে তড়িঘড়ি করে উন্নয়ন কাজ শুরু করার চেষ্ঠা করেন প্রকল্প কমিটি। সোমবার সকালে মন্দির দু’টি পরিদর্শন করে এক সপ্তাহের মধ্যে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়াদ্দার। একই দিন সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় নির্মাণ সামগ্রী (ইট) মজুদ করেছেন প্রকল্প কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে মন্দির সংলগ্ন এলাকার মুকুন্দ বিহারী হালদার ও শুভাদ্রা হালদার জানান-মন্দির দু’টিতে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ পূজা করে আসছে। সরকারি বরাদ্দ দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এতদিন প্রকল্প কমিটি কাজ না করে সোমবার সকালে দু’টি মন্দিরের চত্ত্বরে ইট মজুদ করেছে বলে এলাকাবাসীরা জানান। ইউপি সদস্য ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি প্রনব কান্তি হালদার জানান-প্রথম দু’টনের অর্থ দিয়ে বালু ভরাট করা হয়েছিল। অবশিষ্ট তিন টনের অর্থ দিয়ে ইট ক্রয় করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছায় হাতিকে অতিক্রম করার সময় মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
পাইকগাছায় হাতিকে অতিক্রম করার সময় ইজিবাইকে বসে থাকা মায়ের কোল থেকে পড়ে গিয়ে ৭ মাসের মারি
য়া নামে এক শিশুকন্যার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২জন আহত হয়েছে। সে উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের আব্দুল মজিদের কন্যা। ঘটনারদিন রোববার সকাল ১০টার দিকে শিশুকন্যার মা আঞ্জুয়ারা বেগম ও ফুফু রওশনারা ইজিবাইকযোগে কপিলমুনি যাচ্ছিল। হঠাৎ করে আগড়ঘাটা মোড় নামকস্থানে পৌছালে বারুনী মেলায় আসা বিশাল আকারের একটি হাতি লম্বা শুর ইজিবাইকের দিকে উঁচু করলে ভীত স্বন্ত্রস্ত্র হয়ে চালক ইজিবাইকটিকে আচমকা ঘুরালে ইজিবাইকে বসে থাকা আঞ্জুয়ারাবেগমসহ অন্যান্য যাত্রীরা পড়ে যায়। পরে মায়ের কোল থেকে ফসকে গিয়ে শিশুটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় মৃত শিশুটির পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছিল।

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০১৪

বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারনা ও বিরাজমান সামাজিক নিরবতা- পার্ট-২

॥নিউজ ডেস্ক॥
বাংলাদেশের বয়সন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীরা যেসকল সমস্যার সম্মুখীন হয় সেই সমস্যা সৃষ্টির অন্যতম কারন বয়সন্ধিকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাব। বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলার হাতিয়ার হ’ল বয়সন্ধিকাল সম্পর্কে সঠিক বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য। বয়সন্ধিকালীন শারীরিক, মানসিক অনুভূতিগত পরিবর্তন সম্পর্কে একটি শিশুকে বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্যের মাধ্যমে পূর্ব প্রস্তুতি প্রদানের ল্েয প্রদানকৃত শিাই বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন সংক্রান্ত শিা বা যৌনশিা। অর্থাৎ যৌনশিা হ’ল যৌনেেত্র শারিরীক, মানসিক ও আচারণগত বিষয়ে শ্রেণীকে পাঠদান। এই পাঠদান পুস্তক ও অন্যান্য প্রকাশনার মাধ্যমেও করা সম্ভব। এই শিা কখনও যৌনক্রীয়াকে উৎসাহিত করে না। বরং বয়সন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানসম্মতভাবে সঠিক ও সুস্থু ধারনা দেয়।
মানুষের জৈবিক ও মানসিক জীবনচক্রে বয়সন্ধিকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া স্বত্বেও আমাদের দেশে এই সময়টাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয় না। সামাজিক স্বীকৃতির অভাবে বড় হওয়ার অনুভূতি বয়সন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের জীবনে নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। বয়সন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের শারিরীক পরিবর্তন, সমস্যা এবং যৌনশিার প্রয়োজনীয়তার উপর দীর্ঘদিন গবেষনা পরিচালনা করেছেন অক্সফাম এর অর্থায়নে গনস্বারতা অভিযান। সংস্থার এক প্রতিবেদনে বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন প্রসংগে সামাজিক নিরাবতা পালনের মধ্যেই বয়সন্ধিকালীন সমস্যা সৃষ্টির কারন নিহিত হিসাবে চিহিৃত করা হয়েছে। সামাজিকভাবে ধরে নেয়া হয় যে, শিশুরা এ বিষয়ে কারও সাথে কথা বলতে চায়না, কারন এটা লজ্জার বিষয়, এ বড়দের বিষয়। কিন্তু মাসিক বা গলাভেঙ্গে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে তারা প্রাপ্ত বয়স্কে পৌছানোর প্রক্রিয়াতে প্রবেশ করছে। পরিবর্তনগুলো তার জীবনে ঘটছে। সুতরাং এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জৈবিকভাবে অজ্ঞাত থাকতে পারে না শিশুরা। শিশুদের জীবনে জৈবিক পরিবর্তনগুলো ঘটে বয়সন্ধিকালে। তারা এই পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়, অনুভব করে, অবাক হয় কিন্তু পরিবারের বা সমাজের কেউ তাদের কাছে এ বিষয়টি (বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন ও যৌন পরিপক্কতা অর্জন) ব্যাখা করে না। এই নিরবতা বয়সন্ধিকালীন শিশুকে একা করে। বলা হয়ে থাকে এই বয়সি শিশুরা একাকি থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু এই একাকিত্ব তৈরী হতো না যদি পরিবারের সকলে একজন কিশোর বা কিশোরীর পাশে দাড়াতো। তাকে এই পরিবর্তন গ্রহনের জন্য প্রস্তুত করতো। বেশিরভাগ েেত্রই আমাদের দেশে অভিভাবকেরা “তুমি এখন বড় হয়েছো, তাই তোমার এরকম হয়েছে, এখন থেকে তোমাকে অনেককিছু মেনে চলতে হবে” তুমি কেন পাশের বাসার ছেলে/মেয়েটার সাথে কথা বললে” এ ধরনের কয়েকটি সাধারণ বাক্যে তাদের দায়িত্ব শেষ করেন। এই আদেশনামাগুলো থেকে শিশুদের কাছে কোন কিছুই স্পষ্ট হয় না। বরং তাদের কাছে গ্রহনযোগ্য নয় এমন কতগুলো নিয়ম তাদের উপর আরোপিত হয়। ফলে সে তার পরিবারের সকলের থেকে দূরত্ববোধ করে। এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন সংক্রান্ত কৌতুহল পুরনের চেষ্ঠা করে। যেমন বন্ধুরা মিলে পর্নো ম্যাগাজিন পড়ে, বাড়ির কাজের বুয়াদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে গিয়ে ভীতিকর তথ্য জানে। যেমন মাসিকের সময় জ্বীনের আছর হতে পারে, খবরের কাগজে ধর্ষনের ঘটনা পড়ে, ধর্মের বইয়ে গোছলের বর্ননা পড়ে, তাদের মনে এই পরিবর্তন বিষয়ে যেসকল প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তার উত্তর জানার জন্য শিশুরা সবার প্রথম বাবা, মা, ভাই-বোনের বা নিকট আত্মীয়ের কাছে যায়। সেখানে কোন উত্তর না পেয়ে ধমক খেয়ে অন্য উপায় খুঁজে বের করে। যার বেশিরভাগ েেত্রই তাদের জন্য বিপদজনক। বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন ও যৌন পরিপক্কতা সম্পর্কে কোন বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য না দিয়ে আমাদের সমাজ তাদেরকে এক ধরনের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়।
    বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরাই সঠিক তথ্যের পরিবর্তে নেতিবাচক প্রভাবযুক্ত জ্ঞানলাভ করে। স্কুলে বা বাড়ীতে এ শিা দেয়া হয় না বলে এর বদলে যে নেতিবাচক প্রক্রিয়ায় তারা তথ্য লাভ করে তাতে করে বড় হওয়া সম্পর্কে শিশুরা নানাধরনের ভুল ধারনা বা তথ্য জানতে পারে। বয়সন্ধিকালীন ভ্রান্ত ধারনাগুলা হচ্ছে যেমন-মেয়েদের েেত্র বলা হয়ে থাকে মাসিক এক ধরনের অসুস্থতা ও লজ্জার বিষয়। মাসিকের রক্ত দুষিত রক্ত, ও মাসিকের সময় মাছ, টক, বা আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। প্রকৃত অর্থে মাসিক কোন লজ্জার বিষয় নয়, মাসিক সব মেয়েরই হয়, মাসিকের রক্ত দুষিত রক্ত নয়, হরমোনের প্রভাবে প্রতিমাসে জরায়ুতে এই রক্ত তৈরী হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মেই বের হয়ে যায়। এসময় মেয়েদের শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বের হয়ে যায়। এজন্য এ সময় শরীরের য় পুরন হয় এমন খাবার যেমন-মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বেশি করে খেতে হয়। ছেলেদের েেত্র ভ্রান্ত ধারনাগুলো হচ্ছে, স্বপ্নদোষ খারাপ ছেলেদের হয়ে থাকে। এটি হলে শরীরের সব শক্তি বের হয়ে যায়। এটি একটি রোগ তাই ধীরে ধীরে যৌনশক্তি কমে যায়। খারাপ স্বপ্ন দেখলে স্বপ্নদোষ হয়। আসলে স্বপ্নদোষ প্রায় সব ছেলেরই হয় এটা খারাপ বা ভাল ছেলে এমন কিছুই নয়। শরীরের কোন শক্তিই বের হয়ে যায় না। শরীরের ভিতর যে বীর্য তৈরী হয়, স্বাভাবিক নিয়মেই তা বের হয়ে যায় এবং এটি কোন রোগ নয়। ফলে যৌনশক্তি কমার কোন কারন নেই।
    বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের তথ্য শিশুদেরকে এ পরিবর্তন সহজভাবে গ্রহন করার জন্য সাহায্য করে না। বরং এই পরিবর্তনের একটি ভয়ংকর রুপ দেয়। বিশেষ করে মেয়েদের েেত্র এ পরিবর্তন সম্পর্কে মানষিক প্রস্তুতির অভাবে অনেক ধরনের মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তারা। ছেলে ও মেয়েদের েেত্র বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো ছেলেদের েেত্র রাত্রিকালীন শুক্র নিঃস্বরন এবং মেয়েদের েেত্র মাসিক। এ দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন শিশুরা কিভাবে গ্রহন করে তার দিকে তাকালেই বোঝা যাবে বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন নিয়ে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা এ বয়সের শিশুদের কি ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে। বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন ও পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সামাজিক নিরাবতার কারনেই স্বাভাবিক পরিবর্তনের এ জটিল রোগ তৈরী হয়েছে। বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন যে জৈবিক ও স্বাভাবিক এই তথ্য জানা প্রত্যেকটি নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারন বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তনের জৈবিক ও স্বাভাবিক দিক সমাজে উন্মেচিত হয়নি বলেই একে ঘিরে সমাজে নেতিবাচক ধ্যান-ধারনা তৈরী হয়েছে। বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন, সমস্যা নেতিবাচক ধ্যানধারনা, সামাজিক নিরবতা ও ভ্রান্ত ধারনা, বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে এবং কিশোর-কিশোরীদের যৌনশিা প্রদানের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে গবেষকদের অভিমত।
                                       পাইকগাছায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত; গনধোলাই শেষে ৩ ছিনতাইকারীকে পুলিশে সোপর্দ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
পাইকগাছায় এক খাদ্যসামগ্রী বিক্রেতা (বেকারী সেলসম্যান) কে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা ৩ ছিনতাইকারীকে আটক গনধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত ব্যবসায়ীকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাটাখালী সড়কে।
থানাপুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ঘটনারদিন উপজেলার মাহমুদকাটী গ্রামের নারান চন্দ্রের দু’পুত্র কৃষ্ণপদ দাশ ও সুদেব কুমার দাশ, আমাদি ও বড়দল এলাকা থেকে খাদ্যসামগ্রি বিক্রয়শেষে নছিমনযোগে ফিরে আসার সময় চাঁদখালী ইউনিয়নের শিববাটি ও কাটাখালী সড়কের মধ্যবর্তীস্থানে পৌছানোর পর পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ৬ ছিনতাইকারী তাদেরকে গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় ব্যবসায়ী কৃষ্ণপদ দাশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবহৃত মটরসাইকেল অকেজো হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ধরে ফেলে এবং গনধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে থানার এসআই সিরাজুল ও এসআই জালাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে শ্যামনগর গ্রামের মৃত আনছার গাজীর পুত্র বদরুল, মাহমুদকাটি গ্রামের হযরত গাজীর পুত্র নসিমন চালক রাসেল গাজী ও গদাইপুর গ্রামের ইনতাজ গাজীর পুত্র মনি গাজীসহ ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত টিভিএস ১০০ সিসি মটরসাইকেল এবং ছিনতাই হওয়া ৫ হাজার ৩১৬ টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সুদেব কুমার দাশ বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে থানায় মামলা করেছে বলে এসআই আব্দুল খালেক জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান অব্যহত ছিল।

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০১৪

যৌন ও প্রজনন শিাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাধ্যতামূলকসহ সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

॥ নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
যৌন শিক্ষার প্রসংঙ্গটি হঠাৎ করে বাংলাদেশে উত্থাপিত হয়নি। বয়সসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীরা দীর্ঘ সময় ধরে বয়সসন্ধিকালীন পরিবর্তন মোকাবেলায় মানষিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এই বিপর্যয় নানাবিধ। যেমন বয়সসন্ধিকালে সংগঠিত শারীরিক পরিবর্তন আমাদের সমাজে ইতিবাচকভাবে গ্রহন করা হয়না। ফলে এই পরিবর্তনের মুখোমুখি কিশোর-কিশোরীরা নানারকম শারীরিক ও মানষিক সমস্যার সম্মুখিন হয়। আবার এই বয়সের পরিবর্তনের একটি কেন্দ্রীয় ত্রে হলো যৌনবিকাশ। এই বয়সে শিশুর মানষিক, শারিরীকসহ অন্যান্য বিকাশের পাশাপাশি যৌন বিকাশও সাধিত হয়। একজন মানুষের জীবনে যৌনবোধের আর্বিভাব অন্যান্য বিকাশের মতনই স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সামাজিকভাবে একে খোলাখুলি স্বীকৃতি দেয়া হয়না। জৈবিকভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে এই বোধের উন্মেষ ঘটলেও সামাজিক স্বীকৃতির অভাবে বড় হওয়ার অনুভূতি বয়সসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের জীবনে নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। এই প্রেেিতই গত এক দশক যৌন শিার প্রচলনের তাগিদ বোধ করছেন সমাজ গবেষক ও স্কুল শিকেরা। দেশে যৌনশিার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ইতোমধ্যে অক্সফাম এর অর্থায়নে গণস্বারতা অভিযানসহ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিার উপর কাজ করছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। সংস্থাগুলো যৌন শিার উপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অপ্রতুলতার কারনে ঝুঁকির মধ্যে বেড়ে উঠছে দেশের কয়েক কোটি কিশোর-কিশোরী। পাঠ্য-পুস্তকে যৌন শিা অর্ন্তভূক্ত করা হলেও পাঠদানে শিকদের অনিহার কারনে গুরুত্বপূর্ণ এ শিা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিশোর কিশোরিরা।
বয়সসন্ধিকাল বলতে মুলত ১০-১৯ বছর বয়সকে বোঝানো হয়েছে। একজন মানুষের শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হতে অনেক বছর সময় লাগে। আমাদের শরীর সন্তান উৎপাদন ও ধারনের জন্য তৈরী হতে বেশ কিছু শারীরিক ও মানষিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বেড়ে উঠার এই নিয়মকেই বলা হয় বয়সসন্ধি বা চঁনবৎঃু।  প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে উঠার েেত্র এটি একটি চিহৃ বা মাইলস্টোন। এসময় শরীরে এক ধরনের হরমোন উৎপন্ন হয় যা শরীরের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন ঘটায়। বয়সসন্ধির মাধ্যমে একজন নারী বা পুরুষের প্রজনন মতার পূর্নাঙ্গতা পায়। সকলের েেত্র এই পরিবর্তন সমূহ একই সময় ঘটে না। কারো নিদৃষ্ট সময়ের আগে আবার কারও নিদৃষ্ট সময়ের পরে এটি ঘটতে পারে। সকলের জীবনেই এই ধরনের সময় আসে এবং এই সমেয় তাদেরকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
বয়সসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে পৃথক শারিরীক ও মানষিক আবেগীয় পরিবর্তন ঘটে থাকে। যেমন মহিলাদের েেত্র স্তন বড় হতে থাকে, স্তনের গোলাকার অংশের (এরিওলা) থেকে নিপল (বোটা) দৃশ্যমান হয়। বাহুর নিচে এবং প্রজনন অংগের আশে পাশে চুল/লোম উঠতে শুরু করে, মুখে পিম্পল বা ব্রন উঠতে শুরু করে। যৌনপথে নির্বামল (ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ) শুরু হয়। ডিম্বানু নিঃসরন এবং রক্ত স্রাব শুরু হয়।
পুরুষের েেত্র পেনিস (পুরুষাঙ্গ) এবং টেস্টিকলস (অন্ডকোষ) বড় হতে শুরু করে। পুরুষাঙ্গ ও বাহুর নীচে চুল গজায়। মাঝে মাঝে রাতে অথবা অন্যকোন সময় নিজের ইচ্ছা, অনিচ্ছায় পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয় এবং বীর্যপাত ঘটে। মুখের চারপাশে দাড়ি উঠতে শুরু করে, কন্ঠস্বরে ভাঙ্গন, এবং কন্ঠস্বর ভরাট হতে শুরু করে।
মানুষের জৈবিক ও সামাজিক জীবন চক্রে বয়সসন্ধিকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া স্বত্বেও আমাদের দেশে এই সময়টাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয় না। শিশুদের এই জটিল মুহুর্তে তাদের অনুভূতি এবং তাদের মনে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য কাউকে তারা পাশে পায় না। ফলে শৈশব থেকে কৈশর এবং কৈশর থেকে তারুণ্যে পৌছানোর সন্ধিনে জৈবিকভাবে এ পরিবর্তনের ব্যাখ্যা তাদের জানা থাকে না। কিন্তু জীবনের এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায় উত্তরনের পরবর্তী সকল সামাজিক দায়িত্ব ও নিয়মকানুন তাদের মেনে চলতে হয়। যেমন মেয়েদের েেত্র একটু বড় হলে অর্থাৎ শৈশব থেকে কৈশরে পদার্পনের সাথে সাথে পোশাকের ধরন বদলে যায়। প্রতিবেশি ছেলে বন্ধুর সাথে আর খেলার অনুমতি পাওয়া যায় না। অনেক নিয়ম তার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কেন এই নিয়ম। তার উত্তর না জানার কারনে শিশুটির মনে হয় বড় হওয়ার জন্যই এত বিধিনিষেধ। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার নিজের শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে তার মধ্যে ােভ জন্মে ও  নানা ধরনের মানষিক সমস্যা তৈরী হয়।
বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় বয়সসন্ধিকালীন সমস্যা যথাযথ সমস্যা হিসাবে চিহিৃত নয়। ফলে প্রজনন এবং যৌন বিকাশকে একটি লজ্জার বিষয় হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে সাধারণত। এই নিশ্চুপতার কারনে শিশুরা নানাধরনের মানষিক, শারীরিক এমনকি কখনও কখনও যৌন নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে। ফলে কিশোর-কিশোরীদের সমস্যাগুলো চিহিৃত করা প্রয়োজন এবং বয়সসন্ধিকালীন পরিবর্তন ও সমস্যাসংক্রান্ত শিা কার্যক্রম নির্ধারনের জন্য বয়সসন্ধিকালীন শিশু ও কিশোরদের জীবন ও সমস্যা কেন্দ্রীক গবেষনারও এেেত্র প্রয়োজন। এজন্য যৌন ও প্রজনন শিাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে এ শিা ব্যবস্থাকে বাধ্যতামূলকসহ এই শিার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনে রাষ্ট্র ও সামাজিকভাবে সমুন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজনবোধ মনে করছেন দেশের সমাজগবেষক ও স্কুল শিকরা।

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছায় প্রভাবশালী হেভিওয়েট প্রার্থীসহ ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

ভোটার উপস্থিতি কম কারন হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীসহ জামানত হারিয়েছেন ১১ প্রার্থী, যার মধ্যে ৪ চেয়ারম্যান। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগও না পাওয়ায় এসকল প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন জানিয়েছেন।     সুত্রমতে-প্রভাবশালী হেভিওয়েট প্রার্থীদের জামানত হারানো জাতীয় নির্বাচন ও ভোটার উপস্থিতি কমবলে অন্যতম কারন হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। উল্লেখ্য শনিবার ৩য় দফার ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ ভোটার, এরমধ্যে ২ হাজার ৯০৬ টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়। চেয়ারম্যানপদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৯ দলীয় জোট মনোনিত বিএনপি নেতা এ্যাড. স.ম বাবর আলী ৫৯ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম আ’লীগের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৭৮ ভোট, চেয়ারম্যানপদে জামানত হারানো ৪ প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর ৭ হাজার ৩৪২, সিপিবি’র বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল ৪ হাজার ৭৩২, বাস্তব প্রতিষ্ঠাকরণ পার্টির জিএম আবদার রশীদ ২২৫ ও স্বতন্ত্র শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী ২০৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, নিকটতম স্বতন্ত্র ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল ৩৫ হাজার ১৫৬, ভাইস চেয়ারম্যানপদে জামানত হারানো প্রার্থীরা হচ্ছেন আ’লীগের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ মুজিবর রহমান সানা ৭ হাজার ৫৫২, বিএনপি নেতা এসএম মুজিবর রহমান ২ হাজার ৫৭৭, মোঃ আব্দূল গফুর ১ হাজর ৩৬৫, ইউনাইটেড কমিউনিষ্টপার্টির শাহজাহান সিরাজ সাজু ৯৭৪ ও যুবদল নেতা শেখ সামছুল আলম পিন্টু ৩২৫, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে ৫৭ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াত নেত্রী শাহানারা খাতুন, নিকটতম আ’লীগের ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী ৩৭ হাজার ৪৫৩, জামানত হারানো বিএনপি নেত্রী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন ৭ হাজার ২৪৩ ও ওয়ার্কাস পার্টির মোছাঃ মাসুমা খাতুনের প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪২৬।
                                                  
                                                               পাইকগাছায় এমপি নূরুল হকের সংবাদ সম্মেলন
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক বলেছেন-কপোতা নদের প্রকৃত অবস্থান এবং এর প্রশস্থতা নির্ধারণ করে আমার নির্বাচনী এলাকায় সর্বেেত্র যে অনিয়ম দূর্ণীতি বিরাজ করেছে সেসব েেত্র যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করায় স্থানীয় এক শ্রেনীর সুবিধাবাদী লোকের সমস্যা হচ্ছে। এজন্য আমার বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী ওই মহলটি বিভিন্ন হিউমার ছড়াচ্ছে।
শুক্রবার বিকালে পৌর সদরস্থ এমপি’র নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, কপিলমুনি বনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি আমাকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানায়। আমি সরেজমিন পরিদর্শন করি এবং নদের নির্দিষ্ট জায়গা রেখে পরিকল্পিতভাবে মৎস্য আড়ৎ নির্মানের নির্দেশ দেই। কুচক্রি মহলটি এটিকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। আর তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন গনমাধ্যমে আমার কাছ থেকে বিস্তারিত কিছু না শুনে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। কেননা নির্মানাধীন মৎস্য আড়ৎ বা কোন স্থাপনা’ই কপোতা নদ পুনঃ খননের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে না। কপোতা নদ খনন আমিও চাই উল্লেক করে সাংসদ আরো বলেন নদের প্রকৃত অবস্থান ও এর প্রশস্ততা নির্ধারণ করে মাঝখান থেকে সীমানা ধরে অর্ধেক পাইকগাছা এবং অর্ধেক তালা পাড়ের ভরাট জমি পুনরুদ্ধার করে ক্যাসমেন্ট এরিয়া হিসাব করে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় নদ খনন করলে উভয় পাড়ের মানুষের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং খননাংশের মধ্যে যদি নির্মাণাধীন মৎস্য আড়ৎ বাঁধার কারন হয় সেেেত্র যেকোন মূল্যে তা উচ্ছেদ করা হবে।
                                                পাইকগাছায় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিএনপি’র প থেকে সংবর্ধনা
নিউজ অফ পাইকগাছা॥
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট মনোনিত নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে থানা ও পৌর বিএনপি’র প থেকে পৃথক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। রোববার সকালে দলীয় কার্যালয়ে থানা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. জিএ সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র উপদেষ্ঠা এ্যাড. স.ম বাবর আলী। উপস্থিত ছিলেন-থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ, বিএনপি নেতা সেখ রুহুল কুদ্দুস, ডাঃ আব্দুল মজিদ, এটিএম মনিরুজ্জামান মনি, কেএম মজিবুর রহমান, আইয়ুব বাচ্চু, ডাঃ নরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, খন্দকার হারুন-অর-রশীদ, এ্যাড. অচিন্ত্য দাশ, , সরদার মনিরুজ্জামান, কাউন্সিলর কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, ছাত্রনেতা এসএম ইমদাদুল হক, আবুল হোসেন, ইস্রাফিল আহম্মেদ, আকবর হোসেন, এরশাদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু, বাদশা আলম, গোলাম। অপরদিকে শহীদ মিনার চত্ত্বরে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে পৃথক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেলিম রেজা লাকি, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, কাউন্সিলর সেলিম নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, রাজীব নেওয়াজ, শফি মোড়ল, আনার আলী, আনারুল ইসলাম।

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন; ভোটার উপস্থিতি ৬০%; ১৯ দলীয় জোটের জয়জয়কার

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সকাল ৮ টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬৯ কেন্দ্রে ৪৪২ টি কে ভোটগ্
রহন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ৬০% বলে ধারনা করা হচ্ছে। সকালের দিকে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি ল্য করা না গেলেও দুপুরের পর উপস্থিতির হার অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে বিকাল ৪টার পর অনেকেই ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকায় ভোট দিতে পারেননি বলে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে জানাগেছে। ভোটগ্রহন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও দেলুটি ইউনিয়নের দারুনমল্লিক কেন্দ্রে ৪টার পর অনেক ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্ঠা করলে পুলিশ বাঁধা দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের হস্তেেপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। সবমিলিয়েই তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। 
                                                                                   নির্বাচনের ফলাফল
 চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৬৯টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ৫৯ হাজার ১শ’ ৪২ ভোট পেয়ে ১৯ দলীয় জোটের  জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সম বাবর আলী (দোয়াতকলম) বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছে। নিকটতম উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৪শ’ ৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি ৭ প্রার্থীর মধ্যে সর্বশেষ ৫৫ টি কেন্দ্রের ফলাফল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ কামাল হোসেন (টিউবওয়েল) ৫১ হাজার ৯১০, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল (মাইক) ২১ হাজার ৭১১ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৫ টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ৪ প্রার্থীর মধ্যে জামায়াত নেত্রী শাহানারা খাতুন (কলস) প্রতিক ৪১ হাজার ৬২৬ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দীপ্তি রাণী চক্রবর্তী ১৮ হাজার ৪৭১ ভোট।  সুত্রমতে প্রকাশ ১০ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত খুলনা পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩, যার মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ ও মহিলা ৯২ হাজার ১৩৭জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৬৯টি, ক ৪৪২।

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪

শনিবার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর ভাগ্যপরীা; ৬৯ কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৫৩

নির্বাচনের উপকরণ পৌছেগেছে সকল কেন্দ্রে
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ভোটের উপকরণ সামগ্রী প্রতিটি কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে এবং ৬৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চি‎িহৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  সুত্রমতে-১০ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩, যার মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ ও মহিলা ৯২ হাজার ১৩৭। মোট ভোট কেন্দ্র ৬৯ এবং ভোট ক ৪৪২টি। চলতি বছরের ৩য় দফায় জেলার একমাত্র এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের আগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সোহরাওয়াদ্দ্র্ী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অপর প্রাথীরা হচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান(আনারস), ১৯ দলীয় জোট মনোনিত সাবেক এমপি এ্যাড. স.ম বাবর আলী (দোয়াতকলম), উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর (ঘোড়া), সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল (কাপপিরিচ) ও বাস্তব প্রতিষ্ঠাকরণ পার্টির জিএম আবদার রশীদ (চিংড়ীমাছ)। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে স.ম বাবর আলী, মোঃ রশীদুজ্জামান ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী হচ্ছেন ১৯ দলীয় জোট মনোনিত উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ শেখ কামাল হোসেন (টিউবওয়েল), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলহাজ্ব মাওঃ মুজিবুর রহমান সানা (তালা), বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল গফুর (টিয়াপাখি), এ্যাড. এসএম মুজিবর রহমান (বই), যুবদল নেতা শেখ সামছুল আলম পিন্টু (্উড়োজাহাজ), ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল (মাইক), ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট নেতা শাহাজান সিরাজ সাজু (চশমা)। ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান ভাইস চেয়াম্যান ও বিএনপি মনোনিত রাবেয়া হোসেন (হাঁস), আ’লীগ মনোনিত ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী (পদ্মফুল), জামায়াত মনোনিত শাহানারা খাতুন (কলস) ও ওয়ার্কাস পার্টির মোছাঃ মাছুমা খাতুন (ফুটবল)। এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা হতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ায় নির্বাচন শেষে কাঙ্খিত ফলাফলের অপোয় রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। সবমিলিয়েই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন। 
পাইকগাছায় আ’লীগ প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবশেষে ভোটের আগের দিন আ’লীগ মনোনিত মোঃ রশীদুজ্জামানের (আনারস) প্রতিকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী। তিনি শুক্রবার সকালে পাইকগাছা প্রেসকাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান।
 
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন-নির্বাচনী এলাকায় আমার জনসমর্থনের অভাব রয়েছে এবং আমি কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য নই। এজন্য নির্বাচনে আমার জনসমর্থন না থাকার বিষয়টি উপলব্ধি করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াচ্ছি এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার কর্মী সমর্থকদের আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামানের (আনারস) প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন

যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে প্রশাসনের প থেকে যানবাহন চলাচল ও সকল ধরনের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রনে রাখতে সেনাবিহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাইকগাছা কলেজ ও বিজিবি উপজেলায় অবস্থান নিয়েছে বলে জানাগেছে। অপরদিকে ১২ মার্চ বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে ১৬ মার্চ রোববার রাত ১২ টা পর্যন্ত নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যাতিত মটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৪ মার্চ শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত হতে ১৫ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যাতিত সবধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ও জলযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা হতে ১৭ মার্চ দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সকল ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা, সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সর্বপরি ভোটগ্রহনের পূর্ববর্তী ৭ দিন থেকে ভোট গ্রহনের পরবর্তী ৭দিন পর্যন্ত সকল ধরনের লাইসেন্সকৃত অস্ত্রবহন প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞ আরোপ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য উপজেলার সর্বত্রই মাইকিং করে সাধারণ জনগনকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে সহকারি রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিন জানান।
                                       পাইকগাছা শিক্ষা অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে শিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
 খুলনার পাইকগাছা উপজেলা শিা অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে শিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে উপজেলায় কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিকরা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ৯১ নং বিগরদানা এসএফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের আদেশপ্রাপ্তির ফলে বিদ্যমান ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত পূর্বক নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সে মোতাবেক সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরীর সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরই অংশহিসাবে তৎকালীন খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা-পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়ন) এমপি ননি গোপাল মন্ডল ২৪/১২/২০১৩ তারিখে বিদ্যুৎসাহী পুরুষ বিরেন্দ্রনাথ মল্লিক, মহিলা কবিতা রাণী বৈরাগীকে মনোনয়ন প্রদান করেন। এদিকে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন খুলনা-৬ আসনে অর্ন্তভূক্ত হওয়ায় পাইকগাছা-কয়রার এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক গত ২৫/০১/২০১৪ তারিখে বিগত কমিটির কার্যকারিতা স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করেন এবং ২৩/০২/২০১৪ তারিখে নতুন করে বিদ্যুৎসাহী পুরুষ পদে শিবুপ্রসাদ সরকার এবং বিদ্যুৎসাহী মহিলা পদে কবিতা রাণী বৈরাগীকে মনোনয়ন প্রদান করেন। ফলে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে জটিলতার সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ভূপেন্দ্রনাথ গোলদার জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা শিা অফিসার বরাবর আবেদন করেন। আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট অফিসের উচ্চমানসহকারী নূরুজ্জামানের নিকট জমা দিতে গেলে তিনি আবেদনটি জমানিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি শিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হলে শিক সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ও সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান উচ্চমান সহকারীকে আবেদনপত্রটি গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন। নেতৃবৃন্দের এ অনুরোধ উপো করে উচ্চমান সহকারী সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের উপর চড়াও হয় এবং লাঞ্ছিত করে বলে শিক সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ জানান। এ ব্যাপারে উল্টো শিকরাই তাকে অসাদাচারণ করেছে বলে উচ্চমান সহকারী নূরুজ্জামান জানান।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছায় এমপি নূরুল হকের দু’দিনের গনসংযোগে পাল্টেগেছে উপজেলা নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ

উজ্জীবিত আ’লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীরা
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
অবশেষে খুলনার পাইকগাছায় স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল  হকের গনসংযোগের পর পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটের হিসাব-নিকাশ। উজ্জীবিত হয়েছে সংগঠনের ঝিমিয়ে পড়া তৃনমূল নেতাকর্মীরা। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে প্রচারণ-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আ’লীগের দলীয় মনোনিত প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতোমধ্যে দলীয় মনোনিত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে ১৯ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় একাধিকবার সফর করে জোটের তৃনমূল নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে তুললেও এেেত্র ব্যতিক্রম ছিল মতাসীন আ’লীগ। গত ২১ ফেব্র“য়ারী আ’লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত থেকে তৃনমুল ভোটে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামানকে উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমান সানাকে ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তীকে দলীয় মনোনিত প্রার্থী হিসাবে চূড়ান্ত করার পর হতে দীর্ঘদিন প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহন না করায় অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে সংগঠনের তৃনমূল নেতাকর্মীরা। ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ে দলীয় মনোনিত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায়। অবশেষে নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে হলেও স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের গত দু’দিনের প্রচার-প্রচারণায় পাল্টে গেছে নির্বাচনের ভোটের হিসাব-নিকাশ। তিনি শনিবার দিনভর সংখ্যালঘু অধ্যূষিত উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী, বিগরদানা, দারুনমল্লিক, হাটবাড়ি, সোলাদানা ইউনিয়নের পার বয়রাঝাপা, বেতবুনিয়া, সরদার আবু হোসেন কলেজ চত্ত্বর, এবং এর আগে শুক্রবার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা, লতা ও কাঠামারি বাজারসহ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ করেন। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ন স্থানসমূহে পথসভা ও জনসভায় যোগ দিয়ে দলের বাইরের কোন প্রার্থীর উপর বিভ্রান্ত না হয়ে আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামানের (আনারস) প্রতীক, ভাইস চেয়ারম্যান প্রাথী আলহাজ্ব মুজিবর রহমান সানার (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দীপ্তি চক্রবর্তীর (পদ্মফুল) প্রতীকের ভোট প্রার্থনা করেন এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় মনোনিত প্রার্থীর পে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। এদিকে শনিবার দুপুরে দেলুটির ফুলবাড়িয়ায় ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নির্মল মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন-জেলা আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রফিকুল ইসলাম, আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামান, এমপি পুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম, রতন কুমার ভদ্র, সরদার গোলাম মোস্তফা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, জেলা যুবনেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবর রহমান সানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দীপ্তি চক্রবর্তী, দেলুটি ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব রায়, শেখ মাসুদুর রহমান, শেখ সেলিম, প্রনব কান্তি মন্ডল, রিপন মন্ডল, ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারী এসএম আমিনুর রহমান লিটু, শেখ তুহিন, দীপংকর মন্ডল, মৃনাল কান্তি বাছাড় ও সুকৃতি মন্ডলসহ আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 পাইকগাছায় আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালিত
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপল্েয র‌্যালী, আলোচনাসভা, মেলা, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপল্েয উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে শনিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রধান সড়ক প্রদণি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা বিপ্লব কান্তি মন্ডল, অধ্য রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, প্রধান শিক সুরাইয়া বানু ডলি। বক্তব্য রাখেন-সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, প্রকাশ ঘোষ বিধান, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, রেবা আক্তার কুসুম, জেবুন্নেছা খানম, সীমা দাশ ও অঞ্জলী রাণী সরকার, উপস্থিত ছিলেন ধানসিঁড়ি উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নারীরা। অনুষ্ঠানশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জারী গান পরিবেশন করেন আব্দুল মজিদ বয়াতী ও তার দল। 
                                                                 পাইকগাছায় সুজন’র প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মুখোমুখি অনুষ্ঠান উপল্েয সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর পাইকগাছা উপজেলা শাখার এক প্রস্তুতি সভা শনিবার সকালে কলেজ মার্কেট চত্ত্বরে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখেন-মেহেদি মাসুদ, পঞ্চানন সানা, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, এন ইসলাম সাগর, জামিনুর ইসলাম ও শেখ মিজানুর রহমান।  

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে এমপি নুরুল হকের ব্যাপক গনসংযোগ

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
 খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপল্েয আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পে শুক্রবার দিনভর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গনসংযোগ করেছেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নুরুল হক। সাংসদ বিকালে লতা ইউনিয়নের কাঠামারি বাজারে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন- সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় মনোনিত প্রার্থীদের পে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে বিজয় নিশ্চিত উল্লেখ করে তিনি সকল তৃনমুলের পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান। দীপক চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রফিকুল ইসলাম, আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামান, এমপি পুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম, রতন কুমার ভদ্র, সরদার গোলাম মোস্তফা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, জেলা যুবনেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবর রহমান সানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দীপ্তি চক্রবর্তী, যুবলীগের সভাপতি এসএম শামসুর রহমান, শেখ মাসুদুর রহমান, শেখ সেলিম, প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু, প্রনব কান্তি মন্ডল, ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারী এসএম আমিনুর রহমান লিটু, শেখ তুহিন, দীপংকর মন্ডল ও মৃনাল কান্তি বাছাড়। পরে সোলাদানা ইউনিয়নে সংপ্তি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শক্ত অবস্থান তৈরী করতে শীর্ষ নেতাদের মাঠে চায় তৃনমুল আ'লীগের নেতাকর্মীরা; তৎপর ১৯ দলীয় জোট

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
 খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সপ্তাহখানেক বাকী থাকলেও এখনও পর্যন্ত মতাসীন দল আ’লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোন তৎপরতা দেখাযায়নি বলে তৃনমুল নেতাকর্মীদের অভিযোগ। অপরদিকে দলীয় মনোনিত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ১৯ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। জোটের শীর্ষ পর্যায়ের এসব নেতারা ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় একাধিকবার সফর করে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়সহ গনসংযোগ করেছে। আ’লীগের শীর্ষ নেতারা তৎপর না হলে জেলার সদ্যসমাপ্ত ৩ উপজেলার ন্যয় এ উপজেলাতে মতাসীনদলের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অনেকেই আশংকা করছেন। 
আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে ৬, ভাইস চেয়ারম্যানপদে ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪সহ মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যানপদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান (আনারস), ১৯ দলীয় জোট মনোনিত জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম বাবর আলী (দোয়াত কলম), উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর ঘোড়া, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল (কাপপিরিচ), বাস্তব প্রতিষ্ঠাকরণ পার্টির (স্বঘোষিত) প্রতিষ্ঠাতা কবি ডাঃ আব্দুর রশীদ (চিংড়ী মাছ), শেখ সরোওয়ার্দ্দী (মটরসাইকেল)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ দলীয় জোট মনোনিত জামায়াতের উপজেলা আমির মাওঃ কামাল হোসেন (টিউবওয়েল), আ’লীগ মনোনিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলহাজ্ব মুজিবর রহমান সানা (তালা), বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল গফুর (টিয়াপাখি), এ্যাড. এসএম মুজিবর রহমান (বই), যুবদল নেতা শেখ শামসুল আলম পিন্টু (উড়োজাহাজ), ইউনাইটেড কমিউনিষ্টলীগের শাহজাহান সিরাজ সাজু (চশমা), ডাঃ টিকেন্দ্রনাথ (মাইক)। মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ১৯ দলীয় জোট মনোনিত রাবেয়া হোসেন (হাঁস), আ’লীগ মনোনিত ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী (পদ্মফুল), জামায়াত মনোনিত শাহানারা খাতুন (কলস) ও ওয়ার্কাস পার্টির মাছুমা খাতুন (ফুটবল)। এদিকে এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচনের ন্যয় দলীয় মনোনিত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করছে ১৯ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। জোটের এসব শীর্ষ নেতারা একাধিকবার এ উপজেলা সফর করে চাঙ্গা করে তুলেছেন সংগঠনের তৃনমুল নেতাকর্মীদের। পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান মনি বলেন-শীর্ষ নেতাদের সফরের পর দলীয় মনোনিত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে দ্বিধাবিভক্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন উপজেলা স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সরকার ৫ জানুয়ারী ভোটারবিহিন নির্বাচন করায় উপজেলা নির্বাচনকে ১৯ দলীয় জোট চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জোটের মনোনিত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো সফর করা হচ্ছে। এদিকে নির্বাচনের সময় প্রায় শেষদিকে হলেও মতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের তৃনমুল নেতাকর্মীরা। আ’লীগ নেতা স্নেহেন্দু বিকাশ জানান সদ্য সমাপ্ত জেলার ৩ উপজেলায় মতাসীন দলের বিপর্যয় ঘটলেও দলের অনেক শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এখনও তৎপরতা ল্য করা যাচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। শেষ মুহুর্তে হলেও দলের শীর্ষ নেতারা তৎপর হলে সম্ভাবনাময় এ উপজেলায় দলীয় মনোনিত প্রার্থীর বিজয় সম্ভব বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুন-অর-রশীদ জানান সাংগঠনিকভাবে আ’লীগের অবস্থা অনেক ভাল। এেেত্র আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করবে। তারপরও দলীয় মনোনিত প্রার্থীর বিজয় নীশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় দ্রুত সফর করা হবে বলে তিনি জানান। 

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছায় বিএনপি’র দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে জেলা নেতাদের মতবিনিময় সভা

সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় মনোনিত প্রার্থীর পে কাজ করার আহবান-নজরুল ইসলাম মঞ্জু 
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন বিরোধীদলের আন্দোলনের মধ্যেই সরকার উপজেলা নির্বাচন দিয়েছে। পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই জনগন বিএনপি’র সাথে থাকার ফলে ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত ১ম ও ২য় দফার নির্বাচনে অধিকাংশ ১৯ দলীয় জোট মনোনিত প্রার্থীরা বিজয় লাভ করেছে। সংগঠনের কর্মীরা সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থেকে ভোট পাহারা দেয়ার কারনে জেলার ৩ উপজেলার ৯টি পদের মধ্যে দিঘলিয়ার চেয়ারম্যান পদ ছিনিয়ে নিলেও ৮টি পদে ১৯ দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। বিগত ৫ বছর সরকার বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা, নির্যাতন, নীপিড়ন করেছে উল্লেখ করে সাবেক এ এমপি বলেন এজন্য উপজেলা নির্বাচনে জনগন বিএনপিকে সমর্থন করছে। সরকার আ’লীগ এবং নির্বাচন কমিশন আধা আ’লীগ উল্লেখ করে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন প্রশাসন নিরপে থাকবে না, এজন্য চোখ, কান খোলা রেখে পিছনের সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নির্বাচনকে অধিক প্রাধান্য দিয়ে নেত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় মনোনিত প্রার্থীকে নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। উপজেলা নির্বাচনকে মিনি পার্লামেন্ট উল্লেখ করে ৪৮৭ উপজেলা নির্বাচন শেষে সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ল্েয দলীয় মনোনিত প্রার্থীর পে কাজ করতে উপস্থিত তৃনমুল নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। তিনি বুধবার সকালে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপল্েয সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। থানা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. জিএ সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, সাবেক এমপি সৈয়দা নার্গিস আলী, এ্যাড. গাজী আব্দুল বারী, মোল্যা আবুল কাশেম, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম (মেজ ভাই), এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, আবু নাঈম মোহাম্মদ ফখরুল আলম, অধ্য তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সিরাজুল ইসলাম নান্নু, শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, জেলা মহিলাদলের সভাপতি রেহেনা ইশা, মহানগর যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম তুহিন, এ্যাড. তাসলিমা খাতুন ছন্দা, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবলু, শেখ সাদী, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, ডাঃ আব্দুল মজিদ, এ্যাড. আবু সাঈদ, এ্যাড. এম মাফতুন আহম্মেদ, অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক, শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, শেখ ইমাদুল ইসলাম, এটিএম মনিরুজ্জামান মনি, কিরন চন্দ্র মন্ডল, আসলাম পারভেজ, তুষার কান্তি মন্ডল, ইমদাদুল হক, সেলিম নেওয়াজ, লক্ষ্মীরাণী গোলদার ও কৃষ্ণা ব্যানার্জী।

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিপাকে বিএনপি-জামায়ত; সুবিধাজনক অবস্থানে আ’লীগের একক প্রার্থী

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় তৃতীয় দফার ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত মনোনিত প্রার্থীরা। অপরদিকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছে আ’লীগ মনোনিত একক প্রার্থী। নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে এসে বিপাকে থাকা একাধিক প্রার্থী সংকট নিরসনে ১৯ দলীয় জোটের জেলা নেতৃবৃন্দ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জোটসুত্র জানিয়েছে।  সুত্রমতে-হরিঢালী, কপিলমুনি, লতা, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, গদাইপুর, রাড়–লী, চাঁদখালী ও গড়ইখালীসহ ১০ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে জেলার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ হযরত আলী জানান গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় ৬৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩, যার মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ ও মহিলা ৯২ হাজার ১৩৭। আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতিব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানপদে (হাঁস) প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি মনোনিত বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন। (পদ্মফুল) প্রতিকে নিয়ে লড়াই করছেন আ’লীগের একক প্রার্থী ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী। (কলস) প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করছেন জামায়াত মনোনিত  শিক শাহানারা খাতুন। (ফুটবল) প্রতিকে রয়েছেন ওয়ার্কাস পার্টি মনোনিত প্রধান শিক মাছুমা খাতুন। এদিকে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন ১৯ দলীয় জোট প্রার্থীরা। উল্লেখ্য চেয়ারম্যানপদে জোটের একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হলেও দু’ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ-মহিলা) পদে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে ব্যার্থ হয় জোট নেতারা। বিএনপি নেতারা রাবেয়া হোসেনকে জোট মনোনিত প্রার্থী দাবী করলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন জামায়াত মনোনিত প্রার্থী শাহানারা খাতুন। ফলে একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন জামায়াত-বিএনপি’র এ দু’প্রার্থী। শেষ মুহুর্তে এসে জোটের জেলা নেতৃবৃন্দ এ সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান। অপরদিকে জামায়াত-বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর কারনে আ’লীগের একক প্রার্থী দীপ্তি চক্রবর্তী সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও তেমন কোন প্রচার-প্রচারণা নেই বলে তৃনমুল নেতাকর্মীরা জানান। শেষ মুহুর্তে ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হলে আ’লীগ ও জোট মনোনিত প্রার্থীর সংগে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে সাধারণ ভোটাররা জানান। 
                                                              পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের এমপি স্ত্রীর সুস্থতা কামনা
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রার) এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নুরুল হকের স্ত্রী মোমেনা হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা সার্জিক্যাল কিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি সোমবার রাত ১০ টার দিকে খুলনাস্থ নিজস্ব বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে সাথে তাকে খুলনা সার্জিক্যাল কিনিকে ভর্তি করা হয়। তার আশু সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন-উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন-ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর মন্ডল, মোঃ ইদ্রিস আলী, আসিফ ইকবল রনি, মসিয়ার রহমান, সুমন ঘোষ, দ্বীপ, জয়, সৈকত, রাজেশ সানা, টুটুল সরদার, বরুন বাছাড়, ফয়সাল ও পল্লব।

রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থীর লড়াই

কোনঠাসা ১৯ দলীয় জোট মনোনিত প্রার্থী
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছে ১৯ দলীয় জোট মনোনিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ কামাল হোসেন। বিএনপি সমর্থিত একাধিক প্রার্থীর কারনে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। অপরদিকে জামায়াত বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর সুবাদে সুবিধাজনক অবস্থানে আ’লীগের একক প্রার্থী আলহাজ্ব মাওঃ মুজিবর রহমান সানা বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন। সবমিলিয়েই ৭ প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন। আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলে আ’লীগের একক প্রার্থী নির্ধারণে পর ইতোমধ্যে ৩ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রতাহার করে নেয়ায় বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ প্রার্থী। ৭ প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল বাদে আর সকলেই নবাগত হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৯ দলীয় জোট মনোনিত উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ শেখ কামাল হোসেন। (তালা) প্রতীকে লড়াই করছেন আ’লীগ মনোনিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলহাজ্ব মাওঃ মুজিবুর রহমান সানা। (টিয়াপাখি) নিয়ে রয়েছেন বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল গফুর। বই প্রতীকে এ্যাড. এসএম মুজিবর রহমান। (উড়োজাহাজ) প্রতীকে যুবদল নেতা শেখ সামছুল আলম পিন্টু। ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট নেতা শাহাজান সিরাজ সাজু প্রতীক (চশমা) ও মাইক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল। এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ঘরোনার একাধিক প্রার্থীর কারনে ১৯ দলীয় জোট মনোনিত প্রার্থী কোনঠাসা হয়ে পড়ছে বলে সাধারণ ভোটাররা ধারনা করছেন। অনেকেই মনে করছেন চেয়ারম্যান পদে জামায়াত বিএনপিকে ছাড় দিলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে ১৯ দলীয় জোট মনোনিত চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীর েেত্র। এ ব্যাপারে নির্বাচনে কোন বিরুপ প্রভাব পড়বে না বলে জামায়াত নেতা এ্যাড. আব্দুল মজিদ জানান। থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাড. আবু সাঈদ জানান-সময় স্বল্পতার কারনে অনেক প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রতাহার করতে পারেনি। তবে ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শামছুল আলম পিন্টু এবং মাষ্টার গফুর এর ব্যাপারে সোমবার জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
                                                  পাইকগাছায় মরা মুরগীর মাংস বিক্রির অভিযোগে দু’ভাই জেলহাজতে
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় মরা মুরগীর মাংস বিক্রি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সহোদর দু’ভাইকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অহিদুল গাজী ও মনিরুল গাজী নামের দু’ভাই রোববার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। উল্লেখ্য চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের আরাজি ভবানীপুর গ্রামের হোসেন আলী গাজীর দু’পুত্র অহিদুল গাজী ও মনিরুল গাজী বাঁকা বাজারে ১৬/১৭টি মরা মুরগি জবাই করে মাংস বিক্রিকালে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর তাদেরকে হাতেনাতে জব্দ করে। এ ঘটনায় উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর উদয় মন্ডল বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন যার নং-সিআর ৪২/১৪।
                                                        পাইকগাছায় ডিগ্রি (পাস) পরীায় ৫০৬ পরীার্থীর অংশগ্রহন
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছা কেন্দ্রে ৫০৬ জন পরীার্থী ডিগ্রি (পাস) পরীায় অংশগ্রহন করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যাললয়ের অধীন ২০১২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীায় শনিবার ইংরেজী ১ম পত্র পরীায় কয়রার কপোতা কলেজ, জোবেদা খানম মহিলা কলেজ, খানসাহেব কোমরউদ্দিন কলেজ এবং পাইকগাছার গড়–ইখালী আয়ুব ও মুসা মেমোরিয়াল কলেজ, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ এবং কপিলমুনি কলেজের এসব পরীার্থীরা অংশগ্রহন করেন বলে কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্য মিহির বরণ মন্ডল জানান।