মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

পাইকগাছায় ধান্ধাবাজ কৃষকলীগ নেতা মঈনুল বর্তমান এমপিকে পঁচানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

সুত্র : আগামীর কন্ঠ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় সাবেক এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানাকে ব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া কৃষকলীগ নেতা প্রভাষক মঈনুল এবার বর্তমান এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের উপর ভর করার চেষ্ঠা করেছেন। মঈনুলের এ ধরনের কর্মকান্ডে খোদ আ’লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকের মন্তব্য সুবিধাবাদী মঈনুল সাবেক এমপি সোহরাব আলী সানাকে পঁচিয়ে দিয়ে এখন বর্তমান এমপিকে পঁচানোর ধান্দায় মেতেছে। ধান্দাবাজ মঈনূল থেকে বর্তমান এমপিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ আ’লীগের ত্যাগী নেতাদের।
    অনুসন্ধানে জানাযায়, পাইকগাছার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের হতদরিদ্র হারুনুর রশীদের ছেলে মঈনুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করতেন। এরপর ১৯৯৯ সালে পাইকগাছা ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। কিছুদিন পর স্থানীয় জনৈক বাবু গাইনের কাছ থেকে সরল মৌজায় ৫ কাটা জমি কিস্তিতে ক্রয় করেন। সেখানে দোচালা গোলের ঘর তৈরী করে বসবাস শুরু করেন মঈনুল। নিজেকে কৃষকলীগ নেতা এবং শিল্পপতী ফসিয়ার রহমানের কলেজে চাকরির সুবাদে ফসিয়ার রহমানের সহযোগিতায় হয়ে ওঠেন এমপি’র আর্শিবাদপুষ্ট। এরপর উপজেলা খাসজমি বন্দোবস্ত কমিটির সদস্য মনোনিত হন। এপর শুরু করেন অর্থবানিজ্য, খাস জমি, একসনা বন্দোবস্তের নামে হাতিয়ে নিতে থাকেন মোটা অংকের অর্থ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে মেম্বর মাতব্বরদের নামে প্রজেক্ট করে দেওয়ার নামে প্রজেক্ট কমিটির কাছ থেকে কমিশন, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ক্ষ,তার অপব্যাবহার, দালালী, বাঁকা শহীদ কামরুল স্কুলে শিক্ষক নিয়োাগে ও বিভিন্ন প্রাইমারী স্কুলে নাইটগার্ড নিয়োগে মধ্যস্থাকারী বিভিন্ন শালিশীর নামে অর্থ বাাণিজ্য প্রায় একশত খাস জমি বন্দোবস্ত দলিলের সাথে নিজেকে সক্রিয় রেখে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন মঈনুল। ইতোমধ্যে তিনি ৫ কাঠা জমিতে চারতলা ফাউন্ডেশন করে চার রুম বিশিস্ট বিলাস বহুল বাড়ি করেছেন। বাড়িতে আসবাবপত্রের কমতি নেই। স্থানীয় কাটাখালী নদীর চর ভরাটী জায়গা দখল করেছেন। সেখানে তিনি তার ভাইদের চিংড়ী ঘের করে দিয়েছেন। এমপি সোহরাব আলী সাবেক হওয়ার সাথে সাথে বর্তমান এমপি এ্যাড. নূরুল হকের ঘনিষ্টজন হওয়ার পায়তারা করছেন ধুরন্ধর মঈনুল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ’লীগের থানা কমিটির এক নেতা জানান যাদের কারনে সাবেক এমপি সোহরাব আলীর বদনাম হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম এই মঈনুল। তার কারনে দলের অনেক বদনাম রয়েছে। অথচ সেই মঈনুল বর্তমাান এমপির ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেবল তাই না ধান্ধাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন এই মঈনুল। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ফসিয়ার রহমান কলেজের প্রভাষক হওয়ার পরও গত ৫ বছরে ক্ষমতার জোরে খুব কম সময়ই কলেজ করেন। এবারও সেই ফাঁকিবাজি করার চেষ্ঠায় রয়েছেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন