বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭

পাইকগাছায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক জমি জবর দখলের চেষ্ঠা; মিথ্যা মেডিকেল সনদে হয়রাণীমূলক মামলা; খুমেকের ৩ ডাক্তারকে লিগ্যাল নোটিশ

বিশেষ প্রতিনিধি॥ 
পাইকগাছায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক জমি জবর দখল ও হয়রাণীমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গোপালপুর গ্রামে। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ মজিদ গং কর্তৃক মারপিটের শিকার হয় অসহায় কলেজ কর্মচারী আজিবর রহমান ও তার স্ত্রী। জমির দখল বুঝে পেতে হোসনেয়ারা বেগম ও তর পুত্র আজিবার রহমান বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন পক্ষে থাকলেও দূর্দান্ত প্রকৃতির মজিদ গংরা জমির দখল বুঝে দিচ্ছে না।
সুত্রমতে-পাইকগাছা পৌরসভার গোপালপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের হোসনেয়ারা বেগম ও তার ছেলে আজিবর রহমান অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত ভোলাই গাজীর পুত্র আব্দুল মজিদ গাজী ও মৃত ইমান গাজীর পুত্র নূরুল ইসলাম গাজীগংরা জোরপূর্বক হোসনেয়ারা বেগম ও তার ছেলে আজিবর রহমানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলে বাধাপ্রদান ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। অভিযোগসুত্রে জানাযায়-অভিযোগকারী আজিবর রহমান ও বিবাদী মজিদগাজী পরস্পর প্রতিবেশি। বিবাদী আব্দুল মজিদ গাজীর পিতা ভোলাই গাজী মৃত্যুকালে ১ ছেলে আব্দুল মজিদ গাজী এবং ৬ মেয়ে যথাক্রমে মোছাঃ জরিনা বিবি, কদবানু বিবি, জাহানারা বিবি, জলি খাতুন, মোছা নাছিমা খাতুন ও সুফিয়া বেগমকে ওয়ারেশ রেখে যান। বিরোধীয় সম্পত্তি মধ্যে অভিযোগকারী আজিবার রহমান ও তার মা হোসনেয়ারা উক্ত ওয়ারেশদের মধ্যে হতে মোছাঃ জরিনা বিবি, কদবানু বিবি, নাছিমা খাতুন, সুফিয়া বেগমসহ ফাতেমা খাতুন, প্রতিজনের নিকট হতে সাড়ে তিন শতক করে মোট ১৪.৭৯ শতক জমি বিভিন্ন দলিলে ক্রয় করে। কিন্তু মজিদগংরা অভিযোগকারী আজিবর রহমানকে উক্ত সম্পত্তির দখল বুঝে না দিয়ে জোর পূর্বক সন্ত্রাসী স্টাইলে জবর দখলের পায়তারা করে আসছে। এ নিয়ে অভিযোগকারী জমির দখল বুঝে পেতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে রায় নিজ পক্ষে থাকলেও মজিদ গংরা জোরপূর্বক উক্ত সম্পত্তির দখল বুঝে নিতে দিচ্ছে না। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে পৌর মেয়র সমঝোতার চেষ্ঠা করেও ব্যার্থ হয়। সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ মজিদগংরা অতর্কিতভাবে আজিবর রহমান ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে আজিবর রহমান ও তার স্ত্রী ববিতা রহমানকে বেদম মারপিট করে আহত করে। এ নিয়ে পাল্টা-পাল্টি মামলারও ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য পাইকগাছা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসায় ডাক্তাররা মজিদগংদের শরীরে কোন যখম না পেলেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা ঐ রোগীকে গুরুতর জখমী বলে চিকিৎসা সনদ প্রদান করায় মজিদগংরা অভিযোগকারী আজিবরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রুস্তম ও মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শেখ মোঃ জাকারিয়া এবং মেডিকেল অফিসার ডাক্তার অজয় কুমার সাহা’র কাছে উপর্যুক্ত জবাব বা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবি এফ, এম, এ, রাজ্জাক। মিথ্যা মামলায় হয়রাণীর সুষ্ঠু বিচার ও সম্পত্তি ফিরে পেতে অভিযোগকারী কলেজ কর্মচারী আজিবর রহমান উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন