বিশেষ প্রতিনিধি (এন.আই.এস): ॥
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কৃতি সন্তান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন মালা জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদক-২০১৭ এর জন্য সাবিনাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। সাবিনা ইয়াসমিন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) থাকাকালীন সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সহ আইনী সহায়তা প্রদানের লক্ষে ‘অপরাজিতা যশোর’ নামে একটি প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। যশোর জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির এ প্রকল্পের দলনেতা ছিলেন। তবে প্রকল্পের মুল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাবিনা ইয়াসমিন। প্রকল্পটি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নির্যাতিত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান গত সোমবার সাবিনা ইয়াসমিনের জনপ্রশাসন পদকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পত্র দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাবিনা ইয়াসমিন খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি (সাবেক চেয়ারম্যান) মিয়ার মেয়ে। সাবিনা মা সালমা বেগম এর গর্ভে থাকাবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন তার পিতা শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি মিয়া। তিনি ১৯৮৭ সালে পাইকগাছা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ৮৯’তে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ৯২’তে বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও ৯৩’ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (ইংরেজি) পাস করে। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ৯৮ থেকে ০৩ পর্যন্ত ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে চাকরি করেন। এখানে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২১তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ২০০৩ সালে সহকারী কমিশনার (ম্যাজিষ্ট্রেট) হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর কর্মরত থাকার পর ’০৭ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী, ময়মনসিংহ সদর এবং ’০৯ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে গাজীপুরের শেরপুর, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ কর্মরত ছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর’১৩ হতে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসাবে যশোরে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশিক্ষণ বিভাগে পিএইচডি করছেন। তার গবেষণার বিষয় পাবলিক হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারী সিষ্টেম ইনদি কমিউনিটি হেল্থ অব বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তিনি এমআইডি ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণের আওতায় ভারত সফর করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে (শিক্ষা ও চাকুরী) ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়ীতা নির্বাচিত হন। শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার লেখক হিসাবে রয়েছে একটা পরিচিতি। ইতোমধ্যে তাহার রচিত লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন, বলিতে ব্যাকুল, পূর্ণিমার পরদিন, জলে জ্যোৎøায় এই অবেলায়, নি:শ্বরের গান, তমোঘœা, ফেরাবো অঙ্কুশে, তোমার জ্যোৎøায় পালক পুড়ে যায়, নীল ঝোনাকী ও ধারা জল সহ ১০টি কাব্যগ্রস্থ প্রকাশিত হয়েছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী মো. শরীফ হোসেন হায়দার বিচার বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। পুত্র রূবাইয়াৎ ইশম্মাম প্রিয়ন্ত ও কন্যা পুষ্পিতা পরিজাত টিপ কে নিয়ে সুখেই রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সর্বশেষ জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় এবং সাফল্য অর্জন প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রগতিশীল দলনেতা জেলা প্রশাসকের সঠিক দিক-নির্দেশনায় অপরাজিতা যশোর প্রকল্পে সাফল্য এসেছে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা জজ, জেলা নারী ও শিশু জজ, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী, অপরাজিতা প্রকল্পের সকল সহকর্মীসহ সুশীল সমাজের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কৃতি সন্তান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন মালা জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদক-২০১৭ এর জন্য সাবিনাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। সাবিনা ইয়াসমিন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) থাকাকালীন সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সহ আইনী সহায়তা প্রদানের লক্ষে ‘অপরাজিতা যশোর’ নামে একটি প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। যশোর জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির এ প্রকল্পের দলনেতা ছিলেন। তবে প্রকল্পের মুল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাবিনা ইয়াসমিন। প্রকল্পটি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নির্যাতিত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান গত সোমবার সাবিনা ইয়াসমিনের জনপ্রশাসন পদকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পত্র দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাবিনা ইয়াসমিন খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি (সাবেক চেয়ারম্যান) মিয়ার মেয়ে। সাবিনা মা সালমা বেগম এর গর্ভে থাকাবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন তার পিতা শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি মিয়া। তিনি ১৯৮৭ সালে পাইকগাছা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ৮৯’তে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ৯২’তে বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও ৯৩’ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (ইংরেজি) পাস করে। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ৯৮ থেকে ০৩ পর্যন্ত ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে চাকরি করেন। এখানে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২১তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ২০০৩ সালে সহকারী কমিশনার (ম্যাজিষ্ট্রেট) হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর কর্মরত থাকার পর ’০৭ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী, ময়মনসিংহ সদর এবং ’০৯ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে গাজীপুরের শেরপুর, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ কর্মরত ছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর’১৩ হতে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসাবে যশোরে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশিক্ষণ বিভাগে পিএইচডি করছেন। তার গবেষণার বিষয় পাবলিক হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারী সিষ্টেম ইনদি কমিউনিটি হেল্থ অব বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তিনি এমআইডি ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণের আওতায় ভারত সফর করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে (শিক্ষা ও চাকুরী) ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়ীতা নির্বাচিত হন। শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার লেখক হিসাবে রয়েছে একটা পরিচিতি। ইতোমধ্যে তাহার রচিত লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন, বলিতে ব্যাকুল, পূর্ণিমার পরদিন, জলে জ্যোৎøায় এই অবেলায়, নি:শ্বরের গান, তমোঘœা, ফেরাবো অঙ্কুশে, তোমার জ্যোৎøায় পালক পুড়ে যায়, নীল ঝোনাকী ও ধারা জল সহ ১০টি কাব্যগ্রস্থ প্রকাশিত হয়েছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী মো. শরীফ হোসেন হায়দার বিচার বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। পুত্র রূবাইয়াৎ ইশম্মাম প্রিয়ন্ত ও কন্যা পুষ্পিতা পরিজাত টিপ কে নিয়ে সুখেই রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সর্বশেষ জনপ্রশাসন পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় এবং সাফল্য অর্জন প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রগতিশীল দলনেতা জেলা প্রশাসকের সঠিক দিক-নির্দেশনায় অপরাজিতা যশোর প্রকল্পে সাফল্য এসেছে। গৌরবময় এ অর্জনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা জজ, জেলা নারী ও শিশু জজ, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী, অপরাজিতা প্রকল্পের সকল সহকর্মীসহ সুশীল সমাজের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন