সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

পাইকগাছায় একাধিক মামলার আসামী আরশাদ বিশ্বাসের খুঁটির জোর কোথায়

বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা থেকে॥
খুলনার পাইকগাছায় একাধিক মামলার আসামী আরশাদ আলী বিশ্বাসের খুটির জোর কোথায়। দখল, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা ও শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১২ সাল থেকে একের পর এক মামলার আসামী আরশাদ আলী বিশ্বাস। পাইকগাছার রাড়–লী ইউপি’র শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মৃত মেহের বিশ্বাসের পুত্র আরশাদ আলী বিশ্বাস (৩৮)।
মামলা সুত্রে জানাযায়-২০১২ ও ২০১৪ সালে শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের নাছিমা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে তপশীল ঘের লুটপাট ও জীবননাশের নামের হুমকির অভিযোগ এনে সিআর ৬৬২/১২ ও ৩০৯/১৪নং মামলা দায়ের করে যার প্রধান আসামী আরশাদ আলী বিশ্বাস। ২০১৩ সালে শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মোজাম গাজীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে একই ব্যক্তিকে প্রধান আসামী করে পাইকগাছা থানায় মারপিট, হত্যা চেষ্ঠা, চুরি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন যার নং-১৯ তাং-১০/১০/১৩। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের ছদর উদ্দীন সরদারের পুত্র সরদার আবুল কালাম (৩৫) বাদী হয়ে আরশাদ আলী বিশ্বাসকে ১নং আসামী করে পাইকগাছা থানায় মামলা করে যার নং-২১/তাং-২৪/১২/১৫। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় শ্রীকন্ঠপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে ১নং আসামীর সাথে বাদীর কথাকাটির এক পর্যায়ে আরশাদ আলী বিশ্বাস ও তার লোকজন বাদীকে লাঠি ও শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে আহত করে। সর্বশেষ শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলী মিস্ত্রীর পুত্র হানেফ মিস্ত্রী (৪৫) বাদী হয়ে ওই ব্যক্তিকেই ১নং আসামী করে চাঁদাবাজি, চুরি ও মদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করার অভিযোগে এনে পাইকগাছা থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করে যার নং-১৪/তাং-২০/০৫/১৬। এছাড়াও আরো কয়েকটি মামলা আদালত ও থানায় হয়েছে। একাধিক মামলার আসামী হওয়া স্বত্বেও বীরদর্পে এখনো তার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এলাকায়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন আরশাদ বিশ্বাসের খুঁটির জোর কোথায়। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হোক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন