রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় প্রতিবেশীর হামলায় ব্যবসায়ী আহত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় প্রতিবেশী প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে কমল দাশ (২১) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ব্যবসায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় মামুদকাটী বাজারে মারপিটের এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার মামুদকাটী গ্রামের শ্রীদাম দাশের ছেলে আহত ব্যবসায়ী কমল দাশ জানান, কপিলমুনি বাজারে আমার একটি দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীক কাজে প্রতিদিন আমাকে কপিলমুনি বাজারে থাকতে হয়। ঘটনার দিন শুক্রবার হওয়ায় আমি দুপুরের দিকে বাড়ি চলে আসি। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী কালবাটের নিকট বসে থাকি। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী হরেণ দাশ আমাকে সেখান থেকে মামুদকাটী বাজারের ডাঃ মিজানের চেম্বারে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় হরেন ও তার লোকজন আমাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষদের লোকজন মামলা না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে কমলের মা জানিয়েছেন।

পাইকগাছায় দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নমূলক কাজের প্রাক্কলন মোতাবেক বাস্তবধারণা প্রদান বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগ, উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র সহায়তায় রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ, জাইকা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী আসমাউল হুসনা, ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস, কওছার আলী জোয়াদ্দার, ইউপি সদস্য ইজাহার আলী, সুষমা রানী রায়, কৃষ্ণ রায়, মোস্তাফিজুর রহমান, ফারুক আহম্মেদ, শিউলী সরকার ও রেক্সোনা খাতুন। ওরিয়েন্টেশনে হরিঢালী, কপিলমুনি ও লতা ইউনিয়নের সকল জনপ্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

পাইকগাছার ইউপি চেয়ারম্যানের কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙ্গনে আগড়ঘাটা বাজারের আংশিক, মালথের আরজ মোড়লের বাড়ি হতে হাবিবনগর, দরগামহল ও রামনাথপুর এলাকার রাস্তা-ঘাট, অসংখ্য বাড়ী-ঘর ও শত শত বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এদিকে রোববার সকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দীন, ইজাহার আলী, যুবলীগনেতা অহেদুজ্জামান, শাহিদুজ্জামান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পাইকগাছা পৌর বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপি’র উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শনিবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর বিএনপি’র আহবায়ক এড. জিএম আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ। প্যানেল মেয়র এসএম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সেলিম রেজা লাকী, কাউন্সিলর কামাল আহম্মেদ সেলিম নেওয়াজ, কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, স ম আব্দুল জব্বার, আতাউর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ইমরান সরদার, মোস্তফা মোড়ল, শেখ রুহুল কুদ্দুস, মতলেব গাজী, জিয়া উদ্দীন নায়েব, রাজিব নেওয়াজ, এসএম টুকু, রুস্তম আলী, মোহাম্মদ গাজী, আব্দুল করিম, জিএম সাবেরী, দিপংকর সরদার বাবু, নাজমুল হুদা মিন্টু, অলিউর রহমান, আব্দুর রহমান জনি, সাইফুদ্দীন সুমন, ইমদাদুল হক, সেলিম, খলিলুর রহমান ও আব্দুর রহমান।

শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় ইউপি’র ছাদে প্রতিবন্ধি ভিক্ষুককে ধর্ষন

পাইকগাছা (খুলনা)
পাইকগাছায় শাড়ী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত শনিবার এক ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ের ছাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে থানায় রুজু করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ওই যুবতী (২৫) জানান, প্রতি শনিবার হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী (রাজু) প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের উন্নতমানের খাবার দিয়ে থাকেন। ঘটনার দিন গত শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে খাবার খেতে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর একই গ্রামের সামছুর মজলিশের ছেলে আলাউদ্দীন (৩২) শাড়ি-কাপড় দেওয়ার কথা বলে ওই ভবনের ছাদে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা জানাজানি হয় আজ বৃহস্পতিবার। এদিন বিকেলে কথিত ধর্ষিতা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিচার দাবি করেন। থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। ঘটনার ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে জানা যায়, তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭

জগদীশ রায় উপজেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা উপজেলার শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শহীদ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জগদীশ চন্দ্র রায়। গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক উপজেলা কমিটির এক সভায় উপজেলার ১৬৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি’কে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয় বলে সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, জগদীশ চন্দ্র রায় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় দিবস উদযাপন, মিড ডে মিল কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহ প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭

জনপ্রশাসন পদক পাওয়ায় উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিনকে বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন পাইকগাছার কৃতি সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কন্যা উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি গত রোববার খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ এর নিকট থেকে পদক গ্রহণ করেন। এদিকে গৌরবময় অর্জনের স্বীকৃতি স্মরূপ জন প্রশাসন পদক পাওয়ায় সাবিনা ইয়াসমিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জন্মস্থান পাইকগাছার বিভিন্ন মহলের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. শেখ মোঃ নূরুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স ম বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বনানী সংঘের সভাপতি জিএমএম আজাহারুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডাঃ শেখ মোঃ শহীদ উল্লাহ, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. শেখ তৈয়েব হোসেন নূর, উপকূল সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক সরদার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, শিবসা নন্দনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের সভাপতি সুরাইয়া বানু ডলি, ইউনিটি ফর হিউম্যান রাইটস এর সভাপতি এড. শফিকুল ইসলাম কচি, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক এন ইসলাম সাগর সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পাইকগাছায় স্বাস্থসেবা গ্রহীতা ফোরামের কমিটি গঠন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থসেবা গ্রহীতা ফোরাম গঠনের লক্ষ্যে এক সভা মঙ্গলবার সকালে বনানী সংঘ কার্যালয়ে সংঘের সভাপতি জিএমএম আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়েভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স ম বাবর আলী। উপস্থিত ছিলেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার শরিফুল আলম লিটন, সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার গোলাম কিবরিয়া, কাউন্সিলর শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু, কবিতা দাশ, ডাঃ নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, এড. শফিকুল ইসলাম কচি, সাংবাদিক মোঃ আব্দুল আজিজ, আলাউদ্দীন রাজা, গাজী শহিদুল ইসলাম খোকন, মৃত্যুঞ্জয় সরদার, নিজাম উদ্দীন, ইলিয়াস হোসেন, শেখ আজিজ, হিরন্ময় রায়, জিএম শফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী মোল্লা, শাহানাজ পারভীন, হোসনেয়ারা নাজমীন ও আফরা নাজলীন। সভায় জিএমএম আজাহারুল ইসলামকে সভাপতি ও গাজী শহিদুল ইসলাম খোকনকে সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতা ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়।

পাইকগাছায় দুই দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় দুই দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের লক্ষ্যে আয়োজিত দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী (জাইকা) এর সহযোগিতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আয়োজিত প্রথম দিনের কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স ম বাবর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, জাইকা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী আসমাউল হুসনা, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ। বক্তব্য রাখেন, কৃষক প্রভাস চন্দ্র সানা, পলাশ ঢালী, শিউলী খাতুন ও পারভীন বেগম। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন স্থান থেকে ৪০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছা পোনা ব্যবসায়ী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ গ্রহণ

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা পোনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সোমবার সকালে সমিতি কার্যালয়ে সভাপতি মোঃ সাজ্জাত আলী সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করান ষোলআনা সমবায় সমিতির সভাপতি এড. মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নবনির্বাচিত সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সদস্য তোবারক হোসেন, জিনারুল ইসলাম ও জিয়াউর রহমান, বেনজির আহম্মেদ লাল, শিবপদ মন্ডল, সোহরাব হোসেন, ফিরোজ, মাসুদ, বাদল ও ফারুক আহম্মেদ।

পাইকগাছায় কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। স্থবির হয়ে পড়েছে দৈন্দিন কার্যক্রম। দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কোন কোন এলাকায় একাকার হয়ে যায় চিংড়ি ও মৎস্য ঘের। নিু অঞ্চলের কিছু কিছু বীজতলা পানিতে তলিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া গেছে।
    উল্লেখ্য, নিুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন যাবৎ উপজেলার সর্বোত্রই মুসলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে গত শনিবার থেকে একদিকে যেমন বিরামহীন বৃষ্টি হয়, অপরদিকে বৃষ্টি সাথে সাথে বইতে থাকে ঝড়োহাওয়া। এতে এলাকার নিু অঞ্চল তলিয়ে যায়। কোথাও কোথাও চিংড়ি ও মৎস্য ঘের তলিয়ে একাকার হয়ে যায়। রোববার রাত ২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। নিু অঞ্চলের অনেক এলাকার কিছু কিছু বীজতলা পানিতে তলিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে কৃষি ফসলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে উপজেলা কৃষি অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন। ফসলের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে মানুষের দূর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি স্থবির হয়ে পড়ে দৈনন্দিন সকল কার্যক্রম।

পাইকগাছায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনি অনুষ্ঠানে ৫ চাষী ও ব্যবসায়ীকে পুরস্কার প্রদান

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনি অনুষ্ঠান সোমবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাসের সভাপতিত্বে সমাপনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, আলহাজ্ব মাসফিয়ার রহমান সবুজ, গোলাম কিবরিয়া রিপন ও প্রদ্যুৎ কুমার রায়। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ চিংড়ি চাষী হিসাবে সাফওয়ান এ্যাকোয়া কালচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মাসফিয়ার রহমান সবুজ, শ্রেষ্ঠ পোনা ব্যবসায়ী রয়্যাল ফিস ট্রেডিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া রিপন, শ্রেষ্ঠ কার্প চাষী সবিতা রানী দাশ, শ্রেষ্ঠ খাঁচায় কাঁকড়া চাষী প্রদ্যুৎ কুমার রায় ও শ্রেষ্ঠ চিংড়ি ডিপো মালিক হিসাবে জনতা ফিস ট্রেডাস এর মনোহর চন্দ্র সানাকে সম্মাননা স্বারক হিসাবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় ১০টি কলেজের ২৩ পরীক্ষার্থীর জিপিএ ৫ লাভ; গড় পাশের হার ৬৬.৫০%

প্রত্যন্ত এলাকার কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জোরদার করার দাবী
শিক্ষা ডেস্ক।।  
পাইকগাছায় এইচ,এস,সি পরীক্ষায় ২৩ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উপজেলার ১০টি কলেজ থেকে ১ হাজার ৬৮৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে রোববারের ঘোষিত ফলাফলে ১ হাজার ১২২ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, যার গড় পাশের হার ৬৬.৫০%।
    প্রাপ্ত সুত্রমতে-পাইকগাছা কলেজের ২৭৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১৪৮ জিপিএ ৫-৩ পাশের হার ৫৩.৪৩%, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ১৭৯ ’র মধ্যে উত্তীর্ণ ১০৫ পাশের ৫৮.৬৫%, রাড়–লী আরকেবিকে কলেজিয়েটের ২৬৫’র মধ্যে উত্তীর্ণ ২৩৪ জিপিএ ৫-৮, পাশের হার ৮৮.৬৫%, শহীদ আয়ুব ও মুসা মেমোরিয়ালে ২৪৬ ’র মধ্যে উত্তীর্ণ ২০০ পাশের হার ৮১.০৩%, লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েটের ১৬০ মধ্যে উত্তীর্ণ ৯৩, জিপিএ ৫-৩, পাশের হার ৫৮.১২%, চাঁদখালী কলেজিয়েটের ৫৮ ’র মধ্যে উত্তীর্ণ ৪৬, জিপিএ ৫-১, পাশের হার ৭৯%, হরিঢালী মহিলা কলেজের ৫৬ ’র মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৯, পাশের হার ৬৯.৬৪%, কালিনগর কলেজের ৭৪ ’র মধ্যে উত্তীর্ণ ৬০ পাশের হার ৮১.০৮%, সরদার আবু হোসেন কলেজের ১৮ ’র মধ্যে উত্তীর্ণ ৮ পাশের হার ৪৪.৪৪%, কপিলমুনি কলেজের ৩৫৪ ’র মধ্যে উত্তীর্ণ ১৭৯ জিপিএ ৫-৮ পাশের হার ৫৩.৩৯%। এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর কপিলমুনি, গড়ইখালী ও রাড়–লী কেন্দ্রের চমকপ্রদ জিপিএ-৫ পাশের হার দেখে বিষ্মিত হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। অনেকের ধারনা এ কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার সময় ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার কারনে প্রতিবারের ন্যয় এবারও সদরের কলেজগুলো থেকে প্রত্যন্ত এলাকার ওইসব কেন্দ্রে চমকপ্রদ ফলাফল এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ সকল কেন্দ্রের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিবে। একই সাথে জিপিএ ৫ এর প্রলোভনে সদরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামীতে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চাইবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বোর্ড চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবকমহল। উল্লেখ্য প্রতিবার পরীক্ষার সময় প্রত্যন্ত এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা; সদ্য ঘোষিত কমিটি পুনঃবহালের জোর দাবী

পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষনা করা হলেও, তা নাটকীয়ভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও। নতুন কমিটি ঘোষনার কিছুক্ষণ পর তা আবার প্রত্যাহার করে নেয়ায় এ উপজেলা ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হতাশা ও নিন্দা জানিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি ইতোমধ্যে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায়। এরই অংশ হিসাবে আগামী ২৭ জুলাই খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনক্ষণ ঠিক আছে। সম্মেলনের আগে প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, কলেজ ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্দেশ দেন। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রতিটি জেলা ও উপজেলাসহ সকল ইউনিটে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশনা দেন। এছাড়াও বিবাহিত, অছাত্র, ও চাকুরীজীবিদের স্ব-উদ্যোগে পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি কোথাও। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে কমিটি গঠনের নির্দেশ সাপেক্ষে শনিবার খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত পাইকগাছা উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলা ও ইউনিটের কমিটি ঘোষনা করেন। কিন্তু শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলো বিলুপ্ত করলেও নব-গঠিত কমিটিও বিলুপ্ত করেন এবং সম্মেলন পূর্বক কোন কমিটি না করার নির্দেশ প্রদান করেন। এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং নেতৃবৃন্দ জেলা সম্মেলনের পূর্বে সদ্য বিলুপ্ত কমিটি পুণ
ঃবিবেচন ও পুনঃবহাল করার জোর দাবী জানান।

শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

HSC রেজাল্ট সবার আগে নিউজ অফ পাইকগাছায়

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান হবে কাল রোববার (২৩ জুলাই)। একযোগে প্রতিটা বোর্ড এর ফলাফল প্রকাশিত হবে। আপনার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল নিউজ অফ পাইকগাছা সবার আগে ফলাফল ঘোষনার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাঠকদের অনুরোধে নিউজ অফ পাইকগাছা ফলাফল লিংক ওয়েবে দেয়া হয়েছে। ভিজিট করুন আপনার প্রিয় নিউজ পোর্টাল।

শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় দুই চিংড়ি ব্যবসায়ীকে জরিমানা

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিংড়ি পরিবহন করার অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ফরমালিন বিরোধী ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অংশ হিসেবে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস শিবসা ব্রীজ এলাকা থেকে পানি ভর্তি ড্রামে চিংড়ি পরিবহন করার সময় ৬০ কেজি পরিমাণের চিংড়ি মাছ জব্দ করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান ব্যবসায়ী পারবয়ারঝাপা গ্রামের লতিফ গাজীর ছেলে কারিমুল গাজী (২৫) ও একই এলাকার রুহুল আমিন ফকিরের ছেলে শাহাবুদ্দীন ফকির (৩০) কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও অপদ্রব্য পুশ করা প্রায় ২শ কেজি চিংড়ি বিনষ্ট করেন মৎস্য দপ্তর কর্তৃপক্ষ।

এমপির স্ত্রী ও পুত্রের রুহের মাগফিরাত কামনায় মসজিদে মসজিদে দোয়া

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা-কয়রা সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হকের সহধর্মিনী মোমেনা হক ও পুত্র শেখ রফিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস,এম, শামছুর রহমানের পক্ষ থেকে শুক্রবার জুম্মাবাদ থানা জামে মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদ, বায়তুস সালাম জামে মসজিদ, মৎস্য আড়ৎদারী জামে মসজিদ, চিংড়ি বিপণন জামে মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ, হাসপাতাল জামে মসজিদ, লোনাপানি কেন্দ্র জামে মসজিদ সহ পৌরসভার ৮টি মসজিদে পৃথক পৃথকভাবে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৩ জুলাই এমপি নুরুল হকের স্ত্রী মোমেনা হক মৃত্যু বরণ করেন। এর আগে মৃত্যুবরণ করেন এমপি পুত্র শেখ রফিকুল ইসলাম।

পাইকগাছার মুক্তিযোদ্ধা কন্যা উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত

বিশেষ প্রতিনিধি (এন.আই.এস): ॥
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কৃতি সন্তান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন মালা জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদক-২০১৭ এর জন্য সাবিনাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। সাবিনা ইয়াসমিন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) থাকাকালীন সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সহ আইনী সহায়তা প্রদানের লক্ষে ‘অপরাজিতা যশোর’ নামে একটি প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। যশোর জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির এ প্রকল্পের দলনেতা ছিলেন। তবে প্রকল্পের মুল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাবিনা ইয়াসমিন। প্রকল্পটি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নির্যাতিত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান গত সোমবার সাবিনা ইয়াসমিনের জনপ্রশাসন পদকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পত্র দিয়েছেন। 
    উল্লেখ্য, সাবিনা ইয়াসমিন খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি (সাবেক চেয়ারম্যান) মিয়ার মেয়ে। সাবিনা মা সালমা বেগম এর গর্ভে থাকাবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন তার পিতা শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি মিয়া। তিনি ১৯৮৭ সালে পাইকগাছা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ৮৯’তে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ৯২’তে বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও ৯৩’ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (ইংরেজি) পাস করে। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ৯৮ থেকে ০৩ পর্যন্ত ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে চাকরি করেন। এখানে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২১তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ২০০৩ সালে সহকারী কমিশনার (ম্যাজিষ্ট্রেট) হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর কর্মরত থাকার পর ’০৭ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী, ময়মনসিংহ সদর এবং ’০৯ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে গাজীপুরের শেরপুর, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ কর্মরত ছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর’১৩ হতে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসাবে যশোরে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
    তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশিক্ষণ বিভাগে পিএইচডি করছেন। তার গবেষণার বিষয় পাবলিক হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারী সিষ্টেম ইনদি কমিউনিটি হেল্থ অব বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তিনি এমআইডি ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণের আওতায় ভারত সফর করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে (শিক্ষা ও চাকুরী) ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়ীতা নির্বাচিত হন। শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার লেখক হিসাবে রয়েছে একটা পরিচিতি। ইতোমধ্যে তাহার রচিত লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন, বলিতে ব্যাকুল, পূর্ণিমার পরদিন, জলে জ্যোৎøায় এই অবেলায়, নি:শ্বরের গান, তমোঘœা, ফেরাবো অঙ্কুশে, তোমার জ্যোৎøায় পালক পুড়ে যায়,  নীল ঝোনাকী ও ধারা জল সহ ১০টি কাব্যগ্রস্থ প্রকাশিত হয়েছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী মো. শরীফ হোসেন হায়দার বিচার বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। পুত্র রূবাইয়াৎ ইশম্মাম প্রিয়ন্ত ও কন্যা পুষ্পিতা পরিজাত টিপ কে নিয়ে সুখেই রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সর্বশেষ জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় এবং সাফল্য অর্জন প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রগতিশীল দলনেতা জেলা প্রশাসকের সঠিক দিক-নির্দেশনায় অপরাজিতা যশোর প্রকল্পে সাফল্য এসেছে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা জজ, জেলা নারী ও শিশু জজ, জেলা প্রশাসকের  সহধর্মিনী, অপরাজিতা প্রকল্পের সকল সহকর্মীসহ সুশীল সমাজের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় গবাদি পশুর টিকা প্রদান ও কৃমিনাশক বিতরণ

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে গবাদি পশুর টিকা প্রদান ও কৃমিনাশক বিতরণ করা হয়েছে। এনএটিপি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আর্থিক সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিনামূল্যে টিকা প্রদান ও কৃমি নাশক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদ ইকবাল, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কে.এম. তৈয়েব আলী, তরিকুল ইসলাম, এস,এম, কামরুল আবেদীন, সিইএএল ফসিয়ার রহমান ও স্বেচ্ছাসেবী সত্যরঞ্জন মন্ডল।

৫৭ ধারা বাতিলের দাবীতে মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের আইনমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান


পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবীতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ইউএনও মোঃ ফকরুল হাসানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইনমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম পাইকগাছা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের উপদেষ্টা গাজী সালাম, জি,এম, মিজানুর রহমান, জি,এ, গফুর, হাফিজুর রহমান রিন্টু, উপজেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, সহ-সভাপতি এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, বি. সরকার, তৃপ্তি রঞ্জন সেন, আলাউদ্দীন রাজা, সাধারণ সম্পাদক এন. ইসলাম সাগর, যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণ রায়, কোষাধ্যক্ষ ইমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক স্নেহেন্দু বিকাশ, দপ্তর সম্পাদক প্রমথ রঞ্জন সানা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অমল কৃষ্ণ মন্ডল, এস,এম, ইমদাদুল হক, রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক বুলি ও আবুল হাশেম।

গবেষণায় লোপাপানি কেন্দ্রের কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন : বছরে সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি ও মাছ উৎপাদন

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় জাতীয় সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে “মাছ চাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা ও উন্নয়ন সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের লোনাপানি কেন্দ্র অতি সাম্প্রতিক উপকূলীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় সময় উপযোগী কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে চিংড়ি চাষে ফসল বহুমুখীকরণ, কাঁকড়া ফ্যানেটিং কৌশল, নোনা টেংরার কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন, গলদা চিংড়ির আগাম ব্র“ড (মা) উৎপাদন, পারশে মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবন, শীলা কাঁকড়ার নিয়ন্ত্রিত প্রজনন ও পোনা প্রতিপালন পদ্ধতি উদ্ভাবন অন্যতম। এ সব প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে মাঠ পর্যায়ে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধিসহ রোগ বালাইয়ের প্রকৌপ হ্রাস পেয়েছে। অনুরূপভাবে উপজেলায় মৎস্য সম্পদ উৎপাদন ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস। তিনি বলেন, বর্তমানে উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে প্রতি বছর চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে। ঘের ও জলাশয় হতে প্রতি বছর ৫ হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন চিংড়ি, ৪ হাজার ৮০৯ মেট্রিক টন মাছ ও ৪ হাজার ১শ মেট্রিক টন কাঁকড়াসহ মোট ১০ হাজার ৪৪৪ মেট্রিক টন চিংড়ি মাছ ও কাঁকড়া উৎপাদন হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বছরে অত্র উপজেলায় ২৮৭ মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত থাকে বলে মৎস্য দপ্তরের এ কর্মকর্তা জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল আলম রুবেল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোল্লা এমএনএস মামুন সিদ্দিকী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মকবুল হোসেন, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এসএম শহিদুল্লাহ সহ গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ।

শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় র‌্যালী, আলোচনা সভা, স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সংগঠনের পাইকগাছা উপজেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ফোরামের উপজেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ, উপজেলা কৃষি অফিসার এইচএম জাহাঙ্গীর আলম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্যানেল মেয়র এসএম ইমদাদুল হক, উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, প্রেসক্লাবের সভাপতি এফএমএ রাজ্জাক, সাবেক সভাপতি গাজী সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, গ্রামীন সোলার পাওয়ারের স্বত্তাধিকারী মোঃ ইব্রাহীম শেখ। মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ফোরামের উপদেষ্টা জিএম মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি বি সরকার, সাধারণ সম্পাদক এন ইসলাম সাগর ও সদস্য পলাশ কর্মকার। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা “মিডিয়া ক্যানভাস” এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, সকল নিহত সাংবাদিক ও সদ্য প্রয়াত এমপি স্ত্রী মোমেনা হকের রুহের মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা, পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন সহ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ১৪ দফা বাস্তবায়নের দাবী জানান।

পাইকগাছা পোনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

ভাপতি সাজ্জাত- সম্পাদক মনিরুজ্জামান
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা পোনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সমিতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ১৭১ জন ভোটারের মধ্যে ১৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন শেষে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ প্রার্থীর মধ্যে মোঃ সাজ্জাত আলী সরদার (ছাতা) প্রতীকে ৯৭ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সম্পাদক পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে মোঃ মনিরুজ্জামন (আম) প্রতীকে ১১৭ ভোট পেয়ে পুনরায় সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ সদস্য প্রার্থীর মধ্যে তোবারক হোসেন (টেলিভিশন) প্রতীকে ১১৩, জিনারুল ইসলাম (মই) প্রতীকে ১০৩ ও জিয়াউর রহমান (মোরগ) প্রতীকে ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এরআগে সহ-সভাপতি পদে মিজানুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, সভাপতি প্রার্থী দেবব্রত রায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থেকে সরে দাড়ান। নির্বাচন পরিচালনা করেন ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, জিএম রেজাউল করিম ও আব্দুস সেলিম।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় ছাত্রলীগ সুদিনের অপেক্ষায় পদ প্রত্যাশী দু’জন মসিয়ার ও বাচ্চু

#বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে পদত্যাগে ৩ দিনের আল্টিমেটাম
#বিশেষ_ডেস্ক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষনা দেখার অপেক্ষায় পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক গত ১২ জুলাই নির্দেশনা দেন বিবাহীত ছাত্রলীগ নেতাদের ৩ দিনের মধ্যে পদত্যাগের। তার বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় খুলনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সুন্দরবন সংলগ্ন পাইকগাছা উপজেলায়। এ উপজেলা বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক দুজনই বিবাহিত এবং সন্তানের জনক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছাত্রলীগকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী ১৫ জুলাই ২০১৭ থেকে ২৫ জুলাই ২০১৭ তারিখের মধ্যে সকল উপজেলা, কলেজ, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, স্কুল ওয়ার্ড কমিটি পূর্নাঙ্গ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ইউনিটগুলোর সম্মেলনের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনার বাস্তবায়নে কাজ করছে সকল পর্যায়ের উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ। এক নজরে দেখে নিন-ছাত্রলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই পাইকগাছা উপজেলার তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদের জন্য রয়েছেন দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তার মধ্যে মসিয়ার রহমান ও তানজিম মুস্তাফিজ বাচ্চু’র নাম শোনা যাচ্ছে।

বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭

“Problem and prospect of shrimp farming in the greater Khulna region of Bangladesh”



 Md. Ashraful Hoque
Technical Specialist
USAID-AIN Project, WorldFish-Bangladesh
 Introduction:

Shrimp sector in Bangladesh play a vital role in respect of the country economy, job opportunities, more stable and diversified livelihood opportunities increase in income and food security to the adjacent people in the coastal areas of Bangladesh and it is the second highest foreign exchange earning source. The impact of the shrimp farming process has economic, social and environmental dimensions. In Bangladesh shrimp farming has negative ecological impact in terms of salinity increase, destroying marine species and also loss of bio-diversity. As an alternative of the negative impact on ecology, the economic importance of shrimp can’t be ignored for a developing country like Bangladesh. Proper management and planning can be provided a sustainable growth and advantage of shrimp farming as well as will be responded positive impact on environment. Pollution, destruction of sensible coastal habits, threats to aquatic bio-diversity and significant socio-economic cost must me balance against the direct economic benefits or earning from the shrimp farming.


Problem and constraints:

The shrimp is the second largest export earning industry of the country. But still now the production very is very low compare to other countries due to follow almost traditional culture system. To increase the production of shrimp it is very essential to follow improved technologies. The technical problems are related to production systems because the lack of scientific knowledge and technologies, attack diseases frequently in shrimp farms. Insufficient cooperation of concern authorities, not availability of quality of screened PL are also threats for the expansion of shrimp culture. In the present situation, there is no alternative rather than vertically expansion of shrimp farming and for this the improved culture techniques are very essential for boost production of shrimp to contribute in the economy of the country. Anyway, there are many constraints and problems which prevailed behind shrimp production are mentioned as: Traditional farming techniques, frequently viral diseases due to insufficient knowledge on f improved culture systems, low water depth, huge algae growing in ghers, low survival rate and sometimes huge mortality of shrimp PL, lack of disease free and quality post larvae, shortage of good quality brood, poor infrastructure facilities including electricity, water quality determination in shrimp farms and don’t take any measure due to insufficiency knowledge on water quality management of the shrimp farmers, lack of stocking density and acclimatization during stocking PL and nursery practice is not available, frequent fluctuation of international market price, regular increase of input cost, poor land leasing system, conflicts among  institution/organizations, poor water management system, weak policy implementation, insufficient research initiatives, lack of proper coordination among the different stakeholders associated with the shrimp industry, lack of extensive service from government and non-government organizations, financial difficulties such as- lack of institutional credit, complicacy for credit system, high interest in credit and lack of marketing facilities, competition between alternative lands uses (agriculture, forestry, livestock grazing etc.), shrimp farming in Khulna, Bagerhat and Satkhira areas has reduce the categories of fishes and shrimp farming has also serious ecological impact on the coastal bio-diversity.

Prospect of shrimp farming:
However, the shrimp sector in Bangladesh is facing several challenges, such as low farm yield, poor quality, WSSV incidence etc. are crucial issues hindering expected growth. Regardless of the high demand for this product, shrimp farming is still characterized as being traditional and having low productivity. In this situation, WorldFish- Bangladesh has taken  initiative activities and thought through the AIN project with the finance assistance of USAID for improving resource use effectiveness to boost productivity of shrimp farmers at farm level in a sustainable manner through dissemination of improved and bio-secured shrimp culture technologies namely Better Management Practice (BMP), Modified Traditional Technology (MTT), Closed System Technology (CST) Training shrimp farmers, improved water management, low cost feeding and fertilization and better pond management, stocking SPF (Specific Pathogen Free) and Polymerase Chain Reaction (PCR) tested White Spot Syndrome Virus (WSSV) free post larvae (PL) are some of the features of the improved technology being followed the previous project to increase production effectiveness. This project suggested to stock screened shrimp PLs in gher farming those are come only from hatcheries which can be minimized the outbreak of Viral disease, less contamination and also be minimized the negative environmental impacts by  practicing the environment friendly improved shrimp farming technologies and also focus on shrimp farming systems, their productivity, changing pattern of environmental issues and some extend on the socio-economic aspect of the adjacent dependent people in the coastal region of Bangladesh and assessing the potential for future improvements is considered essential for establishing an environment friendly sustainable shrimp culture. It is noted that through the improved technologies of Better Management Practice (BMP), Modified Traditional Technology (MTT) and Closed System Technology (CST) is easily possible to produce of shrimp 300-400 Kgs/hectare, 600-700 Kgs/hectare and 1500-2000 Kgs/hectare respectively and also in semi-intensive method it can produce 5000-6000 Kgs/hectare land which are the boost production than the national average production and could be great contribution in the country economy and livelihoods. On the other hand, if it is possible to adopt at least 20-30% of the total shrimp ghers into improved extensive shrimp farming method and 10-20% of the total shrimp ghers into semi-intensive method, the shrimp sector will be contributed the highest foreign exchange earning source of the country. The future prospects of shrimp cultivation in Bangladesh is very high, because of there is increasing demand of shrimp in the developed country like – USA, UK, Japan etc. they also want to increase the import of shrimp from our country, the environmental condition of Bangladesh is very much helpful for the shrimp cultivation that it has high potentiality to grow, per hector production of shrimp in Bangladesh is not efficient enough it means we can increase our shrimp production without increasing the land for production, which indicates more export earnings, labor forces used for shrimp cultivation is not skilled enough, if proper training program can be taken production can also be increased and this sector provides increasing employment opportunities in the south western region of the country.

Conclusion and recommendation:

In our developing country it is almost evident that the present culture systems of shrimp are indigenous and extensive type and there is acute shortage of proper plan and technical knowledge among the shrimp farmers but shrimp is one of the major sources of export earnings of Bangladesh. A larger number of people are already involved with the production, processing and export of shrimp of the shrimp. Despite of these advantages shrimp cultivation has serious impacts on the environment, society, people and other factors of the southwestern region of the country. On the other hand though it is the second highest export earnings source of the country government has no proper guidelines, rules and regulations for shrimp cultivation and exportation. Anyway,  from the whole discussion, some general recommendations for the development of shrimp culture in Khulna, Bagerhat and Satkhira districts to facilitate high production in the sustainable manner are concluded- Government should have introduced a clear guideline for shrimp culture and proper implementation considering environment friendly sustainable shrimp systems, Government should have created a regulatory authority to monitor this process and taken proper step, the selection of land for shrimp farming should be under proper guideline prescribed by the government, need to introduce training program for making skilled workers regarding improved culture techniques and reducing unemployment people of this region, need to take initiative activities to build up awareness among the shrimp farmers regarding improved culture techniques knowledge considering environment friendly sustainable increased of shrimp production, for enhancing the per unit production, improved or better management and judicious utilization of common resources should be brought under stringent regulations, need to take initiative for proper water management systems, ensure PCR testing for all post larvae, need to take initiative activities to adaptation of improved shrimp farming   systems, need initiative for required infrastructure development, ensure supply of screened and quality post larvae, the large ghers should be converted into smaller cluster units with modern   drainage as well as simple effluent treatment systems, proper implementation of shrimp policy, need coordination among different ministry and institutions, need to develop of research facilities, strong research initiatives for improved culture systems and dissemination of the research knowledge to the shrimp farmers, can be conducted advance research to find out the possibility of cultivating the saline water shrimp into sweet water, which can be totally remove the environmental impact of shrimp farming.

মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত কৃষি কলেজ স্থাপন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন; প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপিকে এলাকাবাসীর অভিনন্দন

বিশেষ প্রতিনিধি।। ॥
অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত কৃষি কলেজ স্থাপন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র সভায় কৃষি কলেজ স্থাপন প্রকল্পে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক নিশ্চিত করেছেন। পরিকল্পনা কমিশন সদস্যের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে কৃষি কলেজ স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম। অবশেষে একনেকে অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনামন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হককে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৩ জুলাই কয়রার এক জনসভায় পাইকগাছা উপজেলায় একটি কৃষি কলেজ স্থাপনের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় কৃষি ভিত্তিক লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়ে এলাকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“তির ৩ বছরের মধ্যে শুরু হয় কৃষি কলেজ স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি পাশ হয় একনেকে। বরাদ্দ দেয়া হয় অর্থ। উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের পাইকগাছা-কয়রা সড়কের পাশেই চকবগুড়া মৌজায় অধিগ্রহণ করা হয় ২৫একর জমি। সম্পন্ন করা হয় ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রীয়া। মূল অবকাঠামোগত কাজ শুরুর আগেই ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকা। পরবর্তীতে অধিগ্রহণকৃত নির্ধারিত এলাকা কৃষি কলেজ স্থাপনের জন্য অনুপোযোগী পরিকল্পনা কমিশনের এমন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের সকল কার্যক্রম। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত কৃষি কলেজ স্থাপনের কাজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম বিরূপ প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত এলাকা কোন জলাভূমি নয় উল্লেখ করে প্রকল্পের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রঅতিবেদন স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে কৃষি কলেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক, প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী বরাবর ডিও পত্র দেন এবং পরিকল্পনামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত টানা কয়েকমাস চেষ্টা করে যান। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক জানান, কৃষি কলেজ স্থাপন প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত ছিল। মঙ্গলবার একনেকে’র সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। প্রকল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ প্রকল্পে আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে স্থানীয় এ সংসদ সদস্য জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হওয়ায় নির্বাচনী এলাকা পাইকগাছা-কয়রা বাসীর পক্ষথেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
অঢ

সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় পুলিশের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা


পাইকগাছা প্রতিনিধি॥
খুলনার জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের চেচুয়া গ্রামের মৃত আতিয়ার মোড়লের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন স্থানীয় এমপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে তার রেকর্ডীয় পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্ঠায় লিপ্ত প্রতিবেশি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, চেঁচুয়া গ্রামের আতিয়ার মোড়লের নিজ নামে রেকডিও, নামপত্তনকৃত সাড়ে এগারো শতক সম্পত্তি ২ যুগেরও অধিক সময় ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু বিগত প্রায় ৬ মাস পূর্বে আতিয়ার মোড়ল মৃত্যুবরণ করলে প্রতিবেশি মুলতান মোড়ল জোর পূর্বক  মৃত আতিয়ার মোড়লের রেকর্ডীয় সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করতে থাকে। মূলতান মোড়ল গংদের দলিনান্তে সম্পত্তি ৭ শতক রেকর্ড হলেও প্রকৃতপক্ষে সাড়ে ৬ শতক সম্পত্তি হবে বলে আনোয়ার হোসেন বলেন। অপরদিকে মৃত আতিয়ার মোড়লের দলিলান্তে সম্পত্তি রেকর্ড হয় সাড়ে ১১ শতক। কিন্তু মুলতান মোড়ল জোর পূর্বক আতিয়ার  মোড়লের সাড়ে ১১ শতক রেকর্ডীয় সম্পত্তির কিছু অংশ দখল করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এ  নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি একাধিকবার শালিশ করার পরও মূলতান মোড়লগংরা তাতে কর্ণপাত না করে একটি মুরগির ঘর তৈরীর সরঞ্জাম অভিযোগকারীর সম্পত্তির উপর জোর পূর্বক রাখে। আনোয়ার হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করার পরে ঘর তৈরীর সরঞ্জাম সরানোর নির্দেশ দিয়ে আসলেও আসামী মূলতানা মোড়লের পুত্র মোস্তাক পুলিশের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ঘর তৈরীর সরঞ্জাম উক্ত স্থানেই রেখে দেয় এবং অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি প্রদর্শণ করে। পুলিশও কিছু করতে পারবে না বলে বলতে থাকে। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান পূর্বক দূর্দান্ত প্রকৃতির আসামীদের কবল থেকে তার পৈত্রিক বসতভিটা সুরক্ষার জন্য স্থানীয় এমপি, মেয়র, জেলা পরিষদ সদস্যসহ উপজেলা প্রশাসনের দ্বারস্ত হলে ঘটনাটির সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়।

পাইকগাছায় পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতী পালন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পিএফ, পেনশন/ গ্রাচুইটি এর শতভাগ অর্থ বকেয়াসহ সরকারী কোষাগার থেকে প্রদান করার দাবীতে পাইকগাছা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ গতকাল সোমবার ১ ঘন্টার কর্মবিরতী পালন করেছে। বাংলাদেশ পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৌর কার্যালয়ে এ কর্মবিরতী পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের পাইকগাছার সভাপতি জি এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের খুলনা জেলা সভাপতি শেখ জিয়াউর রহমান জিয়া, সহকারী প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ, মোঃ সাইদুর রহমান, উত্তম কুমার ঘোষ, মৃণাল কান্তি সানা, বিকাশ চন্দ্র ঘোষ, ইমদাদুল হক, কবিতা রানী গাইন, বিদ্যুৎ কুমার রায়, তন্ময় মন্ডল, হেমেন্দ্রনাথ গাইন শুভ, মোঃ মুজিবর রহমান, কৌশিক মন্ডল, নূরুল ইসলাম, মোঃ আমির আলী। সভায় বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অবিলম্বে সরকারী কোষাগার থেকে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবী জানান।

পাইকগাছায় ইসলামী ব্যাংকের ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় ইসলামী ব্যাংক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে পৌর সদরের নূরজাহান মেমোরিয়াল হাসপাতালে শাখা ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে চক্ষু ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ ইয়াকুব আলী, মোঃ জালাল উদ্দীন, জুনিয়র ইউনিট অফিসার লুৎফর রহমান। চিকিৎসা প্রদান করেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাসুদ রেজা। দিনব্যাপী চক্ষু ক্যাম্পে শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

পাইকগাছায় পারিবারিক নির্যাতন, বৃক্ষরোপন ক্যাম্পেইন ও গাছের চারা বিতরণ

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির আওতায় পৃথক ভাবে পারিবারিক নির্যাতন রোধ ও বৃক্ষরোপন ক্যাম্পেইন এবং সদস্যদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে ১নং পল্লী সমাজের চেঁচুয়া মধ্যপাড়ায় ও রোববার সকালে ৪নং পল্লী সমাজের গদাইপুর মোড়ল পাড়ায় অনুষ্ঠিত পৃথক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির ফিল্ড অর্গানাইজার রহিমা খাতুন, গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভিসিএ নাজমুন নাহার ইতি, কৃষি খাদ্য ও নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রকল্প কর্মকর্তা পূর্ণিমা দাশ, মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির ফিল্ড অর্গানাইজার আনোয়ার হোসেন ও স্বাস্থ্য সেবিকা সিরিনা খাতুন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ।

পাইকগাছায় চিংড়ি অপদ্রব্য পুশ করার অভিযোগে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা পৌর এলাকা থেকে পানি ভর্তি ড্রামে চিংড়ি সরবরাহ করার অভিযোগে প্রায় লাখ টাকার বাগদা চিংড়ি জব্দ করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কয়রা উপজেলার চৌকুনি গ্রামের চিংড়ি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস, সহকারী মৎস্য অফিসার এসএম শহিদুল্লাহ ও পেশকার শাকিরুল ইসলাম।

পাইকগাছায় মাসিক আইন শৃংখলা সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃংখলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান, ওসি (অপারেশন) প্রবীন চক্রবর্তী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু। বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার, আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু, কওছার আলী জোয়াদ্দার, গাজী জুনায়েদুর রহমান, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন, জাইকা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী আসমাউল হুসনা, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, তৃপ্তি রঞ্জন সেন, এন ইসলাম সাগর, প্রকাশ ঘোষ বিধান, আলাউদ্দীন রাজা, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দাউদ শরীফ, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি আজিজুর রহমান ও ইউপি সদস্য কল্যাণী মন্ডল। সভায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাণিজ্য মেলার আয়োজন বন্ধ, মাহমুদকাটীস্থ অবৈধ ইটের ভাটার কার্যক্রম বন্ধ, নদী দখল মুক্ত, অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ, পৌর এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন, বাস টার্মিনাল নির্মাণ, সড়কের উপর যত্রতত্র বাস রাখা বন্ধ, যথাযথভাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন ও বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশনের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭

পাইকগাছায় কমিটি গঠন না হওয়ায় তৃনমূলে বাড়ছে হতাশা ও ক্ষোভ; আগামী সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার আশংকা

বিশেষ প্রতিনিধি।।॥
আওয়ামীলীগের তৃনমূলে বাড়ছে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ। প্রভাবশালী নেতাদের অবমূল্যায়নের কারনে নিষ্কিয় হয়ে পড়ছে মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী ও দূঃসময়ে জীবনবাজি রাখা নেতা-কর্মীরা। নীতি নির্ধারকদের উচিত অবিলম্বে তৃনমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করে তাদেরকে আবার ও সক্রিয় করা। কারন আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ন। যিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন জিততে হলে উনাকে তো তখন তৃনমূলের বঞ্চিত এই সব নেতা-কর্মীদের কাছে যেতে হবে। কারন মুষ্টিমেয় কিছু সুবিধাভোগী দিয়ে তো আর আগামী নির্বাচনে বৈতরনী পার হওয়া যাবে না। আর তখন সুবিধাভোগীরা সুবিধাভোগ করবে কোন কাজে আসবেনা। কথায় আছে না ভোগে সুখ না ত্যাগে সুখ। আর সুবিধাবাজিদের জন্য হচ্ছে ভোগে সুখ ত্যাগে না। ছয় মাসের আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আরো দুই বছর আগে। আর মূল কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে তারও ৮-৯ বছর আগে। কিন্তু খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার বিরোধপূর্ণ আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করতে পারেনি কেউ। খুলনার অন্য ৮ উপজেলায় কমিটি থাকলেও পাইকগাছার গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় কমিটি না থাকায় দলীয় কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাড” শেখ মোঃ নূরুল হক দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারপরও তৃনমূলে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েই চলেছে। গত ৮-১০ বছরে কমিটি না হওয়ায় নেতৃত্ব প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ উপজেলায় এটির প্রভাব পড়বে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর তৃনমূল নেতাকর্মীরা এর জন্য দায়ী করছেন জেলা কমিটির নিতি নির্ধারকদের। আজ আওয়ামীলীগের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করার কথা থাকলেও চাপা ক্ষোভ ও হতাশায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিদ্যমান। তারপরও সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা আশার আলো দেখছে। তৃনমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের একটাই দাবী এই গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করে দলীয় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করা হবে এটাই প্রত্যাশা করছেন এ উপজেলার তৃনমূল নেতাকর্মীরা।
    দলীয় সূত্রানুযায়ী, ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন হয়। শেখ বেলাল উদ্দিন বিলুকে সভাপতি ও এসএম মাহাবুবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে তখন কমিটি গঠিত হয়। পদে থাকা অবস্থাতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুবরণ করেন। এরপর রশিদুজ্জামান মোড়লকে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীকে সাধারণ সম্পাদকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই কমিটি নতুন কমিটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৫ সালে গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহ্বায়ক ও রশিদুজ্জামান মোড়লকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গঠন হওয়া এই আহবায়ক কমিটিও তৃনমূল ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করছে বলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা দাবী করেন। তবে সেই কমিটি গঠনের সময় দুই গ্রপের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর আর কমিটি গঠন হয়নি। ফলে উপজেলায় নেতৃত্ব প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। দলীয় কর্মকান্ডে তাদের সম্পৃক্ততা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করে বলছেন, দল ক্ষমতায় আছে বলে এখনও মিছিল সমাবেশে লোক পাওয়া যাচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলার নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে কমিটি গঠন করা না হলে আগামীতে অনেকেই দলীয় কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হবে না।
    দলীয় সূত্রানুযায়ী, পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদ ছাড়াও অন্যান্য পদ গুলোর জন্য শতাধিক নেতাকর্মী প্রস্তুত হয়ে আছেন। যারা পদের জন্য চেষ্টা করছেন তারাও বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের অনুসারী। ফলে কাকে বাদ দিয়ে কাকে কমিটিতে রাখা হবে এই নিয়েই জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা দিধাদ্বর্দ্বের মধ্যে রয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতাকর্মী এ প্রতিবেদককে জানান।

পুকুরে কার্পজাতীয় মাছের নার্সারি ব্যবস্থাপনা

 Md. Ashraful Hoque
Technical Specialist
USAID-AIN Project, WorldFish-Bangladesh

bvm©vwi :

†QvU ev gvSvix AvKv‡ii cyKzi ev Rjvk‡q 3-4 w`b eq‡mi †iYy †cvbv‡K AZ¨šÍ hZ¥ mnKv‡i jvjb cvjb K‡i gRy` cyKz‡i Qvovi Dc‡hvMx Pviv †cvbv Drcv`b Kiv‡K bvm©vwi e‡j|

AvuZzi cyKzi :

†h me †QvU, gvSvwi Ges AMfxi cyKz‡i †iYy †cvbv †Q‡o 10-15 w`b jvjb K‡i avbx ch©šÍ eo Kiv nq †m¸‡jv‡K AvuZzi cyKzi e‡j| AuvZzi cyKz‡ii AvqZb 10-25 kZvsk Ges cvwbi MfxiZv 1.00-1.25 wgUvi n‡j fv‡jv nq|

jvjb cyKzi :
†h me cyKz‡i avbx †cvbv †Q‡o 7-12 †mwg AvKv‡ii Pviv †cvbv ch©šÍ eo Kiv nq Zv‡K jvjb cyKzi e‡j|
·         jvjb cyKz‡ii AvqZb 25-100 kZvsk n‡j fv‡jv nq
·         cvwbi MfxiZv 1.25-2.00 wgUvi ch©šÍ n‡Z cv‡i

GK¯Íi c×wZ ev GK avc c×wZ :

GKB cyKz‡i hLb 3-4 w`b eq‡mi †iYy ‡cvbv jvjb cvjb K‡i gRy` cyKz‡i Qvovi Dc‡hvMx Pviv †cvbv Drcv`b Kiv nq Zv‡K GK¯Íi c×wZ e‡j| hv‡`i ïay gvÎ GKwU cyKzi Av‡Q Zviv GB c×wZ‡Z bvm©vwi Ki‡Z cv‡i|

wدÍi c×wZ ev `yB avc c×wZ :

GKwU cyKz‡i †ewk cwigv‡Y †iYy †Q‡o 10-15 w`b ci avbx †cvbv Ab¨ cyKz‡i ¯’vbvšÍi K‡i gRy` cyKz‡i Qvovi Dc‡hvMx Pviv †cvbv Drcv`b Kiv nq Zv‡K wدÍi c×wZ e‡j|

·   `yB avc c×wZi Rb¨ Kgc‡ÿ 1wU AuvZzo Ges 1wU jvjb cyKzi cÖ‡qvRb

wWg †cvbv : wWg †dvUvi ci †_‡K Lv`¨ _wj hZ¶Y ch©šÍ _v‡K Zv‡K wWg †cvbv e‡j|
†iYy †cvbv : †cvbvi eqm 3-4 w`b n‡j Zv‡K †iYy †cvbv e‡j|   

bvm©vwi cyKz‡ii ‰ewkó¨ :
·         AvqZb  10-25 kZvsk
·         cvwbi MfxiZv 1.00-1.25 wgUvi
·         gvwUi MVb †`v-Avuk A_ev cwj †`vAvuk
·         Zjvq Kv`v Kg, 10-15 †mwg Gi †ewk bq
·         †Lvjv‡gjv A_©vr ch©vß Av‡jv-evZvm hy³
·         k³ I DuPy cvo, eb¨vgy³ gvwU
·         evB‡i †_‡K cvwbi mieiv‡ni myweav
·         cvwb‡Z Qvqv m„wóKvix †Kv‡bv MvQ ev †SvcSvo bv _vKv
·         cvwb wb®‹vkb I mieivn e¨e¯’v
·         cyKz‡ii Ae¯’vb evwoi KvQvKvwQ
·         cwienY I evRviRvZKi‡Yi Rb¨ DbœZ †hvMv‡hvM e¨e¯’v, BZ¨vw`

bvm©vwi cyKz‡ii cvwbi ¸Yv¸Y :
·         Aw·‡Rb 5-7 wcwcGg
·         Kve©b WvB-A·vBW 1.5-10 wcwcGg
·         wcGBP 7-8.5
·         welv³ c`v_© k~b¨
·         cvwbi ¯^”QZv 25 †mwg.
·         bvB‡Uªv‡Rb 0.2 wgwjMÖvg/wjUvi Gi †P‡q Kg
·         dmdivm 0.2 wgwjMÖvg/wjUvi Gi †P‡q Kg
·         A¨v‡gvwbqv 0.025 wgwjMÖvg/wjUvi Gi †P‡q Kg
·         nvB‡Wªv‡Rb mvjdvBW 0.002 wgwjMÖvg/wjUvi Gi †P‡q Kg

GK bR‡i bvm©vwi cyKzi gRy`c~e© e¨e¯’vcbv :

·         cyKzi ïKv‡bv/wU-wmW †KK cÖ‡qvM
·         cyKzi ïKv‡j †ek wKQzw`b †iv‡` †d‡j ivL‡Z n‡e
·         cyKzi ïKv‡bv m¤¢e bv n‡j cÖwZ kZvsk cÖwZ 3-5 dzU MfxiZvi Rb¨ 500-700 MÖvg wU-wmW †KK e¨envi Ki‡Z n‡e| welv³Zvi ¯’vwqZ¡Kvj 7 w`b|

·         cv‡oi AvMvQv, †Svc-R½j I eo Mv‡Qi Wvj-cvjv cwi®‹vi
·         ÿwZKi cÖvYx AvkÖq¯’j webóKiY
·         ch©vß my‡h©i Av‡jv I Av‡jv-evZvm wbwðZKiY

·         Zjvi cPv Kv‡jv Kv`v AcmviY I cvo †givgZ
·         ÿwZKi M¨v‡mi cÖv`yf©ve `yi n‡e
·         cyKz‡ii Zjv mgvb ivL‡Z n‡e
·         cv‡o B`yi, mvc, e¨vO BZ¨vw`i †Kv‡bv MZ© _vK‡j Zv gvwU w`‡q fv‡jvfv‡e fivU K‡i w`‡Z n‡e

·         Pzb cÖ‡qvM
·         gvwU I cvwbi wcGBP e„w×i Rb¨ Pzb cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e
·         cÖwZ kZvs‡k 1 †KwR †cvov Pzb cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e

·         cvwb D‡Ëvjb
·         2 ¯Íi wewkó QvKzwb e¨envi K‡i cvwb D‡Ëvjb Ki‡Z n‡e
·         bvm©vwi cÖKz‡ii cvwbi MfxiZv 3-3.5 dzU ivL‡Z n‡e

·         mvi cÖ‡qvM
·         cÖvK…wZK Lvevi ˆZwii Rb¨ ˆRe I A‰Re mvi cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e
·         ˆRe mvi (mwilvi ˆLj) cÖwZ kZvs‡k 300-500 MÖvg Ges A‰Re mvi, †hgb- BDwiqv I wUGmwc cÖwZwU 150-200 MÖvg nv‡i cÖwZ kZvs‡k cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e
·         ˆRe wbivcËvi e¨e¯’v Kiv
·         eøy †bU w`‡q 3-4 dzU DuPz K‡i cv‡oi Pvicvk w`‡q wN‡i w`‡Z n‡e
·         6 Bw cwigvY MZ© K‡i eøy †bU cuy‡Z w`‡Z n‡e
·         cv‡o Miæ, QvMj, KzKzi BZ¨vw`i wePiY eÜ Ki‡Z n‡e
·         cÖvK…wZK Lv`¨ cixÿv I ÿwZKi †cvKv-gvKo `gb
·         †iYy Qvovi c~‡e© cÖvK…wZK Lv‡`¨i ch©vßZv cixÿv K‡i wb‡Z n‡e
·         mvi cÖ‡qv‡Mi d‡j RjR †cvKv †hgb- nuvm †cvKv, WªvMb d¬vB wbç, gvLb †cvKv BZ¨vw` Rb¥ †bq|
·         G¸‡jv `g‡bi Rb¨ cÖwZ kZvs‡k  125 wgwj †K‡ivwmb ev
·         100 wgwj wW‡Rj wQwU‡q w`‡Z n‡e Ges wQwU‡q †`Iqvi 1 N›Uvi g‡a¨ Nb dvu‡mi Rvj w`‡q Zz‡j †dj‡Z n‡e|

GK bR‡i bvm©vwi cyKz‡i †iYy gRy`Kvjxb e¨e¯’vcbv :

·         cvwbi Dchy³Zv cixÿv
·         †cvbv Qvovi 1-2 w`b Av‡M cyKz‡i GKwU nvcv ¯’vcb Ki‡Z n‡e
·         50-100 wU eo AvKv‡ii avbx ‡cvbv Qvo‡Z n‡e
·         4-5 N›Uv †i‡L ch©‡eÿY Ki‡Z n‡e
·         hw` †cvbv gviv bv hvq Zvn‡j eyS‡Z n‡e cvwb‡Z welwµqv †bB

·         †iYy †cvbvi RvZ wbe©vPb
·         †iYy µq Kivi c~‡e© eªæ‡Wi cÖK…Z Drm, eqm, IRb I AvKvi †R‡b wb‡Z n‡e
·         AvuZzo cyKz‡i †h‡K‡bv GKRv‡Zi †iYy gRy` Ki‡j fv‡jv dj cvIqv hvq
·         cvkvcvwk ¯Í‡ii †iYyi wgkÖ Pv‡l Drcv`b Kg nq
·         wek¦¯’ n¨vPvwi n‡Z †iYy µq Ki‡Z n‡e

·         †iYyi gRy` NbZ¡ wba©viY
·         GKavc c×wZ‡Z 3-5 w`b eq‡mi †iYy †cvbv cªwZ kZvs‡k  15-20 MÖvg  gRy` Kiv DwPZ
·         `yBavc c×wZ‡Z †iYy †cvbv cªwZ kZvs‡k  50-75 MÖvg gRy` Kiv fv‡jv

·         Af¨¯ÍKiY Ges gRy`
·         Af¨¯ÍKi‡Yi Rb¨ cwjw_b e¨vM Avav NÈvi g‡Zv cvwb‡Z fvwm‡q ivL‡Z n‡e| Zvici Kgc‡¶ 30-40 wgwbU a‡i cvwb A`j-e`j K‡i ax‡i ax‡i ZvcgvÎvi mv‡_ Lvc LvB‡q wb‡Z n‡e| bvm©vwii A‡c¶vK…Z Mfxi ¯’vbwU‡Z cwje¨v‡Mi gyL Ly‡j KvZ K‡i A‡a©K gyL Wywe‡q cvwb‡Z g„`y †mªv‡Zi m„wó Ki‡j hw` bvm©vwii cvwbi ZvcgvÎv †iYyi mnbxq gvÎvq G‡m _v‡K Zvn‡j †iYy †¯^”Qvq cyKz‡ii cvwb‡Z P‡j hv‡e|

GK bR‡i bvm©vwi cyKz‡i †iYy gRy` cieZ©x e¨e¯’vcbv :

·         †iYy †cvbv †eu‡P _vKvi nvi ch©‡e¶Y
·         †iYy †cvbv gRy‡`i 1 w`b ci 2-3 nvZ cwigvY MvgQv Uvbvi ci hw` 5-10wU †iYy †cvbv D‡V Av‡m Zvn‡j eyS‡Z n‡e †iYy †eu‡P _vKvi nvi fv‡jv|

·         †iYy †cvbvi Lv`¨ e¨e¯’vcbv
·         wb‡¤œv³  †iYyi eqm I ZvwjKv Abyhvqx Lv`¨ cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e

    বয়স
খাদ্যের পরিমান (প্রতি কেজি পোনা)
খাদ্য উপকরণ
- দিন
মোট ওজনের গুন
ময়দা
- দিন
মোট ওজনের গুন
সরিষার খৈল+অটোপালিশ+নার্সারি ফিড
-১৫ দিন
মোট ওজনের গুন
সরিষার খৈল+অটোপালিশ+নার্সারি ফিড
১৬-২০ দিন
মোট ওজনের গুন
সরিষার খৈল+অটোপালিশ+নার্সারি ফিড

·         avbx †cvbv †UKmBKiY I KvUvB

·         avbx †cvbv KvUvB Gi 2-3 w`b Av‡M cÖwZw`b gkvwi Rvj w`‡q avbx †cvbv Rv‡ji GK RvqMvq G‡b 20-30 wgwbU cvwbi SvcUv w`‡q †UKmB K‡i wb‡Z n‡e

·         avbx †cvbvi gRy` NbZ¡ wba©viY

·         jvjb cyKz‡i cÖwZ kZvs‡k 1000-1200wU †cvbv gRy` Kiv fv‡jv

·         avbx †cvbvi Lv`¨ e¨e¯’vcbv
·         wb‡¤œv³  avbx †cvbvi eqm I ZvwjKv Abyhvqx Lv`¨ cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e

পোনার বয়স
খাদ্যের পরিমান (প্রতি লক্ষ পোনা)
খাদ্য উপকরণ  (অনুপাত ::)
১ম ১০ দিন
-১০ কেজি
সরিষার খৈল, অটোপালিশ নার্সারি ফিড
২য় ১০ দিন
১০-১১ কেজি
সরিষার খৈল, অটোপালিশ নার্সারি ফিড
৩য় ১০ দিন
১১-১২ কেজি
সরিষার খৈল, অটোপালিশ নার্সারি ফিড
৪র্থ ১০ দিন
১২-১৩ কেজি
সরিষার খৈল, অটোপালিশ নার্সারি ফিড
৫ম ১০ দিন
১৩-১৪ কেজি
সরিষার খৈল, অটোপালিশ নার্সারি ফিড
৬ষ্ঠ ১০ দিন
১৪-১৫ কেজি
সরিষার খৈল, অটোপালিশ নার্সারি ফিড
৭ম ১০ দিন
১৫-১৬ কেজি
সরিষার খৈল, অটোপালিশ নার্সারি ফিড

·         jvjb cyKz‡i mvi e¨e¯’vcbv
·         ˆRe mvi (K‡¤úv÷) cÖwZ kZvs‡k 6-10 †KwR Ges A‰Re mvi, †hgb- BDwiqv I wUGmwc cÖwZwU 50-75 MÖvg nv‡i cÖwZ kZvs‡k cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e
·         cvwbi iO A_©vr cÖvK…wZK Lv‡`¨i ch©vßZvi Ici wfwË K‡i cÖwZ 5-7 w`b AšÍi DwjøwLZ gvÎvq mvi cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e
·         †cvbv wewµ
·         cyKz‡ii cvwbi ¸Yv¸Y, Lv`¨, mvi BZ¨vw` e¨e¯’vcbv wVK _vK‡j 60-70 w`‡bi g‡a¨ †cvbv weµq‡hvM¨ (4-5 BwÂ) mvB‡R cwibZ n‡e