বিশেষ প্রতিনিধ।।
খুলনার সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে জীবন জিবিকার প্রধান উৎস চিংড়ী চাষ। এ অঞ্চলের অধিকাংশ চিংড়ী চাষী অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ী চাষ করে দিনের পর দিন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল এবং আশানুরুপ উৎপাদন না পাওয়ায় অধিকাংশ ঘের মালিক চিংড়ী চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলো। ইউ্সএআইডি এর অর্থায়নে ওয়াল্ডফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়াকালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এআইএন) প্রকল্পের মাধ্যমে গুনগত ও মানসম্মত এবং অধিক চিংড়ী উৎপাদনের লক্ষ্যে পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চিংড়ী চাষিদের দল গঠনের মাধ্যমে প্রশিক্ষনের কার্যক্রম শুরু করে। পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়রের ভড়েঙ্গা গ্রামের দরিদ্র চিংড়ী চাষি সুপ্রিয়া রায় ইউএসএআইডি ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এআইএন) প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন করে আধুনিক চিংড়ী চাষ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করে সে অনুযায়ী ঘের পরিচালনা শুরু করে। প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ ও সম্প্রসারণ সহায়ক বৃন্দের পরামর্শে ভাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চলতি বছর ১৩০ শতক ঘের থেকে ৩২৮ কেজি বাগদা ও ২০০ কেজি সাদা মাছ বিক্রয় করেছে যা প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা। সুপ্রিয়া রায় আশা করেন তিনি বাকি সময়ে আরও ২০ কেজি বাগদা ও ১শ কেজি সাদা মাছ পাবেন। সুপ্রিয়া রায় তার এই অভাবনীয় সাফল্যের কথা উল্লেখ করে এ প্রতিবেদককে বলেন-এআইএন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ঘেরের পানির গভীরতা বৃদ্ধি করা, তলার পঁচা কাদা তুলে ফেলা, মাটি ও পানির গুনাগুন সঠিক বজায় রাখা, নার্সারি তৈরী করা, পিসিআর পরীক্ষিত মজুত করা, সঠিক ঘনত্বে পোনা মজুদ করা এবং নিয়মিত চুন, সার, ও সম্পুরক খাদ্য প্রয়োড় করা জরুরী। তিনি আরও বলেন নিজেদেরকে আত্মস্বাবলম্বী করে চিংড়ী চাষে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।