শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪

কাঁকড়া ফ্যাটেনিং কলাকৌশল এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কাঁকড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ হতে রপ্তানিযোগ্য মৎস্য পণ্যের মধ্যে চিংড়ির পরেই কাঁকড়া অবস্থান। বাংলাদেশ হতে প্রতি বছর নির্দিষ্ট আকারের প্রচুর পরিমানে কাঁকড়া বিদেশে যেমন-হংকং, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, সিংগাপুরসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ মহাদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে যার সিংহভাগিই উপকূলীয় অঞ্চলের বিশেষ করে খুলনার (পাইকগাছা), সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী ইত্যাদি অঞ্চলের প্রাকৃতিক লোনাপানি জলাশয় হতে আহরিত হয়ে থাকে। বর্তমানে সারাদেশে ২.৫-৩.০ লক্ষ লোক কাঁকড়া আহরণ ও বিপনন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে প্রতিনিয়ত কাঁকড়া আহরণের ফলে প্রকৃতিতে এর প্রাচুর্যতা দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। প্রকৃতি হতে আহরণকৃত কাঁকড়ার মধ্য হতে রপ্তানিযোগ্য  কাঁকড়া বাছাই প্রক্রিয়ায়ও বেশ পরিমাণ কাঁকড়া বিনষ্ট হয়। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কাঁকড়া চাষ ও রপ্তানিযোগ্য কাঁকড়া উৎপাদনে ফ্যাটেনিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আহরণ ও বাছাইকালে এর অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে এবং অন্যদিকে প্রকৃতি হতে কাঁকড়ার আহরণ চাপ হ্রাস পেয়ে জীববৈচিত্র  সংরক্ষিত হবে এবং চাষ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক উৎস হতে আহরিত অপরিপক্ক ও কম মূল্যের কাঁকড়া ফ্যাটেনিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং উপকূলীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচনসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। বিভিন্ন কাঁকড়া চাষীদের মতামতের ভিত্তিতে এবং গবেষকদের বিশ্লেষনা মোতাবেক ফ্যাটেনিং এর উপর ধারনা বর্ণনা করা হলো- প্রথমত-ঘের নির্বাচন ও প্রস্তুতি ঃ কাঁকড়া ফ্যাটেনিং এর জন্য দো-আঁশ বা পলিযুক্ত দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। ঘেরের আয়তন ০.৫-০.১ হেক্টর ও পানির গভীরতা ১.০- ১.৫ মিটার, পানির লবনাক্ততা ৫-২৫ পিপিটি, তাপমাত্রা ২০-৩০ ডিগ্রী সে, দ্রভিভুত অক্সিজেন ৪-৮ পিপিএম এবং পি.এইচ ৭.৫-৮.৫ এর মধ্যে থাকলে ভালো ফল আশা করা যায়। ঘের শুকানোর পর পাড় ভালোভাবে মেরামত এবং কাঁকড়া যাতে বের হয়ে যেতে না পারে তার জন্য ১.৫ মিটার উচ্চতার বাঁশের বানা/ বেড়া দিয়ে পুকরের চারপাশ ঘিরে দিতে হবে এবং কাঁকড়া মাটি গর্ত করে যাতে না পালাতে পারে তার জন্য বানার ০.৫ মিটার মাটির নিচে পুঁতে দিতে হবে। এর পর পুকুরে প্রতি শতকে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে। চুন প্রয়োগের ৭ দিন পর পুকুরে ০.২৫ মিলি মিটার ছিদ্রযুক্ত নাইলন জাল দিয়ে ছেকে জোয়ারের পানি তুলতে হবে এবং প্রতি শতকে ২ কেজি সরিষার খৈল, ১০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৮০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত-কাঁকড়া মজুদ ঃ পানিতে জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগের ৪-৫ দিন পরপানির রং সবুজাভ হলে পুকুরে কাঁকড়া মজুদ করা যাবে। গোনাড (ডিম্বাশয়) অপরিপক্ক সুস্থ-সবল ও সকল পাসহ স্ত্রী কাঁকড়া (১৭৫ গ্রাম বা তদুর্ধ) নাইলন ফিতা দিয়ে ভালো ভাবে বেঁধে পুকুরে  প্রতি শতকে ২৫০-৩০০ টি মজুদ করতে হবে। তৃতীয়ত-খাদ্য প্রয়োগ ও পরিচর্যা ঃ  খাবার হিসাবে ছোট তেলাপিয়া মাছ, শামুক-ঝিনুকের মাংস,ছোট চিংড়ি ও চিংড়ির মাথা, কুইচ্ছা, ইত্যাদি ছোট ছোট টুকরা করে কাঁকড়ার শরীরের ওজনের ৮-৫% হারে দৈনিক সকাল ও বিকালে ২ বার পুকুরে দিতে হবে। মাঝে মাঝে পুকুরে নেমে অথবা খাদ ট্রে-তে খাবার দিয়ে খাদ্য গ্রহনের প্রবণতা পর্যবেক্ষণপূর্বক খাবার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং পানি যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য অমাবস্যা বা পূর্ণিমার ভরা জোয়ারের সময় ৪-৭ দিন ৩০-৪০% হারে পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হবে। এভাবে নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে ১৪-১৬ দিনের মধ্যে কাঁকড়ার গোনড পরিপক্ক হয়ে যায় ও বিদেশে রপ্তানিযোগ্য বিক্রির উপযুক্ত কাঁকড়ায় পরিণত হয় এবং চতুর্থ-আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে ছয় মাস (ফেব্রুয়ারী-জুলাই) যে লবনাক্ততা পাওয়া যায়, তাতে এক বছরে প্রতি মাসে ২ টি ব্যাচ হিসাবে ১২ টি ব্যাচে কাঁকড়া ফ্যাটেনিং করা সম্ভব। নিম্নে ১০ শতক পুকুরের কাঁকড়া ফ্যাটেনিং এর ১ বছরের আয়- ব্যয় এর হিসাব দেওয়া হল- নিদিষ্ট ব্যয়- বাঁশের বানা ৬৮০০ টাকা, বানা স্থাপনের জন্য বাঁশ ১০০০ টাকা, ব্লু নেট ও নাইলন ফিতা ১০০০ টাকা, পুকুর লিজ ৩,০০০ টাকা। মোট নিদিষ্ট ব্যয়ঃ ১১,৮০০ টাকা, অনিদিষ্ট ব্যয় ঃ চুন ১৫০ টাকা, সরিষার খৈল ৬৪০ টাকা, টিএসপি ২৪ টাকা, ইউরিয়া ১২ টাকা, অপরিপক্ক স্ত্রী কাঁকড়া (গড় ওজন ১৮০ গ্রাম) ৩,০০০ টি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা ক্রয় মূল্য হিসাবে খরচ ১৬২,০০০ টাকা, খাদ্য (গড়ে ৮% হারে তেলাপিয়া/ট্রাশ ফিস ১৫ দিনের জন্য) ৬৪৮ কেজি ৪০ টাকা দরে খরচ ২৫,৯২০, শ্রমিকের মুজুরি ২,৫০০ টাকা এবং অন্যান্য খরচ ১,০০০ টাকা।  মোট অনিদিষ্ট ব্যয়ঃ ১৯২,২৪৬, মোট ব্যয়ঃ  ১১,৮০০ + ১৯২,২৪৬=  ২০৪,০৪৬, আয় ঃ ধরার সময় পরিপক্ক স্ত্রী কাঁকড়ার গড় ওজন  হবে ১৯০ গ্রাম, বাঁচার হার ৯০% এবং বিক্রয় মূল্য ৫০০ টাকা হিসাবে মোট আয়ঃ ২৫৬,৫০০ টাকা, ১ বছরে ১২ ব্যাচে মোট আয় =২৫৬,৫০০দ্ধ১২= ৩,০৭৮,০০০ টাকা, ১ বছরে ১২ ব্যাচে মোট ব্যয়= ২০৪,০৪৬ + (১৯২,২৪৬ দ্ধ ১১)= ২,৩১৮,৭৫২ টাকা, ঙ) নীট মুনাফাঃ ৩,০৭৮,০০০ - ২,৩১৮,৭৫২= ৭৫৯,২৪৮ টাকা। সর্বপরি তথ্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে অল্প জায়গায় কাঁকড়া ফ্যাটেনিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন তথা উপকূলীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচনসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।  


লেখক-


মোঃ আশরাফুল হক
খুলনা বিভাগীয় টেকনিক্যাল স্পেশালিষ্ট
ওয়াল্ড ফিস, বাংলাদেশ

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

নারীর ক্ষমতায়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম

১ নভেম্বর শনিবার জাতীয় সমবায় দিবস
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    নারীর ক্ষমতায়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, স্বনির্ভরতা অর্জন ও আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে দেশের সমবায় সংগঠনগুলো। সমবায়ের তীর্থস্থান হিসাবে খ্যাত খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় রয়েছে একটি সমবায় ব্যাংকসহ ৩৭২ টি সমবায় সমিতি। ইতোপূর্বে এ উপজেলা থেকে ২ ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। সংগঠনের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে এ অঞ্চলের অর্ধেক জনগোষ্ঠি। সমবায়ের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যাতে এ অঞ্চলে সমবায়ের কাছে দারিদ্রতা পরাজিত হবে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই মনে করেন সমবায় হতে পারে দারিদ্র বিমোচনের মূল চাবিকাঠি। আজ ১ নভেম্বর সারাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় সমবায় দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে সমবায় বিভাগ ও সমবায়ীবৃন্দ র‌্যালী, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণসহ আয়োজন করেছেন নানা অনুষ্ঠান।
    ১৯০৪ সালে কো-অপারেটিভ ব্যাংকের মাধ্যমে সুন্দরবন সংলগ্ন এ অঞ্চলে সর্বপ্রথম শুরু হয় সমবায় কার্যক্রম। এরপর ১৯০৯ সালে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানি আশ্চার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি রায়) তার জন্মস্থান উপজেলার রাড়–লীতে প্রতিষ্ঠা করেন রাড়–লী কো-অপারেটিভ ব্যাংক। এরপর ধীরে ধীরে এলাকার মানুষ ঝুঁকে পড়ে সমবায় আন্দোলনে। বর্তমানে সমবায় কার্যক্রম এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, এমন কোন পাড়া মহল্লা নেই যেখানে সমবায় সংগঠন নেই। বর্তমানে উপজেলায় সমবায় সমিতির সংখ্যা ৩৭২টি। এসব সমবায়ের শেয়ার ও সঞ্চয় আমানতের পরিমাণ ১০ কোটিরও বেশি। এলাকার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠি সমবায়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। যার মধ্যে ৪০ ভাগই হচ্ছে নারী। সমবায়ের মাধ্যমে সঞ্চয় গচ্ছিত করে আর্তনির্ভরশীল হয়েছে হাজারো মানুষ। সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই কিনছে ভ্যান, নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেল, মাহেন্দ্রসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে করে অনেক বেকার যুবকের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। কৃষি, মৎস্য ও ব্যবসা বানিজ্যের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। সমবায়ের নানামুখী এসব পদক্ষেপের কারনে প্রতিনিয়ত কমছে বেকারত্বের সংখ্যা। হ্রাস পেয়েছে সামাজিক অপরাধের প্রবনতা। নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তায় ইতিবাচক ভূমিকায় সমবায়ে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে ধনী, গরীব, মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুবাদে ইতোপূর্বে এ উপজেলা থেকে দু’ব্যক্তি ও দু’টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। সমবায়ী হিসাবে ২০০০ সালে ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রয়াত মেয়র আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান এবং ২০০৩ সালে ফসিয়ার রহমান কৃষি ও জনকল্যাণ সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমান এবং প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৯৫ সালে ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ও ২০১১ সালে ফসিয়ার রহমান কৃষি ও জনকল্যান সমবায় সমিতি এ পুরস্কার অর্জন করেন। এ দু’টি সংগঠনের পাশাপাশি খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমাবায় সমিতি, জিরবুনিয়া সমবায় সমিতি, জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও সলুয়া পল্লী দুগ্ধ সমবায় সমিতিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন সুনাম অর্জন করেছে। চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় সমবায় মেলায় স্থান করে নিয়েছে কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। সলুয়া পল্লী দুগ্ধ সমবায় সমিতির কথা না বললেই নয়-বছর খানেক আগেই সমবায় বিভাগের প্রাক্তন সচিব মিহির কান্তি মজুমদারের প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠা হয় এ সংগঠনটি। সংগঠনের ১২৫ দলিত সম্প্রদায়কে বিনাসুদে প্রদান করা হয় ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋন। ঋনের টাকায় সংগঠনের সদস্যরা শুরু করেন গাভী পালন। বর্তমানে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ১ হাজার লিটার দুধ। উৎপাদিত দুধ সরবরাহ করা হয় মিল্কভিটাসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে। এভাবেই এলাকার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গড়ে ওঠা সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সামাজিক নিরাপত্তায়। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এফএম সেলিম আখতার জানান-এলাকার সমবায় সমিতিগুলো এতটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ যে, এখানে তেমন কোন ক্রেডিট নির্ভর এনজিও’র কার্যক্রম নাই। সমবায়ের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যাতে সমবায়ের কাছে দারিদ্রতা পরাজিত হবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৪

পাইকগাছায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব চিংড়ি চাষে নারীরাও এখন আত্মবিশ্বাসী

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের কেওড়াতলা গ্রামের মহিলা চিংড়ি চাষিরা এখন পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক চিংড়ি চাষে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। চিংড়ি চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও কারিগরি জ্ঞানের অভাব ও চাষ পদ্ধতি সনাতন হওয়ায় বছরের পর বছর চিংড়ির উৎপাদন কম ও লাভের পরিমান সীমিত হওয়ায় চিংড়ি চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ঠিক এমনি সময়  চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি তথা অধিক লাভের মাধ্যমে দরিদ্র চিংড়ি চাষিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত (এআইএন) প্রকল্পটি চিংড়ি চাষিদের পাশে এসে দাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতাই ২০১৩ সালের প্রথম দিকে কেওড়াতলা গ্রামের ২০ জন মহিলা চিংড়ি চাষিকে নিয়ে দল গঠনের মাধ্যমে তাদেরকে পরিকল্পিত ও আধুনিক চিংড়ি চাষ বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ের উপর হাতে-কলমে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান করে, ফলে চাষিরা চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনার ধাপ সমূহ যেমন- পঁচা কাদা উঠিয়ে ফেলে সঠিক নিয়মে ঘের প্রস্ততকরণ, ঘেরে পানির গভীরতা বেশি রাখা, সুস্থ-সবল রোগ মুক্ত পোনা মজুদ, মজুদ ঘনত্ব ঠিক রাখা, ঘেরে নিয়মিত চুন, সার ও খাদ্য প্রয়োগ করা, মাটি ও পানির গুনাগুন ঠিক রাখা এবং রোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করেন। এরপর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস নিয়ে দলের মহিলা চিংড়ি চাষিরা সনাতন চাষ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিতভাবে ও আধুনিক পদ্ধতিতে ঘের পরিচালনা করে, ফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর উৎপাদন এবং লাভ অনেক বেশি হয়েছে। তথ্য সংগ্রহকালে দলনেত্রী লতা রানী বলেন, বিগত বছরগুলোতে তাদের ঘেরে প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে বাগদা চিংড়ির গড় উৎপাদন ছিল মাত্র ২০-২৫ কেজি অথচ এ বছর তাদের ঘেরে প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে বাগদা চিংড়ির গড় উৎপাদন ৬৫-৭৫ কেজি যা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি যা তারা কখনও আশা করেনি। তারা আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব চিংড়ি চাষে এখন খুবই  আত্মবিশ্বাসী। এ সময় উপস্থিত ছিল দলের অন্যান্য সদস্যাদের মধ্যে অনিমা, সুফলা, কুসুম, জয়ত্রী, রুপালি, পারুল, রেনুকা, ঊষা, শুভাশি প্রমুখসহ আশেপাশের অন্যান্য মহিলা ও পুরুষ চিংড়ি চাষিরা।  দলের চিংড়ি চাষিরা উপস্থিত সকলকে জানান, ব্যবহারিক কাজের মাধ্যমে হাতে-কলমে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ পাওয়ায় তারা সহজে মনে রেখে তা তাদের ঘেরে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছে। দলের মহিলা চিংড়ি চাষিরা বিশ্বাস করেন, সকল চাষি যদি পঁচা কাদা তুলে ফেলে ভালো করে ঘের প্রস্তুত করে, পানির গভীরতা ঠিক রাখে, রোগমুক্ত ভালো পোনা মজুদ করে , নার্সারী প্রস্তুত করা সহ পোনার মজুদ ঘনত্ব ঠিক রাখে, নিয়মিত চুন, সার, খাদ্য প্রয়োগ করে এবং মাটি ও পানির গুনাগুন ঠিক রাখে তাহলে পূর্বের তুলনায় চিংড়ির উৎপাদন অনেক বেশি পাওয়া যাবে। উপস্থিত সকল চিংড়ি চাষি, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সংবাদ প্রতিনিধেদের মাঝে কেওড়াতলার গ্রুপের মহিলা চিংড়ি চাষিরা মন্তব্য করেন, তারা এখন চিংড়ি চাষে খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং নিজেদেরকে সফল চিংড়ি চাষি বলে মনে করেন। তারা আরও বলেন, অত্র অঞ্চলের সকল মহিলা চিংড়ি চাষিরা যদি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে করে, তাহলে চিংড়ির উৎপাদন বাড়িয়ে তারা অর্থাৎ  মহিলা তথা নারীরাও   বাংলাদেশের চিংড়ি সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। পরিশেষে, তারা এই ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ইউএসএআইডি এবং এআইএন প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

পাইকগাছায় আধুনিক চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনায় আজিজুর রহমানের সাফল্য

নিউজ অফ পাইকগাছা  ॥
    বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল চিংড়ি চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু চাষ পদ্ধতি সনাতন হওয়ায় চিংড়ি চাষিদের উৎপাদন কম, লাভের পরিমান সীমিত এবং বেশিরভাগ সময়ই তাদেরকে লোকসান গুণতে হয়। চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি তথা অধিক লাভের মাধ্যমে দরিদ্র চিংড়ি চাষিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়াকালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এআইএন) প্রকল্পের মাধ্যমে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার চিংডী চাষীদের মাঝে পরিবেশ বান্ধব ও আধুনিক পদ্ধতিতে চিংডী চাষ ব্যবস্থাপনার উপর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কারিগরি সহায়তা করে আসছে বিগত ২০১২ সাল থেকে।
    খুলনা বিভাগের পাইকগাছা থানার কপিলমুনি ইউনিয়ন এর পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার মাগুরা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আজিজুর রহমান একজন দরিদ্র চিংড়ি চাষি। তিনি বিগত ১৫ বছর ধরে চিংড়ি চাষ করে আসছে কিন্তু গতানুগতিক সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করার কারনে কখনই আশানুরুপ উৎপাদন পায়নি ফলে তার অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি। গত বছর তিনি তার ৯৯ শতক আয়তনের ঘের থেকে মাত্র ৭৩ কেজি বাগদা, ৩২ কেজি গলদা চিংড়ি এবং ১২৭ কেজি সাদা মাছ উৎপাদন করতে পেরেছিলেন। যার মোট মূল্য ৮৩ হাজার টাকা মাত্র। অবশেষে এ বছেরর প্রথম দিকে এআইএন প্রকল্পের আওতাধীন রঘুনাথপুর গ্রামের চিংড়ি চাষি দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রতিটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তিনি  সঠিক নিয়মে ঘের প্রস্তুত, সুস্থ-সবল রোগ মুক্ত পোনা মজুদ, ঘেরে নিয়মিত চুন, সার ও খাদ্য প্রয়োগ, মাটি ও পানির গুনাগুন ঠিক রাখা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান লাভ করেন এবং বুঝতে পারেন যে এসব বিষয়গুলোর উপর অবহেলার কারনেই চিংড়ি চাষিরা খতিগ্রস্থ হচ্ছে বছরের পর বছর। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ঘের পরিচালনা করে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর অনেক বেশি লাভবান হয়েছেন।  আজিজুর রহমান  আধুনিক এম টি টি পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে এ বছর তিনি তার ৯৯ শতক ঘের থেকে এ পর্যন্ত ১৭৭ কেজি বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করেছে যার মূল্য ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা এবং ৫২০ কেজি সাদা মাছ উৎপাদন করেছে যার মূল্য ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১২ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছেন। প্রতিনিধিকে জানান- তিনি আশা করেন তার ঘের থেকে  আরও ৬০-৮০ হাজার টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ বিক্রয় হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, সকল চাষি যদি পঁচা কাদা তুলে ফেলে ভালো করে ঘের প্রস্তুত করে, পানির গভীরতা ঠিক রাখে, রোগমুক্ত ভালো পোনা মজুদ করে , নার্সারী প্রস্তুত করা সহ পোনার মজুদ ঘনত্ব ঠিক রাখে, নিয়মিত চুন, সার, খাদ্য প্রয়োগ এবং মাটি ও পানির গুনাগুন ঠিক রাখে তাহলে পূর্বের তুলনায় চিংড়ির উৎপাদন অনেক বেশি পাওয়া যাবে।
    বর্তমানে তিনি নিজেকে একজন সফল চিংড়ি চাষি বলে মনে করেন এবং সকল চিংড়ি চাষিকে পরিকল্পিতভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করার জন্য আহ্বান করেন। পরিশেষে, আজিজুর রহমান তথ্য প্রদানকালে উপস্থিত সকল চিংড়ি চাষি, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সংবাদ প্রতিনিধেদের মাঝে এই ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ইউএসএআইডি এবং প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০১৪

পাইকগাছায় আ’লীগের আহবায়ক কমিটি প্রকাশের পর বিতর্কিতরা বিপাকে; বাদ পড়া ত্যাগী নেতারা বিক্ষুব্ধ

“গো চেনায় দুধ নষ্ঠ”
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ৪৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি প্রকাশের কমিটির নতুন মুখদের মধ্যে ইতিবাচক বক্তব্য লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমান, সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘরানার কমিটি থেকে বঞ্চিত রাজনৈতিক নেতারা রীতিমত রাগে ক্ষোভে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। দলের অনেক ত্যাগী ও সংকটকালের পরিক্ষিত নেতারা অভিযোগ করেছেন কমিটিতে অজ্ঞ, অরাজনৈতিক, বির্তর্কিত এমনকি দলের প্রয়োজনের চাইতে ব্যক্তি প্রয়োজনে ঘনিষ্ট ব্যক্তিদের স্থান দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন উপমহাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামীলীগের তৃনমুলের নেতৃত্ব, কতৃত্ব নিয়ে অভ্যন্তরিন দ্বদ্ধ নিরসন করা না গেলে জামায়াত-বিএনপিকে মোকাবেলা করা দুরের কথা একসময় সংগঠনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন। ঘর সামলাতে অবিলম্বে তৃনমুল নেতাকর্মীরা জেলা ও হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট দলীয় একাধিক সুত্রে জানিয়েছে, তৃনমূল ও উপজেলায় আওয়ামীলীগের সংগঠনকে নতুন মাত্রায় সাজাতে এবং গতিশীল করতে প্রায় ১ যুগ আগের উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহবায়ক করে ৪৭ সদস্যের একটি কমিটি গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। কমিটি প্রকাশের পর দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। দলের অভ্যন্তরে এবং সর্বত্রই কমিটির স্থান পাওয়া সদস্যরা বর্তমান এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক, সাবেক এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা ও বিদায়ী সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামানের সমর্থক কি না বা কে কার লোক এটাই নিয়ে সর্বত্রই চুলচেরা বিশ্লেষন চলছে। একটি সুত্র জানিয়েছে দলের চাইতে ব্যক্তির লোক পরিচয়ের এই সংস্কৃতির চর্চা চলতে থাকলে দলের তৃনমুলে এক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন। অপরদিকে এ কমিটিতে অনেক অরাজনৈতিক, এলাকায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের ঢোকানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। উপজেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষক কুমুদ রঞ্জন ঢালী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেছেন-সারাজীবন দলের প্রয়োজনে দূর্দিন-সুদিনে শ্রম, অর্থ দিয়েও সংগঠনের কাজ করে আসছি। অথচ নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া আমার ইউনিয়নে এক ব্যক্তি যে কখনও কোন সময় দলের কর্মকান্ডে জড়িত ছিল না, এমনকি নূন্যতম যার সদস্যপদও নাই এমন ব্যক্তিকে ঢোকানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সোলাদানা ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কৃষ্ণ সরকার বলেন-দীর্ঘদিন ধরে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছি এবং একাধিকবার মামলার স্বীকারও হয়েছি। তিনি বলেন এক সময়ে যারা দলের বিরোধী লোক ছিল এমন ব্যক্তি পঞ্চানন নামের এক বিতর্কিত লোককে এ কমিটিতে স্থান দেয়ার ঘটনায় তিনি বিষ্মিত হয়েছেন। বিশ্লেষকরা এটাকে প্রথম রাউন্ডের খেলা বলে মনে করছেন এবং আগামীতে উপজেলা মুল কমিটিতে স্থান পেতে উভয় গ্রুপের শীর্ষ নেতাদের সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। কমিটিতে স্থান পাওয়া সাবেক উপজেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিজন বিহারী সরকার বলেছেন- সবকিছুই ভাল হলেও কমিটিতে দু’একজন ব্যক্তির নাম থাকায় এটাকে তিনি এক বালতি দুধে এক ফোটা গো চেনার সাথে তুলনা করেছেন। অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উভয় অংশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দিলে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করলে তৃনমুলে দলের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

এ আই এন প্রকল্প কর্তৃক “ঘেরে বাগদা চিংড়ির উত্তম চাষ অনুশীলন ও পাড়ে সবজি চাষ ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক চাষি সহায়িকা বিতরণ

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনা জেলার পাইকগাছা এবং পার্শ্ববর্তী কয়রা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, তালা, আশাশুনিসহ বিভিন্ন উপজেলায় ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়া
কালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এআইএন) প্রকল্পের মাধ্যমে শত শত চিংড়ি চাষীদের মাঝে অধিক চিংড়ি উৎপাদন ও পরিবেশ বান্ধব আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে ঘেরের পাড়ে সবজি চাষের উপর গত ২০১২ সাল থেকে প্রশিক্ষন প্রদান করে আসছে। কিন্তু প্রকল্পে  দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে, চাষিরা প্রশিক্ষণ থেকে যে সকল জ্ঞান অর্জন করে বেশিরভাগ চাষিই তা মনে রাখতে পারেনা। প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ এই বিষয়টি উপলব্ধি করে চাষিরা যাতে তাদের ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো সহজেই জেনে নিয়ে সঠিকভাবে ঘের পরিচালনা করতে পারে তার জন্য  চাষি সহায়িকা সম্পাদনা ও চাষিদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতাই প্রকল্পের চিফ অফ পার্টি এরিক এইচ  জে কেউস  এবং ড. ক্রেগ এ মেইসনার কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়ার্ল্ডফিশ-বাংলাদেশ  এর সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্পের ডেপুটি চিফ অফ পার্টি  ড. মনজুরুল করিম এর নিরলস  পরিশ্রম ও  প্রকল্পের ট্রেনিং ম্যানেজার মোঃ মাছুদুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ. জেড. এম কুদরত-ই-কবির,আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম খান এবং ১৭ জন কারিগরি বিশেষজ্ঞগণের আন্তরিক সহযোগিতায় “ঘেরে বাগদা চিংড়ির উত্তম চাষ অনুশীলন ও পাড়ে সবজি চাষ ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক চাষি সহায়িকা সম্পাদনা করেন। ইতিমধ্যেই তা প্রকল্পের সুফলভোগী চিংড়ি চাষিদের মাঝে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে।  প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ মোঃ আশরাফুল হক বলেন, এ পর্যন্ত উপরোক্ত উপজেলার প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শত (২৫০০) জন চিংড়ী চাষিকে বিনামুল্যে চাষি সহায়িকা বিতরণ করা হয়েছে। চাষিরা তথ্যবহুল এবং প্রতিটি পৃষ্ঠায় বিষয় ভিত্তিক ছবি সম্বলিত সহায়িকাটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ  বিশ্বাস করেন, চাষিরা যদি প্রকল্পের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণের জ্ঞান ও চাষি সহায়িকার সহায়তা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি ও ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ করে তাহলে চাষিরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে তেমনি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করতে পারবে। আর তখনই এই প্রকল্পের তথা প্রকল্পের কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বার্থকতা আসবে। 

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ঈদের পর পাইকগাছায় আসছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

 নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
>> মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ

খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী কে,জি,এইচ,এফ মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর প্রাক্ত ছাত্র/ছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানী ঈদের তৃতীয় দিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ‘বন্ধন’ নামে একটি বিশেষ স্মরণিকাও প্রকাশিত হবে। ইতোমধ্যে স্মরণিকার বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গান (থিম সং) প্রদর্শন ও ভিডিও করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ, খুলনা সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ফায়েকুজ্জামান, স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক, খুলনা জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ মনিরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, সাউথ বাংলা এগ্রি কালচার কমার্স ব্যাংকের ম্যানেজিং ডারেক্টর আমজাদ হুসাইন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সুজা ও যুগ্ম আহবায়ক মারুফ বিল্লাহ।

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

পাইকগাছাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ভারতীয় ভিসার অনলাইন সিরিয়াল এখন সোনার হরিণ

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
ইন্টারনেটের বিভিন্ন সিষ্টেমের দোহাই দিয়ে ২/৩ মাস ধরে লুকোচুরি করার পর এবার প্রায় বন্ধ হতে চলেছে অন লাইন ইন্ডিয়ান এ্যাপ্লিকেশন ফরমের এ্যাপয়নমেন্ট ডেট। ফলে খুলনা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রোগী এবং হাজার হাজার ভারত ভ্রমণ প্রত্যাশি চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
চিকিৎসা সেবা, ব্যবসা, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়াসহ ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশীরা সবসময় পার্শ¦বর্তী বন্ধু প্রতীম দেশ ভারতে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসার খরচ ভারতে কম হওয়ার কারণে বাংলাদেশী রোগীরা ভারতের চেন্নাই, মাদ্রাজসহ কলকাতার এ্যাপোলো, পিয়ারলেস, কোঠারী, বি এম বিড়লা, ডিসান, রুবী, বারাসাত ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড ওয়েল ফেয়ার সেন্টার ও ঠাকুর পুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, এসব হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন প্রায় এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী রোগী চিকিৎসার জন্য যায়। পূর্বে রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ ষ্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার শাখা অফিস, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ভারতীয় ভিসা অফিস থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা প্রদান করা হতো। সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে এসব ভিসা অফিসে পাসপোর্ট জমা দিতে পারলেই আবেদনকারীরা ভিসা পেয়ে যেত। কিন্তু সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পাসপোর্ট জমা দেয়া ছিল কঠিন কাজ। এ সকল ভোগান্তি থেকে বাংলাদেশী ভিসা প্রার্থীদের মুক্তি দিতে হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া অন লাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা নেয়া শুরু করে। এতে করে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা অন লাইনে তাদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এ্যাপয়নমেন্ট ডেট নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে তাদের আবেদনপত্র জমা দিয়ে ভিসা প্রাপ্ত হতো। পরবর্তীতে খুলনা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া খুলনা শহরে ষ্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখা ও ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন রিসিভিং সেন্টার খোলে। এর ফলে এই এলাকার মানুষ অতি সহজেই ভারতীয় ভিসা পাচ্ছিল। কিন্তু বিগত মে মাস থেকে মাঝে মাঝে অন লাইন ইন্ডিয়ান ভিসা ফরম পূরণ করে কাক্সিক্ষত এ্যাপয়নমেন্ট ডেট থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তবে দুই তিন মাস এভাবে চললেও ৭ থেকে ১৫ দিনের চেষ্টায় একজন আবেদনকারী তার আবেদন জমা দেয়ার ডেট পাচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ২ মাস আগে থেকে অন লইন ইন্ডিয়ান ভিসা ফরম পূরণ করে শেষ পাতায় অর্থাৎ হোম পেইজে ডেট এন্ড টাইম এ্যালোটমেন্ট টু এ্যাপ্লিক্যান্ট এ আসলে “নো এ্যাপয়নমেন্ট আর এ্যাবেল এ্যাবেল” লেখা আসছে।
একটি সূত্র জানায়, দিন রাত ২৪ ঘন্টার কোন এক সময় ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের জন্য অন লাইনে ডেট দেখা গেলেও কেউ তার নাগাল পাচ্ছে না।
সূত্রটি আরো জানায়, ১ হাজার ব্যক্তির মধ্যে হয়তো একজন ব্যক্তি তার কাক্সিক্ষত ডেট পাচ্ছে। এদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু অসাধু সাইবার ক্যাফে ব্যবসায়ীরা অন লাইনে ভিসার ডেট পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করছে।
যশোরে অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন জানান, তার এক আত্মীয়কে ভারতে চিকিৎসা করানোর উদ্দেশ্যে অতি জরুরীভাবে প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ করে দুইটি পাসপোর্ট করিয়েছিলেন। কিন্তু দুই মাস ধরে ভিসা জমা দেয়ার ডেট পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। অবশেষে ডেট না পেয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তার আত্মীয় মারা গেছেন।
অপর একটি সূত্র জানায়, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী হাই কমিশন অফিসে ভারতীয়রা বাংলাদেশী ভিসার জন্য তাদের পাসপোর্ট জমা দিলেই ১ দিনের মধ্যে বিনা পয়সায় তারা বাংলাদেশী ভিসা পেয়ে যায়। অথচ বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনে বাংলাদেশীরা তাদের পাসপোর্ট জমা দিলে ৪শ’ টাকা এবং খুলনায় জমা দিলে ৬শ টাকা সার্ভিস চার্জ কেটে নেয়। অনেক পাসপোর্টে ভিসা প্রদান না করলেও ভুল ত্রুটি দেখানো বা সার্ভিস চার্জের কোন টাকা ফেরৎ দেয় না ভারতীয় হাই কমিশন । এর ফলে ভিসা প্রত্যাশিদের মধ্যে ভয়ানক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সহজেই যাতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সারাদিন ধরে ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট জমা দেয়ার ডেট পেতে পারে তার জন্য সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারীরা।

শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৪

পাইকগাছায় প্রভাবশালী ঘের মালিকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী ও ভোগ দখলে থাকা চিংড়ি ঘের জবর দখলের পায়তারার অভিযোগ এনে প্রভাবশালী এক ঘের মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার সকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলার পানা গ্রামের মৃত হরিশ্চদ্র হালদারের পুত্র বিকাশ চন্দ্র হালদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, লতা ইউনিয়নের পানা মৌজায় উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার সরদারের পুত্র প্রভাবশালী ঘের মালিক এস,এম, রফিকুল ইসলাম ১৯৯১ সাল থেকে দুটি খন্ডে ৯৫০ বিঘা জমির উপর মৎস্য লীজ ঘের করে আসছে। ঘের করাকালীন সময়ে রফিকুল ইসলাম বিঘা প্রতি ৫ হাজার টাকা হারীর স্থলে সাড়ে ৩ হাজার, ৬ হাজার টাকার স্থলে ৪ হাজার এবং ৮ হাজার টাকার স্থলে ৫ হাজার টাকা করে একাধিক কিস্তিতে পরিশোধ করেছে। যা এলাকাবাসীর কোন উপকারে আসে নাই। ২০১৩ সালে উক্ত ঘেরের মেয়াদ শেষান্তে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারী হতে উক্ত ঘেরের ৪৫০ বিঘার অংশের মধ্য থেকে ১শ বিঘা জমির দখল বুঝে নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মধুসুদন মন্ডল, ঠাকুর দাস, অজিত, জনেক, বিকাশ, বিধান, অনন্ত ও পঞ্চরাম হালদারসহ কয়েকজন এলাকাবাসী সমবায় ভিত্তিক লীজ ঘের শুরু করেন। এতে ঘের মালিক রফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কিরণ চন্দ্র বিশ্বাসের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী এলাকার সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে এলাকাবাসীর উপর অত্যাচার ও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে গত কয়েক মাসের মধ্যে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে ১৬টি হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এছাড়াও স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক আগামী সংসদ অধিবেশনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় অবস্থান নেয়ার সুযোগে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করে এলাকাবাসীর ভোগ দখলে থাকা চিংড়ি ঘেরটি জবর দখল করে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের স্থানীয় এমপি সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
                                                        পাইকগাছায় অর্ধশত মটরসাইকেল জব্দ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছায় ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে প্রায় অর্ধশত মটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাগজপত্রবিহিত মটরসাইকেল মালিকরা আতংকে রয়েছে। জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শনিবার দিনভোর অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লাইসেন্সবিহিন প্রায় অর্ধশত মটরসাইকেল জব্দপূর্বক প্রত্যেক মটরসাইকেল মালিককে কেসস্লিপ ধরিয়ে দেন। বর্তমানে যে সব মটরসাইকেলের কাগজপত্র নেই সে সব মালিকরা  আতংকে রয়েছেন।
                                                  পাইকগাছায় ফুড হাইজিন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছায় “হোটেল রেস্টুরেন্টে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক ফুড হাইজিন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও নবলোক পরিষদের যৌথ উদ্যোগে শনিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনার চত্ত্বরে কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল লতিফ সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, এস,এম, আলাউদ্দীন সোহাগ, এন. ইসলাম সাগর ও কৃষ্ণ রায়, কাউন্সিলর কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, এস,এম, তৈয়েবুর রহমান, আসমা আহমেদ, আবু জাফর, কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, গাজী আব্দুস সামাদ, নবলোক পরিষদের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মঈনউদ্দীন শেখ, হাইজিন প্রমোশন এণ্ড ট্রেনিং অফিসার মোঃ ইজাজুর রহমান, প্রকল্প সুপার ভাইজার সুমন হাসান, আইয়ুব আলী ও সুমন খান। অনুষ্ঠান শেষে জারী গান পরিবেশন করেন বয়াতী আব্দুস সাত্তার ও তার দল।
                              পাইকগাছায় শিক্ষকের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ চুরি; চোরাই মাল সহ দু’যুবক আটক
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। অপরদিকে পৃথক চুরির ঘটনায় পুলিশ চোরাই মালামালসহ দু’যুবককে আটক করেছে।
    থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর প্রধান শিক্ষক শশাংক শেখর বাছাড় ও স্ত্রী সাহাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিপু বৈদ্য ঘটনার দিন কর্মস্থল স্কুলে অবস্থান বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে পৌরসভার শিববাটিস্থ বসত বাড়ীর গ্রীল কেটে সংঘবদ্ধ চোর চক্র ভিতরে প্রবেশ করে আলমারী ভেঙ্গে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণাংলকার নিয়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে গত বুধবার মাহমুদকাটি গ্রামের সাধন কুমার দাশ, বাসুদেব কুমার দাশ ও বিকাশ দাশ সহ কয়েকজন এলাকাবাসীর বাড়ীতে চুরির ঘটনায় পুলিশের এস,আই রহমত আলী ও এএসআই সুকুমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে রামনাথপুর গ্রামের সাইদ সরদারের পুত্র ফারুক হোসেন (২২) ও একই এলাকার শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্র সবুজ হোসেন (২০) কে আটক করে এবং সবুজের বাড়ী থেকে চোরাই কৃত একটি সেলাই মেশিন, দুটি পিতলের কলস ও একটি ঝাকি জাল উদ্ধার করে বলে ওসি সিকদার আককাছ আলি জানান।
                                           পাইকগাছায় উপজেলা ভূমি কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা ভূমি কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরাজেয় প্রকল্পের উদ্যোগে শনিবার সকালে উত্তরণ পাইকগাছা কেন্দ্রে সংগঠণের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জি,এম, আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠণের সহ-সভাপতি শেখ সাদেকুজ্জামান, পারুল রাণী মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক কমরেড শেখ আব্দুল হান্নান, এ্যাডঃ রেখা রাণী বিশ্বাস, আইন সম্পাদক এ্যাডঃ সেলিনা  আক্তার, জলমহল সম্পাদক মোমিন উদ্দীন, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, আসমা খাতুন, উত্তরণের সেন্টার ইনচার্জ সাহাবুদ্দীন মোড়ল ও আবুল কালাম আজাদ।
                                     পাইকগাছায় প্রায়ত শিক্ষক বিমল কৃষ্ণ মন্ডলের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছায় শামুকপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায়ত প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বিমল কৃষ্ণ মন্ডলের এক স্মরণসভা শনিবার সকালে বিদ্যালয় ভবনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক বাসুদেব চক্রবর্তী, গুরুদাস মন্ডল, ইব্রাহিম গাজী, পরিমল বৈদ্য, অনাথ বন্ধু মন্ডল, আজিজ সরদার, মদন মোহন সরকার, সুধাংশু মন্ডল, আবুল হোসেন ও বিকাশ মন্ডল।

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

পাইকগাছায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কলেজের চেয়ে এগিয়ে মাদ্রাসা

নিউজ অফ পাইকগাছা
    খুলনার পাইকগাছায় উৎসবমুখর পরিবেশে ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে কলেজের চেয়ে এগিয়ে চেয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান। কলেজসমূহের মধ্যে গড়–ইখালী আলমশাহী ইনষ্টিটিউটে সর্বোচ্চ পাশের হার ৭১%। অপর দিকে পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার শতভাগ পাশের হার। 
    প্রাপ্ত ফলাফলে জানাগেছে, গড়ুইখালী আলমশাহী ইনষ্টিটিউটের ১৫২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১১৪, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২, পাশের হার ৭১%, দেলূটি কালিনগর কলেজের ৯৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৫৯, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ১, পাশের হার ৬৩%,  রাড়–লী আর,কে,বি,কে হরিশ্চচন্দ্র কলেজিয়েটে ২১০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১১৬, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৩, পাশের হার ৬১%, লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েটে ১৪৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৯৬, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২, পাশের হার ৫৫%, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহা বিদ্যালয়ে ১৮৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৯৫, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৬, পাশের হার ৫১%, হরিঢালী মহিলা কলেজের ৮৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৪৩, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২ পাশের হার ৫১%, সরদার আবুল হোসেন কলেজের ৪২ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ২৩, পাশের হার ৫০, কপিলমুনি কলেজের ৩৮৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১৭৪, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৫, পাশের হার ৪৫%, পাইকগাছা কলেজের ৪৬৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১৮১, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৬, পাশের হার ৩৯%, চাঁদখালী কলেজিয়েট....... অপরদিকে মাদ্রাসা সমূহের মধ্যে পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার ৪৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছে।

পাইকগাছায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কলেজের চেয়ে এগিয়ে মাদ্রাসা

নিউজ অফ পাইকগাছা
    খুলনার পাইকগাছায় উৎসবমুখর পরিবেশে ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে কলেজের চেয়ে এগিয়ে চেয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান। কলেজসমূহের মধ্যে গড়–ইখালী আলমশাহী ইনষ্টিটিউটে সর্বোচ্চ পাশের হার ৭১%। অপর দিকে পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার শতভাগ পাশের হার। 
    প্রাপ্ত ফলাফলে জানাগেছে, গড়ুইখালী আলমশাহী ইনষ্টিটিউটের ১৫২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১১৪, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২, পাশের হার ৭১%, দেলূটি কালিনগর কলেজের ৯৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৫৯, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ১, পাশের হার ৬৩%,  রাড়–লী আর,কে,বি,কে হরিশ্চচন্দ্র কলেজিয়েটে ২১০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১১৬, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৩, পাশের হার ৬১%, লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েটে ১৪৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৯৬, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২, পাশের হার ৫৫%, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহা বিদ্যালয়ে ১৮৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৯৫, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৬, পাশের হার ৫১%, হরিঢালী মহিলা কলেজের ৮৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৪৩, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২ পাশের হার ৫১%, সরদার আবুল হোসেন কলেজের ৪২ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ২৩, পাশের হার ৫০, কপিলমুনি কলেজের ৩৮৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১৭৪, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৫, পাশের হার ৪৫%, পাইকগাছা কলেজের ৪৬৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১৮১, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৬, পাশের হার ৩৯%, চাঁদখালী কলেজিয়েট....... অপরদিকে মাদ্রাসা সমূহের মধ্যে পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার ৪৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছে।

পাইকগাছায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কলেজের চেয়ে এগিয়ে মাদ্রাসা

নিউজ অফ পাইকগাছা
    খুলনার পাইকগাছায় উৎসবমুখর পরিবেশে ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে কলেজের চেয়ে এগিয়ে চেয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান। কলেজসমূহের মধ্যে গড়–ইখালী আলমশাহী ইনষ্টিটিউটে সর্বোচ্চ পাশের হার ৭১%। অপর দিকে পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার শতভাগ পাশের হার। 
    প্রাপ্ত ফলাফলে জানাগেছে, গড়ুইখালী আলমশাহী ইনষ্টিটিউটের ১৫২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১১৪, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২, পাশের হার ৭১%, দেলূটি কালিনগর কলেজের ৯৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৫৯, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ১, পাশের হার ৬৩%,  রাড়–লী আর,কে,বি,কে হরিশ্চচন্দ্র কলেজিয়েটে ২১০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১১৬, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৩, পাশের হার ৬১%, লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েটে ১৪৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৯৬, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২, পাশের হার ৫৫%, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহা বিদ্যালয়ে ১৮৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৯৫, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৬, পাশের হার ৫১%, হরিঢালী মহিলা কলেজের ৮৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ৪৩, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২ পাশের হার ৫১%, সরদার আবুল হোসেন কলেজের ৪২ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ২৩, পাশের হার ৫০, কপিলমুনি কলেজের ৩৮৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১৭৪, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৫, পাশের হার ৪৫%, পাইকগাছা কলেজের ৪৬৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে উর্ত্তীর্ণ ১৮১, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৬, পাশের হার ৩৯%, চাঁদখালী কলেজিয়েট....... অপরদিকে মাদ্রাসা সমূহের মধ্যে পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার ৪৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

পাইকগাছায় ধান্ধাবাজ কৃষকলীগ নেতা মঈনুল বর্তমান এমপিকে পঁচানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

সুত্র : আগামীর কন্ঠ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় সাবেক এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানাকে ব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া কৃষকলীগ নেতা প্রভাষক মঈনুল এবার বর্তমান এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের উপর ভর করার চেষ্ঠা করেছেন। মঈনুলের এ ধরনের কর্মকান্ডে খোদ আ’লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকের মন্তব্য সুবিধাবাদী মঈনুল সাবেক এমপি সোহরাব আলী সানাকে পঁচিয়ে দিয়ে এখন বর্তমান এমপিকে পঁচানোর ধান্দায় মেতেছে। ধান্দাবাজ মঈনূল থেকে বর্তমান এমপিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ আ’লীগের ত্যাগী নেতাদের।
    অনুসন্ধানে জানাযায়, পাইকগাছার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের হতদরিদ্র হারুনুর রশীদের ছেলে মঈনুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করতেন। এরপর ১৯৯৯ সালে পাইকগাছা ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। কিছুদিন পর স্থানীয় জনৈক বাবু গাইনের কাছ থেকে সরল মৌজায় ৫ কাটা জমি কিস্তিতে ক্রয় করেন। সেখানে দোচালা গোলের ঘর তৈরী করে বসবাস শুরু করেন মঈনুল। নিজেকে কৃষকলীগ নেতা এবং শিল্পপতী ফসিয়ার রহমানের কলেজে চাকরির সুবাদে ফসিয়ার রহমানের সহযোগিতায় হয়ে ওঠেন এমপি’র আর্শিবাদপুষ্ট। এরপর উপজেলা খাসজমি বন্দোবস্ত কমিটির সদস্য মনোনিত হন। এপর শুরু করেন অর্থবানিজ্য, খাস জমি, একসনা বন্দোবস্তের নামে হাতিয়ে নিতে থাকেন মোটা অংকের অর্থ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে মেম্বর মাতব্বরদের নামে প্রজেক্ট করে দেওয়ার নামে প্রজেক্ট কমিটির কাছ থেকে কমিশন, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ক্ষ,তার অপব্যাবহার, দালালী, বাঁকা শহীদ কামরুল স্কুলে শিক্ষক নিয়োাগে ও বিভিন্ন প্রাইমারী স্কুলে নাইটগার্ড নিয়োগে মধ্যস্থাকারী বিভিন্ন শালিশীর নামে অর্থ বাাণিজ্য প্রায় একশত খাস জমি বন্দোবস্ত দলিলের সাথে নিজেকে সক্রিয় রেখে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন মঈনুল। ইতোমধ্যে তিনি ৫ কাঠা জমিতে চারতলা ফাউন্ডেশন করে চার রুম বিশিস্ট বিলাস বহুল বাড়ি করেছেন। বাড়িতে আসবাবপত্রের কমতি নেই। স্থানীয় কাটাখালী নদীর চর ভরাটী জায়গা দখল করেছেন। সেখানে তিনি তার ভাইদের চিংড়ী ঘের করে দিয়েছেন। এমপি সোহরাব আলী সাবেক হওয়ার সাথে সাথে বর্তমান এমপি এ্যাড. নূরুল হকের ঘনিষ্টজন হওয়ার পায়তারা করছেন ধুরন্ধর মঈনুল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ’লীগের থানা কমিটির এক নেতা জানান যাদের কারনে সাবেক এমপি সোহরাব আলীর বদনাম হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম এই মঈনুল। তার কারনে দলের অনেক বদনাম রয়েছে। অথচ সেই মঈনুল বর্তমাান এমপির ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেবল তাই না ধান্ধাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন এই মঈনুল। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ফসিয়ার রহমান কলেজের প্রভাষক হওয়ার পরও গত ৫ বছরে ক্ষমতার জোরে খুব কম সময়ই কলেজ করেন। এবারও সেই ফাঁকিবাজি করার চেষ্ঠায় রয়েছেন তিনি।

পাইকগাছার অতনু মন্ডলের আবারও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস; মাত্রা হবে ৫ এর উপরে

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥ 
আবার ফিরে এলাম সেই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া খুলনার পাইকগাছার অতনু মন্ডলকে নিয়ে। আবারও সে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিল। আগামী ৫ দিনের মধ্যে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে। যার মাত্রা হবে ৫ এর উপরে।    সুত্রমতে-পাতড়াবুনিয়ার গ্রামের মৃত প্রফুল্ল কুমার মন্ডলের পুত্র অতনু মন্ডল (২৮) গত কয়েকবছর যাবৎ ভূমিকম্প নিয়ে গবেষনা চালিয়ে আসছে। গত দুই বছর যাবৎ সে বিবিসি বাংলা বিভাগসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসএমএসের মাধ্যমে নিয়মিত পূর্বাভাস জানিয়ে আসছে। বিগত কিছুদিন পূর্বেও বেশ কিছু অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় তার পূর্বাভাসের খবর প্রকাশিত হয় এবং তার সঠিক প্রমানও পাওয়া যায়। সর্বশেষ গত সোমবার নিউজ অফ পাইকগাছাকে এসএমএস এর মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে ৫ মাত্রার উপরে ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলে অবহিত করে। বিভিন্ন গবেষকরা জানান জাপান কয়েকসেকেন্ড পূর্বে আভাস দিতে সক্ষম হলেও কয়েকদিন কিংবা কয়েকঘন্টা পূর্বেও আভাস দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এখন দেখার অপেক্ষায় কি হয় ৫ দিনের মধ্যে।

 

বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০১৪

পাইকগাছায় এমপি নূরুল হকের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু’র বিএনপি থেকে আ’লীগে যোগদান


নিউজ অফ পাইকগাছা
            Lyjbv-6 cvBKMvQv-Kqivi Ggwc G¨vW. †kL †gvt b~iæj n‡Ki nv‡Z nvZ I dz‡ji †Zvov w`‡q kZvwaK ‡bZvKg©x wb‡q weGbwc †_‡K AvIqvgxjx‡M †hvM`vb K‡i‡Qb M`vBcyi BDwc †Pqvig¨vb KvRx Avãym mvjvg ev”Pz| wZwb  eyaevi weKv‡j M`vBcyi BDwbqb AvIqvgxjxM Av‡qvwRZ RvwZi RbK e½eÜz †kL gywRei ingvb Gui 39Zg kvnv`vZ evwl©Kx 15 AvMó RvZxq †kvK w`e‡mi cÖ¯‘wZ mfvq G †hvM`vb K‡ib| AvÕjxM †bZv ‡kL IwRqvi ingv‡bi mfvcwZ‡Z¡ AbywôZ mfvq cÖavb AwZw_ wn‡m‡e e³e¨ iv‡Lb ¯’vbxq Ggwc G¨vW. †kL †gvt b~iæj nK| AvÕjxM †bZv GmGg ˆmq` Avjxi cwiPvjbvq e³e¨ iv‡Lb Dc‡Rjv AvÕjxM †bZv iZb Kzgvi f`ª, Avãyi iv¾vK gj½x, Ggwc cyÎ †kL gwbiæj Bmjvg, cwigj P›`ª AwaKvix, MvRx bRiæj Bmjvg, BDwc m`m¨ †ki Avjx, BRvnvi Avjx, ‡kL Rvgvj †nv‡mb, Avwgiæj Luv, Agj †Nvl, gvnvdzRyj nK wKby, hyejxM †bZv †kL knx` †nv‡mb eveyj, ‡kL gvmy`yi ingvb, †kL †mwjg, cÖYe KvwšÍ gÛj, c‡ik gÛj, cÖfvlK gvmy`yi ingvb g›Uz, ‡kL wRqv`yj Bmjvg, QvÎjxM †bZv ‡kL Avãyj Kvjvg AvRv`, GmGg Avwgbyi ingvb wjUz, g„bvj KvwšÍ evQvo, Avj Bw`ªm I Rvjvj DwÏb| mfvq m`¨ †hvM`vbKvix KvRx Avãym mvjvg ev”Pz e‡jb e½eÜzi Av`‡k© AbycÖvYxZ n‡q AvÕjx‡M ‡hvM`vb Kwi| mfv †k‡l AvÕjxM †bZv MvRx bRiæj Bmjvg‡K AvnevqK I GmGg ˆmq` Avjx‡K m`m¨ mwPe K‡i 21 m`m¨ wewkó RvZxq †kvK w`em cvj‡bi j‡ÿ¨ BDwbqb KwgwU MVb Kiv nq|

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

এন ইসলাম সাগর পাইকগাছা প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য নির্বাচিত

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
পাইকগাছা প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভা শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব ভবনে সভাপতি জিএ গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক প্রবর্তন ও দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার পাইকগাছা প্রতিনিধি এন ইসলাম সাগরকে প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য নির্বাচিত ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেনের সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন জরুরী সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন গাজী সালাম, মিজানুর রহমান মিজান, এসএম বাবুল আকতার, হাফিজুর রহমান রিন্টু, এসএম আলাউদ্দিন সোহগ, আব্দুল মজিদ, মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, রবিউল ইসলাম, স্নেহেন্দু বিকাশ, আলাউদ্দিন রাজা, প্রমোথ রঞ্জন মন্ডল, নজরুল ইসলাম ও খাইরুল ইসলাম ।

শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০১৪

নিউজ অফ পাইকগাছায় খবর প্রকাশের পর পাইকগাছায় বঞ্চিত ৩শ শ্রমিককে ২৭ লাখ টাকা প্রদান

>>>>>>>>>>>> ফলোআপ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছায় কাজের বিনিময়ে অর্থ কর্মসুচি প্রকল্পের কর্মরত ৩শ শ্রমিককে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার খবর নিউজ অফ পাইকগাছা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের এক মাস পর বঞ্চিত শ্রমিকদের মাঝে প্রশিক্ষণ বাবদ প্রাপ্য ২৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এ অর্থ বিতরণ করেন বাস্তবায়ন সংস্থা।
সুত্রমতে-বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ডব্লিউএফপি,ইউকেএআইডি ও কনসার্ন ওয়াল্ড ওয়াইড এর সহায়তায় উপজেলার লতা ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে অর্থ কর্মসুচি প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস। প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ইউনিয়নের ৩শ হত দরিদ্র নারী-পুরষকে প্রতিদিন ২শ টাকা মুজুরী হারে ৪৫ কর্মদিবস এর জন্য নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমে গত ৫/৪/১৪ ইং তারিখ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার পর মাঝপথে জে জে এস কতৃপক্ষ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্ধ কৃত অর্থ কর্মরত শ্রমিকদের প্রদান করবেন না বলে জানিয়ে দেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ কর্মরত শ্রমিকদের বঞ্চিত করে অপর দু’টি ইউ্নিয়নে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিলে এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন গত ১৩ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। অবশেষে খবর প্রকাশের একমাস পর ৪টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ বাবদ প্রত্যেক শ্রমিককে ৯ হাজার টাকা করে ২৭ লাখ টাকা ৩ শ শ্রমিকদের মধ্যে প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের মাধ্যমে বঞ্চিত শ্রমিকদের মাঝে এ অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেজেএস এর নাজমুল হুদা ও কনসার্ন ওয়াল্ড ওয়াইডের সত্যরঞ্জন রায় সহ বাস্তবায়ন সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গন্যমান্য উপস্থিত ছিলেন। প্রাপ্ত টাকা পাওয়ার পর বঞ্চিত শ্রমিকদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে তারা গনমাধ্যম কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

পাইকগাছায় মাদক গ্রাস করছে উঠতি বয়সের যুবকদের; বাড়ছে ইভটিজিংসহ নানা অপরাধ

পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগ
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥ 
খুলনার পাইকগাছায় প্রতিনিয়ত ভারত থেকে সীমান্ত পথে চোরাইভাবে আসছে মাদক দ্রব্য। ধ্বংসের দারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে যুব সমাজ। কলুষিত হচ্ছে সমাজ, নির্যাতিত হচ্ছে গৃহবধুরা, ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা। পুলিশ প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সকল মাদক ব্যবসায়িদের সাথে জড়িত রয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে দরগাহপুর এবং বড়দল হয়ে চাঁদখালী ইউনিয়নের কিছু এলাকা দিয়ে এই মাদকদ্রব্য প্রবেশ করছে পাইকগাছায়। এছাড়াও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন চোরাই পথে বাধাহীনভাবে আসছে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য। বর্ডার গার্ড ও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় এক শ্রেনীর উঠতি বয়সের যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসকল মাদক ব্যবসায়িদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসৎ অফিসারের সাথে মাসিক চুক্তি থাকায় মাদক ব্যবসায়িরা বহাল তবিয়তে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। মদ, গাজা, ফেন্সিডিল, আফিন, হেরোইন, ইয়াবা সহ নেশা জাতীয় সকল দ্রব্য চোরাই পথে নিয়ে আসার জন্য প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, বাইসাইকেল এমনকি এ্যাম্বুলেন্স ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্ডার থেকে চোরাই পথে সাতক্ষীরার ভিতরের রাস্তা দিয়ে দরগাহপুরের মধ্যে দিয়ে প্রধানত এই মাদক ঢুকে থাকে এলাকায়। এখান থেকে কৌশলে এ সকল মাদক দ্রব্য স্থল ও নদী পথে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সরবরাহ হয়ে থাকে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসদরের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, মাদক বিক্রয় হচ্ছে হরহামেশায়। বিশেষ করে উপজেলার বাঁকা, কাটিপাড়া, কাটাখালী, মাটামের গেট, শিববাটি ব্রীজ, বোয়ালিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন স্থান, সরল, বাান্দিকাটি, কপিলমুনি বাজারসহ পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকা, গদাইপুর, চাঁদখালী বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা, সোলাদানা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কিছু স্থান, ৬নং ওয়ার্ডের কিছু স্থান, পৌর বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনসহ হরহামেশায় বিক্রি করে যাচ্ছে।  বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক যুবক তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত রয়েছে। এসকল মাদক ব্যবসায়িরা স্ব-স্ব এলাকার যুবকদের ম্যানেজ করে তাদের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে দিচ্ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে না পারায় এ সমস্ত মাদক সেবিরা বাধ্য হয়ে চুরি, ছিনতাই ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এ সব মাদক ব্যবসায়ি, সেবনকারি ও তদের সাথে জড়িত প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। উল্লেখ্য গত ২ মাস যাবৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশকিছু ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের অপরাধে জেলা ও জরিমানা আদায় করলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না মাদক রুটগুলো। এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল নাথ বলেন ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা এবং সেবন ও বিক্রয়কারিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও জরিমানা করা হয়েছে। ওসি শিকদার আককাছ আলী বলেন মাদক সেবন ও বিক্রয়কারীদের কঠোর হস্তে দমনসহ আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আমাদের কোন অফিসার যদি এই মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাকে অব্যশই আইনের আওতায় আনা হবে। ফাঁড়িগুলোকে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যহত থাকবে।

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০১৪

রোগ কিংবা সামান্য অসুস্থতা, কোন্ রোগী কীভাবে রোজা রাখবেন:

পরামর্শ
ডা.এবিএম আবদুল্লাহ’র

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
ইসলামের ৫ টি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। রমজানের রোজা আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। এর মধ্যেই আল্লাহ তায়ালা রেখেছেন অফুরন্ত রহমত, বরকত, মাগফিরাত, নাজাত ও ফযিলত। রমজানের রোজা রোজাদারের জন্য ঢাল স্বরূপ। রোজা আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দিবেন। তাই প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান শত বাধা বিপত্তির মাঝেও রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর মাধ্যমেই তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চান। অনেকে জটিল রোগে ভোগেন, কিন্তু নিজের আত্মার শান্তি এবং ধর্মীয় নির্দেশনার প্রয়োজনে রমজানের রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আবার এমনও লোক দেখা যায় যারা অজুহাত খোঁজেন রোজা না রাখার, নিজের মত করে খোঁজেন ধর্মীয় নির্দেশনা। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আলেম ওলামা বা ইসলামী চিন্তাবিদরা সম্পূর্ণ একমত যে, অনেক নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগে আক্রান্ত যে কেউ রোজা রাখতে পারবেন। এমনকি অনেক রোগের ক্ষেত্রে রোজা রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে তীব্র অসুস্থতায় অথবা কোন জটিল রোগে রোজা রাখা না রাখার ব্যাপারেও ধর্মীয় নির্দেশনা আছে। প্রয়োজনে পরে কাযা করার বিধানও সুস্পষ্টভাবে দেয়া আছে। কোন অজুহাতে বা সামান্য কোন অসুস্থতায় রোজা না রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।

>>>> পেপটিক আলসার রোগে আক্রান্ত রোগী

যারা গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারে ভোগেন, তারা অনেকেই মনে করেন খালি পেটে থাকলে এসিডিটির সমস্যা বাড়বে। এ ধরনের রোগীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন যে রোজা রাখবেন কি না। আসলে রোজা রাখলে সাধারণত এসিডিটি বাড়ে না। রোগীদের প্রধান কাজ হলো নিয়মিত খাবার খাওয়া, নিয়মিত ঘুমানো এবং নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ। রোজায় মানুষের জীবন একটা নিয়মে চলে আসে বিধায় এ সময় এসিডিটির সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। অবশ্যই ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে ইফতার এবং সেহেরির সময় রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ একটা করে খেয়ে নিতে পারেন। এমনকি রাত্রে দুই তিনবার এন্টাসিড ওষুধ খেলেও কোন অসুবিধা হবে না।

>>>> ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস হলে রোগী রোজা রাখতে পারবেন না একথা মোটেই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকগণ এবং ইসলামী আলেমগণ উভয়েই রোজা রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। মোটামুটিভাবে নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই রোজা রাখা সম্ভব। আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য রোজা রাখা অনেক সহজ করে দিয়েছে। তবে রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন কিংবা কোনো ওষুধ গ্রহণের সময়টা একটু পরিবর্তন করে সেহরি ও ইফতারের সঙ্গে সমন্বয় করে নিতে হবে। এ ব্যাপারে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ কিংবা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই কিছু ঝুঁকি থাকে। যেসব ডায়াবেটিক রোগী ঝুঁকির কথা জেনেও ধর্মীয় কারণে রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তারা রোজা শুরুর আগেই চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করে জটিলতা এড়িয়েই রোজা রাখতে পারেন।

>>>> হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগী

আমাদের দেশে অনেক হাঁপানি রোগী আছেন। তাদের কেউ কেউ রোজা না রাখার কারণ হিসেবে হাঁপানির কথা বলে থাকেন। রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। রোজা কোনোভাবেই হাঁপানি রোগ বাড়িয়ে দেয় না। বরং বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে রোজা হাঁপানি রোগীকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। যদি হাঁপানি বাড়তেই থাকে, তাহলে রোগী ইফতার এবং সেহেরির সময় দীর্ঘস্থায়ী জাতীয় বড়ি খেয়ে নিতে পারেন। এতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের বেলায় শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার নেয়া যাবে। তাতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

>>>> কিডনি রোগ

যারা কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের রোজা রাখা যাবে না এমন কোনো কথা নেই। যে সমস্ত রোগী ক্রনিক কিডনি ফেইলুরে আক্রান্ত, তাদেরকে সুনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হয়, নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, এমনকি পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা ও পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হয়। তাই রোজা রাখার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাদের কিডনি ফেইলুরের মাত্রা একেবারে শেষ পর্যায়ে, তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নয়। তেমনি যারা ডায়ালাইসিসের রোগী অথবা ইতোমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন তাদের পক্ষেও রোজা রাখা প্রায় অসম্ভব। অল্প থেকে মধ্যম মাত্রার কিডনি ফেইলুর রোগীরা রোজা রাখলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে কিডনি আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা যা-ই থাকুক না কেন, সর্বাবস্থায় একজন কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়াই শ্রেয়।

>>>> উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বেলায় রোজা আরও উপকারি। আজকাল অনেক ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো দিনে একবার বা দুইবার খেলেই চলে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ইফতার বা সেহেরির সময় বা প্রয়োজনে দুইবারই ওষুধ খেলে রক্তচাপ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক রোগীর রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির মাত্রা বেশি থাকে। এসব নিয়ন্ত্রণেও রোজা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রোজা রাখার মাধ্যমে রোগীদের কোলেস্টেরল মাত্রা প্রায় ১০-২০ শতাংশ কমে যায়। একই সঙ্গে তাদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতাও কমে যায়।

>>>> হার্টের রোগ

হূদরোগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই রোজা রাখতে কোন নিষেধ নেই। তবে একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, হার্ট ফেইলুর ইত্যাদি রোগ থাকলে রোজা না রাখাই শ্রেয়। আবার একথাও সত্য যে, অনেক ক্ষেত্রে হূদরোগীদের জন্য রোজা রাখা খুবই উপকারি। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা এবং ইফতারের দুই ঘণ্টা পর একটু ব্যায়াম করা উচিত। যারা নিয়মিত তারাবির নামাজ আদায় করেন, তারা ব্যায়াম নাও করতে পারেন। যারা নিয়মিত ওষুধ খান, তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সম্ভব হলে সবগুলো ওষুধ রাত্রের বিভিন্ন সময়ে ভাগ ভাগ করে খেলে যদি অসুবিধা না হয় তো সেভাবেই ওষুধ খাবেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দিনে যদি এনজাইনার ব্যথা হয়, তবে জিহ্বার নিচে স্প্রে জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে, তাতে রোজার ক্ষতি হবে না।

>>>> লিভারের অসুখ

লিভারের রোগীদের রোজা রাখা নির্ভর করে রোগটির ধরনের উপর। কেউ যদি ভাইরাল হেপাটাইটিস নামক রোগে আক্রান্ত হন, তারা খেতে পারেন না, ঘন ঘন বমি হয়, রুচি নষ্ট হয়, জন্ডিস দেখা দেয়। অনেক সময় তাদের শিরায় স্যালাইন বা গ্লুকোজ দিতে হয়। তাদের পক্ষে রোজা না রাখাই ভালো। আবার যারা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত, তাদের যদি রোগের লক্ষণ কম থাকে, তবে রোজা রাখতে পারেন। খারাপ লাগলে রোজা ভেঙ্গে ফেলবেন। কোন কোন সময় সিরোসিস রোগীদের পেটে বা পায়ে পানি জমতে পারে, শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যেতে পারে। তাদের বেলায় রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। রোজা না রেখে কাফফারা দিতে হবে বা বদলি রোজা অন্য কাউকে দিয়ে করাতে হবে। প্রয়োজনে আলেম ওলামাদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

>>>> চোখ, কান বা নাকের রোগী

রোজায় চোখের বা নাকের রোগীরা যে সমস্যায় পড়েন সেটি হল রোজা রাখা অবস্থায় ড্রপ ব্যবহার করতে পারবেন কি না। চোখ বা নাকে ড্রপ দিলে তা মুখে চলে যেতে পারে, তা ফেলে দিয়ে কুলি করে ফেলা উচিত। ফলে ওষুধ গলায় বা পেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। সে ক্ষেত্রে রোজা রেখে অনায়াসে চোখে বা নাকে ড্রপ দেয়া যায়। কানের ড্রপ দিলেও রোজার কোন ক্ষতি হবে না। এমন মতামতই ব্যক্ত করেছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।

>>>> গর্ভাবস্থায় রোজা

গর্ভবতী মায়ের যদি শারীরিক কোনো জটিলতা না থাকে, তা হলে রোজা থাকতে কোনো বাধা নেই। বিশেষ করে প্রথম কয়েক মাস সহজেই রোজা রাখা যায়। রোজা রাখবেন কি রাখবেন না, তার জন্য ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করা উচিত। রোজা রাখলে যদি মা বা বাচ্চার কারো ক্ষতি হয়, বা এ ব্যাপারে যদি ডাক্তারের কোন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে রোজা না রাখাই ভালো।

>>>>বুকের দুধ খাওয়ানো

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। রোজা রাখলে বুকের দুধ কমে যায় না। অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময় প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। ইফতারের পর শোয়া পর্যন্ত প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

মানুষের রোগের শেষ নেই, ধরনও এক নয়। সব রোগ নিয়ে আলোচনাও সম্ভব নয়। তাই যে কোন রোগী, যারা রোজা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ অথচ দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগেন, তাদের উচিত ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন ডাক্তার বা আলেম ওলামার সাথে পরামর্শ করে রোজার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।

রোজা একটি অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ধর্মীয় দিক থেকে যেমন এর ফযিলত অসীম তেমনি স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করলেও এর উপকার অনেক। একমাসের সিয়াম সাধনা আমাদের দেহ ও মন উভয়কেই পরিশুদ্ধ করে। তাই আলস্য করে, ছোট খাট রোগের অজুহাত খাড়া করে একে পালন না করা মোটেই উচিত নয়।

শেষ কথা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগে কিংবা সামান্য অসুস্থতায় রোজা রাখতে কোনো নিষেধ নেই, বরং রোজা রাখা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে তীব্র অসুস্থতায় কিংবা জটিল রোগে রোজা রাখা ঠিক হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক।

>>>>>> >>>>>>>>>>>>>>>>>>ডা. এবিএম আবদুল্লাহ’র পরামর্শ<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০১৪

পাইকগাছায় পাষন্ড স্বামী ও তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নির্যাতন ও ধর্ষন প্রচেষ্ঠার অভিযোগ

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
    খুলনার পাইকগাছায় পাষন্ড স্বামী ও তার দুলাভায়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন ও ধর্ষন প্রচেষ্ঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মাফিয়া সুলতানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
    অভিযোগসুত্রে জানাগেছে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চককাওয়ালী গ্রামে হতদরিদ্র আব্দুস সাত্তার সরদারের কন্যা মাফিয়া সুলতানা (২১) কে ৩ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলার নাকলা গ্রামের কাদের সানার সুচতুর পুত্র রাশেদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর রাশেদ আরেকটি বিয়ে করে মাফিয়াকে পিতৃলয়ে তাড়িয়ে দেয়। এরপর মাফিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা করলে রাশেদও পাল্টা মাফিয়ার পিতার নামে হয়রাণীমূলক মামলা করে। রাশেদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যহারের জন্য সুচতুর স্বামী রাশেদ ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে তার দুল্ভাাই গফুরকে দিয়ে মুঠোফোনে ফুসলিয়ে স্ত্রী মাফিয়াকে নিজ বাড়ীতে নেয়ার কথা বলে ধামরাইল খেয়াঘাটা যাওয়ার কথা বলে। পরিবারের কাউকে না বলে মাফিয়া ঘটনাস্থল পৌছানোর পর মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বামী রাশেদ, তার উপর চাপ সৃষ্টি করে এতে সে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী রাশেদ, দুলাইভাই গফুর, মিজানুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম নামে কয়েকজন ব্যক্তি মাফিয়ার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর ধর্ষন প্রচেষ্টা চালালে তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে ধামরাইল গ্রামের ওসমান আলী গাজীর পুত্র গোলজার রহমান জানান ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন দোকানে বসা অবস্থায় একটি মেয়ের আত্মচিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

পাইকগাছা পৌরসভার বাজেটে তামাকজাত দ্রুব্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার বাজেটে তামাক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে পৌর কর্র্তৃপক্ষ। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর শনিবার পৌরসভার ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের বাজেটে এ খাতে সর্বপ্রথম ২০ হাজার টাকা বরাদ্দের ঘোষনা দেন। বিশেষ এ বরাদ্দ বাস্তবায়িত হলে ধুমপায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তামাকজাত দ্রুব্যের অপব্যবহাররোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তামাকবিরোধী সংগঠন সিয়াম, এইড ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বিগত ২ বছরের উদ্ধৃদ্দকরণ কর্মকান্ডে তামাকজাত দ্রুব্যের ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে পৌর কর্তৃপক্ষ ইেেতামধ্যে পৌরভবনকে ধুমপানমুক্ত এলাকা ঘোষনা করেন এবং তামাকজাত দ্রুব্য নিয়ন্ত্রনে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের পরিকল্পনা গ্রহন করেন। তামাকজাত দ্রুব্য নিয়ন্ত্রণে এসব কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরুপ তামাকবিরোধী সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরকে এন্টি টোব্যাকো এ্যাওয়ার্ড ২০১৪ প্রদান করেন। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের ১মাসের মাথায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ পৌরসভার ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের বাজেটে পৌরসভার নিজস্ব তহবিলে তামাক/মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে প্রচারাভিযানে ২০ হাজার টাকার বিশেষ বরাদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত মানুষ ধূমপানে আকৃষ্ট হচ্ছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে, পঙ্গুত্ববরণ করছে লাখ লাখ মানুষ। তামাকের এ ভয়াবহতা থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে এ খাতে বিশেষ বরাদ্ধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তামাকবিরোধী সংগঠন সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান আমার জানামতে এটাই দেশের প্রথম কোন পৌরসভার বাজেটের নিজস্ব তহবিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বরাদ্দ করা হয়েছে। বিশেষ এ বরাদ্দ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে তামাকের কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ পৌরসভাকে ধুমপানমুক্ত করতে বিশেষ এ বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি জানান। তামাক নিয়ন্ত্রনে মেয়রের মহৎ এ উদ্যোগ সফল হোক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

শনিবার, ২১ জুন, ২০১৪

কয়রা-পাইকগাছার ৮০ কিলোমিটার সড়ক মহাসড়কে রুপান্তরে এমপি নূরুল হকের উদ্যোগ

দ্রুত বাস্তবায়নে যোগাযোগমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
নিউজ অফ পাইকগাছা
  খুলনার সড়ক ও জনপদ বিভাগের কয়রার গোলখালী থেকে বেতগ্রাম পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার সড়ক শ্রেণী পরিবর্তন পূর্বক ২ লেইন বিশিষ্ট আঞ্চলিক মহাসড়কে রু
    সুত্রমতে-সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি, তালা, ও খুলনার কয়রা এবং পাইকগাছা উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জেলা ও রাজধানী শহরের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পাইকগাছা বাসষ্টান্ড সংলগ্ন, লোনা পানি কেন্দ্রের সামনে, আগড়ঘাটা বাজার, গোলাবাটি, কপিলমুনি হতে কাশিমনগর এবং তালা থেকে বেতগ্রাম পর্যন্ত অসংখ্য স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই হাটু পানি জমে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে গত কয়েকমাস আগেই চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকাগামী পরিবহন। সড়ক ও জনপদ বিভাগ সংস্কার কাজ শুরু করলেও ধীর গতির কারনে যেকোন মুহুর্তে সম্পূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির  লাইন সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম জানান। এদিকে এলাকার মানুষের যাতায়াতের চরম দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির শ্রেণী পরিবর্তন পূর্বক কয়রা উপজেলার গোলখালী থেকে পাইকগাছা তালা হয়ে বেতগ্রাম পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার সড়ক ২ লেইন বিশিষ্ট আঞ্চলিক মহাসড়কে রুপান্তরের জন্য পৃথক প্রকল্পে অর্ন্তভূক্ত করে উন্নয়নকরনের দাবী জানিয়ে ১১ মে যোগাযোগ মন্ত্রনালয় বরাবর ৫৮/ব জাসস/১০৪-খুলনা-৬/১৪ ডিও পত্র দিয়েছেন খুলনা-৬ পাইকগাছা কয়রার এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। এমপি’র এ আবেদনটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে ৩৫. ০৩৪. ০১৪. ০০. ০০. ০৪৯. ০৯ (অংশ-৩)২২৩ নং স্মারকে নির্দেশ দিয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগের সহকারী প্রধান (ডিপিপি প্রক্রিয়াঃ) মোঃ আশরাফুজ্জামান। এ ব্যপারে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্থানীয় এমপি’র এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন এলাকাবাসী।

রুপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। ইতোমধ্যে তিনি এ ব্যাপারে যোগযোগ মন্ত্রনালয়ে ডিও পত্র দিয়েছেন। এদিকে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় যেকোন মুহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

পাইকগাছার বাঁকা বাজারে অবাধে গড়ে উঠেছে ক্লিনিক; করছে না নিয়মনীতির তোয়াক্কা

চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা
নিউজ অফ পাইকগাছা ॥
তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী খুলনা পাইকগাছার বাঁকা বাজারে অবাধে গড়ে উঠেছে কয়েকটি ক্লিনিক। ক্লিনিকগুলোর মধ্যে কোনটার নেই লাইসেন্স আবার কোনটার লাইসন্সে থাকলেও নেই সার্বক্ষনিক ডাক্তার ও নার্স ব্যবস্থা। ফলে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে ক্লিনিক মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করলেও এখনও একাধিক প্রতিষ্ঠান বহাল তবিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লিনিক ব্যবসা। অবাধে গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
জানাগেছে, সাতক্ষীরা জেলার তালা ও আশাশুনি উপজেলার সীমান্তে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের জনবহুল বাঁকা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে গড়ে উঠেছে কয়েকটি ক্লিনিক। শ্রীকন্ঠপুর বাঁকা সড়কের পূর্ব পাশে দ্বিতল ভবনে গড়ে উঠেছে পারভেজ ক্লিনিক। একই সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে জাহানারা ক্লিনিক। জাহানারা নামে একজন মহিলা ক্লিনিকটি পরিচালনা করে আসছেন। কোন রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবৎ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিকটি পরিচালিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। ক্লিনিকে ভর্তিকৃত রোগী রামনগর এলাকার মঞ্জুয়ারা বেগম জানান পিত্ত থলিতে ক্ষত হওয়ার কারনে ৬ হাজার টাকার চুক্তিতে তিনি ভর্তি হয়েছেন। অপারেশনের পর থেকে ৩/৪ দিনের মধ্যে কোন ডাক্তারের চেহারা দেখতে পাননি বলে ভূক্তভোগী এ রোগী অভিযোগ করেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ একটি ক্লিনিক পরিচালনা করতে যা যা প্রয়োজন তার কোন কিছুই নেই জাহানারা ক্লিনিকে। কিèনিকের জাহানারা বেগম নিজেই ডাক্তার, নিজেই সেবিকা, নিজেই তত্ত্বাবধায়ক। তিনি এক সময় কোন এক ডাক্তারের আয়া হিসাবে কাজ করতে গিয়ে এখন তিনি নিজেই ক্লিনিকের মালিক। ক্লিনিকের নেই কোন সাইনবোর্ড, অপারেশন থিয়েটার, নেই কোন যন্ত্রাংশ। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্লিনিকটি পরিচালিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ ব্যাপারে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতেই ক্লিনিকটি পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এক বছরের মধ্যে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জাহানারা বেগম জানান। অপরদিকে কাটিপাড়া বাঁকা সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে বাঁকা সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার। ক্লিনিকটি দেখতে অনেকটাই চাকচিক্য হলেও নিয়মিত ডাক্তার ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স থাকে না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। গত কয়েকদিন আগে ক্লিনিকে ডেলিভারী করার সময় আঘাত লাগার ফলে আশংকাজনক অবস্থায় একটি শিশু সাতক্ষীরা নেয়ার পর মৃত্যুবরণ করে বলে সরল গ্রামের আবু সাঈদ জানান। অবাধে গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিকগুলো চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। বেশকিছুদিন আগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পারভেজ ক্লিনিককে জরিমানা করলেও বহাল তবিয়াতে চিকিৎসার নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লিনিক ব্যবসা। এ ব্যাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম জানান।

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

পাইকগাছায় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন; রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তৎপর একটি মহল

ফলোআপ
নিউজ অফ পাইকগাছা
 খুলনার পাইকগাছায় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোনাযাচ্ছে নানা গুঞ্জন। মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর আত্মহত্যার কারণ হিসাবে বেরিয়ে আসছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের মতে, পারিবারিক কলহ, দুরারোগ্য ব্যাধী ও ঋণের দ্বায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী। অপরদিকে, অস্বাভাবিক এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাভোগী একটি মহল স্থানীয় এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লুটের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ভাটা মালিক লিয়াকত আলী বিষপান করলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বান্দিকাটি গ্রামের সুলতান ফকিরের পুত্র লিয়াকত আলী ফকির চাউলের ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী। শুরু করেন ইট ভাটার ব্যবসা। ভাটা মালিক হিসাবে মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাংক ঋণ নিয়ে স্ত্রী ও নিজ নামে বিশাল আকারের বসত বাড়ীসহ পৌর বাজারে গড়ে তোলেন বিপনী বিতান। এদিকে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে গত কয়েক বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, পাইকগাছা শাখা, জোনাকী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকার অধিক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী লিয়াকত। অপর দিকে প্রায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ জটিল ব্যাধিতে ভুগছেন তিনি। এছাড়াও পারিবারিক কলোহের কারনে গত কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ী থেকে চলে গিয়ে পাশ্ববর্তী ছোট ভাই মোসলেমের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। ঋণ পরিশোধে পাওনাদের চাপ ও জটিল ব্যাধি মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে বিপর্যস্ত করে তোলেন। সর্বশেষ পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ মে সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক উভয়পক্ষকে পৌর সদরস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবসায়ী লিয়াকতকে তাগিদ দেন। পরে এমপির লোকজন তাকে মটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ীতে পৌছে দিয়ে আসেন। এ সময় লিয়াকত ঋণ পরিশোধে মার্কেট ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য তার স্ত্রীকে অনুরোধ করলে স্ত্রী অপরাগতা প্রকাশ করে তাকে লাঞ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত জামাতা প্রভাষক নুর মোহাম্মদও শ্বশুর লিয়াকতকে মুর্খ বলে গালিগালাজ করেন। পরে ঐদিন বিকাল ৪টার দিকে সরল বাজার থেকে কীটনাশক কিনে নিয়ে পুরাতন বাড়ীতে গিয়ে বিষ পান করে। এ সময় তৎক্ষনিকভাবে লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুরপর তার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এলাকায় চলে নানান জল্পনা-কল্পনা। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাবাদী একটি মহল এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে। অপরদিকে নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে আত্মহত্যার নৈপথ্য। কীটনাশক বিক্রেতা জানান, লিয়াকত যে দিন বিষপান করে তার ২০ দিন পূর্বে কীটনাশকের কার্যকারিতা ও মূল্য সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসে। স্থানীয় চিকিৎসক জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসে লিয়াকত। জামাই কর্তৃক শ্বশুরকে মুর্খ বলে গালি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন একই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ছলেমান বিশ্বাস। ভাইপো মিন্টু জানান, মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এমপিকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভাওতা। চাচা এমনিতেই অনেক দিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। এছাড়াও বহু টাকা ঋণ হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক লিয়াকত আলীর ঘনিষ্টজন জানান, মৃত্যুর জন্য তার পিতা সুলতান ফকিরও অনেকটাই দায়ী রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে লিয়াকত আলীর বসত বাড়ী থেকে ছোট ভাই আহম্মদ আলীর একটি মটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনার দ্বায়ভার চাপানো হয় লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর উপর। এ নিয়ে পিতা সুলতান ও পুত্র লিয়াকতের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। পিতা-পুত্রের বাড়ীতে যাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিলে লিয়াকত মৃত্যুর একদিন আগে পিতার কাছে ক্ষমা চাইলে পুত্র মৃত্যু বরণ করলেও তাকে ক্ষমা করবে না বলে জানাই। এসব নানাবিধ ক্ষোভ, দ্বায়-দেনা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় লিয়াকত আলী। এ ব্যাপারে এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক জানান, পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে লিয়াকতসহ উভয়পক্ষকে আমার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য লিয়াকতকে অনুরোধ করি। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা দেখে আমার সাথে আমি তাকে ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে বলে তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

খুলনা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণ হচ্ছে

নিউজ অফ পাইকগাছা ॥ 
 খুলনা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এই নির্মাণ কাজে আরও গতি আনতে হবে
বটিয়াঘাটা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহমান খুলনা-দাকোপ-নলিয়ান সড়কের নির্মাণ কাজ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও চলছে শম্ভুক গতিতে। চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথম দিকে চার গ্রুপের কার্যাদেশ দেয়া হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাজের কার্যাদেশ অনুযায়ী তেমন কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যে কারণে মান অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এলাকাবাসীর শংঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে নানান অন্তরায়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে আশংকা এলাকাবাসীর
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গবদ্ধু তনয়া শেখ হাসিনা ২০১১ সালের মার্চ বুধবার খালিশপুরের জনসভায় খুলনা-দাকোপ-নলিয়ান মহাসড়কটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেন। প্রতিশ্রুতির পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সড়কটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্মাণ ব্যায় ধ্যার্য করে একনেকে প্রেরণ করে। গত ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ৫২ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে বাস্তবায়নের জন্য দেয়। পরবর্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় ২০০৮ সালের রেট অনুযায়ী ২০১১ সালের নতুন রেট রি-কাষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়
সড়ক জনপথ সূত্রে প্রকাশ, পাথর, ইট, বালি পিচ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে পূর্বের রেট অনুযায়ী কাজ শেষ করা দূরহ হবে। যে কারণে ২০১১ সালের রেটটি বাস্তবায়ন করে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তিতে প্রকল্পটির ব্যায় নির্ধারণ করা হয় ৮২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। অতঃপর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ২৫ মিটার সড়কটির ব্যায় সাত গ্রুপে বিভক্ত করে উক্ত ব্যয় নির্ধারণ করে। পরবর্তিতে গল্লামারী মোড় হতে চার কিলোমিটার পর চার গ্রুপ কাজের মার্চ মাসের কার্যাদেশ প্রদান করে। বাকী তিন গ্রুপের কার্যাদেশ টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। সড়ক জনপথ সূত্রে জানা গেছে, এডিপির অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির সাত প্যাকেজের বিপরীতে কোটি টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ছোট চালনা পর্যন্ত কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, সাড়ে ২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য গল্লামারী-বটিয়াঘাটা-নলিয়ান  মহাসড়কটি নির্মাণ করার জন্য দুই উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ দীর্ঘদিনযাবত দাবি আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সড়কটি নির্মাণ হলে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের সাথে পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং ওই অঞ্চলের মানুষের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আশা আকাঙ্খাকে নিমষিত করতে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দুরসন্ধিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সওজ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

কপিলমুনি এখন মাদকের ছড়াছড়ি নেই প্রশাসনের তৎপরতা

নিউজ অফ পাইকগাছা
খুলনা পাইকগাছার কপিলমুনি এখন মাদকের ভয়াল থাবায় দংশিত হচ্ছে। চাইলেই হাতের কাছেই মাদক সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। আর এই মাদকের অবাধ অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে মাদক সিন্ডিকেটের কতিপয় হোতারা। নেশাগ্রস্থ সন্তানদের হতাশাগ্রস্থ পিতারা মাদক ঠেকাতে প্রশাসন সহ সচেতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তথ্যসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বানিজ্যিক শহর কপিলমুনি সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার মধ্যস্থলে অবস্থিত হবার কারনে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার নিরাপদ হওয়ায় মাদক সিন্ডিকেট চক্র স্থানটিকে নিরাপদ ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। এখান থেকে ঢাকা সহ সারা দেশে মাদক দ্রব্য সরবরাহ হয়ে থাকে। এতে করে পুলিশি ঝামেলা না থাকায় এবং প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যবসার প্রসার ঘটে চলেছে। সূত্রমতে মাদক বহনকারী হিসাবে অভাবী গরীব মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কৌশল হিসাবে ঐসব মহিলাদের মাধ্যমে ভারতীয় নানাবিধ পন্য যেমন জুতা, শাড়ী, কসমেটিক্স, সাইকেলের যন্ত্রাংশ, কীটনাশক, বীজ, ঔষধ সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসা হয়। তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে নিয়ে আসে মরন নেশা, ফেনসিডিল, হেরোইন, মদসহ নেশাজাতীয় নানান টেবলেট। অভিযোগ আছে মাদক দ্রব্য গুলি তারা তুলে দেয় চিহৃত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে। সমাজের ভদ্র ঘরের সন্তানরা এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। অভিনব পন্থায় মাদক দ্রব্য  রাজধানী ঢাকা সহ নানান জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। বর্তমানে সাদা মাছের ঝুড়িতে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল পাচার হচ্ছে বলে সূত্র জানায়। অথচ সব বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন জানলেও অজ্ঞাত কারনে তারা থাকেন নিশ্চুপ। ফলে দিন দিন কপিলমুনি সহ আশপাশ এলাকা এখন মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের সর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। মাদক সেবীদের নিরাপদ ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, কপিলমুনির বালুর মাঠ, কপোতাক্ষ নদীর ধার, কলেজ লেক, প্রাথমিক স্কুলের সাইক্লোন সেন্টার, কপিলমুনি স্কুলের মাকের্টের দ্বিতল ভবন, পালহাটা রোড, প্রতাপকাটি, মাজার এলাকা, কাশিমনগর, বাদামতলা, হবিনগর মোড়, আগড়ঘাটা, গদাইপুর প্রভৃত স্থান। এব্যপারে সচেতন মহল  প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।