পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে রেখা রাণী বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূ, স্ত্রী দাবী করে কিশোর কুমার রায় নামে এক ল্যাব সহকারীকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধূ রেখা রাণীর তঞ্চকীপূর্ণ, এফিডেভিট, জাল উল্লেখ করে উল্লেখিত এফিডেভিট রোববার আইনজীবী জিএম আব্দুস সাত্তারের মাধ্যমে পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বাতিল ঘোষণা করেছে ল্যাব সহকারী কিশোর কুমার রায়। এ ধরণের হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ল্যাব সহকারী ও তার পরিবার। ল্যাব সহকারী কিশোর কুমার রায় দাকোপের চুনকুঁড়ি গ্রামের অসিত বরণ রায়ের ছেলে ও পাইকগাছা উপজেলা সদরের সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের জামাতা। কিশোর রায় জানান, গত ১২/১৩ বছর পূর্বে পাইকগাছার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়। আমাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, সে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। এ ছাড়া আমার স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃস্বত্বা। দাম্পত্ত জীবনে আমরা সুখের সাথে বসবাস করছি। আমি দীর্ঘদিন চালনা কে সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাব সহকারী হিসাবে কর্মরত রয়েছি। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ডঃ অচিন্ত কুমার মন্ডলের সাথে আমার গত ২ বছর যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় ও আমার ভবিষ্যৎ ক্ষতিকরার লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষক অচিন্ত যোগসাজস করে যশোর অভয়নগরের নওয়াপাড়া এলাকার প্রোমথ বিশ্বাসের মেয়ে রেখা রানী বিশ্বাসকে দিয়ে ২৮/৩/২০১৭ ইং তারিখে ৭০৮ নং বিবাহ সংক্রান্ত এফিডেভিট সৃষ্টি করে। এমনকি এফিডেভিটকে ব্যবহার করে রেখা রানী বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (সদর), যশোর এ মামলা করে হয়রানী করে আসছে। উক্ত এফিডেভিটটি সম্পূর্ণ জাল, তঞ্চকী, অকার্যকরী, ভূয়া ও যোগসাজসী। কারণ আমি রেখা রানী নামে ওই গৃহবধূকে চিনি না, বা আমার সাথে কোন পরিচয় কিংবা সম্পর্ক নাই। এমনকি সংশ্লিষ্ট নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে আমি যাই নাই, উক্ত এফিডেভিটে স্বাক্ষরও আমার নহে। সেহেতু আমাকে স্বামী হিসাবে দাবী করিবার তার আইনগত কোন অধিকার নাই। এ জন্য ২৮ মার্চের ৭০৮ নং বিবাহ সংক্রান্ত এফিডেভিটটি গত রোববার পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বাতিল ঘোষণা করেছি। যার এফিডেভিট নং ২৫৮ তাং- ২৪/৯/২০১৭ ইং।