প্রধানমন্ত্রী যেখানে আবুলের চিকিৎসার দায়ভার নিতে পারেন, সেখানে আমি সংসদ সদস্য হিসাবে আবুলের যে কোন সমস্যা সমাধানে পাশে থাকবো
এন ইসলাম সাগর, পাইকগাছা, খুলনা।
এবার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের পাশে এসে দাড়িয়েছেন পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। বসতবাড়ী নির্মাণকাজে বাঁধা প্রদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমপি নূরুল হকের সাথে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৌজন্য দেখা করতে গেলে সৃষ্ঠ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আবুলের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এমপি নূরুল হক। এ সময় এমপি হক বলেন, আবুলের বিরল রোগের চিকিৎসা এদেশে হবে কেউ কখনো কল্পনা করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিরল রোগ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে আবুল। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী বারবার মানবতা প্রতিষ্ঠায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। তিনি বলেন, সর্বশেষ মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবারও মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এ কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরুপ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব হিউম্যানিটি আখ্যায়িত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানে আবুলের বিরল রোগের চিকিৎসার দায়ভার নিতে পারেন, সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসাবে আবুলের যে কোন সমস্যার সমাধানে তার পাশে থাকবো বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসময় তিনি আবুলের বসতবাড়ীর নির্মাণ কাজ শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে পারেন এ জন্য থানার ওসি’কে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, পাইকগাছা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের হতদরিদ্র মানিক বাজনদারের ছেলে আবুল বাজনদার (২৭) দীর্ঘদিন বিরল রোগে ভুগতেছিলেন। তার যখন ১৫ বছর বয়স তখন আঁচিল থেকে তার হাতে-পায়ে গাছের শিকড়ের ন্যায় মাংস বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধীরে ধীরে তা লম্বা হয়ে গাছের শিকড়ের আকৃতি ধারণ করে। বিরল এ রোগের কারণে সারা পৃথিবীতে সে বৃক্ষমানব হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। ভারত ও দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে কোন ফল লাভ না হওয়ায় বিরল রোগ থেকে মুক্তির আশা ছেড়ে দেয় আবুল বাজনদার। বিরল এ রোগের সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আবুলের চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন বর্তমান সরকার। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় আবুল। বার্ন ইউনিটের ডাঃ সামন্ত লালের তত্ত্বাবধায়নে সেখানে প্রায় ২ বছর চিকিৎসাধীন রয়েছে আবুল। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি তার প্রথম অপারেশন করা হয়। এ পর্যন্ত তার দুই হাতে ১৮ এবং দুই পায়ে ৬ বার সহ মোট ২৪ বার সফল অপারেশন করা হয়েছে। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও তার হাতে-পায়ে শক্ত মাংস বিশেষ রয়ে গেছে, ফলে এখনো কতদিন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকতে হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি বলে আবুল জানিয়েছে। বর্তমানে আবুলের ৪ বছরের জান্নাতুল ফেরদৌস তাহিরা নামে একটি কণ্যা রয়েছে। তার পাশে থেকে সার্বক্ষণিক সেবা করে যাচ্ছেন মমতাময়ী মা আমেনা বেগম ও অনন্যা প্রেমিকা স্ত্রী হালিমা বেগম। এদিকে তার চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা হওয়ায় সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম, এলাকা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আবুল পরিবারের মাথা গোজার জন্য এক শতক জমি না থাকায় ভাড়াটিয়া খুবড়ে ঘরে বসবাস করে আসছে। এ জন্য চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় অনেকের সহযোগিতায় বসবাসের জন্য পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল মৌজায় সামান্য কয়েক শতক জমি কেনে আবুল। কিন্তু একদিকে জমির মালিক মাখন লাল গংরা যাতায়াতের পথ বের করে দেয়নি। অপরদিকে ক্রয়কৃত জমির পাশের প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম বসতবাড়ী নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করায় বিপাকে পড়ে আবুল ও তার পরিবার। ইতোমধ্যে আবুলের পরিবার বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবুল নিজেই স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের সাথে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ব্যাপারে ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, আবুলের জমি ক্রয় করা সঠিক রয়েছে। তবে জমির মালিক যাতায়াতের পথ বের করে না দেওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিরসনের লক্ষে আমি কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জমির মালিক বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছে। আশা করছি তিনি দেশে আসলে দু’একদিনের মধ্যে বিষয়টি নিরসন হয়ে যাবে।
এন ইসলাম সাগর, পাইকগাছা, খুলনা।
এবার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের পাশে এসে দাড়িয়েছেন পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। বসতবাড়ী নির্মাণকাজে বাঁধা প্রদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমপি নূরুল হকের সাথে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৌজন্য দেখা করতে গেলে সৃষ্ঠ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আবুলের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এমপি নূরুল হক। এ সময় এমপি হক বলেন, আবুলের বিরল রোগের চিকিৎসা এদেশে হবে কেউ কখনো কল্পনা করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিরল রোগ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে আবুল। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী বারবার মানবতা প্রতিষ্ঠায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। তিনি বলেন, সর্বশেষ মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবারও মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এ কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরুপ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব হিউম্যানিটি আখ্যায়িত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানে আবুলের বিরল রোগের চিকিৎসার দায়ভার নিতে পারেন, সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসাবে আবুলের যে কোন সমস্যার সমাধানে তার পাশে থাকবো বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসময় তিনি আবুলের বসতবাড়ীর নির্মাণ কাজ শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে পারেন এ জন্য থানার ওসি’কে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, পাইকগাছা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের হতদরিদ্র মানিক বাজনদারের ছেলে আবুল বাজনদার (২৭) দীর্ঘদিন বিরল রোগে ভুগতেছিলেন। তার যখন ১৫ বছর বয়স তখন আঁচিল থেকে তার হাতে-পায়ে গাছের শিকড়ের ন্যায় মাংস বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধীরে ধীরে তা লম্বা হয়ে গাছের শিকড়ের আকৃতি ধারণ করে। বিরল এ রোগের কারণে সারা পৃথিবীতে সে বৃক্ষমানব হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। ভারত ও দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে কোন ফল লাভ না হওয়ায় বিরল রোগ থেকে মুক্তির আশা ছেড়ে দেয় আবুল বাজনদার। বিরল এ রোগের সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আবুলের চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন বর্তমান সরকার। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় আবুল। বার্ন ইউনিটের ডাঃ সামন্ত লালের তত্ত্বাবধায়নে সেখানে প্রায় ২ বছর চিকিৎসাধীন রয়েছে আবুল। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি তার প্রথম অপারেশন করা হয়। এ পর্যন্ত তার দুই হাতে ১৮ এবং দুই পায়ে ৬ বার সহ মোট ২৪ বার সফল অপারেশন করা হয়েছে। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও তার হাতে-পায়ে শক্ত মাংস বিশেষ রয়ে গেছে, ফলে এখনো কতদিন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকতে হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি বলে আবুল জানিয়েছে। বর্তমানে আবুলের ৪ বছরের জান্নাতুল ফেরদৌস তাহিরা নামে একটি কণ্যা রয়েছে। তার পাশে থেকে সার্বক্ষণিক সেবা করে যাচ্ছেন মমতাময়ী মা আমেনা বেগম ও অনন্যা প্রেমিকা স্ত্রী হালিমা বেগম। এদিকে তার চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা হওয়ায় সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম, এলাকা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আবুল পরিবারের মাথা গোজার জন্য এক শতক জমি না থাকায় ভাড়াটিয়া খুবড়ে ঘরে বসবাস করে আসছে। এ জন্য চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় অনেকের সহযোগিতায় বসবাসের জন্য পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল মৌজায় সামান্য কয়েক শতক জমি কেনে আবুল। কিন্তু একদিকে জমির মালিক মাখন লাল গংরা যাতায়াতের পথ বের করে দেয়নি। অপরদিকে ক্রয়কৃত জমির পাশের প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম বসতবাড়ী নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করায় বিপাকে পড়ে আবুল ও তার পরিবার। ইতোমধ্যে আবুলের পরিবার বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবুল নিজেই স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের সাথে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ব্যাপারে ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, আবুলের জমি ক্রয় করা সঠিক রয়েছে। তবে জমির মালিক যাতায়াতের পথ বের করে না দেওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিরসনের লক্ষে আমি কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জমির মালিক বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছে। আশা করছি তিনি দেশে আসলে দু’একদিনের মধ্যে বিষয়টি নিরসন হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন