নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
পাইকগাছায় দুর্বৃত্তরা এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত জনেক মন্ডল (৬৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পানা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। চিংড়ি ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র প্রতিপ ঘের মালিকের লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। সুত্রে জানাযায়, উপজেলার লতা ইউনিয়নের পানা মৌজার সাড়ে ৪শ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের নিয়ে প্রভাবশালী ঘের মালিক রফিকুল ইসলামের সাথে পানা গ্রামের বিকাশ হালদার গংদের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দু’পরে মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে। জনেক হালদারের স্ত্রী সনেকা হালদার জানান, বিরোধের জের ধরে প্রতিপ ঘের মালিকের লোকজন রোববার প্রথম প্রহর (রাত ৩টার দিকে) বাড়িতে হামলা করে ঘুমিয়ে থাকা বয়স্ক স্বামীকে ধরে নিয়ে পাশের েেত ফেলে দিয়ে বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বসত ঘরের বেশ একটি অংশ ও প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়সহ মাদুর তৈরীর উপকরণ পুড়ে ভস্মিভূত হয়। সকালে আহত স্বামী জনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ওসি (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের মাধ্যমে এ ধরণের একটি খবর পেয়েছি। বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করার মাধ্যমে খতিয়ে দেখছেন বলে তিনি জানান।
পাইকগাছায় ব্যাংক লেনদেন ব্যাহত টানা অবরোধ ও হরতালের প্রভাবে
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় টানা হরতাল ও অবরোধে সরবরাহ না থাকায় রাষ্ট্রীয়াত্ব ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে লেনদেন। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। হুমকির মুখে ব্যবসা বাণিজ্য। বেতনের অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশীল ঘোষণার পর হতে অদ্যাবধি ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা হরতাল অবরোধের কারণে অর্থ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে ব্যাংকগুলোর। উপজেলা সদরে অবস্থিত সোনালী, রূপালী, জনতা, ইসলামী ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ প্রতিটি ব্যাংকের একই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ জানিয়েছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে মোটা অংকের কোন টাকা প্রদান করতে পারছেন না বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। প্রদীপন সিঁড়ি প্রকল্পের ইনচার্জ কামরুন্নাহার জানান, ১৩ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য তিনি গত ১০দিন ধরে ব্যাংকে ধন্যা দিচ্ছেন। প্রকল্পের ৫শ ভূক্তভোগী প্রতিদিন অফিসে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহে তিনি ১ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী জানান, গত ১২ দিনের মধ্যে জানুয়ারী মাসের বেতন ভাতা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দু’শ কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে তিনি জানান। টানা হরতাল ও অবরোধের কারণে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ আবুল কাশেম জানান।
পাইকগাছায় দুর্বৃত্তরা এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত জনেক মন্ডল (৬৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পানা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। চিংড়ি ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র প্রতিপ ঘের মালিকের লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। সুত্রে জানাযায়, উপজেলার লতা ইউনিয়নের পানা মৌজার সাড়ে ৪শ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের নিয়ে প্রভাবশালী ঘের মালিক রফিকুল ইসলামের সাথে পানা গ্রামের বিকাশ হালদার গংদের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দু’পরে মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে। জনেক হালদারের স্ত্রী সনেকা হালদার জানান, বিরোধের জের ধরে প্রতিপ ঘের মালিকের লোকজন রোববার প্রথম প্রহর (রাত ৩টার দিকে) বাড়িতে হামলা করে ঘুমিয়ে থাকা বয়স্ক স্বামীকে ধরে নিয়ে পাশের েেত ফেলে দিয়ে বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বসত ঘরের বেশ একটি অংশ ও প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়সহ মাদুর তৈরীর উপকরণ পুড়ে ভস্মিভূত হয়। সকালে আহত স্বামী জনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ওসি (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের মাধ্যমে এ ধরণের একটি খবর পেয়েছি। বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করার মাধ্যমে খতিয়ে দেখছেন বলে তিনি জানান।
পাইকগাছায় ব্যাংক লেনদেন ব্যাহত টানা অবরোধ ও হরতালের প্রভাবে
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় টানা হরতাল ও অবরোধে সরবরাহ না থাকায় রাষ্ট্রীয়াত্ব ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে লেনদেন। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। হুমকির মুখে ব্যবসা বাণিজ্য। বেতনের অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশীল ঘোষণার পর হতে অদ্যাবধি ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা হরতাল অবরোধের কারণে অর্থ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে ব্যাংকগুলোর। উপজেলা সদরে অবস্থিত সোনালী, রূপালী, জনতা, ইসলামী ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ প্রতিটি ব্যাংকের একই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ জানিয়েছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে মোটা অংকের কোন টাকা প্রদান করতে পারছেন না বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। প্রদীপন সিঁড়ি প্রকল্পের ইনচার্জ কামরুন্নাহার জানান, ১৩ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য তিনি গত ১০দিন ধরে ব্যাংকে ধন্যা দিচ্ছেন। প্রকল্পের ৫শ ভূক্তভোগী প্রতিদিন অফিসে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহে তিনি ১ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী জানান, গত ১২ দিনের মধ্যে জানুয়ারী মাসের বেতন ভাতা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দু’শ কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে তিনি জানান। টানা হরতাল ও অবরোধের কারণে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ আবুল কাশেম জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন