রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

পাইকগাছা পৌরসভার বাজেটে তামাকজাত দ্রুব্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার বাজেটে তামাক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে পৌর কর্র্তৃপক্ষ। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর শনিবার পৌরসভার ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের বাজেটে এ খাতে সর্বপ্রথম ২০ হাজার টাকা বরাদ্দের ঘোষনা দেন। বিশেষ এ বরাদ্দ বাস্তবায়িত হলে ধুমপায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তামাকজাত দ্রুব্যের অপব্যবহাররোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তামাকবিরোধী সংগঠন সিয়াম, এইড ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বিগত ২ বছরের উদ্ধৃদ্দকরণ কর্মকান্ডে তামাকজাত দ্রুব্যের ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে পৌর কর্তৃপক্ষ ইেেতামধ্যে পৌরভবনকে ধুমপানমুক্ত এলাকা ঘোষনা করেন এবং তামাকজাত দ্রুব্য নিয়ন্ত্রনে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের পরিকল্পনা গ্রহন করেন। তামাকজাত দ্রুব্য নিয়ন্ত্রণে এসব কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরুপ তামাকবিরোধী সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরকে এন্টি টোব্যাকো এ্যাওয়ার্ড ২০১৪ প্রদান করেন। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের ১মাসের মাথায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ পৌরসভার ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের বাজেটে পৌরসভার নিজস্ব তহবিলে তামাক/মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে প্রচারাভিযানে ২০ হাজার টাকার বিশেষ বরাদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত মানুষ ধূমপানে আকৃষ্ট হচ্ছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে, পঙ্গুত্ববরণ করছে লাখ লাখ মানুষ। তামাকের এ ভয়াবহতা থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে এ খাতে বিশেষ বরাদ্ধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তামাকবিরোধী সংগঠন সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান আমার জানামতে এটাই দেশের প্রথম কোন পৌরসভার বাজেটের নিজস্ব তহবিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বরাদ্দ করা হয়েছে। বিশেষ এ বরাদ্দ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে তামাকের কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ পৌরসভাকে ধুমপানমুক্ত করতে বিশেষ এ বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি জানান। তামাক নিয়ন্ত্রনে মেয়রের মহৎ এ উদ্যোগ সফল হোক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

শনিবার, ২১ জুন, ২০১৪

কয়রা-পাইকগাছার ৮০ কিলোমিটার সড়ক মহাসড়কে রুপান্তরে এমপি নূরুল হকের উদ্যোগ

দ্রুত বাস্তবায়নে যোগাযোগমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
নিউজ অফ পাইকগাছা
  খুলনার সড়ক ও জনপদ বিভাগের কয়রার গোলখালী থেকে বেতগ্রাম পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার সড়ক শ্রেণী পরিবর্তন পূর্বক ২ লেইন বিশিষ্ট আঞ্চলিক মহাসড়কে রু
    সুত্রমতে-সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি, তালা, ও খুলনার কয়রা এবং পাইকগাছা উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জেলা ও রাজধানী শহরের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পাইকগাছা বাসষ্টান্ড সংলগ্ন, লোনা পানি কেন্দ্রের সামনে, আগড়ঘাটা বাজার, গোলাবাটি, কপিলমুনি হতে কাশিমনগর এবং তালা থেকে বেতগ্রাম পর্যন্ত অসংখ্য স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই হাটু পানি জমে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে গত কয়েকমাস আগেই চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকাগামী পরিবহন। সড়ক ও জনপদ বিভাগ সংস্কার কাজ শুরু করলেও ধীর গতির কারনে যেকোন মুহুর্তে সম্পূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির  লাইন সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম জানান। এদিকে এলাকার মানুষের যাতায়াতের চরম দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির শ্রেণী পরিবর্তন পূর্বক কয়রা উপজেলার গোলখালী থেকে পাইকগাছা তালা হয়ে বেতগ্রাম পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার সড়ক ২ লেইন বিশিষ্ট আঞ্চলিক মহাসড়কে রুপান্তরের জন্য পৃথক প্রকল্পে অর্ন্তভূক্ত করে উন্নয়নকরনের দাবী জানিয়ে ১১ মে যোগাযোগ মন্ত্রনালয় বরাবর ৫৮/ব জাসস/১০৪-খুলনা-৬/১৪ ডিও পত্র দিয়েছেন খুলনা-৬ পাইকগাছা কয়রার এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। এমপি’র এ আবেদনটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে ৩৫. ০৩৪. ০১৪. ০০. ০০. ০৪৯. ০৯ (অংশ-৩)২২৩ নং স্মারকে নির্দেশ দিয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগের সহকারী প্রধান (ডিপিপি প্রক্রিয়াঃ) মোঃ আশরাফুজ্জামান। এ ব্যপারে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্থানীয় এমপি’র এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন এলাকাবাসী।

রুপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। ইতোমধ্যে তিনি এ ব্যাপারে যোগযোগ মন্ত্রনালয়ে ডিও পত্র দিয়েছেন। এদিকে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় যেকোন মুহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

পাইকগাছার বাঁকা বাজারে অবাধে গড়ে উঠেছে ক্লিনিক; করছে না নিয়মনীতির তোয়াক্কা

চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী খুলনা পাইকগাছার বাঁকা বাজারে অবাধে গড়ে উঠেছে কয়েকটি ক্লিনিক। ক্লিনিকগুলোর মধ্যে কোনটার নেই লাইসেন্স আবার কোনটার লাইসন্সে থাকলেও নেই সার্বক্ষনিক ডাক্তার ও নার্স ব্যবস্থা। ফলে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে ক্লিনিক মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করলেও এখনও একাধিক প্রতিষ্ঠান বহাল তবিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লিনিক ব্যবসা। অবাধে গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
জানাগেছে, সাতক্ষীরা জেলার তালা ও আশাশুনি উপজেলার সীমান্তে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের জনবহুল বাঁকা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে গড়ে উঠেছে কয়েকটি ক্লিনিক। শ্রীকন্ঠপুর বাঁকা সড়কের পূর্ব পাশে দ্বিতল ভবনে গড়ে উঠেছে পারভেজ ক্লিনিক। একই সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে জাহানারা ক্লিনিক। জাহানারা নামে একজন মহিলা ক্লিনিকটি পরিচালনা করে আসছেন। কোন রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবৎ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিকটি পরিচালিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। ক্লিনিকে ভর্তিকৃত রোগী রামনগর এলাকার মঞ্জুয়ারা বেগম জানান পিত্ত থলিতে ক্ষত হওয়ার কারনে ৬ হাজার টাকার চুক্তিতে তিনি ভর্তি হয়েছেন। অপারেশনের পর থেকে ৩/৪ দিনের মধ্যে কোন ডাক্তারের চেহারা দেখতে পাননি বলে ভূক্তভোগী এ রোগী অভিযোগ করেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ একটি ক্লিনিক পরিচালনা করতে যা যা প্রয়োজন তার কোন কিছুই নেই জাহানারা ক্লিনিকে। কিèনিকের জাহানারা বেগম নিজেই ডাক্তার, নিজেই সেবিকা, নিজেই তত্ত্বাবধায়ক। তিনি এক সময় কোন এক ডাক্তারের আয়া হিসাবে কাজ করতে গিয়ে এখন তিনি নিজেই ক্লিনিকের মালিক। ক্লিনিকের নেই কোন সাইনবোর্ড, অপারেশন থিয়েটার, নেই কোন যন্ত্রাংশ। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্লিনিকটি পরিচালিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ ব্যাপারে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতেই ক্লিনিকটি পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এক বছরের মধ্যে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জাহানারা বেগম জানান। অপরদিকে কাটিপাড়া বাঁকা সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে বাঁকা সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার। ক্লিনিকটি দেখতে অনেকটাই চাকচিক্য হলেও নিয়মিত ডাক্তার ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স থাকে না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। গত কয়েকদিন আগে ক্লিনিকে ডেলিভারী করার সময় আঘাত লাগার ফলে আশংকাজনক অবস্থায় একটি শিশু সাতক্ষীরা নেয়ার পর মৃত্যুবরণ করে বলে সরল গ্রামের আবু সাঈদ জানান। অবাধে গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিকগুলো চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। বেশকিছুদিন আগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পারভেজ ক্লিনিককে জরিমানা করলেও বহাল তবিয়াতে চিকিৎসার নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লিনিক ব্যবসা। এ ব্যাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম জানান।

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

পাইকগাছায় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন; রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তৎপর একটি মহল

ফলোআপ
নিউজ অফ পাইকগাছা
 খুলনার পাইকগাছায় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোনাযাচ্ছে নানা গুঞ্জন। মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর আত্মহত্যার কারণ হিসাবে বেরিয়ে আসছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের মতে, পারিবারিক কলহ, দুরারোগ্য ব্যাধী ও ঋণের দ্বায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী। অপরদিকে, অস্বাভাবিক এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাভোগী একটি মহল স্থানীয় এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লুটের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ভাটা মালিক লিয়াকত আলী বিষপান করলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বান্দিকাটি গ্রামের সুলতান ফকিরের পুত্র লিয়াকত আলী ফকির চাউলের ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী। শুরু করেন ইট ভাটার ব্যবসা। ভাটা মালিক হিসাবে মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাংক ঋণ নিয়ে স্ত্রী ও নিজ নামে বিশাল আকারের বসত বাড়ীসহ পৌর বাজারে গড়ে তোলেন বিপনী বিতান। এদিকে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে গত কয়েক বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, পাইকগাছা শাখা, জোনাকী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকার অধিক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী লিয়াকত। অপর দিকে প্রায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ জটিল ব্যাধিতে ভুগছেন তিনি। এছাড়াও পারিবারিক কলোহের কারনে গত কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ী থেকে চলে গিয়ে পাশ্ববর্তী ছোট ভাই মোসলেমের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। ঋণ পরিশোধে পাওনাদের চাপ ও জটিল ব্যাধি মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে বিপর্যস্ত করে তোলেন। সর্বশেষ পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ মে সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক উভয়পক্ষকে পৌর সদরস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবসায়ী লিয়াকতকে তাগিদ দেন। পরে এমপির লোকজন তাকে মটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ীতে পৌছে দিয়ে আসেন। এ সময় লিয়াকত ঋণ পরিশোধে মার্কেট ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য তার স্ত্রীকে অনুরোধ করলে স্ত্রী অপরাগতা প্রকাশ করে তাকে লাঞ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত জামাতা প্রভাষক নুর মোহাম্মদও শ্বশুর লিয়াকতকে মুর্খ বলে গালিগালাজ করেন। পরে ঐদিন বিকাল ৪টার দিকে সরল বাজার থেকে কীটনাশক কিনে নিয়ে পুরাতন বাড়ীতে গিয়ে বিষ পান করে। এ সময় তৎক্ষনিকভাবে লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুরপর তার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এলাকায় চলে নানান জল্পনা-কল্পনা। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাবাদী একটি মহল এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে। অপরদিকে নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে আত্মহত্যার নৈপথ্য। কীটনাশক বিক্রেতা জানান, লিয়াকত যে দিন বিষপান করে তার ২০ দিন পূর্বে কীটনাশকের কার্যকারিতা ও মূল্য সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসে। স্থানীয় চিকিৎসক জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসে লিয়াকত। জামাই কর্তৃক শ্বশুরকে মুর্খ বলে গালি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন একই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ছলেমান বিশ্বাস। ভাইপো মিন্টু জানান, মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এমপিকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভাওতা। চাচা এমনিতেই অনেক দিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। এছাড়াও বহু টাকা ঋণ হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক লিয়াকত আলীর ঘনিষ্টজন জানান, মৃত্যুর জন্য তার পিতা সুলতান ফকিরও অনেকটাই দায়ী রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে লিয়াকত আলীর বসত বাড়ী থেকে ছোট ভাই আহম্মদ আলীর একটি মটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনার দ্বায়ভার চাপানো হয় লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর উপর। এ নিয়ে পিতা সুলতান ও পুত্র লিয়াকতের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। পিতা-পুত্রের বাড়ীতে যাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিলে লিয়াকত মৃত্যুর একদিন আগে পিতার কাছে ক্ষমা চাইলে পুত্র মৃত্যু বরণ করলেও তাকে ক্ষমা করবে না বলে জানাই। এসব নানাবিধ ক্ষোভ, দ্বায়-দেনা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় লিয়াকত আলী। এ ব্যাপারে এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক জানান, পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে লিয়াকতসহ উভয়পক্ষকে আমার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য লিয়াকতকে অনুরোধ করি। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা দেখে আমার সাথে আমি তাকে ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে বলে তিনি জানান।