খুলনার পাইকগাছায় ঝিমিয়ে পড়েছে ১৮ দলীয় জোটের সাংগঠনিক কার্যক্রম। তফশীল ঘোষণার গত এক সপ্তাহে জোটের কোন কর্মসূচীতে দেখা মেলেনি বিএনপি’র কোন নেতাকর্মীকে। একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ায় বেশ আগে থেকেই মাঠে নেই জামায়াত-শিবির। এদিকে কর্মসূচী থেকে বিরত থেকে গা’ঢাকা দিয়েও গ্রেপ্তার থেকে নিজেদেরকে শেষ রা করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন জোট নেতারা। তফশীল ঘোষণার পর গত এক সপ্তাহে পুলিশ এ পর্যন্ত নাশকতা এড়াতে বিএনপি’র পৌর সভাপতিসহ জোটের কমপে ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
সূত্র মতে, জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা নিয়ে খুলনা-৬ আসন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে নির্বাচনী এ এলাকা বর্তমান মতাসীন আ’লীগের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে বলে ধারণা করা হলেও ’৯০ পরবর্তী সময় থেকে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে ধীরে ধীরে শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করে জামায়াত। নেতৃত্ব সংকটের কারণে ’৯৬ পরবর্তী সময় থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে ’৯০ দশকের শক্তিশালী জাতীয়পার্টি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বর্তমানে তৃতীয় সারির শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট মনোনীত প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্য শাহ্ মুহাম্মদ রুহুল ’৯১ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন মহাজোট মনোনীত আ’লীগের এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা। এদিকে মহাজোট সরকারের গত ৫ বছরে একসাথে কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি ১৮ দলীয় জোটের। শুরু থেকেই নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে এককভাবে ভূমিকা রেখে আসছিল জামায়াত। সরকারের শেষ মেয়াদে এসে অসংখ্য নেতাকর্মী আটক ও একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ায় দুর্বল হয়ে পড়ে দলটি। নিজেদেরকে অনেকটাই গুটিয়ে নেয় জোটের কর্মসূচী থেকে। শেষ মুহুর্তের হাল ধরে জোটের প্রধান বিএনপি। সংগঠণের বিবাদমান ৩টি গ্র“প পৃথক কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে রাজপথ সরগরম করে তুললেও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পর হতে গ্রেপ্তার এড়াতে গা’ঢাকা দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঝিমিয়ে পড়েছে জোটের সাংগঠনিক কার্যক্রম। এদিকে তফশীল ঘোষণার পর হতে নির্বাচনী কাজে বাঁধা সৃষ্টি ও নাশকতার আশঙ্খায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। ফলে গা’ঢাকা দিয়েও গ্রেপ্তার থেকে শেষ রা করতে পারছেন না জোট নেতাকর্মীরা। পুলিশের এসব অভিযানে সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর আটক হন পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম. মাফতুন আহমেদ, জেলা সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সরদার আব্দুল মতিন, ইউনিয়ন বিএনপিনেতা মোস্তফা গাজী ও জামায়াতনেতা এ্যাডভোকেট মোহতাছিম বিল্লাহ। এর আগে ২৭ নভেম্বর আটক হন সাবেক কমিশনার বিএনপিনেতা গাজী আব্দুস সালাম, জামায়াতনেতা আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুর রহমান, শেখ হাফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। ২৬ নভেম্বর আটক হন ইসলামী ঐক্যজোট উপজেলা আমীর মাওঃ সোলাইমান হুসাইন নোমানী। ২৫ নভেম্বর আটক হয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আসলাম পারভেজ ও বিএনপিনেতা সরদার মনিরুজ্জামান। এব্যাপারে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আবু সাঈদ জানান, পুলিশের গণগ্রেপ্তারের কারণে নেতাকর্মীদের রাজপথ তো দুরের কথা ঘরে থাকার উপায় নেই। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে অধিকাংশ নেতাকর্মী গা’ঢাকা দেয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই জোটের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। জামায়াতের দণি জেলা সেক্রেটারী মাওঃ গোলাম সরোয়ার জানান, পুলিশ প্রশাসন যেভাবে গ্রেপ্তার তৎপরতা শুরু করেছে এতে করে নেতাকর্মীরা স্বাধীনতাভাবে কর্মসূচী পালন করতে পারছে না। তবে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় না হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোটামুটিভাবে কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এএসপি সার্কেল (দাকোপ) প্রশান্ত কুমার দে ও ওসি এম. মসিউর রহমান জানান, কাউকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাশকতা ঘটাতে পারে এমন আশঙ্খায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ইতোমধ্যে কিছু লোক আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের এ দু’কর্মকর্তা জানান।
সূত্র মতে, জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা নিয়ে খুলনা-৬ আসন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে নির্বাচনী এ এলাকা বর্তমান মতাসীন আ’লীগের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে বলে ধারণা করা হলেও ’৯০ পরবর্তী সময় থেকে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে ধীরে ধীরে শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করে জামায়াত। নেতৃত্ব সংকটের কারণে ’৯৬ পরবর্তী সময় থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে ’৯০ দশকের শক্তিশালী জাতীয়পার্টি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বর্তমানে তৃতীয় সারির শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট মনোনীত প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্য শাহ্ মুহাম্মদ রুহুল ’৯১ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন মহাজোট মনোনীত আ’লীগের এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা। এদিকে মহাজোট সরকারের গত ৫ বছরে একসাথে কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি ১৮ দলীয় জোটের। শুরু থেকেই নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে এককভাবে ভূমিকা রেখে আসছিল জামায়াত। সরকারের শেষ মেয়াদে এসে অসংখ্য নেতাকর্মী আটক ও একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ায় দুর্বল হয়ে পড়ে দলটি। নিজেদেরকে অনেকটাই গুটিয়ে নেয় জোটের কর্মসূচী থেকে। শেষ মুহুর্তের হাল ধরে জোটের প্রধান বিএনপি। সংগঠণের বিবাদমান ৩টি গ্র“প পৃথক কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে রাজপথ সরগরম করে তুললেও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পর হতে গ্রেপ্তার এড়াতে গা’ঢাকা দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঝিমিয়ে পড়েছে জোটের সাংগঠনিক কার্যক্রম। এদিকে তফশীল ঘোষণার পর হতে নির্বাচনী কাজে বাঁধা সৃষ্টি ও নাশকতার আশঙ্খায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। ফলে গা’ঢাকা দিয়েও গ্রেপ্তার থেকে শেষ রা করতে পারছেন না জোট নেতাকর্মীরা। পুলিশের এসব অভিযানে সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর আটক হন পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম. মাফতুন আহমেদ, জেলা সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সরদার আব্দুল মতিন, ইউনিয়ন বিএনপিনেতা মোস্তফা গাজী ও জামায়াতনেতা এ্যাডভোকেট মোহতাছিম বিল্লাহ। এর আগে ২৭ নভেম্বর আটক হন সাবেক কমিশনার বিএনপিনেতা গাজী আব্দুস সালাম, জামায়াতনেতা আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুর রহমান, শেখ হাফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। ২৬ নভেম্বর আটক হন ইসলামী ঐক্যজোট উপজেলা আমীর মাওঃ সোলাইমান হুসাইন নোমানী। ২৫ নভেম্বর আটক হয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আসলাম পারভেজ ও বিএনপিনেতা সরদার মনিরুজ্জামান। এব্যাপারে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আবু সাঈদ জানান, পুলিশের গণগ্রেপ্তারের কারণে নেতাকর্মীদের রাজপথ তো দুরের কথা ঘরে থাকার উপায় নেই। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে অধিকাংশ নেতাকর্মী গা’ঢাকা দেয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই জোটের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। জামায়াতের দণি জেলা সেক্রেটারী মাওঃ গোলাম সরোয়ার জানান, পুলিশ প্রশাসন যেভাবে গ্রেপ্তার তৎপরতা শুরু করেছে এতে করে নেতাকর্মীরা স্বাধীনতাভাবে কর্মসূচী পালন করতে পারছে না। তবে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় না হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোটামুটিভাবে কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এএসপি সার্কেল (দাকোপ) প্রশান্ত কুমার দে ও ওসি এম. মসিউর রহমান জানান, কাউকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাশকতা ঘটাতে পারে এমন আশঙ্খায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ইতোমধ্যে কিছু লোক আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের এ দু’কর্মকর্তা জানান।
যেকোন মুহুর্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন খুলনা-৬ আসনের জাপানেতা মোস্তফা
দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে কোন মুহুর্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন বলে জানিয়েছেন খুলনা-৬ আসনে জাতীয়পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর। দলের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ মঙ্গলবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো এবং মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার একদিন পর বুধবার দলীয় চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পাইকগাছা উপজেলা জাপার সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে জাপা নেতা মোস্তফা জানান, গণতন্ত্রের ধারা অব্যহত রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আর এ জন্য জাতীয়পার্টি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং খুলনা-৬ আসনে দলীয় মনোনীতপ্রার্থী হিসেবে গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেন। এখন দেশের জাতীয় স্বার্থে জাতীয়পার্টি যদি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায় এবং পার্টির চেয়ারম্যান যদি মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেয় সে েেত্র পার্টির চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে বলে তিনি জানান। এেেত্র দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও সিদ্ধান্ত পেলেই যে কোন মুহুর্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জাপা মনোনীত এ নেতা জানান।
সম্পাদনায়
নিউজ অফ পাইকগা্ছা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন