শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

এন ইসলাম সাগর পাইকগাছা প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য নির্বাচিত

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
পাইকগাছা প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভা শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব ভবনে সভাপতি জিএ গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক প্রবর্তন ও দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার পাইকগাছা প্রতিনিধি এন ইসলাম সাগরকে প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য নির্বাচিত ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেনের সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন জরুরী সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন গাজী সালাম, মিজানুর রহমান মিজান, এসএম বাবুল আকতার, হাফিজুর রহমান রিন্টু, এসএম আলাউদ্দিন সোহগ, আব্দুল মজিদ, মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, রবিউল ইসলাম, স্নেহেন্দু বিকাশ, আলাউদ্দিন রাজা, প্রমোথ রঞ্জন মন্ডল, নজরুল ইসলাম ও খাইরুল ইসলাম ।

শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০১৪

নিউজ অফ পাইকগাছায় খবর প্রকাশের পর পাইকগাছায় বঞ্চিত ৩শ শ্রমিককে ২৭ লাখ টাকা প্রদান

>>>>>>>>>>>> ফলোআপ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় কাজের বিনিময়ে অর্থ কর্মসুচি প্রকল্পের কর্মরত ৩শ শ্রমিককে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার খবর নিউজ অফ পাইকগাছা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের এক মাস পর বঞ্চিত শ্রমিকদের মাঝে প্রশিক্ষণ বাবদ প্রাপ্য ২৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এ অর্থ বিতরণ করেন বাস্তবায়ন সংস্থা।
সুত্রমতে-বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ডব্লিউএফপি,ইউকেএআইডি ও কনসার্ন ওয়াল্ড ওয়াইড এর সহায়তায় উপজেলার লতা ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে অর্থ কর্মসুচি প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস। প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ইউনিয়নের ৩শ হত দরিদ্র নারী-পুরষকে প্রতিদিন ২শ টাকা মুজুরী হারে ৪৫ কর্মদিবস এর জন্য নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমে গত ৫/৪/১৪ ইং তারিখ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার পর মাঝপথে জে জে এস কতৃপক্ষ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্ধ কৃত অর্থ কর্মরত শ্রমিকদের প্রদান করবেন না বলে জানিয়ে দেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ কর্মরত শ্রমিকদের বঞ্চিত করে অপর দু’টি ইউ্নিয়নে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিলে এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন গত ১৩ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। অবশেষে খবর প্রকাশের একমাস পর ৪টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ বাবদ প্রত্যেক শ্রমিককে ৯ হাজার টাকা করে ২৭ লাখ টাকা ৩ শ শ্রমিকদের মধ্যে প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের মাধ্যমে বঞ্চিত শ্রমিকদের মাঝে এ অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেজেএস এর নাজমুল হুদা ও কনসার্ন ওয়াল্ড ওয়াইডের সত্যরঞ্জন রায় সহ বাস্তবায়ন সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গন্যমান্য উপস্থিত ছিলেন। প্রাপ্ত টাকা পাওয়ার পর বঞ্চিত শ্রমিকদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে তারা গনমাধ্যম কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

পাইকগাছায় মাদক গ্রাস করছে উঠতি বয়সের যুবকদের; বাড়ছে ইভটিজিংসহ নানা অপরাধ

পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥ 
খুলনার পাইকগাছায় প্রতিনিয়ত ভারত থেকে সীমান্ত পথে চোরাইভাবে আসছে মাদক দ্রব্য। ধ্বংসের দারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে যুব সমাজ। কলুষিত হচ্ছে সমাজ, নির্যাতিত হচ্ছে গৃহবধুরা, ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা। পুলিশ প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সকল মাদক ব্যবসায়িদের সাথে জড়িত রয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে দরগাহপুর এবং বড়দল হয়ে চাঁদখালী ইউনিয়নের কিছু এলাকা দিয়ে এই মাদকদ্রব্য প্রবেশ করছে পাইকগাছায়। এছাড়াও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন চোরাই পথে বাধাহীনভাবে আসছে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য। বর্ডার গার্ড ও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় এক শ্রেনীর উঠতি বয়সের যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসকল মাদক ব্যবসায়িদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসৎ অফিসারের সাথে মাসিক চুক্তি থাকায় মাদক ব্যবসায়িরা বহাল তবিয়তে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। মদ, গাজা, ফেন্সিডিল, আফিন, হেরোইন, ইয়াবা সহ নেশা জাতীয় সকল দ্রব্য চোরাই পথে নিয়ে আসার জন্য প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, বাইসাইকেল এমনকি এ্যাম্বুলেন্স ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্ডার থেকে চোরাই পথে সাতক্ষীরার ভিতরের রাস্তা দিয়ে দরগাহপুরের মধ্যে দিয়ে প্রধানত এই মাদক ঢুকে থাকে এলাকায়। এখান থেকে কৌশলে এ সকল মাদক দ্রব্য স্থল ও নদী পথে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সরবরাহ হয়ে থাকে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসদরের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, মাদক বিক্রয় হচ্ছে হরহামেশায়। বিশেষ করে উপজেলার বাঁকা, কাটিপাড়া, কাটাখালী, মাটামের গেট, শিববাটি ব্রীজ, বোয়ালিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন স্থান, সরল, বাান্দিকাটি, কপিলমুনি বাজারসহ পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকা, গদাইপুর, চাঁদখালী বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা, সোলাদানা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কিছু স্থান, ৬নং ওয়ার্ডের কিছু স্থান, পৌর বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনসহ হরহামেশায় বিক্রি করে যাচ্ছে।  বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক যুবক তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত রয়েছে। এসকল মাদক ব্যবসায়িরা স্ব-স্ব এলাকার যুবকদের ম্যানেজ করে তাদের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে দিচ্ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে না পারায় এ সমস্ত মাদক সেবিরা বাধ্য হয়ে চুরি, ছিনতাই ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এ সব মাদক ব্যবসায়ি, সেবনকারি ও তদের সাথে জড়িত প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। উল্লেখ্য গত ২ মাস যাবৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশকিছু ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের অপরাধে জেলা ও জরিমানা আদায় করলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না মাদক রুটগুলো। এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল নাথ বলেন ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা এবং সেবন ও বিক্রয়কারিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও জরিমানা করা হয়েছে। ওসি শিকদার আককাছ আলী বলেন মাদক সেবন ও বিক্রয়কারীদের কঠোর হস্তে দমনসহ আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আমাদের কোন অফিসার যদি এই মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাকে অব্যশই আইনের আওতায় আনা হবে। ফাঁড়িগুলোকে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যহত থাকবে।

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০১৪

রোগ কিংবা সামান্য অসুস্থতা, কোন্ রোগী কীভাবে রোজা রাখবেন:

পরামর্শ
ডা.এবিএম আবদুল্লাহ’র

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
ইসলামের ৫ টি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। রমজানের রোজা আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। এর মধ্যেই আল্লাহ তায়ালা রেখেছেন অফুরন্ত রহমত, বরকত, মাগফিরাত, নাজাত ও ফযিলত। রমজানের রোজা রোজাদারের জন্য ঢাল স্বরূপ। রোজা আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দিবেন। তাই প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান শত বাধা বিপত্তির মাঝেও রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর মাধ্যমেই তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চান। অনেকে জটিল রোগে ভোগেন, কিন্তু নিজের আত্মার শান্তি এবং ধর্মীয় নির্দেশনার প্রয়োজনে রমজানের রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আবার এমনও লোক দেখা যায় যারা অজুহাত খোঁজেন রোজা না রাখার, নিজের মত করে খোঁজেন ধর্মীয় নির্দেশনা। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আলেম ওলামা বা ইসলামী চিন্তাবিদরা সম্পূর্ণ একমত যে, অনেক নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগে আক্রান্ত যে কেউ রোজা রাখতে পারবেন। এমনকি অনেক রোগের ক্ষেত্রে রোজা রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে তীব্র অসুস্থতায় অথবা কোন জটিল রোগে রোজা রাখা না রাখার ব্যাপারেও ধর্মীয় নির্দেশনা আছে। প্রয়োজনে পরে কাযা করার বিধানও সুস্পষ্টভাবে দেয়া আছে। কোন অজুহাতে বা সামান্য কোন অসুস্থতায় রোজা না রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।

>>>> পেপটিক আলসার রোগে আক্রান্ত রোগী

যারা গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারে ভোগেন, তারা অনেকেই মনে করেন খালি পেটে থাকলে এসিডিটির সমস্যা বাড়বে। এ ধরনের রোগীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন যে রোজা রাখবেন কি না। আসলে রোজা রাখলে সাধারণত এসিডিটি বাড়ে না। রোগীদের প্রধান কাজ হলো নিয়মিত খাবার খাওয়া, নিয়মিত ঘুমানো এবং নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ। রোজায় মানুষের জীবন একটা নিয়মে চলে আসে বিধায় এ সময় এসিডিটির সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। অবশ্যই ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে ইফতার এবং সেহেরির সময় রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ একটা করে খেয়ে নিতে পারেন। এমনকি রাত্রে দুই তিনবার এন্টাসিড ওষুধ খেলেও কোন অসুবিধা হবে না।

>>>> ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস হলে রোগী রোজা রাখতে পারবেন না একথা মোটেই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকগণ এবং ইসলামী আলেমগণ উভয়েই রোজা রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। মোটামুটিভাবে নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই রোজা রাখা সম্ভব। আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য রোজা রাখা অনেক সহজ করে দিয়েছে। তবে রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন কিংবা কোনো ওষুধ গ্রহণের সময়টা একটু পরিবর্তন করে সেহরি ও ইফতারের সঙ্গে সমন্বয় করে নিতে হবে। এ ব্যাপারে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ কিংবা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই কিছু ঝুঁকি থাকে। যেসব ডায়াবেটিক রোগী ঝুঁকির কথা জেনেও ধর্মীয় কারণে রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তারা রোজা শুরুর আগেই চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করে জটিলতা এড়িয়েই রোজা রাখতে পারেন।

>>>> হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগী

আমাদের দেশে অনেক হাঁপানি রোগী আছেন। তাদের কেউ কেউ রোজা না রাখার কারণ হিসেবে হাঁপানির কথা বলে থাকেন। রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। রোজা কোনোভাবেই হাঁপানি রোগ বাড়িয়ে দেয় না। বরং বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে রোজা হাঁপানি রোগীকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। যদি হাঁপানি বাড়তেই থাকে, তাহলে রোগী ইফতার এবং সেহেরির সময় দীর্ঘস্থায়ী জাতীয় বড়ি খেয়ে নিতে পারেন। এতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের বেলায় শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার নেয়া যাবে। তাতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

>>>> কিডনি রোগ

যারা কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের রোজা রাখা যাবে না এমন কোনো কথা নেই। যে সমস্ত রোগী ক্রনিক কিডনি ফেইলুরে আক্রান্ত, তাদেরকে সুনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হয়, নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, এমনকি পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা ও পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হয়। তাই রোজা রাখার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাদের কিডনি ফেইলুরের মাত্রা একেবারে শেষ পর্যায়ে, তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নয়। তেমনি যারা ডায়ালাইসিসের রোগী অথবা ইতোমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন তাদের পক্ষেও রোজা রাখা প্রায় অসম্ভব। অল্প থেকে মধ্যম মাত্রার কিডনি ফেইলুর রোগীরা রোজা রাখলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে কিডনি আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা যা-ই থাকুক না কেন, সর্বাবস্থায় একজন কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়াই শ্রেয়।

>>>> উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বেলায় রোজা আরও উপকারি। আজকাল অনেক ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো দিনে একবার বা দুইবার খেলেই চলে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ইফতার বা সেহেরির সময় বা প্রয়োজনে দুইবারই ওষুধ খেলে রক্তচাপ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক রোগীর রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির মাত্রা বেশি থাকে। এসব নিয়ন্ত্রণেও রোজা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রোজা রাখার মাধ্যমে রোগীদের কোলেস্টেরল মাত্রা প্রায় ১০-২০ শতাংশ কমে যায়। একই সঙ্গে তাদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতাও কমে যায়।

>>>> হার্টের রোগ

হূদরোগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই রোজা রাখতে কোন নিষেধ নেই। তবে একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, হার্ট ফেইলুর ইত্যাদি রোগ থাকলে রোজা না রাখাই শ্রেয়। আবার একথাও সত্য যে, অনেক ক্ষেত্রে হূদরোগীদের জন্য রোজা রাখা খুবই উপকারি। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা এবং ইফতারের দুই ঘণ্টা পর একটু ব্যায়াম করা উচিত। যারা নিয়মিত তারাবির নামাজ আদায় করেন, তারা ব্যায়াম নাও করতে পারেন। যারা নিয়মিত ওষুধ খান, তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সম্ভব হলে সবগুলো ওষুধ রাত্রের বিভিন্ন সময়ে ভাগ ভাগ করে খেলে যদি অসুবিধা না হয় তো সেভাবেই ওষুধ খাবেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দিনে যদি এনজাইনার ব্যথা হয়, তবে জিহ্বার নিচে স্প্রে জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে, তাতে রোজার ক্ষতি হবে না।

>>>> লিভারের অসুখ

লিভারের রোগীদের রোজা রাখা নির্ভর করে রোগটির ধরনের উপর। কেউ যদি ভাইরাল হেপাটাইটিস নামক রোগে আক্রান্ত হন, তারা খেতে পারেন না, ঘন ঘন বমি হয়, রুচি নষ্ট হয়, জন্ডিস দেখা দেয়। অনেক সময় তাদের শিরায় স্যালাইন বা গ্লুকোজ দিতে হয়। তাদের পক্ষে রোজা না রাখাই ভালো। আবার যারা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত, তাদের যদি রোগের লক্ষণ কম থাকে, তবে রোজা রাখতে পারেন। খারাপ লাগলে রোজা ভেঙ্গে ফেলবেন। কোন কোন সময় সিরোসিস রোগীদের পেটে বা পায়ে পানি জমতে পারে, শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যেতে পারে। তাদের বেলায় রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। রোজা না রেখে কাফফারা দিতে হবে বা বদলি রোজা অন্য কাউকে দিয়ে করাতে হবে। প্রয়োজনে আলেম ওলামাদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

>>>> চোখ, কান বা নাকের রোগী

রোজায় চোখের বা নাকের রোগীরা যে সমস্যায় পড়েন সেটি হল রোজা রাখা অবস্থায় ড্রপ ব্যবহার করতে পারবেন কি না। চোখ বা নাকে ড্রপ দিলে তা মুখে চলে যেতে পারে, তা ফেলে দিয়ে কুলি করে ফেলা উচিত। ফলে ওষুধ গলায় বা পেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। সে ক্ষেত্রে রোজা রেখে অনায়াসে চোখে বা নাকে ড্রপ দেয়া যায়। কানের ড্রপ দিলেও রোজার কোন ক্ষতি হবে না। এমন মতামতই ব্যক্ত করেছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।

>>>> গর্ভাবস্থায় রোজা

গর্ভবতী মায়ের যদি শারীরিক কোনো জটিলতা না থাকে, তা হলে রোজা থাকতে কোনো বাধা নেই। বিশেষ করে প্রথম কয়েক মাস সহজেই রোজা রাখা যায়। রোজা রাখবেন কি রাখবেন না, তার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করা উচিত। রোজা রাখলে যদি মা বা বাচ্চার কারো ক্ষতি হয়, বা এ ব্যাপারে যদি ডাক্তারের কোন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে রোজা না রাখাই ভালো।

>>>>বুকের দুধ খাওয়ানো

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। রোজা রাখলে বুকের দুধ কমে যায় না। অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময় প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। ইফতারের পর শোয়া পর্যন্ত প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

মানুষের রোগের শেষ নেই, ধরনও এক নয়। সব রোগ নিয়ে আলোচনাও সম্ভব নয়। তাই যে কোন রোগী, যারা রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ অথচ দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগেন, তাদের উচিত ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন ডাক্তার বা আলেম ওলামার সাথে পরামর্শ করে রোজার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।

রোজা একটি অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ধর্মীয় দিক থেকে যেমন এর ফযিলত অসীম তেমনি স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করলেও এর উপকার অনেক। একমাসের সিয়াম সাধনা আমাদের দেহ ও মন উভয়কেই পরিশুদ্ধ করে। তাই আলস্য করে, ছোট খাট রোগের অজুহাত খাড়া করে একে পালন না করা মোটেই উচিত নয়।

শেষ কথা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগে কিংবা সামান্য অসুস্থতায় রোজা রাখতে কোনো নিষেধ নেই, বরং রোজা রাখা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে তীব্র অসুস্থতায় কিংবা জটিল রোগে রোজা রাখা ঠিক হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক।

>>>>>> >>>>>>>>>>>>>>>>>>ডা. এবিএম আবদুল্লাহ’র পরামর্শ<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০১৪

পাইকগাছায় পাষন্ড স্বামী ও তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নির্যাতন ও ধর্ষন প্রচেষ্ঠার অভিযোগ

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছায় পাষন্ড স্বামী ও তার দুলাভায়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন ও ধর্ষন প্রচেষ্ঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মাফিয়া সুলতানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
    অভিযোগসুত্রে জানাগেছে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চককাওয়ালী গ্রামে হতদরিদ্র আব্দুস সাত্তার সরদারের কন্যা মাফিয়া সুলতানা (২১) কে ৩ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলার নাকলা গ্রামের কাদের সানার সুচতুর পুত্র রাশেদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর রাশেদ আরেকটি বিয়ে করে মাফিয়াকে পিতৃলয়ে তাড়িয়ে দেয়। এরপর মাফিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা করলে রাশেদও পাল্টা মাফিয়ার পিতার নামে হয়রাণীমূলক মামলা করে। রাশেদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যহারের জন্য সুচতুর স্বামী রাশেদ ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে তার দুল্ভাাই গফুরকে দিয়ে মুঠোফোনে ফুসলিয়ে স্ত্রী মাফিয়াকে নিজ বাড়ীতে নেয়ার কথা বলে ধামরাইল খেয়াঘাটা যাওয়ার কথা বলে। পরিবারের কাউকে না বলে মাফিয়া ঘটনাস্থল পৌছানোর পর মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বামী রাশেদ, তার উপর চাপ সৃষ্টি করে এতে সে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী রাশেদ, দুলাইভাই গফুর, মিজানুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম নামে কয়েকজন ব্যক্তি মাফিয়ার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর ধর্ষন প্রচেষ্টা চালালে তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে ধামরাইল গ্রামের ওসমান আলী গাজীর পুত্র গোলজার রহমান জানান ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন দোকানে বসা অবস্থায় একটি মেয়ের আত্মচিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।