বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র ৩ নেতার মুক্তিলাভ

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
অবশেষে আটকের প্রায় এক মাস পর জামিন লাভের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সহ ৩ নেতাকর্মী। বুধবার সকাল ৯টার দিকে খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তিপান উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ, ১নং যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু এবং সাবেক ছাত্রনেতা ইসরাফিল আহম্মেদ। কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তি প্রাপ্ত নেতাকর্মীরা খুলনা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল আলম মনা’র বাসভবনে যান। এ সময় শফিকুল আলম মনা তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর বিকালে নিজ এলাকায় পৌছানোর সময় কপিলমুনি থেকে পৌর সদর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এসময় তাদের সাথে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক সহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত  ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে কয়রা
উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বাবুরাবাদ গ্রামের বাড়ী থেকে কয়রা থানা পুলিশ আটক করেন কয়রা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলালের ভাই জাহিদুল বারি রনি, রূপসা উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি বিকাশ মিত্র, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ, ১নং যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু এবং সাবেক ছাত্রনেতা ইসরাফিল আহম্মেদ সহ বিএনপি’র ৯ নেতাকর্মীকে। পরে এসআই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগ এনে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় নাশকতার মামলা করেন, যার নং- ২। এ মামলায় আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠালে আসামীদের পক্ষ থেকে প্রথমে খুলনার জজ কোটে জামিন ধরলে একমাত্র এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলামের জামিন হয়। পরবর্তীতে বাকী আসামীরা পৃথক পৃথক ভাবে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে গত ২২ নভেম্বর পাইকগাছার ৪ নেতাকর্মী উচ্চ আদালতে জামিন লাভ করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন