নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনা জেলার পাইকগাছা এবং পার্শ্ববর্তী কয়রা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, তালা, আশাশুনিসহ বিভিন্ন উপজেলায় ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়া
খুলনা জেলার পাইকগাছা এবং পার্শ্ববর্তী কয়রা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, তালা, আশাশুনিসহ বিভিন্ন উপজেলায় ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়া
কালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এআইএন) প্রকল্পের মাধ্যমে শত শত চিংড়ি চাষীদের মাঝে অধিক চিংড়ি উৎপাদন ও পরিবেশ বান্ধব আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে ঘেরের পাড়ে সবজি চাষের উপর গত ২০১২ সাল থেকে প্রশিক্ষন প্রদান করে আসছে। কিন্তু প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে, চাষিরা প্রশিক্ষণ থেকে যে সকল জ্ঞান অর্জন করে বেশিরভাগ চাষিই তা মনে রাখতে পারেনা। প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ এই বিষয়টি উপলব্ধি করে চাষিরা যাতে তাদের ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো সহজেই জেনে নিয়ে সঠিকভাবে ঘের পরিচালনা করতে পারে তার জন্য চাষি সহায়িকা সম্পাদনা ও চাষিদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতাই প্রকল্পের চিফ অফ পার্টি এরিক এইচ জে কেউস এবং ড. ক্রেগ এ মেইসনার কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়ার্ল্ডফিশ-বাংলাদেশ এর সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্পের ডেপুটি চিফ অফ পার্টি ড. মনজুরুল করিম এর নিরলস পরিশ্রম ও প্রকল্পের ট্রেনিং ম্যানেজার মোঃ মাছুদুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ. জেড. এম কুদরত-ই-কবির,আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম খান এবং ১৭ জন কারিগরি বিশেষজ্ঞগণের আন্তরিক সহযোগিতায় “ঘেরে বাগদা চিংড়ির উত্তম চাষ অনুশীলন ও পাড়ে সবজি চাষ ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক চাষি সহায়িকা সম্পাদনা করেন। ইতিমধ্যেই তা প্রকল্পের সুফলভোগী চিংড়ি চাষিদের মাঝে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ মোঃ আশরাফুল হক বলেন, এ পর্যন্ত উপরোক্ত উপজেলার প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শত (২৫০০) জন চিংড়ী চাষিকে বিনামুল্যে চাষি সহায়িকা বিতরণ করা হয়েছে। চাষিরা তথ্যবহুল এবং প্রতিটি পৃষ্ঠায় বিষয় ভিত্তিক ছবি সম্বলিত সহায়িকাটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, চাষিরা যদি প্রকল্পের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণের জ্ঞান ও চাষি সহায়িকার সহায়তা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি ও ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ করে তাহলে চাষিরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে তেমনি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করতে পারবে। আর তখনই এই প্রকল্পের তথা প্রকল্পের কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বার্থকতা আসবে।