
পাইকগাছার আশালতা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক মাস আগে পরিদর্শন করে ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনা উপেক্ষার বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। সূত্রমতে, উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে সরুগলির মধ্যে যেনতেন একটি দ্বিতল ভবনে পরিচালিত হয়ে আসছে আশালতা ক্লিনিকের কার্যক্রম। ক্লিনিকের রেজি নং থাকলেও নেই কোন নিয়মিত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম। একটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী যা যা থাকার দরকার তার নূন্যতম কোন কিছুই নেই ক্লিনিকটিতে। ক্লিনিকটি প্রত্যান্ত এলাকায় হওয়ায় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন এলাকার অসহায় সাধারণ রোগীদেরকে ঠোকিয়ে মোটা অংকের টানা বাণিজ্য করে আসছিল। পথিমধ্যে গত কয়েকমাস আগে জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ক্লিনিকটি পরিদর্শন করেন। এ সময় সরকারী নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। কর্তৃপক্ষের এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্লিনিকে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। রোববার সকালে সরেজমিন গেলে আশপাশ এলাকার কয়েকজন মহিলা রোগীকে ক্লিনিকে দেখা যায়। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বিভিন্ন রোগের অপারেশনের জন্য ভর্তি হতে তারা ক্লিনিকে এসেছেন। তবে ভিন্ন কথা বলেন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ মন্ডল, তিনি একদিকে বলেন বন্ধের কোন নির্দেশনা নাই, অপরদিকে বলেন আমার প্রতিষ্ঠানের চলতি অর্থবছরের রাজস্ব পরিশোধ করা রয়েছে। অতএব প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ বৈধ। তবে ডাক্তার ও নার্স সমস্যার কথা তিনি স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, গত কয়েকমাস আগে ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে সিভিল সার্জন অফিস থেকে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ সংক্রান্ত চিঠি ইউএনও, ওসি সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানোও হয়। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, যে নির্দেশনা উপেক্ষা করে সেখানে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা আইন শৃংখলা সভায় বিষয়টি অবহিত করা হয়। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আবারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের স্থানীয় এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন