সোমবার, ১৬ মে, ২০১৬

বিদ্যুৎ বিভ্রাট-জনভোগান্তি-১; আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই পাইকগাছা-কয়রায় বিদ্যুৎ চলে যায়

বিগত কয়েকদিন নিউজ অফ পাইকগাছাকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করা হচ্ছিল। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যমতে প্রকাশ করা হলো

#বিশেষ প্রতিনিধি।। পাইকগাছাঃ আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই জেলার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় বিদ্যুৎ চলে যায়, আর সামান্য যদি ঝড়ো হাওয়া হয়েছে তো দু’এক দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা পাওয়া মুশকিল। অথচ বিগত দীর্ঘ প্রায় এক বছর যাবৎ বিদ্যুতের খুঁটি ও সোর্স লাইনের উন্নয়নমূলক কাজের অযুহাতে খুলনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা’য়) দিনরাতের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিদিন ভোররাত থেকে বিকাল ৪টা-৫টা পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। পাইকগাছা-কয়রা’র প্রায় ত্রিশ হাজার গ্রাহক বিষয়টি সহ্য করেছিল পরবর্তিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাবার আশায়।

#অথচ এখনও বিদ্যুৎ প্রাপ্তির পরিস্থিতি যা’ তাই’ই। বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে লোডশেডিং যেন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অসহনীয় লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানান, সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকালে আকাশে মেঘ জমে সামান্য ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে অমনি বিদ্যুৎ চলে যায়। আর টানা ১৯ ঘন্টা পর অর্থাৎ পরদিন শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিদ্যুতের দেখা মেলে। ১৯ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ এলেও সারাদিনই অসংখ্যবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। আর এ রিপোর্ট লেখার (সন্ধ্যা পৌনে ৭টা) সময়ও লোডশেডিং চলছিল। বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে চরম বৈষম্যের শিকার খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা’র) প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক রীতিমত ফুঁসে উঠেছেন। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুতের ঘন ঘন ট্রিপ ও দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন মানুষজন।

স্থানীয় গ্রাহকরা বিগত কয়েকদিন নিউজ অফ পাইকগাছাকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করে আসছিল। বিভিন্ন অভিযোগ জানা যায়, বিগত প্রায় এক বছর যাবৎ সোর্স লাইনের উন্নয়নমূলক কাজের নামে পাইকগাছা-কয়রায় বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবুও এখনও আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আর সামান্য যদি ঝড়ো হাওয়া হয়েছে তো দু’এক দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায়নি। সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারণে সরাসরি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল এমন ব্যবসা-বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে। ওদিকে দিনভর পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং থাকা সত্বেও প্রত্যহ সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ থাকবে না এটাই যেন স্বাভাবিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে চরম বৈষম্যের শিকার পাইকগাছা-কয়রাবাসি নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন