বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭

পাইকগাছা উপকূল সাহিত্য পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাইকগাছা উপকূল সাহিত্য পরিষদের এক প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে সংগঠণের আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপকূল সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী। উপস্থিত ছিলেন, শাহিনা বাবর, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ সরকার, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডল, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, মোজাফফার হাসান, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, হিরন্ময় রায়, প্রাণকৃষ্ণ দাশ, পঞ্চানন সরকার, কবি মুনছুর হাসান, প্রভা রঞ্জন বিশ^াস ধীরাজ ও শংকর মন্ডল। সভায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপকূল সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ এবং ৩০ ডিসেম্বর মাইকেল মধুসুধন দত্তের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে সাহিত্য সফরের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

পাইকগাছায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র সাথে বীজ ও সার ডিলার সমিতির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার সমিতির পাইকগাছা উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে পৃথক পৃথকভাবে মতবিনিময় ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান এবং সবশেষে উপজেলা কৃষি অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মতবিনিময় শেষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার সমিতির উপজেলা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম লাভলু, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাধু, মোঃ কামরুল ইসলাম, আলহাজ¦ মোঃ জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মহাদেব কুমার মন্ডল, প্রচার সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ আলী, হাফেজ আবুল কাশেম, দেবযানী সরদার, আইয়ুব আলী, আলিমুজ্জামান, রেজাউল করিম, সুদাম সাধু, খুচরা সার বিক্রেতা নারায়ণ সাধু, হাসান মোড়ল, সাইদুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম মিলন, প্রভাষক আজিজুর রহমান, মারুফ, ইউপি সদস্য হামিদ গাজী ও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। মতবিনিময়কালে সমিতির নেতৃবৃন্দ উপজেলা সার, বীজ মণিটরিং কমিটিতে সমিতির প্রতিনিধিকে সদস্য অন্তর্ভূক্ত, বিএডিসি’র উপজেলাস্থ নিজস্ব জায়গায় সরকারি গুদাম নির্মাণ, খুচরা সার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্লিপ পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বাতিলকরণ এবং সার ও বীজের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।

পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের এক প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল আউয়াল, ওসি (তদন্ত) এস,এম, শাহাদাৎ হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু। উপস্থিত ছিলেন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজন কুমার সরকার, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস, কৃষি অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবদীন, প্রকৌশলী আবু সাঈদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান, সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সুব্রত কুমার দত্ত, বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী জয়া রাণী রায়, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ সরকার, প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, যুগ্ম সম্পাদক এন. ইসলাম সাগর, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, অধ্যাপক জি,এম,এম, আজহারুল ইসলাম, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, রেবা আক্তার কুসুম, বজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সরদার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, পৌর ইমাম পরিষদের সহ-সভাপতি মাওঃ সামছুদ্দীন, আজহারুল ইসলাম লাভলু সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ। সভায় আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

পাইকগাছায় অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় অন্তস্বত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৃতের স্বামী তারক চন্দ্র মন্ডল। উপজেলার খড়িয়া ঠাকুরবাড়ীর চক গ্রামের হরিপদ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে তারক চন্দ্র মন্ডল বুধবার সকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী ভারতী রানী মন্ডলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভুল চিকিৎসা ও পাইকগাছা সার্জিক্যাল ক্লিনিককে জড়িয়ে গত মঙ্গল ও বুধবার বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৫ নভেম্বর রাতে আমার স্ত্রীর পেটে ব্যথা শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশকে দেখানোর জন্য পরের দিন রোববার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে পাইকগাছায় যায়। পরে সেখানে গিয়ে জানতে পারি ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ পাইকগাছা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে নিজস্ব চেম্বারে অবস্থান করছেন। সকাল ৭টার দিকে ক্লিনিকস্থ চেম্বারে নিয়ে গেলে ডাক্তার দেখার পর আমার স্ত্রীকে দ্রুত খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখন আমরা ডাক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তার পুরনায় স্ত্রীকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে দুপুরের দিকে স্ত্রী কিছুটা সুস্থ্য হলে সোমবার তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ডাক্তার আমার স্ত্রীকে ক্লিনিকে দেখতে পেয়ে আমাদেরকে বলেন, তোমরা এখনো রোগীকে খুলনায় নিয়ে যাওনি। তখন আমরা পরের দিন নিয়ে যাওয়ার কথা বললে ডাক্তার আমাদেরকে দ্রুত খুলনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ডাক্তারের কথা শুনে রোগীকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমি আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকি। এমতবস্থায় রাত ৮টার দিকে ভাত খাওয়া শেষ করারপর স্ত্রী ভারতী রানী মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ সময় ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ ও এমবিবিএস ডাঃ যতীন্দ্রনাথ মন্ডল রোগীকে সুস্থ্য করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। চেষ্টার এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করে। আমার স্ত্রীর মৃত্যুর পিছনে চিকিৎসকদের যেমন কোন গাফিলতি ছিল না। তেমনি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষও কোন দায়ি ছিল না। কারণ মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আমার স্ত্রীকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়নি। মৃত্যুর পর আমি বা আমার পরিবারের কোন সদস্য কোথাও কোন অভিযোগ না করলেও আমার স্ত্রীর ভগ্নিপতি পরিচয়ের জনৈক সুজিত এর নাম ব্যবহার করে মঙ্গল ও বুধবার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে চিকিৎসকের গাফিলতি ও পাইকগাছা সার্জিক্যাল ক্লিনিককে জড়ানো হয়। এ ধরণের খবর দেখে পরিবারের সবাই আমরা বিষ্মিত হয়েছি। এ ধরণের খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মৃতের স্বামী তারক চন্দ্র মন্ডল প্রশাসন ও এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তারক জানান, তার শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন অসুস্থ্য থাকায় এখানে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র ৩ নেতার মুক্তিলাভ

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
অবশেষে আটকের প্রায় এক মাস পর জামিন লাভের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সহ ৩ নেতাকর্মী। বুধবার সকাল ৯টার দিকে খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তিপান উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ, ১নং যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু এবং সাবেক ছাত্রনেতা ইসরাফিল আহম্মেদ। কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তি প্রাপ্ত নেতাকর্মীরা খুলনা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল আলম মনা’র বাসভবনে যান। এ সময় শফিকুল আলম মনা তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর বিকালে নিজ এলাকায় পৌছানোর সময় কপিলমুনি থেকে পৌর সদর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এসময় তাদের সাথে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক সহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত  ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে কয়রা
উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বাবুরাবাদ গ্রামের বাড়ী থেকে কয়রা থানা পুলিশ আটক করেন কয়রা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলালের ভাই জাহিদুল বারি রনি, রূপসা উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি বিকাশ মিত্র, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ, ১নং যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু এবং সাবেক ছাত্রনেতা ইসরাফিল আহম্মেদ সহ বিএনপি’র ৯ নেতাকর্মীকে। পরে এসআই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগ এনে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় নাশকতার মামলা করেন, যার নং- ২। এ মামলায় আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠালে আসামীদের পক্ষ থেকে প্রথমে খুলনার জজ কোটে জামিন ধরলে একমাত্র এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলামের জামিন হয়। পরবর্তীতে বাকী আসামীরা পৃথক পৃথক ভাবে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে গত ২২ নভেম্বর পাইকগাছার ৪ নেতাকর্মী উচ্চ আদালতে জামিন লাভ করে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭

পাইকগাছায় বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের দু’গ্রুপের কর্মী সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে

বিশেষ প্রতিবেদক
পাইকগাছা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের দু’গ্রুপের কর্মী সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে সকালে দু’গ্রুপ কর্মী সমাবেশ আহবান করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
    সুত্রমতে-জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম শুক্রবার সকাল ৯টায় আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশ আহবান করে, একই সময় বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক (প্রস্তাবিত) নিরাঞ্জন সরদারও কর্মী সমাবেশ আহবান করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে দু’পক্ষের সমাবেশ বন্ধের জন্য আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

পাইকগাছায় ভোলানাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছার ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদিউজ্জামানের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ পত্র অবৈধ উল্লেখ করে এমপিও থেকে নাম কর্তন ও প্রধান শিক্ষক পদের প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার দাবী জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন অভিভাবক বৃন্দ।
    প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বদিউজ্জামান গত ২৬/৭/২০০০ তারিখে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পত্র পান এবং ১/৮/২০০০ তারিখে এ পদে তিনি ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অত্র বিদ্যালয়ে ১৮/৭/২০০০ তারিখ শা:/অনুদান ৫/১৭ (অংশ-১১/৫৪০(১৭০) শিক্ষা-অনুযায়ী পদ সৃষ্টি করেন বা শ্রেণী শাখা খোলেন। শ্রেণী শাখা দুটি হচ্ছে ৭ম (খ) ও ৮ম (খ)। উক্ত শাখার বিপরীতে তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত কোন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হবে না এই মর্মে বোর্ডে অঙ্গীকার করে শ্রেণী শাখা খোলা হয়। এ ছাড়া স্বারকের খ নংএ উল্লেখ রয়েছে প্রত্যেক শ্রেণী শাখার বিপরীতে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে। তবে কোন তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। উক্ত পরিপত্র ও মন্ত্রণালয়ের নিয়মাবলী উপেক্ষা করে শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। শিক্ষক বদিউজ্জামানের দাখিল তৃতীয় ১৯৯০, এইচএসসি দ্বিতীয় ১৯৯৩, বিএ তৃতীয় ১৯৯৮ সাল হওয়া সত্ত্বেও তিনি কিভাবে নিয়োগ পেলেন এবং বেতন ভাতা ছাড় করালেন তার রহস্য এলাকাবাসী জানতে চেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বরাবর এলাকাবাসীর অভিযোগ করা রয়েছে। এছাড়া শুক্রবার অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পদের একজন প্রার্থী হিসাবে শিক্ষক বদিউজ্জামান অংশ নিচ্ছেন বিধায় তার কাগজপত্র যাচায় পূর্বক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা সহ এমপিও থেকে যাতে বাদ পড়ে তার বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রহিম গাজী ও কাদের নামের অভিভাবক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছি বলে স্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবদীন। অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষক বদিউজ্জামান জানান, নিয়োগের পর যতদিন জটিলতা নিষ্পত্তি হয়নি ততদিন আমি  কোন বেতন ভাতা উত্তোলন করিনি। বিষয়টি নিস্পত্তি করার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে শিক্ষকতা করছেন এবং বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে বদিউজ্জামান জানিয়েছেন।

পাইকগাছায় বিধবার মৎস্য ঘেরে হামলা ও ভাংচুর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
    পাইকগাছায় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিধবাদের ভোগদখলে থাকা সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা ও নালিশী সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে মৎস্য ঘেরের বাসা ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মৎস্য ঘেরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ক্ষতিসাধন করে।
    প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর মৌজার এসএ ২৭০ খতিয়ানের ২.৭০ একর নালিশী সম্পত্তি নিয়ে মৃত মনোরঞ্জন বাছাড়ের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বাছাড় গংদের সাথে কেঁওড়াতলা গ্রামের ধরমচাঁদ মন্ডলের ছেলে সুকুমার মন্ডল গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। নালিশী সম্পত্তির মূল মালিক থাকেন কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত নবীন মন্ডলের ছেলে মৃত জলধর মন্ডল। তিনি মারা যাওয়ার পর সম্পত্তির মালিক হন স্ত্রী সুবর্ণ বেওয়া ও দুই কণ্যা কুচলী দাশী ও বিমলা বাছাড়। কুচলীর কোন ছেলে সন্তান না থাকায় সম্পত্তির মালিক হন বিমলার ৩ ছেলে সনাতন, পরিতোষ ও মনোরঞ্জন বাছাড়। এদের মধ্যে সনাতন ও মনোরঞ্জন মারা যাওয়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির মালিক হন বিমলার ছেলে পরিতোষ, মনোরঞ্জনের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বাছাড় ও সনাতনের ছেলে রবীন বাছাড়। সন্ধ্যা রানী গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত নালিশী সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। উক্ত সম্পত্তি কেঁওড়াতলা গ্রামের ধরমচাঁদ মন্ডলের ছেলে সুকুমার মন্ডল গংরা দানপত্র মূলে দাবী করে স্বত্ব প্রমাণ করার জন্য সন্ধ্যা রানী গংদের বিরুদ্ধে ৪র্থ যুগ্ম জজ আদালত খুলনায় ৯/০১ মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করেন। গত ১৮/০৩/২০১১ তারিখে বিজ্ঞ আদালত বাদী সুকুমার গংদের পক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদী সন্ধ্যা রানী গংরা খুলনা জেলা জজ আদালতে ২৩/০১ নং মিস আপিল দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত মূল মামলার ১৮/০৩/২০০১ তারিখের নিষেধাজ্ঞার আদেশটি ৩/০১/২০০৩ তারিখে রদ ও রহিত হয় মর্মে আদেশ দেন এবং নালিশী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির মূল মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ার পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থায় বজায় রাখার আদেশ দেন। আদালতের এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে সুকুমার গংরা কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি উল্লেখ করে নালিশী সম্পত্তি কৃষ্ণনগর গ্রামের লিয়াকত আলী গাজীর ছেলে ইসমাইল হোসেন টুকুর নিকট লীজ ডিড দেন। এ আলোকে ইসমাইল ও তার লোকজন গত শুক্রবার দুপুরে সন্ধ্যা রানীদের ভোগ দখলে থাকা নাশিলী সম্পত্তির মৎস্য ঘেরে হামলা চালিয়ে দখল চেষ্টা করে এবং দখল চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে ঘেরের বাসা ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করলে তিনি নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়ে ব্যার্থ হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা দুর্দান আলী গাজী জানান, সুকুমার ও টুকু গংদের হয়রানী ও অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হচ্ছে বলে বিধবা সন্ধ্যা রানী জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

খুলনা-৬ আসনে সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে

আ’লীগ-বিএনপি’র একাধিক, জাপা-সিপিবি’র একক
বিশেষ প্রতিনিধি, পাইকগাছা, খুলনা ॥
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে (পাইকগাছা-কয়রা) ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য একাধিক তরুণ প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেকেই ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা ও নানা মাধ্যমে প্রার্থী হওয়া কিংবা মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়টি তুলে ধরছেন। অনেকেই করছেন গণসংযোগ ও মতবিনিময়, অনেকের আবার প্রচার-প্রচারণা সীমাবদ্ধ রয়েছে প্যানা ও ফেস্টুনের মধ্যে। সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থীদের মধ্যে অন্যান্য দলের একক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও আ’লীগ ও বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
    উল্লেখ্য, জেলার কয়রার ৭টি ও পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে খুলনা-৬ আসন গঠিত। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাদে প্রায় প্রত্যেকটি নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরায় মনোনয়ন পেয়ে আসছেন। একমাত্র ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুলনা-৬ আসন থেকে তরুণ উদীয়মান প্রার্থী হিসাবে এ্যাডঃ স ম বাবর আলী মুক্তিযোদ্ধাকে দলীয় মনোনয়ন দেন। তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারের সর্বকণিষ্ঠ সংসদ সদস্য ছিলেন স ম বাবর আলী। এরপর থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে এ আসন থেকে বিভিন্ন দলের প্রবীণ ব্যক্তিরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আসছেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন দলের একঝাক তরুণ উদীয়মান প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নির্বাচনী ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কমপক্ষে ৩-৪ জন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন। যার মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের বড় ছেলে আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, দলীয় ভাবে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য। এরআগে তিনি ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পান নি। দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। আ’লীগের সম্ভাব্য অপার প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, এর আগে তিনি মনোনয়ন না চাইলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি দু’উপজেলার সর্বত্রই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরেক তরুণ প্রার্থী হলেন, খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান বাবু, তিনিও দীর্ঘদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। অপরদিকে জাতীয় পার্টির একক সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য, জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পাইকগাছা উপজেলা জাপা’র আহবায়ক মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর। জাপানেতা মোস্তফা ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও দলের সিদ্ধান্তের কারণে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অনুরূপভাবে সম্ভাব্য একাধিক তরুণ প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র। বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ও খুলনা জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে এ দু’প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে আ’লীগ ও জাপা প্রার্থীদের তুলনায় বিএনপি’র এই দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা খুবই কম। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) থেকে সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থী হিসাবে উপজেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সানা মহিম এর নাম শোনা যাচ্ছে। খুলনা-৬ আসন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ, জামায়াত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির উভয়ের জন্য এ আসনটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাংগঠনিক ও ভোটের দিক থেকে আ’লীগ ও জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এ জন্য জোটগত নির্বাচন হলে তরুণ প্রার্থীদের দলীয় ভাবে কতটা মূল্যায়ন করা হতে পারে সেটা এখন সময়ের ব্যাপার বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

রাত পোহালেই পাইকগাছা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন; লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
রাত পোহালেই সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাইকগাছা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পৌর সদরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পৌর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ইতোমধ্যে রোববার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিটির সদস্য দেবব্রত সরকার দেবু জানান, ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এবারের নির্বাচনে ৫টি পদের বিপরীতে ১৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি জগন্নাথ সানা (ছাতা) প্রতীকে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাশ দেবু (চেয়ার) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। সহ-সভাপতি পদে নির্মল কুমার মন্ডল (রিক্সা), পরিতোষ কুমার মন্ডল (মই) ও সুশীল কুমার সানা (মাছ), সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক শিবপদ নাথ (মোমবাতি) ও বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ (প্রজাপতি), কোষাধ্যক্ষ পদে মনোজিত কুমার মন্ডল (টিউবওয়েল), সুধীর কুমার মন্ডল (মটরসাইকেল) ও সুভাষ চন্দ্র সরকার (গরুরগাড়ী), সদস্য পদে যথাক্রমে আমিনুল ইসলাম (দেওয়াল ঘড়ি), নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল (বল), পলাশ মিস্ত্রী (বই), প্রশান্ত রায় (হাতি), প্রসাদ কুমার মিস্ত্রী (মোরগ), মুকুল মন্ডল (পাখা) ও সুদীপ সরকার (ডাব) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এদিকে সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যবসায়ী সংগঠনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর।

শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭

আওয়ামীলীগে জামায়াত, শিবির ও কাউয়া নেতাদের স্থান নেই-জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে জামায়াত-বিএনপি চক্র সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি আ’লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনকে বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে অনেকেই আওয়ামীলীগে যোগদান করছেন। তবে জামায়াত, শিবির ও কোন কাউয়া নেতার আওয়ামীলীগে স্থান নেই উল্লেখ করে এ ধরণের কেউ যাতে দলে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য তিনি সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম শামছুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা একটি ভোটও পায়না, জনগণ যাদের প্রত্যাখান করে সেই ধরণের নেতাদের দলে প্রয়োজন নাই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দিবে দ্বিধাবিভক্ত না হয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। তিনি শনিবার বিকালে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পাইকগাছা পৌরসভা যুবলীগ আয়োজিত বিশাল যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। পাইকগাছা পৌরসভা মাঠে পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হাদি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ শেখ মোঃ শহীদ উল্লাহ, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা গাজী রফিকুল ইসলাম, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, আ’লীগনেতা লুৎফর রহমান, শেখ মনিরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, রতন ভদ্র, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জামিল খান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, জেলা যুব স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম খান, আরিফ চৌধুরী, জেলা তরুণ লীগের সভাপতি আমিন বেগ, সাধারণ সম্পাদক তাপস জোয়াদ্দার, অনুপম বিশ্বাস, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক সুমন আহমেদ খান, যুগ্ম-আহবায়ক বনানী রায়, জেলা যুবলীগনেতা বিধান রায়, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, আব্দুল মান্নান গাজী, নাহার আক্তার। পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র রায়ের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, গোপাল ঘোষ, ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস, রিপন কুমার মন্ডল, আ’লীগনেতা বিজন বিহারী সরকার, আখতারুজ্জামান সুজা, মুনছুর আলী গাজী, হেদায়েত আলী টুকু, সরদার গোলাম মোস্তফা, যুবলীগনেতা শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, শেখ শহীদ হোসেন বাবুল, শেখ মাসুদুর রহমান, প্রণব কান্তি মন্ডল, শেখ জিয়াদুল ইসলাম, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, আসিফ ইকবাল রনি, তরুণলীগনেতা মিনারুল ইসলাম সানা, মহিলা আ’লীগনেত্রী খাদিজা আক্তার, জুলি শেখ, পাপিয়া সরোয়ার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিনুর রহমান লিটু, বর্তমান সভাপতি এসএম মশিয়ার রহমান, পৌর সভাপতি মাসুদ পারভেজ রাজু, সাধারণ সম্পাদক রায়হান পারভেজ রনি সহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের শুরুতেই প্রধান অতিথি শেখ হারুনুর রশীদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন সোলাদানা ইউনিয়নের ৮ বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএমএ মাজেদ সহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

পাইকগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সচিব সহ আহত- ৮


পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সচিব সহ একই পরিবারের কমপক্ষে ৮জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগ জানাগেছে, শুক্রবার বিকালে লতা ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে শুক্রবার বিকালে ইউনিয়নের মুনকিয়াস্থ দেলুটি ইউপি সচিব ধীমান মল্লিক গংদের বিরোধপূর্ণ জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে প্রতিপক্ষ দীপায়ন মল্লিক গংরা ধীমান মল্লিক গংদের উপর হামলা করে। এতে শান্তিরঞ্জন মল্লিকের ছেলে ধীমান মল্লিক (৪০), মনি শান্ত মল্লিক (৩৬), মৃত অনীল মল্লিকের ছেলে কৃষ্ণপদ মল্লিক (৫০), কৃষ্ণপদ মল্লিকের ছেলে বিচিত্র মল্লিক (২৯), বিক্রম মল্লিক (২৪), শান্তিরঞ্জন মল্লিকের স্ত্রী কল্পনা মল্লিক (৫৪), নারান চন্দ্র মল্লিকের স্ত্রী শান্তিলতা মল্লিক (৪৫) ও মনি শান্ত মল্লিকের স্ত্রী অর্চনা মল্লিক (২৫) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ইউপি সচিব ধীমান মল্লিক বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ৮জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দাখিল করেছে।

পাইকগাছায় মোহনা টিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত


পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় মোহনা দর্শক ফোরামের উদ্যোগে মোহনা টিভি’র প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে র‌্যালী, কেককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পাইকগাছা কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে কেককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোহনা টিভির পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি তৃপ্তি রঞ্জন সেন এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এড. স ম বাবর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ, পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিহির বরন মন্ডল, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম এ রাজ্জাক, গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির উপজেলা সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন। প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ এর পরিচালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এম মোসলেম উদ্দীন আহম্মেদ, যুগ্ম-সম্পাদক এন ইসলাম সাগর, দপ্তর সম্পাদক ¯েœহেন্দু বিকাশ, সাবেক সভাপতি গাজী সালাম ও জি এম মিজানুর রহমান, সাবেক সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিন্টু ও এস এম আলাউদ্দীন সোহাগ, বি সরকার, এস এম বাবুল আক্তার, পুর্ণ মন্ডল, সমাজ সেবা অফিসের মোঃ নাজিমউদ্দীনসহ কলেজের শিক্ষক মন্ডলী ও সুধীজন।