
নিউজ অফ পাইকগাছা-(বিশেষ ডেস্ক) সাংবাদিক কলাম থেকে (সংগৃহিত)॥
অবশেষে ভোগান্তি কমছে ভারত ভ্রমনেচ্ছুক পর্যটকদের। তবে ভোগান্তী থেকে যাচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের ভারত ভ্রমনেচ্ছুক পর্যটক পিপাষুদের। গত ২৮ ডিসেম্বর ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন ঢাকায় বসবাসরত ট্যুরিস্ট ভিসাপ্রার্থীরা ই-টোকেন ছাড়াই ভিসার আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু ঢাকার বাইরে ভ্রমনেচ্ছুক পর্যটকদের সেই ই-টোকেনের ফাঁদে আটকে থাকতেই হচ্ছে। সাংবাদিক এন ইসলাম সাগর ভিসার ই-টোকেন নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। গত ২৭ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভার সদস্য মমতা ঠাকুরের ই-টোকেন সংক্রান্ত এক সাক্ষাতকারে এ বিষয়টি উত্থাপনও করা হয়। তিনি আশ্বাষও দেন বিষয়টি লোকসভায় উত্থাপনের। প্রতিবছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশি ট্যুরিস্ট ভরতে ভ্রমন করে। আর এই ভ্রমনের ক্ষেত্রে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াই ভিসাপ্রাপ্তির ই-টোকেন। ঢাকাস্থ ভ্রমণকারীদের ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিমান, ট্রেন বা বাসের কনফার্মড টিকিট-সহ ই-টোকেন বা আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখ ছাড়াই তাঁদের ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের বিশেষ করে খুলনার পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, কয়রা, দাকোপসহ পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা সব উপজেলার মানুষের যাতায়াতের পথ ভোমরা সীমান্ত। তাই বাসের টিকিট, এয়ার টিকিট, বিমান বা ট্রেনের টিকিট যেন আরো কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ভ্রমন পিপাষুদের।
পার্শ্ববর্তী বন্ধু প্রতিম দেশ ভারত ভ্রমণ তাই এ অঞ্চলের মানুষের ভ্রমন অধরাই থেকে যাচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলার আশ্বাষ বানী মৌখিকভাবে থেকেই গেল। ভারতীয়দের এক জরিপে দেখা যায় পর্যটন খাতে ভারতের আয় বেশি, যার সিংহভাগ পর্যটক বাংলাদেশী। কিছুদিন আগে থেকে ভারতীয় দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় ভিসার জন্যে ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যতীত অন্য সব ক্যাটাগরির ভিসার আবেদন অনলাইন এপয়েন্টমেন্ট ডেট/ই-টোকেন ছাড়াই স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া পরিচালিত সকল ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপলিকেশন সেন্টার (আইভিএসিসমূহ)-এর বিদ্যমান সামর্থ্য অনুযায়ী সরাসরি গ্রহণ করা হচ্ছে।’ ভারতীয় ভিসা আবেদনের ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে বিজনেস, মেডিক্যাল, মেডিক্যাল এটেনড্যান্ট, স্টুডেন্ট, রিসার্চ, জার্নালিস্ট, কনফারেন্স, এমপ্লয়মেন্ট, ট্রানজিট, শিল্পী, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, ভারতীয় নাগরিকদের স্বামী বা স্ত্রী, ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বদের স্বামী বা স্ত্রী, বেসরকারি খাতের আইটিইসি প্রশিক্ষণার্থী, ভারত সরকারের অর্থায়িত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং বিদেশী নাগরিক। অনলাইন বা ই-টোকেন ছাড়াই ভারতীয় ভিসা এ্যাপলিকেশন সেন্টার বা আইভিএসিতে সরাসরি ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। যেখানে বাংলাদেশে ট্যুারিস্ট ভিসার আবেদন বেশি, সেখানে অন্য ক্যাটাগরিগুলোতে সুবিধা বিদ্যমান হলেও ভোগান্তির কমতি নেই। চলতি শীত মৌসুমে দক্ষিনাঞ্চলের ভ্রমন পিপাষুদের বড় বাধা হয়ে দাাড়িয়েছে ই-টোকেন ফাঁদ। যাতে করে ভ্রমন পিপাষুদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে ভ্রমনে অনাগ্রহ তৈরী হয়েছে, আর বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে প্রতিবেশি এ রাষ্ট্রটি। ট্যুরিস্ট ভিসাপ্রাপ্তি সহজতর করতে সর্বশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর ভারতীয় হাই কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। নিশ্চিত বিমান, ট্রেন বা বাসের (যথাযথ বাংলাদেশ-ভারত বাস সার্ভিস কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত) টিকিট-সহ নারী ভ্রমণকারী ও তাঁদের নিকটতম পরিবারের সদস্যদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া সরাসরি আবেদনপত্র জমাদানের স্কিমটি আইভিএসি উত্তরার পরিবর্তে ১ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে আইভিএসি মিরপুর কেন্দ্রে অব্যাহত থাকবে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখ, ই-টোকেনধারী আবেদনকারীরা তাঁদের ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনপত্র আইভিএসি গুলশান, উত্তরা, মতিঝিল, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, যশোর, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে জমাদান অব্যাহত রাখতে পারবেন। এ ছাড়া আইভিএসি মিরপুর ১ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে নিশ্চিত ভ্রমণকারী ও প্রবীণ নাগরিকদের সরাসরি ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদপত্র গ্রহণ করবে। এ অঞ্চলের মানুষ দৈনিক নওয়াপাড়ার মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিষয়টি যাতে ভারতীয় হাইকমিশন বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে দক্ষিনাঞ্চলে ট্যুরিস্ট ভিসাপ্রাপ্তির ই-টোকেন গ্যাড়াকল থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিবেশি এ রাষ্ট্র ভ্রমন করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।