শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭

পাইকগাছায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যুবলীগ নেতার লীজ ঘেরে হামলা-ভাংচুর; দু’লাখ টাকার ক্ষতিসাধন

পাইকগাছা প্রতিনিধি॥
পাইকগাছায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লীজ ঘেরে হামলা, ভাংচুরসহ দু’লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাইকগাছা থানায় দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগকারী পাইকগাছা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক গাজীর পুত্র পৌরসভা যুবলীগ নেতা আমানুল্লাহ গাজী। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
    অভিযোগসুত্রে জানাযায়, বাদী যুবলীগ নেতা আমানুল্লাহ গাজীর কচুবুনিয়া ও বাইশারাবাদ মৌজায় আনুমাানিক ২০ বিঘা জমিতে মৎস্য ঘের রহিয়াছে, যাহা নিজ সম্পত্তি ও ডিডকৃত সম্পত্তি। গত ২৪ মে বিবাদী মঠবাটি গ্রামের আরশাদ মোল্যার পুত্র ইসলাম মোল্যাসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন যুবক বাদী আমাননুল্লাহর মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে মৎস্য ঘেরের ৫০ খানা মাছ ধরা চারো, ঘেরের বাসাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় দু’লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং বিবাদী ইসলাম মোল্যা বাদীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলায় ফাসানোর হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। উল্লেখ্য গত ১০ ফেব্রুয়ারী আমান উল্লাহ গাজী বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গদাইপুর গ্রামের কাজী হাসনা ইন সাদীর পুত্র কাজী শিফাত, মঠবাটী গ্রামের আরশাদ মোল্যার পুত্র ইসলাম মোল্যা ও মৃত বন্টে মোল্যার পুত্র আরশাদ মোল্যাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার সুত্র ধরে এ হামলা হতে পারে বলে ধারনা করছে আমানউল্লাহ গাজী। ওই মামলায় গত ২৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৪ ধারা জারীসহ স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেয়। বিবাদী ইসলাম মোল্যা আদালতের এ আদেশ উপেক্ষা করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নিয়ে উক্ত লীজ ঘেরে হামলা চালায়। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিক জানান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাছ ধরার চারো ও লীজ ঘেরের বাসা ভাংচুর দেখেছি তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন