বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পাইকগাছায় ৫০ মন চোরাই রড উদ্ধার

খুলনার পাইকগাছায় প্রায় ৫০ মন চোরাই লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চোরাইকৃত মাল হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
    এলাকাবাসী ও থানাপুলিশ সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা দাকোপ থেকে আসা প্রায় ৫০ মন চোরাইকৃত লোহার রড পাইকগাছা উপজেলার গড়ুইখালী ইউপি’র শান্তা এলাকার লিয়াকত মোড়ল ক্রয় করে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাখে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা মালামাল জব্দ করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বুধবার সকালে থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চোরাইকৃত মালামাল জব্দ করে। এ ব্যাপারে থানার এসআই তরিকুল ইসলাম জানান-জব্দকৃত মালামাল যে ঘরে রয়েছে সেঘরটি তালাবদ্ধ থাকায় মালামালের সঠিক পরিমাণ নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। তবে আনুমানিক ২০-২৫ মন হতে পারে বলে তিনি জানান। তবে ৮০ মন হতে পারে বলে এলাকাবাসী জানায়।

সম্পাদনায়
এডিটর
নিউজ অফ পাইকগাছা

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পাইকগাছায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত

নিউজ অফ পাইকগাছা
খুলনার পাইকগাছায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার কোথাও কোন য়তির খবর পাওয়া যায়নি।     প্রত্যদর্শীসুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুকুর, জলাশয়ের পানি দিক-বিদিক আঘাত হানলে ও অস্বাভাবাবিক আচারণ করলে এসময় যারা পুকুর ও জলাশয়ের নিকটে ছিল তারাই সর্বপ্রথম বুঝতে পারে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। পরে বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যদর্শী জিয়াউর রহমান ও সুব্রত মন্ডল জানান ঘটনার সময় তারা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় পুকরের পানি অস্বাভাবিক আচারণ করছিল বলে তারা জানায়।

সম্পাদনায়
এডিটর
নিউজ অফ পাইকগাছা

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পাইকগাছায় দীর্ঘ দিনপর বিএনপি’র বিবাদমান দু’গ্র“প একই সভায় মিলিত; একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত

নিউজ অফ পাইকগাছা-
দীর্ঘ ৪ বছর পর একইসভায় মিলিত হলেন খুলনা পাইকগাছার দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার খুলনার জনসভা সফল করার ল্েয জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শনিবার এক প্রস্তুতি সভায় বিবাদমান দু’গ্র“পের নেতারা মিলিত হয়ে আগামীতে একযোগে কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দলীয় সুত্রে জানাগেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন পর দলীয় কোন্দল নিরসন হওয়ায় ইতিবাচক মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অপরদিকে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দলীয় নেত্রীর জনসভাকে সবুজ সংকেত মনে করছে নেতাকর্মীরা।
    দলীয় সুত্রে জানাযায়, ২০০৯ সালে থানা বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা। এক গ্র“পের নেতৃত্ব দেয় থানা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. জিএ সবুর ও অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস, অপর গ্র“পের নেতৃত্ব দেয় থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাড. আবু সাঈদ ও পৌর বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম মাফতুন আহম্মেদ। বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় দু’টি গ্র“প একে অপরের প্রতিপ হয়ে দাড়ায়। মামলা, হামলায় জড়িয়ে পড়ে দু’গ্র“পের নেতাকর্মীরা। যার ফলে গত ৪ বছর ধরে পৃথক পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচী পালন করে আসছে দু’টি গ্র“প। এদিকে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার খুলনার জনসভা সফল করার ল্েয গত একমাস যাবৎ দু’গ্র“পের নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ে মিছিল মিটিং এর মধ্য দিয়ে পৃথক কর্মসূচী পালন করে আসছে। অবশেষে জেলা নেতৃবৃন্দের হস্তেেপ জনসভার একসপ্তাহ’র আগেই শনিবার সকালে থানা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. জি এ সবুরের সভাপতিত্বে তার নিজস্ব বাসভবনে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভায় দীর্ঘ ৪ বছর পর মিলিত হন দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি’র দু’গ্র“পের নেতাকর্মীরা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র ১ম যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন বাবু। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র শিা বিষয়ক সম্পাদক শেখ রুহুল কুদ্দুস, জেলা তথ্য গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর সভাপতি এ্যাড. এম মাফতুন আহম্মেদ, থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাড. আবু সাঈদ, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান মনি, ছাত্রদলের জেলা সভাপতি শেখ কামরান হাসান, শেখ ইমামুল ইসলাম, আসলাম পারভেজ, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক, তুষার কান্তি মন্ডল, মাসুদ পারভেজ, শেখ আমিনুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার বাবলু, মিজান জোয়াদ্দার, বিধান চন্দ্র রায়, আনারুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, এসএম ইমদাদুল হক, আবুল হোসেন, আবু তালেব, মোঃ জামিলুর রহমান রানা, ইমরান সরদার, রাজীব নেওয়াজ, প্রভাষক আবু সাঈদ, এমএ আজাদ, আশিকুজ্জামান, শংকর মন্ডল। এ ব্যাপারে আগামীতে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে বলে থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাড. আবু সাঈদ জানান।

পাইকগাছায় মাদ্রাসা অধ্য্েযর বিরুদ্ধে অসুস্থ ছাত্রীকে মারপিট করার অভিযোগ

খুলনার পাইকগাছা সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার অধ্য্েযর বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর এক অসুস্থ ছাত্রীকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ােভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
    সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, বুধবার শ্রেণীকে বেয়াদবী করার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্য আজহারুল ইসলাম ৫ম শ্রেণীতে পড়–য়া হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারের সদ্য অপারেশনকৃত অসুস্থ কন্যাকে লাঠি পেটা করে আহত করেছে। ঘটনার পর হতে গত ৪দিন যাবৎ বাড়ীতে শয্যাশাহী রয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছাত্রীর অভিভাবকরা মাদ্রাসা কর্তৃপরে নিকট এ ঘটনার কারন জানতে চাইলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্য আজহারুল ইসলাম বলেন-বেয়াদবী করার কারনে তাকে মারপিট করা হয়েছিল তবে সে অসুস্থ এটা জানতাম না। বিষয়টি তার পরিবারের সাথে নিরসন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে পাইকগাছা; এমপিসহ গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের ঢাকায় অবস্থান

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥   
    স্থানীয় এমপি সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঢাকায় অবস্থান করায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে খুলনার পাইকগাছা। টানা কয়েকদিন যাবৎ অবস্থান করায় ব্যহত হচ্ছে উপজেলার সার্বিক কর্মকান্ড।
    সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলমান থাকায় গত কয়েকদিন যাবৎ স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা ঢাকায় অবস্থান করছেন। এদিকে উপজেলা গর্ভন্যান্স প্রকল্পের আওতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর হতে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিন ব্যাপী ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রশিনে অংশগ্রহন করতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হতে ঢাকায় অবস্থান করছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল ও রাবেয়া হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাষ চন্দ্র সাহা, উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবীর, উপজেলা শিা অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান, অপরদিকে মন্ত্রনালয়ের কাজে ঢাকায় রয়েছেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। সবমিলিয়েই গত কয়েকদিন যাবৎ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলা। ব্যহত হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরের জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ।

ভারতে পাচারকালে পাইকগাছায় ট্রাকভর্তি ইলিশ মাছ জব্দ চালক আটক

নিউজ অফ পাইকগাছা

খুলনার পাইকগাছায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভারতে পাচারকালে প্রায় এক টন ইলিশ মাছ জব্দ করেছে। এ ঘটনায় ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৯টার দিকে পাইকগাছা থেকে ট্রাক ভর্তি ইলিশ মাছ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সাতীরা সীমান্তে যাওয়ার সময় উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের বাঁকা বাজার পৌছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট রাড়–লী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই আব্দুল হাই অভিযান চালিয়ে ইলিশ মাছসহ ঢাকা মেট্রো-ন-১১-২৭০৪ নং ট্রাকটি জব্দ করে। এ সময় ট্রাকের চালক সাতীরা জেলার গড়ের কান্দা গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ সাঈদুর রহমান (৩০) কে আটক করে। এ ঘটনায় ট্রাক চালককে আসামী করে পাইকগাছা থানায় মামলা করা হয়। যার নং- ৩১। এদিকে জব্দকৃত ৮৮০ কেজি ইলিশ মাছ বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে নিলামে কেজি প্রতি ৩১০ টাকা দরে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস,এম, শফিউল্লাহ, এএসপি (সার্কেল), দাকোপ প্রশান্ত কুমার দে ও ওসি এম. মশিউর রহমান।

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পাইকগাছায় অর্থাভাবে উচ্চ শিক্ষা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে

খুলনার পাইকগাছায় অর্থাভাবে উচ্চ শিা গ্রহন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে মেধাবী শিার্থী আলেয়ার। সে উপজেলার পুরাইকাটি গ্রামের আব্দুল জব্বার শেখের একমাত্র কন্যা। তার হতদরিদ্র পিতা দুরারোগ্য ব্যাধিতে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী রয়েছে। মা সখিনা বেগম দিনমজুরের কাজ করে কোনমতে সংসার চালালেও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই মেধাবি শিার্থী আলেয়া আক্তার ২০১৩ সালে ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েও অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিা গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সে ইংরেজী ও আইন বিষয়ে উচ্চ শিা গ্রহনের জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছে। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা-আলেয়া আক্তার, পিতা- আব্দুল জব্বার শেখ, সাং-পুরাইকাটি, পোঃ গদাইপুর, থানা-পাইকগাছা, জেলা-খুলনা। আলেয়া আক্তার, সঞ্চয়ী হিসাব নং-১৯১০৯, ইসলামী ব্যাংক পাইকগাছা শাখা, খুলনা। মোবাইল নং-০১৭১১-৩৯৮৭৬৭।

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পাইকগাছায় হৃদরোগে আক্রান্ত এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু


পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥
    খুলনার পাইকগাছায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ ময়না তদন্তে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
    জানাযায়, উপজেলার বেতবুনিয়া গ্রামের শহিদুজ্জামানের স্ত্রী এক সন্তানের জননী শাকিলা আক্তার মিতা (২৫) দীর্ঘদিন হৃদরোগে ভূগছিলেন। ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যু সম্পর্কে কোন কিছু বলা সম্ভব নয় বলে ওসি এম মসিউর রহমান জানান।

পাইকগাছায় স্বামী-স্ত্রীর বিরোধে মারপিটের ঘটনায় ৩ যুবক আটক

    খুলনার পাইকগাছায় তালাক প্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রীর বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় পুলিশ ৩ যুবককে আটক করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আদালতে যাওয়ার সময় উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
    থানাপুলিশ ও প্রত্যদর্শীসুত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের জিএম জামিলউদ্দিনের পুত্র সাবেক সেনা সদস্য জিয়াউর রহমান (৩৫)’র সাথে ২০০৭ সালে পাইকগাছা উপজেলা গজালিয়া গ্রামের আব্দুস সোবহান সরদারের কন্যা তানিয়া আক্তার কল্পনা (২২)’র বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের একবছর পর কর্নেল পরিচয় দেয়ার অভিযোগে সেনা সদস্য জিয়া চাকুরিচুত্য হয় বলে স্ত্রী তানিয়া জানায়। বর্তমানে সে ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে কর্মরত রয়েছে। এদিকে পারিবারিক কলোহের জের ধরে গত ৩ মাস পূর্বে তানিয়া স্বামী জিয়াকে ডিভোর্স দেয় এবং আদালতে মামলা করে। আদালতে বিচারাধীন মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য তারা দু’জনই ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে খুলনা থেকে একই বাসে উঠলে জিয়া তানিয়াকে টানাহেচড়া করলে বিষয়টি তার ভাইদের জানালে তারা বাসস্ট্যান্ড ও উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে সকাল ১০ টার দিকে পাইকগাছা পৌছানোর পর তানিয়ার ভাইয়ে’রা উপজেলা পরিষদের সামনে জিয়াকে মারপিট করে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তানিয়ার ভাই সালাম ও ইমরান এবং ভাগ্নে সেলিমকে আটক করে। এ ব্যাপারে বিয়ের পর হতে জিয়া তার উপর নির্যাতন করে আসছিল এবং ঘটনার দিন বাসে তাকে লািঞ্ছত করে বলে তানিয়া জানায়। অপরদিকে বাসের মধ্যে সন্তান ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জিয়া জানায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃতরা থানাহেফাজতে ছিল।