নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনা থেকে
সুন্দরবন পর্যন্ত
সরাসরি সড়ক
নির্মাণ করা
হচ্ছে। তবে
এই নির্মাণ
কাজে আরও
গতি আনতে
হবে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহমান
খুলনা-দাকোপ-নলিয়ান সড়কের
নির্মাণ কাজ
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও চলছে
শম্ভুক গতিতে।
চলতি বছরের
মার্চ মাসে
প্রথম দিকে
চার গ্রুপের
কার্যাদেশ দেয়া হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাজের কার্যাদেশ
অনুযায়ী তেমন
কোন অগ্রগতি
পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যে কারণে
মান অনুযায়ী
কাজ সম্পন্ন
না হওয়ায়
এলাকাবাসীর শংঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে
সুন্দরবন কেন্দ্রিক
পর্যটন শিল্প
বিকাশের ক্ষেত্রে
নানান অন্তরায়ের
সৃষ্টি হয়েছে
বলে আশংকা
এলাকাবাসীর।
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গবদ্ধু তনয়া
শেখ হাসিনা
২০১১ সালের
৫ মার্চ
বুধবার খালিশপুরের
জনসভায় খুলনা-দাকোপ-নলিয়ান
মহাসড়কটি নির্মাণের
প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেন। প্রতিশ্রুতির পর
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সড়কটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে
নির্মাণ ব্যায়
ধ্যার্য করে
একনেকে প্রেরণ
করে। গত
২০১২ সালের
১৩ নভেম্বর
বৃহস্পতিবার ৫২ কোটি ৭৯ লক্ষ
টাকার এ
প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী
কমিটির বৈঠকে
বাস্তবায়নের জন্য দেয়। পরবর্তিতে প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন হওয়ায় ২০০৮ সালের রেট
অনুযায়ী ২০১১
সালের নতুন
রেট রি-কাষ্ট করার
সিদ্ধান্ত নেয়।
সড়ক ও
জনপথ সূত্রে
প্রকাশ, পাথর,
ইট, বালি
পিচ ও
অন্যান্য নির্মাণ
সামগ্রীর মূল্য
বৃদ্ধির কারণে
পূর্বের রেট
অনুযায়ী কাজ
শেষ করা
দূরহ হবে।
যে কারণে
২০১১ সালের
রেটটি বাস্তবায়ন
করে প্রকল্পটি
পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তিতে প্রকল্পটির ব্যায় নির্ধারণ করা
হয় ৮২
কোটি ২৬
লক্ষ টাকা।
অতঃপর পরিকল্পনা
মন্ত্রণালয় ২৫ মিটার এ সড়কটির
ব্যায় সাত
গ্রুপে বিভক্ত
করে উক্ত
ব্যয় নির্ধারণ
করে। পরবর্তিতে
গল্লামারী মোড় হতে চার কিলোমিটার
পর চার
গ্রুপ কাজের
মার্চ মাসের
কার্যাদেশ প্রদান করে। বাকী তিন
গ্রুপের কার্যাদেশ
টেন্ডার প্রক্রিয়া
চলছে। সড়ক
ও জনপথ
সূত্রে জানা
গেছে, এডিপির
অর্থায়নে প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির সাত
প্যাকেজের বিপরীতে ৫ কোটি টাকা
ছাড় দেয়া
হয়েছে। যার
মধ্যে ছোট
চালনা পর্যন্ত
৫ কিলোমিটার
রাস্তা নতুন
করে নির্মাণ
করতে হবে।
উল্লেখ্য যে,
সাড়ে ২৫
কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ গল্লামারী-বটিয়াঘাটা-নলিয়ান মহাসড়কটি
নির্মাণ করার
জন্য দুই
উপজেলার লক্ষ
লক্ষ মানুষ
দীর্ঘদিনযাবত দাবি ও আন্দোলন চালিয়ে
আসছে। সড়কটি
নির্মাণ হলে
ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের সাথে পর্যটন শিল্পের
প্রসার এবং
ওই অঞ্চলের
মানুষের সাথে
যোগাযোগ ব্যবস্থার
ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার
ঘটবে তাতে
কোন সন্দেহ
নেই। কিন্তু
এ আশা
ও আকাঙ্খাকে
নিমষিত করতে
সংশ্লিষ্ট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দুরসন্ধিমূলক কার্যক্রম
চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি খতিয়ে
দেখতে সওজ
কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন