মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরসহ বর্তমান পরিষদকে পৌরবাসীর অভিনন্দননিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনা জেলার পাইকগাছা পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীতকরণসহ গত ২ বছরে অভুতঃপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হওয়ায় পাল্টে গেছে পৌরসভার উন্নয়নের চিত্র। ফলে দীর্ঘদিন পর পৌরবাসী উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করছে ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ উপল্েয সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ মেলাসহ আয়োজন করেছেন সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী। গত ৩ ফেব্র“য়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পানিমেলা ২০১৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল জলিল। এদিকে গত দু’বছরের কাঙ্খিত উন্নয়নের জন্য পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরসহ বর্তমান পরিষদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পৌরবাসী। সূত্র মতে, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারি খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে পাইকগাছা পৌরসভা। ঐতিহ্যবাহী পৌরসভাটি ‘গ’ শ্রেণীতে সীমাবদ্ধ থাকা এবং দ জনপ্রতিনিধির অভাবে দীর্ঘ দিনেও পৌরসভার কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। ফলে দীর্ঘ সময় নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় পৌরবাসীকে। এদিকে উন্নয়ন বঞ্চিত পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় রূপান্তরের ল্য নিয়ে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বিপুল জনপ্রিয়তা ও বিশাল ভোটের ব্যবধানে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন সেলিম জাহাঙ্গীর। নির্বাচনের পর পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ ও প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নে তরুন ও প্রবীণ, দ কাউন্সিলরদের নিয়ে শুরুতেই পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করার মাধ্যমে উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। তিনি দিনের পর দিন পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীতকরণ ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য ছুটে চলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে। গত ২ বছরে তিনি দীর্ঘদিন পর ‘গ’ শ্রেণীতে সীমাবদ্ধ থাকা পৌরসভাকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীত করা সহ বাস্তবায়ন করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড। পানির সমস্যাসহ সমাধান করেছেন ব্যবসায়ীদের সাথে পৌরসভার অমীমাংসিত নানা বিষয়। বৃদ্ধি করেছেন রাজস্ব আয়সহ নাগরিকদের নানা সুযোগ সুবিধা। পৌর সূত্র মতে, ২০০৮-২০১০ সালে এডিপির যেখানে বরাদ্দ ছিল ৮৩ লাখ টাকা। সেখানে ২০১১-২০১২ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইতোপূর্বে বিশেষ প্রকল্পের অনুকুলে কোন বরাদ্দ না থাকলেও গত ২ বছরে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাজস্ব আয় ৬৬ লাখ টাকার স্থলে ১ কোটি ৬৫ লাখ। ব্যাংক ফিক্সট ডিপোজিট ২ কোটি, বুদ্ধিভিত্তিক বাড়তি আয় ৬০ লাখ। পানির সমস্যা সমাধানে গত ২ বছরে পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ পরিবার ভিত্তিক রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম ৭২টি, কমিউনিটি ভিত্তিক ৮টি, শিা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ৪টি, কমিউনিটি ভিত্তিক এআইআরপি ১৭টি, পরিবার ভিত্তিক ৭৪টি, টিউবওয়েল স্যান্ড ফিল্টার সংস্কার কাজ ৪টি, টিউবওয়েলের প্লাট ফর্ম সংস্কার কাজ ২৫টি, নতুন স্থাপন ১টি, রিং ওয়েল (পাত কোয়া) ১টি, মোবাইল ওয়াটার ভ্যান ২টি, সাইকেল ফিল্টার ২টি, পানি পরীা ল্যাব ১টি, ব্যাকটেলোজি টেস্ট মেশিন ক্রয় ১টি, পুকুর খনন ১টি, আর.ও ফিল্টার ১টি, স্লাজ ডিসচার্জ পাম্প ১টি। বিদ্যুায়নে নতুন বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন ৫০টি, সড়ক বাতি ৩০০টি, পৌরসভার নিজস্ব লাইটিং ও তার স্থাপন ৬৮.৯০১ হাজার ফুট, স্যানিটেশনে কমিউনিটি ভিত্তিক ল্যাট্রিন নির্মাণ ১৭টি, শিাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ৪টি, সংস্কার কাজ ৯টি, ময়লা আবর্জনা অপসারণের ভ্যান ১টি, মিনি ব্যারেল কম্পোস্ট প্লান্ট ১০টি। বাসস্ট্যান্ডের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু। পৌর ভবনের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। ৫ বিঘা জমির উপর পৌরসভার কবরখানা স্থাপন। ভিজিএফ কার্ড ১ হাজারের স্থলে ৩১৮০টি বৃদ্ধি। অকেজো রোড রুলার, মিক্সার মেশিন, গার্ভেস ট্রাক চালু করা। পানি নিস্কাশনে নতুন ওয়াপদার গেট তৈরী ১টি। পৌরসভাকে ডিজিটালাইজে ওয়েব পেজ, ইন্টারনেট চালু ও বৃদ্ধি করেছেন কম্পিউটার সংখ্যা। সমাধান করেছেন বাজারস্থ ৫টি মার্কেট ও মৎস্য আড়ৎদার সমিতি এবং ঐতিহ্যবাহী সরল পুকুর পাড়ে বন্দোবস্ত গ্রহিতাদের সাথে পৌরসভার দীর্ঘদিনের বিবদমান অমীমাংসিত বিষয়। সব মিলিয়েই বিগত দিনের তুলনায় এবারের ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করছে পৌরবাসী। এ ব্যাপারে পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জানান, বর্তমান পরিষদ মতা গ্রহণের পর বিগত ২ বছরে পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীতকরণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হওয়ায় এ বারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পৌরবাসীর মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, জনগণ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে। আর জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্বপরি জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় মতা গ্রহণের অল্প দিনের মধ্যেই এ কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে তিনি পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এমনটাই প্রত্যাশা পৌরবাসীর।
পাইকগাছায় ১৪ বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান পিয়াস নিখোঁজ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় হারিয়ে গেছে ১৪ বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান পিয়াস। গত ৫ দিন নিখোঁজ পুত্রের খোঁজে পাগলপ্রায় পিতা-মাতা ও পরিবার পরিজন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। নিখোঁজ শিশুপুত্রের পিতা উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ বিশ্বাসের পুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, গত ১ ফেব্র“য়ারি সকাল ৮টার দিকে বড় পুত্র মেহেদী হাসান বাড়ি হতে কপিলমুনি বাজারের যায়। এরপর হতে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজা-খুজির পরও গত ৫ দিনে তার কোন সন্ধান মেলেনি বলে পাগলপ্রায় পিতা হাবিবুর বিশ্বাস জানান। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে, যার নং- ১৫২, তাং- ০৪/০২/২০১৩ইং। নিখোঁজ মেহেদী হাসানের সন্ধান পেলে ০১৮১১৭৯৫২০৪ নম্বর মোবাইলে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন নিখোঁজ পুত্রের পরিবার।
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় হারিয়ে গেছে ১৪ বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান পিয়াস। গত ৫ দিন নিখোঁজ পুত্রের খোঁজে পাগলপ্রায় পিতা-মাতা ও পরিবার পরিজন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। নিখোঁজ শিশুপুত্রের পিতা উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ বিশ্বাসের পুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, গত ১ ফেব্র“য়ারি সকাল ৮টার দিকে বড় পুত্র মেহেদী হাসান বাড়ি হতে কপিলমুনি বাজারের যায়। এরপর হতে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজা-খুজির পরও গত ৫ দিনে তার কোন সন্ধান মেলেনি বলে পাগলপ্রায় পিতা হাবিবুর বিশ্বাস জানান। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে, যার নং- ১৫২, তাং- ০৪/০২/২০১৩ইং। নিখোঁজ মেহেদী হাসানের সন্ধান পেলে ০১৮১১৭৯৫২০৪ নম্বর মোবাইলে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন নিখোঁজ পুত্রের পরিবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন