পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় প্রতিনিয়ত ভারত থেকে সীমান্ত পথে চোরাইভাবে আসছে মাদক দ্রব্য। ধ্বংসের দারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে যুব সমাজ। কলুষিত হচ্ছে সমাজ, নির্যাতিত হচ্ছে গৃহবধুরা, ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা। পুলিশ প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সকল মাদক ব্যবসায়িদের সাথে জড়িত রয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে দরগাহপুর এবং বড়দল হয়ে চাঁদখালী ইউনিয়নের কিছু এলাকা দিয়ে এই মাদকদ্রব্য প্রবেশ করছে পাইকগাছায়। এছাড়াও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন চোরাই পথে বাধাহীনভাবে আসছে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য। বর্ডার গার্ড ও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় এক শ্রেনীর উঠতি বয়সের যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসকল মাদক ব্যবসায়িদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসৎ অফিসারের সাথে মাসিক চুক্তি থাকায় মাদক ব্যবসায়িরা বহাল তবিয়তে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। মদ, গাজা, ফেন্সিডিল, আফিন, হেরোইন, ইয়াবা সহ নেশা জাতীয় সকল দ্রব্য চোরাই পথে নিয়ে আসার জন্য প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, বাইসাইকেল এমনকি এ্যাম্বুলেন্স ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্ডার থেকে চোরাই পথে সাতক্ষীরার ভিতরের রাস্তা দিয়ে দরগাহপুরের মধ্যে দিয়ে প্রধানত এই মাদক ঢুকে থাকে এলাকায়। এখান থেকে কৌশলে এ সকল মাদক দ্রব্য স্থল ও নদী পথে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সরবরাহ হয়ে থাকে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসদরের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, মাদক বিক্রয় হচ্ছে হরহামেশায়। বিশেষ করে উপজেলার বাঁকা, কাটিপাড়া, কাটাখালী, মাটামের গেট, শিববাটি ব্রীজ, বোয়ালিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন স্থান, সরল, বাান্দিকাটি, কপিলমুনি বাজারসহ পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকা, গদাইপুর, চাঁদখালী বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা, সোলাদানা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কিছু স্থান, ৬নং ওয়ার্ডের কিছু স্থান, পৌর বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনসহ হরহামেশায় বিক্রি করে যাচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক যুবক তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত রয়েছে। এসকল মাদক ব্যবসায়িরা স্ব-স্ব এলাকার যুবকদের ম্যানেজ করে তাদের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে দিচ্ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে না পারায় এ সমস্ত মাদক সেবিরা বাধ্য হয়ে চুরি, ছিনতাই ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এ সব মাদক ব্যবসায়ি, সেবনকারি ও তদের সাথে জড়িত প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। উল্লেখ্য গত ২ মাস যাবৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশকিছু ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের অপরাধে জেলা ও জরিমানা আদায় করলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না মাদক রুটগুলো। এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল নাথ বলেন ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা এবং সেবন ও বিক্রয়কারিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও জরিমানা করা হয়েছে। ওসি শিকদার আককাছ আলী বলেন মাদক সেবন ও বিক্রয়কারীদের কঠোর হস্তে দমনসহ আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আমাদের কোন অফিসার যদি এই মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাকে অব্যশই আইনের আওতায় আনা হবে। ফাঁড়িগুলোকে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যহত থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন