শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
খুলনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েত এর উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতি দাতারা হলেন, যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম তারিক, আবুল হোসেন, তৌহিদুজ্জামান মুকুল, ইমরান সরদার, এসএম জামশেদ হোসেন, বিএম আকিজ উদ্দীন, আজহারুল সানা, আছাদুজ্জামান কেরামত, আজহারুল গাজী, হারুণ সরদার, আছাদুর জামান শামিম, রবিউল ইসলাম, শেখ বেলাল হোসেন, শেখ ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, কাশেম জোয়াদ্দার, বাবুল সরদার, বুলবুল আহম্মেদ, খলিল বিশ্বাস, মাহমুদুল হক মুক্ত, জহিরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, তরিকুল ইসলাম, বিপ্লব, গোলাম রব্বানী, আব্দুল কুদ্দুস, জুয়েল, আল-মামুন, কামরুজ্জামান টুকু, সিজার বাবু, আসাদ ও বাবলু গোলদার।

পাইকগাছায় উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী; চলছে নিরব চাঁদাবাজী ও ব্লাকমেইলিং

এন. ইসলাম সাগর, পাইকগাছা (খুলনা)॥
পাইকগাছা উপজলোয় উদ্বগেজনকহারে হলুদ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সাংবাদকি ও মানবাধিকার কর্মীদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে প্রকৃত সংবাদকমীরা। এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে চলছে নিরব চাঁদাবাজী। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ট সরকারি চাকুরীজীবী, ঘের মালিক, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ। কেউ কেউ ফেসবুকে একটি পেজ খুলে বিভিন্ন ব্যক্তিদের হয়রাণীকর লেখা পোষ্ট করে ব্লাকমেইলিং এর মত ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এসব কর্মকান্ড থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।
    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব নামধারী হলুদ সাংবাদকিরা নম্বরবিহিন মোটর সাইকলেরে প্রেস লিখে নানা অপর্কম ও চাঁদাবাজি চালিয়ে চাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদরে যন্ত্রণার অতষ্ঠি হয়ে পড়েেছ উপজলো প্রশাসন, ঘের মালিক, শিক্ষকসহ নানাশ্রেণী পেশার মানুষ। অনেকে হলুদ সাংবাদকিরে ভয়ে আতঙ্কতি হয়ে মুখ খুলতে নারাজ। র্বতমানে এসব সাংবাদিক নামধারীরা প্রশাসনের দালালী থেকে শুরু করে চাকুরী দেয়ার প্রলোভনও দেখাচ্ছে নীরিহ ব্যক্তিদের। অনিয়মিত অথবা কালে ভদ্রে পকাশ হয় এমন সব পত্রকিার র্কাড ঝুলিয়ে বিভিন্ন দফতরের র্কমচারী ও র্কমর্কতাদরে ভয়ভীতি প্রর্দশনর্পূবক চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মিডিয়া র্কতৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও কোনো পদক্ষপে নিচ্ছে না। এতে প্রকৃত সংবাদকমীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে অহরহ। পাইকগাছা উপজলোয় হলুদ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের আনাগোনা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে সাধারণ মানুষ এদের ভয়ে ভীত হয়ে পড়ছে। উপজলোর  প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাট ও উপজলো সদরে দাপেিয় বড়োচ্ছে এসব সাংবাদিক। এসব হলুদ সাংবাদকিরা কোন ধরনরে সংবাদ লেখাতো দূরের কথা ঠিকভাবে গুছিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারেনা। অথছ তারা বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিক হিসবে নিজেদের পরচিয় তুলে ধরছেন, সাধারণ মানুষ কিংবা উপজলোর র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষের কাছে। এরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দিলেও গিয়ে হাজির হয়ে সামনের সাড়িতে বসে পরে, এমনকি আয়োজকদের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা নিয়ে সটকে পরে নিউজের কোন ধার ধারে না। র্বতমানে বেপরোয়া হয়ে উছেেঠ ওই সকল হলুদ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ধারীরা। পাইকগাছার মফস্বল থেকে প্রতিদিনই নীরব চাঁদাবাজীর খবর আসলেও কেউ মুখ খুলছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ঘের মালিক এ প্রতিনিধিকে জানান কয়েকদিন পর পর এসব সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে টাকা চাইতে আসে। কোন অপরাধ না করেও এসব সাংবাদিকদের তারা গোপনে চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের কিছু কর্তা-ব্যক্তিদের সাথেও এসব সাংবাদিকদের দহরম-মহরম দেখা যায়। ইতোমধ্যে প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা সরকার প্রণয়নের কাজ শেষ করেছে। মিডিয়াভূক্ত প্রতিটি পত্রিকার অডিট শেষ করেছে। অবিলম্বে তা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে পাইকগাছার অভজ্ঞি মহলের দাবী সরকারীভাবে টিম গঠন করে তথাকথতি হলুদ সাংবাদকি পরচিয় দানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পাইকগাছা প্রেসক্লাব, থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন-সাংবাদিকতা একটা মহান পেশা, এ পেশাকে যারা কলুষিত করছে তাদের বিরুদ্ধে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সদরের প্রেসক্লাবকে এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে দ্রুত ওয়েজবোর্ডের আওতায় প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা প্রনয়নেরও তাাগিদ দেন তিনি।

পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী সমিতির নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শনিবার সকালে সমিতির দ্বিতল ভবনের নবনির্মিত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু। সন্তোষ কুমার সরদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, আড়ৎদারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স ম আব্দুর রব, সাবেক সভাপতি শামিম হোসেন, ইউপি সদস্য আবু হাসান, মহিলা আ’লীগনেতা জুলি শেখ, বেলাল হোসেন, জাকির হোসেন, মেছের আলী সানা ও আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে সমিতির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপুকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭

এবার বৃক্ষমানবের পাশে এমপি নূরুল হক

প্রধানমন্ত্রী যেখানে আবুলের চিকিৎসার দায়ভার নিতে পারেন, সেখানে আমি সংসদ সদস্য হিসাবে আবুলের যে কোন সমস্যা সমাধানে পাশে থাকবো
এন ইসলাম সাগর, পাইকগাছা, খুলনা।
এবার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের পাশে এসে দাড়িয়েছেন পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। বসতবাড়ী নির্মাণকাজে বাঁধা প্রদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমপি নূরুল হকের সাথে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৌজন্য দেখা করতে গেলে সৃষ্ঠ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আবুলের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এমপি নূরুল হক। এ সময় এমপি হক বলেন, আবুলের বিরল রোগের চিকিৎসা এদেশে হবে কেউ কখনো কল্পনা করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিরল রোগ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে আবুল। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী বারবার মানবতা প্রতিষ্ঠায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। তিনি বলেন, সর্বশেষ মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবারও মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এ কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরুপ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব হিউম্যানিটি আখ্যায়িত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানে আবুলের বিরল রোগের চিকিৎসার দায়ভার নিতে পারেন, সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসাবে আবুলের যে কোন সমস্যার সমাধানে তার পাশে থাকবো বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসময় তিনি আবুলের বসতবাড়ীর নির্মাণ কাজ শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে পারেন এ জন্য থানার ওসি’কে নির্দেশ দেন।
    উল্লেখ্য, পাইকগাছা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের হতদরিদ্র মানিক বাজনদারের ছেলে আবুল বাজনদার (২৭) দীর্ঘদিন বিরল রোগে ভুগতেছিলেন। তার যখন ১৫ বছর বয়স তখন আঁচিল থেকে তার হাতে-পায়ে গাছের শিকড়ের ন্যায় মাংস বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধীরে ধীরে তা লম্বা হয়ে গাছের শিকড়ের আকৃতি ধারণ করে। বিরল এ রোগের কারণে সারা পৃথিবীতে সে বৃক্ষমানব হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। ভারত ও দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে কোন ফল লাভ না হওয়ায় বিরল রোগ থেকে মুক্তির আশা ছেড়ে দেয় আবুল বাজনদার। বিরল এ রোগের সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আবুলের চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন বর্তমান সরকার। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় আবুল। বার্ন ইউনিটের ডাঃ সামন্ত লালের তত্ত্বাবধায়নে সেখানে প্রায় ২ বছর চিকিৎসাধীন রয়েছে আবুল। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি তার প্রথম অপারেশন করা হয়। এ পর্যন্ত তার দুই হাতে ১৮ এবং দুই পায়ে ৬ বার সহ মোট ২৪ বার সফল অপারেশন করা হয়েছে। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও তার হাতে-পায়ে শক্ত মাংস বিশেষ রয়ে গেছে, ফলে এখনো কতদিন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকতে হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি বলে আবুল জানিয়েছে। বর্তমানে আবুলের ৪ বছরের জান্নাতুল ফেরদৌস তাহিরা নামে একটি কণ্যা রয়েছে। তার পাশে থেকে সার্বক্ষণিক সেবা করে যাচ্ছেন মমতাময়ী মা আমেনা বেগম ও অনন্যা প্রেমিকা স্ত্রী হালিমা বেগম। এদিকে তার চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা হওয়ায় সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম, এলাকা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আবুল পরিবারের মাথা গোজার জন্য এক শতক জমি না থাকায় ভাড়াটিয়া খুবড়ে ঘরে বসবাস করে আসছে। এ জন্য চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় অনেকের সহযোগিতায় বসবাসের জন্য পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল মৌজায় সামান্য কয়েক শতক জমি কেনে আবুল। কিন্তু একদিকে জমির মালিক মাখন লাল গংরা যাতায়াতের পথ বের করে দেয়নি। অপরদিকে ক্রয়কৃত জমির পাশের প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম বসতবাড়ী নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করায় বিপাকে পড়ে আবুল ও তার পরিবার। ইতোমধ্যে আবুলের পরিবার বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবুল নিজেই স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের সাথে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ব্যাপারে ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, আবুলের জমি ক্রয় করা সঠিক রয়েছে। তবে জমির মালিক যাতায়াতের পথ বের করে না দেওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিরসনের লক্ষে আমি কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জমির মালিক বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছে। আশা করছি তিনি দেশে আসলে দু’একদিনের মধ্যে বিষয়টি নিরসন হয়ে যাবে।