শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬

কামাল সভাপতি, এন ইসলাম সাগর সম্পাদক ####পাইকগাছা কম্পিউটার, ফটোষ্ট্যাট ও স্টুডিও সমিতি গঠন

পাইকগাছা প্রতিনিধি॥
কামাল হোসেনকে সভাপতি এন ্ইসলাম সাগরকে সম্পাদক করে গঠিত হলো পাইকগাছা কম্পিউটার, ফটোষ্ট্যাট ও স্টুডিও সমিতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজারের আল-মদিনা মার্কেটের নীচতলা আয়োজিত সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। প্রবীন ব্যবসায়ী হায়বাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি অজিতেষ মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ শেখ সোহেল, সদস্য উদয় মন্ডল, সোহাগ ইসলাম ও কার্তিক চন্দ্র মন্ডল। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-পংকজ কুমার ঢালী, মিলন কুমার রায়, ইমন আহমেদ, ইয়াছিন, সঞ্জয় কুমার মন্ডল, ডাবলু হোসেন, কবির হোসেন, পলাশ মন্ডল, রাজীব মন্ডলসহ বাজারের কম্পিউটার, ফটোষ্টাট ও স্টুডিও মালিকবৃন্দ।

যদি তাই হয়-তবে আগামী নির্বাচনে এসব জনপ্রতিনিধিদের উপর্যূক্ত জবাব দেয়া হবে

ভোট উপহার টাকা ও ডিনারসেট ফেরৎ দিচ্ছে
বিশেষডেস্ক ॥
যদি তাই হয়-তবে আগামী উপজেলা, পৌর ও ইউপি নির্বাচনে ভোটাররা কি উপহার দেবে জনপ্রতিনিধিদের। সাধারণ ভোটাররা তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে ভালবাসার তাগিদে, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে সদ্য সমাপ্ত হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদের ক্ষেত্রে মোটা অংকের উপঢৌকন নিয়ে সদস্যপ্রার্থী নির্বাচন করেছেন এসব জনপ্রতিনিধিরা। এ অভিযোগ মুখরোচক হয়ে উঠেছে উপজেলার চায়ের স্টলগুলোতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার একজন ভোটার এ প্রতিনিধিকে জানান-আগামী পৌর নির্বাচন এসব জনপ্রতিনিধিদের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
    সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে অর্থের কাছে নীতি আদর্শ, ভালবাসা-মানবতার পরাজয় ঘটেছে বলে পরাজিত সদস্য প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। নির্বাচনে হেরে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে আবার আনেকে ক্ষোভ দুঃখ জানিয়েছেন, বন্য প্রাণীর ধর্ম আছে, কিন্তু জনপ্রতিনিধি নামের মানুষের ধর্ম হারিয়ে মোটা টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। পরাজিত ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থীরা ভোট মূল্যায়ন ও পর্যালোচনায় এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন। এদিকে আতঙ্কে পড়ে মর্যাদা রক্ষার জন্য পৌর সদরের ১১ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে শূন্য ভোটে পরাজিত উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এস,এম, সামসুর রহমান-এর দেয়া অর্থ ও উপঢৌকন অনেক জনপ্রতিনিধি ফেরৎ দেওয়া শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে পৌর সদরের একটি প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা অবস্থায় অনেক ইউপি সদস্য ও কাউন্সিলর এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টাকা ও ১০টি ডিনারসেট ফেরৎ দিয়েছেন বলে যুবলীগ সভাপতি এস,এম, সামসুর রহমান জানিয়েছেন। এ নির্বাচনকে জুয়া খেলার সাথে তুলনা করে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, বন্যপ্রাণীর ধর্ম থাকলেও টাকার কাছে জনপ্রতিনিধি নামের মানুষের ধর্ম হারিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভোট না দিয়েও নির্বাচনের দিন জনপ্রতিনিধি ও কর্মী সমর্থকদের খাওয়া বাবদ হোটেলে বিল করেছে প্রায় ৩০ হাজার টাকার। অপরদিকে, ১০ ওয়ার্ডে পরাজিত জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা কমিটির আহবায়ক বর্ষিয়াননেতা গাজী মোহাম্মদ আলী ও ১২নং ওয়ার্ডে পরাজিত উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকার ভোট মূল্যায়নের পর অভিযোগ করেছেন অর্থের কাছে নীতি-আদর্শ ভালবাসা উপেক্ষিত হয়েছে।

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছার ৩টি ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান পদে হারুনুর রশীদ, সংরক্ষিত পদে নাহার, সদস্য পদে মান্নান, টিপু ও হাবিবুল্লাহ জয়ী

নির্বাচনী ডেস্ক ॥
পাইকগাছায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকগাছার ৩টি ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ১৯৩ মধ্যে ১৯২জন ভোটার ভোটাধিার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে সরকার দলীয়প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ (আনারস) ১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্রপ্রার্থী অজয় সরকার (চিংড়ি) ২৭ ভোট পেয়েছেন। এদিকে সংরক্ষিত সদস্য পদে নাহার আক্তার (ফুটবল) ৯৩ ভোট, সদস্য পদে ১০ নং ওয়ার্ডে হাবিবুল্লাহ বাহার (তালা) ৩২ ভোট, ১১নং ওয়ার্ডে শেখ কামরুল হাসান টিপু (হাতি) ৪৪ ভোট এবং ১২ নং ওয়ার্ডে আব্দুল মান্নান গাজী (ফ্যান) ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে

একান্ত স্বাক্ষাতকারে লোকসভা সদস্য মমতা ঠাকুর
বিশেষ ডেস্ক ॥
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে ভারতের লোকসভা (বনগাঁ) তৃণমূল কংগ্রেস এর সদস্য মমতা ঠাকুর বলেছেন, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে তাদের কোন ধর্ম কিংবা জাত নেই, এরা সন্ত্রাসী। সোমবার সকালে দেয়া একান্ত স্বাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন মমতা ঠাকুর। বাংলাদেশীদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসার ই-টোকেন ফাঁদে বাংলাদেশের ভ্রমন পিপাষু পর্যটকরা। ই-টোকেন ফাঁদ থেকে পর্যটকদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করার এক প্রশ্নের জবাবে লোকসভার সদস্য মমতা বলেন, বাংলাদেশে আসার পর এ ধরণের সমস্যার বিষয়টি জানতে পেরেছি। অন্যান্য ক্যাটাগরীর ন্যায় টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ই-টোকেন পদ্ধতি সহজতর করতে বিষয়টি লোকসভায় উত্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদিতে আমি বাংলাদেশে এসেছি। এদেশের সনাতনধর্মালম্বী অনেকের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমি নিজেই দেখেছি হিন্দু, মুসলিম একই সাথে কত সুন্দরভাবে বসবাস করছে। যা দেখে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মুগ্ধ হয়েছি। মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক খবরাখবর দেখে কিছুটা বিষ্মিত হলেও সরেজমিন এসে দেখলাম বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে অনুরূপ এক প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, যে কোন হত্যা দুঃখ জনক। তবে এক্ষেত্রে পারস্পারিক ভাবে দু’দেশের একমত পোষন করে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি আলাদা একটি আইনও করা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। সাম্প্রতিক সময়ের পাক-ভারত উত্তেজনা প্রসঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন টানাপোড়ন সৃষ্টি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশকে প্রতিবেশি এবং বন্ধু রাষ্ট্র মনে করে। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংস্কৃতি সহ নানা ক্ষেত্রে দুই বাংলার অভূতপূর্ব মিল রয়েছে, বিশেষ করে ভাষার ক্ষেত্রে। যেমন একুশ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয় আন্তজাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। এজন্য সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দুই বাংলার কাজ করার জন্য তাগিদ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার এ সদস্য। উল্লেখ্য, মমতা ঠাকুর গত রোববার খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের খালিয়ারচক এলাকার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদিতে বাংলাদেশে আসেন।

পাইকগাছা থানা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির বর্ধিত সভা; ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই আল্টিমেটাম প্রত্যহার

পৌর প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা থানা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির জরুরী বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, পৌর আহবায়ক এ্যাডঃ জিএম আব্দুস সাত্তার, সরদার আব্দুল মতিন, আসলাম পারভেজ, শেখ ইমামুল ইসলাম, শেখ আনারুল ইসলাম, মিরাজুল ইসলাম, নাজির আহম্মেদ, আব্দুল মজিদ গোলদার,  বেনজির আহম্মেদ লাল, তুষার কান্তি মন্ডল, আমিনুল ইসলাম বাহার, বাবর আলী গোলদার, প্রণব কান্তি মন্ডল, প্রভাষক আবু সালেহ ইকবাল, সন্তোষ কুমার গাইন, সাইফুল ইসলাম তারিক, আসাদুজ্জামান ময়না, সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, সরদার ফারুক আহম্মেদ, মাসুম বিল্লাহ কাগুজী, মিজান জোয়াদ্দার, ছাত্তার মোড়ল, মফিজুল ইসলাম, মাহাফুজুর রহমান, মোহর আলী সরদার, আবু তালেব, লক্ষ্মী রানী গোলদার সহ ১০ ইউনিয়নের আহবায়ক, যুগ্ম- আহবায়ক বৃন্দ। সভায় থানা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটাম প্রত্যহার করা হয়। এছাড়া বিএনপিতে অর্ন্তভূক্ত সবাইকে নিয়ে জেলার সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা মেনে আগামীতে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছায় আবারো ভাঙ্গনের মুখে বিএনপি; গণপদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ৩ দিনের আল্টিমেটাম

নতুন করে অর্ন্তভূক্ত ১০ নেতাকর্মীর পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবী
বিশেষ ডেস্ক ॥
আবারও ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে পাইকগাছার বিএনপি। থানা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে জেলা নেতৃবৃন্দ কর্তৃক গত শনিবার ১০ নেতাকর্মীকে অর্ন্তভূক্ত করায় প্রতিবাদ সভা করেছে দলটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। রোববার সকালে অনুষ্ঠিত সভায় অর্ন্তভূক্ত ১০ নেতাকে ৩ দিনের মধ্যে পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে দলের স্ব স্ব পদ থেকে গণপদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে নেতৃবৃন্দ। ফলে ঐক্যবদ্ধ দলের মধ্যে আবারও ভাঙ্গনের সুর উঠেছে। এর আগেও দলীয় অভ্যন্তরিন কোন্দল সহ নানা কারণে দলটির মধ্যে একাধিকবার ভাঙ্গন দেখা দেয়। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই ডাঃ আব্দুল মজিদকে আহবায়ক করে থানা ও এ্যাডঃ জিএম আব্দুস সাত্তারকে আহবায়ক করে পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা দলের মধ্যে সাংগঠনিক কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। স্বতঃস্ফুর্তভাবে দলীয় কর্মসূচি পালিত হওয়ায় প্রাণ ফিরে পায় দলটি। দলের এমন অবস্থায় জেলা নেতৃবৃন্দ গত কয়েক মাসে এ পর্যন্ত একাধিক বার সংযোজোন করেছে। যা নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দায়িত্বশীল অনেক নেতৃবৃন্দকে উপেক্ষা করা হয়, যা নিয়ে দীর্ঘদিন দলের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করে আসছে। সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় থানা ও পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা। সভায় জেলার কোন কোন নেতৃবৃন্দ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে আরো কিছু নেতাকর্মীকে অর্ন্তভূক্তির প্রস্তাব করলে থানা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ সহ স্থানীয় সকল নেতৃবৃন্দ এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দের এ মতামতকে উপেক্ষা করে জেলার কতিপয় নেতৃবৃন্দ শনিবার স্থানীয় একটি দৈনিকে থানা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে যুগ্ম-আহবায়ক সহ বিভিন্ন পদে ১০ নেতাকর্মীর অর্ন্তভূক্তির খবর প্রকাশ করেন। যাদেরকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে তারা সকলেই দলের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, বহিষ্কৃত ও নিষ্ক্রীয়। এর প্রতিবাদে রোববার সকালে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে থানা বিএনপি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন,  সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, সরদার আব্দুল মতিন, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক, শেখ ইমামুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম সানা, নাজির আহম্মেদ, সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, আনোয়ারুল কাদির, প্রণব কান্তি মন্ডল, আবুল বাশার বাচ্চু, আমিনুল ইসলাম বাহার, শেখ হাবিবুর রহমান, এসএম মশিয়ার রহমান, বাবর আলী গোলদার, আবু মুছা সরদার, শেখ আছাদুজ্জামান ময়না, শেখ সুমন আহম্মেদ, ইউনুছ আলী, বিএম আকিজ উদ্দীন, কাজী সাজ্জাত আহম্মেদ মানিক, সরদার ফারুক আহম্মেদ, সন্তোষ কুমার গাইন, কিশোর কুমার মন্ডল, মাহফুজুর রহমান, নূর আলী, মফিজুল ইসলাম সহ সকল ইউনিয়নের আহবায়ক ও যুগ্ম-আহবায়ক বৃন্দ।

পাইকগাছায় ইউএনও’র প্রস্তাবিত শহীদ মালেক মেমোরিয়াল স্টেডিয়াম পরিদর্শন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় প্রস্তাবিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মালেক মেমোরিয়াল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ-উল-মোস্তাক। তিনি শনিবার দুপুরে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারস্থ স্টেডিয়াম পরিদর্শন কালে প্রস্তাবিত স্টেডিয়াম এলাকা উন্মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেন। একই সাথে তিনি স্টেডিয়ামের নির্ধারিত জায়গা থেকে টোল আদায় না করার জন্য ইজারাদার লিয়াকত আলীকে নির্দেশ দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাড়–লী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সবুর সরদার, প্রভাষক রবীন কর্মকার, অশোক ঘোষ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

পাইকগাছা পৌরসভা ভ্যান চালক কল্যাণ সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক

পৌর প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা পৌরসভা ভ্যান চালক কল্যাণ সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে সংগঠনের জিরোপয়েন্টস্থ কার্যালয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। যুবলীগনেতা জগদীশ চন্দ্র রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর শেখ মাহাবুবর রহমান রঞ্জু, কবিতা দাশ, এসএম তৈয়েবুর রহমান, গাজী আব্দুস সালাম, রবি শংকর মন্ডল, সাংবাদিক জিএ রশিদ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মিথুন মধু, সহ-সভাপতি দেবব্রত রায়, দিপংকর মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন, সমিতির নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি সামজেদ গাজী, সাধারণ সম্পাদক সামাদ গোলদার, কোষাধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম গাজী, লাইন সেক্রেটারী শরীফ মোড়ল, সদস্য আল-আমিন মাল, নূর ইসলাম, আবু সালেক ও সিরাজুল ইসলাম।

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙনে ৩ গ্রামের ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলী জমি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন

সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা
বিশেষডেস্ক ॥
পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙনে আগড়ঘাটা বাজারে পর এবার হরিঢালী ইউপি’র ৩ গ্রাম জুড়ে তীব্র ভাঙনে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলী জমি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা ভাঙনরোধকল্পে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে দেখেগেছে, একসময়ের ক্ষরশ্রোতা কপোতাক্ষ নদ কালের বিবর্তনে মৃত নদে পরিণত হলে সরকারের ২৬২ কোটি টাকা প্রকল্পের আওতায় কপোতাক্ষ নদ খননের ফলে জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয় ও সাম্প্রতিকালে উজানের পানি প্রবাহের ফলে তীব্র ¯্রােতে আবার নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে আগড়ঘাটা বাজারের একাধিক প্রতিষ্ঠান এমনকি পাইকগাছা-খুলনার প্রধান সড়ক হুমকির মুখে পড়লে, কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের প্রচেষ্ঠায় পার্কো পাইলিং দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে হরিঢালী ইউপি’র দরগাহমহল, হাবিবনগর, রামনাথপুরের ৩ গ্রাম জুড়ে নতুন করে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ ফারুক হোসেন লাকি জানিয়েছেন-কপোতাক্ষের ধারাবাহিক ভাঙনে এলাকার প্রায় ৩ শ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে অপরপ্রান্তে চর জেগে উঠেছে। এ ভাঙনে শত শত ঘর বাড়ি, ফসলী জমি, মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, গৃহহীন হয়েছে বহু মানুষ। হাবিবনগরের আজাদ হোসেন ৬০ বছরের বৃদ্ধ জানিয়েছেন তার ৩ বিঘা ফসলি জমি এমনকি উঠান পর্যন্ত নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। সে সহ এলাকার বহু ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ ভাঙ্গনরোধকল্পে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার জানিয়েছেন-আগড়ঘাটা বাজারসহ আশপাশ এলাকার ১০০ মিটার পর্যন্ত ভাঙনরোধে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে পার্কো পাইলিং দিয়ে ভাঙন আপাতত ঠেকানো হয়েছে এবং সাহায্যের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। স্থানীয় পাউবো’র শাখা কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ মজুমদার জানিয়েছেন-প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পাউবো’র যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন এলাকায় স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুর্নীতির অভিযোগ;তদন্ত শুরু

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছেন। জানাজানির পর এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে সুত্র জানিয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে সদ্য সমাপ্ত বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে উপজেলার গড়–ইখালী ইউপির দক্ষিণ বাইনবাড়িয়ার সুন্দরবন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্র মন্ডলের মায়ের মৃত্যুর কারণে ঐ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিজয় রায় বিশ্বস্থ মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে প্রশ্নপত্র এনে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পাঠান। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক তার ভাইপো জয়ন্ত এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে বিভিন্ন শ্রেণীর প্রশ্নপত্র নিয়ে হাতে লিখে বিভিন্ন ভাবে ফাঁস করেন। পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের পিন ঢিলা বা নড়বড়ে দেখে সভাপতির সন্দেহ হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা শুরু হয় এবং অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষকের দিকে যায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের নেতিবাচক অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি এ কথা জানিয়ে সিনিয়র সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার জানিয়েছেন তদন্ত চলছে, অভিযোগের প্রমান মিললে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন,আমাকে হয়রানি করার জন্য এধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত দম্পত্তি; থানায় মামলা, আটক-১

পাইকগাছা প্রতিনিধি॥ 
পাইকগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক দম্পত্তি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলা করা হয়েছে বলে ভূক্তভোগী দম্পত্তি জানায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, আটক ১। মামলা তুলে নিতে বাদীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে বলে জানাযায়।
    সুত্রমতে-উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সহিল উদ্দীন মিস্ত্রীর পুত্র পাইকগাছা কলেজের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী আজিবার রহমান (৪২) ঘটনার দিন গত ১৯ ডিসেম্বর প্রতিবেশি আব্দুল মজিদ গংরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজিবার রহমানের বসতবাড়ীতে আকষ্মিকভাবে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আজিবার ও তার স্ত্রী মোছাঃ ববিতা রহমানকে পিঠিয়ে গুরুত্বর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে ভূক্তভোগী দম্পত্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় আজিবার রহমান বাদী হয়ে ঘটনার দিন পাইকগাছা থানায় মোঃ আব্দুল মজিদকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-একই গ্রামের আব্দুল মজিদ গাজীর পুত্র মোঃ ফারুক গাজী(৩০), আব্দুল মজিদ গাজীর স্ত্রী মোছাঃ নূরজাহান বেগম (৫০) ও মোছাঃ রোজিনা বেগম (৩৩) স্বামী মোঃ সাজ্জাত হোসেন, পাইকগাছা থানায় মামলা নং-১৪, তাং-১৯/১২/১৬। এদিকে ঘটনার ২ নং আসামী মোঃ ফারুক গাজীকে পুলিশ আটক করলেও অন্যান্য আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাদীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে বলে জানাযায়।

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছায় আয়জান ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরে আসতে চায়

বিশেষ ডেস্ক॥
জীবন সাহাহ্নে গদাইপুরের ঘোষাল মঠবাড়ীর ৭৫ বছরোর্দ্ধ আয়জান বিবি ভিক্ষাবৃত্তি জীবন থেকে সরে আসতে চায়। সরকারের ভিক্ষুকমুক্ত করণের অংশ স্বরুপ সোমবার দুপুরে নিজ দপ্তরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ-উল-মোস্তাক আয়জান বিবিকে খাদ্য সহায়তা স্বরুপ চাল তুলে দেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন, রিপন মন্ডল, দিবাকর বিশ্বাস ও রুহুল আমিন বিশ্বাস আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন ভিক্ষুকমুক্ত করণের অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে অনেককে পুনবার্সিত করা হয়েছে এবং অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠা এ বিষয়ে এগিয়ে আসছেন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছায় ইট বোঝায় ট্রলি ব্রীজ থেকে পড়ে গিয়ে খাঁদে; কিশোর গুরুত্বর আহত; খুমেকে প্রেরণ

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় ইট বোঝায় ইঞ্জিন চালিত ট্রলি ব্রীজে উঠার সময় পাল্টি খেয়ে নীচে পড়ে গিয়ে ট্রলি চাপায় সাচ্চু (১২) নামে এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। আহত কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় পৌর সদরের শিবসা ব্রীজে মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ ট্রলির মালিক ছাদেক মোল্লাকে আটক করেছে। ট্রলির মালিক ধামরাইল গ্রামের জমায়েত মোল্লার ছেলে ছাদেক মোল্লা জানান, ঘটনার দিন চাঁদখালী ইউনিয়নের গড়েরডাঙ্গা জনৈক মান্নানের ভাটা থেকে ইট নিয়ে লস্করে  যাওয়ার পথে শিবসা ব্রীজে উঠার সময় ট্রলিটি গতি ফেল করে। এ সময় ইট দিয়ে জাম দিলে জাম টুকরা হয়ে ট্রলিটি পাল্টি খেয়ে নীচে পড়ে যায়। এ সময় ট্রলির উপরে থাকা (হেলপার) কিশোর সাচ্চু নীচে পড়ে গিয়ে ট্রলিতে চাপা পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন কিশোরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে খুলনায় প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আহসানারা বিনতে ময়না জানান, কিশোরের দুই পায়ের উরুর কাছের হাড় দুই থেকে ৩ টুকরা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তার মুখে ও শরীরের  বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রলির মালিক ছাদেককে আটক করা হয়েছে বলে ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান জানিয়েছেন।

পাইকগাছায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে শেখ রফিকের স্মরনে শোকসভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি॥
পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের পুত্র প্রয়াত শেখ রফিকুল ইসলাম স্মরণে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাইকগাছা পৌরসভা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, যুবলীগ নেতা শেখ মাসুদুর রহমান, শেখ আলাউদ্দীন, জগদীশ চন্দ্র রায়, সাবেক ছাত্রনেতা তৌহিদ হোসেন তাজ, দীপংকর মন্ডল, রাজু আহম্মেদ, আসিফ ইকবাল রনি, ছাত্রলীগ নেতা এসএম মসিয়ার রহমান, শ্রমিকলীগ নেতা শেখ মিথুন মধু, মাসুদ পারভেজ রাজু, রেজাউল করিম রেজা, রায়হান পারভেজ রনি, মনোজ মন্ডল, হিরো, ঋভু মন্ডল, রাফেজ উদ্দীন, বিপ্লব ফয়সাল আহমেদ, রাসেল, শেখ রায়হান পারভেজ, রাজেশ, আকাশ, রবিউল, ফাহিম, হোসাইন, সৌরভ, মোকারাম, রুমি, কাদের, অহিদুর, ইয়াসিন, অনিমেশ, শান্ত, মেহরাব, আজিজুল, সুমন, রাকিব, অনিশ, মীম, রাহুল ঘোরামি, খলিল, দ্বীপ, প্রদীপ্ত, সুমন, সৌকত, রিপন, জনি, মিলন, রানা, মফিজুল, রনি, উজ্জ্বল, রায়হান ও সুজন। শোকসভা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ামাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরী দৃশ্যমান মুর্তিতে পরিণত####অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে জীম সেন্টার; পৌরসভার দায়িত্বহীনতার অভিযোগ

বিশেষপ্রতিনিধি ॥
খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরীটি তার ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দৃশ্যমান মুর্তিতে পরিণত হয়েছে। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের রশি টানাটানিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে পৌরসভার দাায়িত্বে লাইব্রেরীটি থাকলেও তা দেখভালের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পৌরসভার দায়িত্বহীনতার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সুধীজনরা অভিমত ব্যক্ত করেন। বিগত কয়েকদিন যাবৎ এ লাইব্রেরীর বেহালদশা ও উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের লাইব্রেরীর দ্বিতল ভবন ব্যবহার করে জীম পরিচালনা করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ যেন কানে তুলো দিয়ে বসে এ বেহাল দশা উপভোগ করছে। সরকারি সম্পত্তিা কিভাবে ভাড়া দিয়ে জীম পরিচালনায় দেয়া হলো এটা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বের লাইব্রেরীটি দেখভাল করা না হলে তরুন প্রজন্ম পাইকগাছার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞতায় থেকে যাবে বলে মনে করছেন লাইব্রেরী অধিকাংশ সদস্যরা। লাইব্রেরীটির ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলা ফেরাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
    সুত্রমতে-সুন্দরবন সংলগ্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, আদর্শ শিশু বিদ্যালয় ও যাদুঘর ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, রাড়–লী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও গাজী মিজানুর রহমান মন্টু এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৫ হাজার টাকায় ২শ আজীবন সদস্য ও ২শ বই নিয়ে যাত্রা শুরু করে লাইব্রেরীটি। পরবর্তীতে বইয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজারের মত। বর্তমানে অনেকগুলো বই চুরি ও নষ্ট হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের নামে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র আদালত চত্ত্বর এলাকায় ০.১৩১১ একর জমি ক্রয় করা হয়। যেখানে তৈরী করা হয় ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১ তলা ভবন। ভবনটির দ্বিতল ভবনের কাজ আংশিক সমাপ্ত হলেও ভবনের অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গাচুরা ১৩টি আলমারী, ২০ খানা চেয়ার, ৩টি টেবিল যা সবই ব্যবহার অনুপযোগী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫ হাজার বই কেনা হলেও পরে এখানে আর নতুন করে কোন বই কেনা হয়নি বলে জানা যায়।
    লাইব্রেরীটির দ্বিতল ভবন অবৈধ সুবিধায় কিছু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে উচ্ছৃংখল যুবকদের বিচরণ শুরু হয় এই জীমে (ব্যমাগার)। যার নেতৃত্বে রয়েছে অনিক নামের এক যুবক। লাইব্রেরীটির সম্মুখে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে জীমে যাওয়া যুবকদের কাছ থেকে। তারপরেও প্রতিকার মিলছে না। উল্লেখ্য ইভজিটিং-এর দ্বায়ে ইতোপূর্বে জীমের পরিচালকসহ ওইখানকার অনেক যুবককে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবিরউদ্দীন আটক করে সাজাও দিয়েছে। পাইকগাছা থানা পুলিশ ইভটিজিং-এর অভিযোগে ২ বার আটক করলেও মুচলেকায় ছেড়ে দেয়।
    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ এ প্রতিবেদককে বলেন-কাউন্সিলর হওয়া শর্তেও জীমটা কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে আমি জানিনা। তবে এটা বন্ধের চেষ্ঠা করেও আমি ব্যার্থ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রাণী বলেন-এ বিষয়টি পৌর মেয়র জানেন আমি জানিন। তবে জীমের ব্যাপারে শুনেছি এটা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর সচিব তুষার কান্তি দাশ বলেন-পাবলিক লাইব্রেরীর ভবন ব্যবহার করে যে জীম (ব্যামাগার) পরিচালিত হচ্ছে সেটা আমাদের ভাড়া দেয়া না, কিংবা পৌরসভার সাথে কোন চুক্তিপত্র নাই। তবে মেয়র আসলে এ বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাবলিক লাইব্রেরীটি নতুন করে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। জীমটি (ব্যামাগার) কিছুদিনের জন্য মৌখিকভাবে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছিলো। আপত্তিকর ও অনিয়মের বিষয়টি শুনলাম অবিলম্বের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে জীমটি বন্ধ করে দেয়া হবে।

পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপির শোক

পাইকগাছা প্রতিনিধি॥
পাইকগাছা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিএনপির মোঃ আব্দুস সবুর গাজীর অকাল মৃত্যুতে তার আত্মার শান্তি কামনায় ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি প্রদান করেছেন পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, শেখ বেনজির আহমেদ লাল, জি,এম, মিজানুর রহমান মিজান, আসলাম পারভেজ, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, আলাউদ্দীন রাজা, সেলিম রেজা লাকী, মাসুদ পারভেজ, সাইফুল ইসলাম তারিক, মোঃ মোস্তফা মোড়ল, মোঃ আবুল হোসেন, তৌহিদুজ্জামান মুকুল, জিয়াউদ্দীন নায়েব, মেছের আলী সানা, শেখ শাহ আলম, আবুল হোসেন মোড়ল, সাবেক কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মন্টু, শেখ সুমন আহমেদ, এস,এম, মোহর আলী, এস,এম, টুকু, আজহারুল সানা, মোঃ রুস্তম গাজী, মোশাররফ হোসেন বাবলু প্রমুখ।

পাইকগাছায় শাপলা ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ অমান্য করে বহাল তবিয়তে চলছে কার্যক্রম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
খুলনার পাইকগাছায় শাপলা ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও লাইসেন্স বাতিলের জন্য কারণ দর্শানো নির্দেশ দিলেও বহাল তবিয়তে চলছে তার কার্যক্রম। সার্বক্ষণিক ডাক্তার না থাকা, এ্যানাস্থেশিয়া না দিয়ে এ্যাসিসট্যান্ট ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করায় প্রায়ই রোগীর মৃত্যু হওয়ায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন, খুলনা এ নির্দেশনা দেন।
তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে শাপলা ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোন ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত কোন নার্স নেই। ৭০ বছরের উর্ধে বয়স্ক ডাঃ বিপিন বিহারীর মাঝে মাঝে উপস্থিতিতে এ্যাসিসট্যান্ট দ্বারা অপারেশন করা হয়। যে কারণে বছরে প্রায়ই ২/৪ টি রোগীর মৃত্যু ঘটে বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রকাশ। গত ১৩ আগস্ট পাইকগাছার গজালিয়া গ্রামের রেশমা খাতুন (২০) অপারেশন শেষে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণ করেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগ হলে স্মারক সি,এস,কে/শা-১, ২০১৬/১৮৯৫ স্মারকে ৩ সদস্যের তদন্ত টিম কমিটির প্রধান থাকেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ ময়নউদ্দীন মোল্লা। তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক কোন ডাক্তার ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স নাই। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা অপারেশন না করে ভাড়াটিয়া এ্যাসিসট্যান্ট ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করা হয়। কোন প্যাথলোজি বিশেষজ্ঞ ও রক্ত সঞ্চালনের কোন ব্যবস্থা নেই। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। সব সময় আয়া, ওয়ার্ডবয় ও সুইপার থাকে না। ১০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও প্রায় সময় ২৭-৩০ জন রোগী ভর্তি থাকে। ল্যাবরেটরির মধ্যে রক্ষিত ফ্রিজে মাছ, মাংস, তরিতরকারি রাখা হয়। ক্লিনিকটি টিনসেড ও ভাড়াটে জায়গায় অবস্থিত। তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর সিভিল সার্জন, খুলনা ডাঃ এ,এস,এম আব্দুর রাজ্জাক ক্লিনিকটি বন্ধ ও ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৮৭৩৪ লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না তাদের কারণ দর্শাতে বলেন। যার স্মার নং- সিএসকেশা-১/২০১৬/২৯৯৭। একই সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সদয় অবগতির জন্য মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা (দৃষ্টি আকর্ষণ- পরিচালক, হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ), পরিচালক (স্বাস্থ্য), খুলনা বিভাগ, খুলনা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পাইকগাছা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জ, পাইকগাছাথানাকে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ক্লিনিক পরিচালক তাপস কুমার মিস্ত্রী ৩/৪ দিন আগে সিভিল সার্জন, খুলনার দেয়া নির্দেশনার কাগজ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডেপুটি সিভিল সার্জন ক্লিনিকের যাবতীয় ত্র“টিগুলো বলেন, এ ধরণের প্রতিষ্ঠান থাকলে রোগীর মৃত্যু সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

পাইকগাছায় আদলতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ;পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক

পাইকগাছার লস্করে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আদলতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পতি জবরদখলের চেস্টার অভিযোগ;পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে দখল চেষ্টার হুমকির প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিধির ১৪৪ধারা মতে এম আর মামলা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে উপজেলা লস্কর গ্রাম ও মৌজার এস এ ১৫৮খতিয়ানে ১১৩৬সহ বিভিন্ন দাগে ৩একর ৮শতক সম্পত্তির মধ্যে ২৪শতক চাষী ও ডাঙ্গা জমি নিয়ে একই গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রাম পুলিশ এরফান আলি গং ও প্রতিবেশী অহেদ আলি সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম গংদেও মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয নিয়ে একাধিকবার মারপিট এর ঘটনা সহ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ্এরফান আলি অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষরা পেশীশক্তি বলে গত ৯নভেম্বর  তাদেও রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে গাছ কর্তন কওে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করলে তারা বাধা দেয় এবং সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধার ভাই ওয়াজেদ আলি সরদার প্রতিপক্ষ শফিকুল গংদেও বিরুদ্ধে ১৪নভেম্বও পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আদলতে এম আর ৩৬০/১৬মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ নোটীশ জারি করলেও এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৭ডিসেম্বও শফিকুল গংরা এ সম্পত্তিতে ঘেরা বেড়া দিয়ে দখল চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পুলিশের এ এস আই সামছুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে দখল চেষ্টা রোধ করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

SUCCESS STORY##পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত চিংড়ি চাষ ঝুকি কমায়, উৎপাদন বৃদ্ধি করে ও জীবনযাত্রারমান উন্নয়নের সহায়ক

SUCCESS STORY:
Writer:
Md. Ashraful Hoque
Technical Specialist (Sustainable Aquaculture)
USAID-Aquaculture for Income and Nutrition (AIN) Project
WorldFish-Bangladesh


বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল চিংড়ি চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু চাষ পদ্ধতি সনাতন হওয়ায় চিংড়ি চাষিদের উৎপাদন কোন, লাভের পরিমাণ সীমিত এবং বেশিরভাগ সময়ই লোকসান গুণতে হয়। কুমুদ রঞ্জন সানা পিতা মৃতঃ বিজয় সানা খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের লস্কর গ্রামের বাসিন্দা। জীবিকা নির্বাহের জন্য ২০০৫ সাল থেকে তিনি তার ৯৯ শতক লিজ নেওয়া জমিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। কিন্তু চিংড়ি চাষ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকাই গতানুগতিক সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করার কারনে কখনই ভালো উৎপাদন পায়নি ফলে তার অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন পরিবরতন হয়নি বরং সংসারের খরচ জোগাতে তার হিমসিম খেতে হয়েছে বছরের পর বছর।  

কুমুদ সানা অবশেষে, ২০১৩ সালের প্রথম দিকে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়াকালচার ফর ইনকাম অ্যান্ড নিউট্রিশন (এআইএন) প্রকল্পের চাষি দলের অন্তর্ভুক্ত এবং ভালো চাষ ব্যবস্থাপনা ( বিএমপি) সম্পর্কে জানতে পারে যা সাধারণ চাষিদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য। এখন থেকে তার কাছে পরিস্কার যে অপরিকল্পিত সনাতন চাষ ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ অপরিকল্পিতভাবে ঘের প্রস্তুতি, সঠিক নিয়মে চুন, সার না দেওয়া, মজুদ ঘনত্ব ঠিক না রাখা, মাটি ও পানির সঠিক গুনাগুন বজায় না রাখা, রোগমুক্ত সবল পোনা মজুদ না করা ও অন্যান্য পরিবেশ ভালো না রাখার কারনেই রোগবালাই বেশি হয় এবং আশানুরুপ ফল পান না।

তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ঘের পরিচালনা করে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অধিক উৎপাদন ও লাভ পেতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতাই তিনি  তার ৯৯ শতক ঘের থেকে গত বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ১২০ কেজি বাগদা ও ২৮০ কেজি সাদা মাছ বিক্রি করেন যার বাজার মূল্য ৬০০০০ এবং ১৬৮০০ টাকা এবং খরচ বাদে নীট লাভ করেন ২৪৮০০ টাকা। তিনি ২০১৬ সালের প্রথম থেকেই ভালো চাষ ব্যবস্থাপনা ( বিএমপি) পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিক নিয়মে ঘের প্রস্তুত, চুন, সার, খাদ্য প্রয়োগ, সঠিক ঘনত্বে রোগমুক্ত এসপিএফ  পোনা মজুদ  সহ পানির গুনাগুন বজায় রেখে ঘের পরিচালিনা করে তিনি তার ৯৯ শতক লিজের ঘের থেকে ৩৩৯ কেজি বাগদা চিংড়ি, ৪০০ কেজি সাদা মাছ করেন যার বাজার মূল্য যথাক্রমে ১৮৬৪৫০ টাকা,  ২৪০০০ টাকা। তিনি তার ঘেরে চুন, সার, খাদ্য, পোনা, মুজুরি ও লিজ বাবদ মোট ৭৬৪৬০ খরচ করেন এবং নীট লাভ করেন ১৩৩৯৯০ টাকা। তিনি তার এই ভালো উৎপাদন পাওয়ায় খুবই আনান্দিত এবং তার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গিয়েছে অনেক। এখন তিনি তার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার খুব ভালো চালাতে পারছেন।

কুমুদ সানা বলেন তার এই অধিক উৎপাদনের পিছনে এস পি এফ বাগদা পোনার ভূমিকা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন  এস পি এফ বাগদা পোনার সাধারণ চিংড়ি পোনার চেয়ে দূরত্ব বর্ধনশীল ও  রোগ প্রতিরোধে সক্ষম ফলে ঝুকিও কম। তবে চাষিরা সময় মত চাহিদা অনুপাতে পোনা না পাওয়ায় খতিগ্রস্থ হচ্ছে কারণ চাষিদেরকে  এস পি এফ পোনা না পাওয়ায় অন্যান্য সাধারণ পোনার সাথে চাষ করতে হয়।  

তিনি মনে করেন তার এই সাফল্যের পিছনে একমাত্র অবদান হচ্ছে ইউএসএআইডি-এআইএন প্রকল্পের। তাই তিনি ইউএসএআইডি-এআইএন প্রকল্পের এই উন্নয়ান্মুলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের প্রতি কৃৎজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

SUCCESS STORY## Reflection of Improved Shrimp Farming Technology



SUCCESS STORY
Writer:
Md. Ashraful Hoque
Technical Specialist (Sustainable Aquaculture) 
USAID-Aquaculture for Income and Nutrition (AIN) Project
WorldFish-Bangladesh
 
Mr. Hasan Sana son of Mr. Abul Hosain is a self-motivated farmer of Deyara Village under Moharajpur Union of Koyra Upazilla in the district of Khulna which is located in the south–West region of Bangladesh. He has been involved in shrimp farming since 2008 in his 0.67 hectare own land and followed traditional culture system. But due to poor farming knowledge he didn`t get good production in the previous years from his pond. But due to lack of proper knowledge on shrimp farming maximum time he didn`t get good production and profit margin was very poor, sometimes even loss also

Day by day condition was getting worsened and was very hopeless. At this time he came to know about modern technology of shrimp farming. Environment friendly and planned farming technology is being provided by Aquaculture for Income and Nutrition (AIN) Project of WorldFish-Bangladesh with the financial assistance of USAID.

Now it is clear to Mr. Hasan that the unplanned traditional shrimp culture practice that ignores pond preparation techniques, lack of PCR PL stocking, stocking density, water quality, feeding management, other management strategies which cause disease of shrimp especially viral disease and so many environmental problems so that he didn’t get expected production.

In the beginning of 2012 Mr. Hasan took part in the training on Better Management Practice (BMP) method of shrimp farming from the activities of AIN project. Though Mr. Hasan not able to get used to practice improved farming systems in the previous year’s perfectly but from beginning of the year of  2015 he had been started his farming systems followed by improved management namely Better Management Practice (BMP). Initially he was uncertain and felt anxiety of the new techniques.

Now Mr. Hasan applying knowledge that he earned from the training concerning preparing pond in a proper way, keeping proper water condition, applying feed, lime and fertilizer on a regular basis, stocking PCT tested shrimp PLs, maintaining the stocking density etc, following MBP method, last year (2015) he produced461 Kg shrimp by stocking PCR tested and non-tested shrimp PLs and 150 Kg whitefish from his 0.67 hectare pond which worth taka 256500 where total expenditure was taka 72400 and net profit was taka 184100. On the other hand, this year (2016) he has produced 495 kg shrimp by stocking SPF and non- tested shrimp PLs  and 500 Kg whitefish from that pond which total value taka 301360 where total expenditure was 52170 and net profit was taka 249190.

He is very happy for getting bumper production and as a successful farmer he feels proud of it. He has expressed that it has been possible basically on account of the training program organized by AIN project. He has also been articulated that more profit is possible through BMP method of shrimp farming.

This farmer, who had never made any profit, has been getting excellent profit from last year. As a result, surrounding farmers have already decided that they will apply MTT technology from next year. 

According to his experience he expressed that SPF shrimp PLs are better than PCR negative shrimp PLs or other sources of PLs because of faster growth, more disease resistant and less harvest period which minimize the risk as well confident among the farmer but still not available of SPF shrimp PLs for the farmers.

Mr. Hasan shares his experiences with his neighbor farmers and outside of his village. Now he is very happy and delighted & confident about shrimp culture.

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

SUCCESS STORY## A successful story of Improved Technology adaptation: Contemporary shrimp farming technique enhances production as well as increases income



SUCCESS STORY

Writer :
Md. Ashraful Hoque
Technical Specialist
USAID-AIN Project
WorldFish-Bangladesh



Mr. Salim Hossain son of Mr. Abdur Rob Sardar is a self-motivated farmer of Kharia Village under Laskar Union of Paikgacha Upazilla in the district of Khulna which is located in the south–West region of Bangladesh. He has been involved in shrimp farming since 2002 in 0.93 hectare own land and followed traditional culture system. But due to poor farming knowledge he didn`t get good production in the previous years from his pond. But due to lack of proper knowledge on shrimp farming maximum time he didn`t get good production and profit margin was very poor, sometimes even loss also. Day by day condition was getting worsened and was very hopeless. At this time he came to know about modern technology of shrimp farming. Environment friendly and planned farming technology is being provided by Aquaculture for Income and Nutrition (AIN) Project of WorldFish-Bangladesh with the financial assistance of USAID.

Now it is clear to Mr. Salim that the unplanned traditional shrimp culture practice that ignores pond preparation techniques, stocking density, water quality, feeding management, other management strategies which cause disease of shrimp especially viral disease and so many environmental problems so that he didn’t get expected production.

In the beginning of 2012 Mr. Salim took part in the training on Better Management Practice (BMP) method of shrimp farming from the activities of AIN project. Though Mr. Salim not able to get used to practice improved farming systems in the previous year’s perfectly but from beginning of the year of 2016 he had been started his farming systems followed by improved management namely Better Management Practice (BMP). Now Mr. Salim applying knowledge that he earned from the training concerning preparing pond in a proper way, keeping proper water condition, applying feed, lime and fertilizer on a regular basis, stocking SPF PLs, maintaining the stocking density etc, following BMP method, last year (2014) he had able to produce 250 Kg shrimp and 170 Kg whitefish from his 0.93 hectare pond which worth taka 152000. On the other hand, this year (2016) he has produced 617 Kg shrimp ( 573 Kg SPF shrimp and 44 Kg Non-SPF shrimp) and 600 kg whitefish from that pond which total value taka 370,750 where total expenditure was taka 61,714 and net profit was 309,036.

Now, he is very happy for getting bumper production as well as more income and as a successful farmer he feels proud of it. He has expressed that it has been possible basically on account of the training program organized by AIN project. He has also been articulated that more profit is possible through BMP method of shrimp farming. He mentioned behind his success BMP technology SPF shrimp PLs are the key factors because of SPF shrimp PLs are faster growth, more disease resistant and less risk.

 This farmer, who had never made any profit before but now has been getting excellent profit through planned farming system of BMP from the previous years. As a result, surrounding farmers have already decided that they will apply BMP technology from next year. Mr. Salim shares his experiences with his neighbor farmers and outside of his village. Now he is very happy and delighted & confident about shrimp culture.

রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি; পাইকগাছায় ঘাতকের হাতে নিহত বাবুর স্মারণ সভা প্রতিবাদে রূপ নেয়

বিশেষ প্রতিনিধি।। 
খুলনার পাইকগাছায় ঘাতকদের হাতে নিহত পুষ্পেন্দু বিকাশ বাবু’র স্মরণে অনুষ্ঠিত সভা প্রতিবাদ সভার রূপ নেয়। বক্তারা এই হত্যা মামলার পালাতক আসামী, অর্থযোগান ও মদদাতাদের সনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করে ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন। গতকাল সকালে পাইকগাছা-কয়রার দু’ উপজেলার সীমান্তে শুড়িখালী বাজারে এলাকাবাসীর ডাকে রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগন এ স্মরণসভায় যোগদান করলে এক পর্যায়ে প্রতিবাদ সভায় রূপ নেয়। গড়–ইখালীর আ’লীগ নেতা বিজন রায়ের সভাপতিত্বে ও প্রশান্ত কুমারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- চান্নিরচক কলেজিয়েটের অধ্যক্ষ হরপ্রসাদ মন্ডল, সহকারী প্রধান শিক্ষক রাজিব রাছাড়, মনোরজ্ঞন সরদার, অমরেন্দু মন্ডল, সূর্য কান্ত মন্ডল, পল্লী চিকিৎসক মিজান, শিক্ষক চিত্তরজ্ঞন বিশ্বাস, হিলাল উদ্দিন, বিপ্লব মন্ডল, তরুন বিশ্বাস, বিজয় রায়, পিনাকি মন্ডল, বিশ্বজিৎ দে, দিবাকর মন্ডল, মানবেন্দ্র নাথ প্রমুখ। ইতিমধ্যে জেলহাজতে আটক আসামী শামীম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস, আই স্বপন রায় জানিয়েছেন। হত্যাকান্ডের পিছনে জমির বিরোধ, অর্থ লেনদেন সহ নারী সংশ্লিষ্টতা বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে এর পেছনে নারী ঘটিত বিষয়টি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং পুলিশ পশ্চিম বাইবাড়িয়ার গৌর নামে এক সার ডিলার ব্যবসায়ী যুবককে খুঁজছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাত ৮ টার পর বাবু শুড়িখালী বাজার থেকে মটরসাইকেলযোগে বাড়ীর কাছাকাছি পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা গতিরোধ করে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। অনুসন্ধানের পর পরদিন জনতা হত্যাকান্ডে জড়িত উদ্ধারকৃত অবৈধ মটরসাইকেল মালিক শামীমকে আটক করে পুলিশে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা লোহার রড়, দা, ছুরি ও একটি অবৈধ মটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।

খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা উপজেলা, পৌর ও কলেজ  ছাত্র দলের উদ্যোগে খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ-এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শেখ আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক, কাউন্সিলর কামাল আহম্মেদ সেলিম নেওয়াজ, তুষার কান্তি মন্ডল, মোঃ আবুল হোসেন, সরদার ফারুক আহমেদ। ছাত্রনেতা দিপংকর বাবু ও ইলিয়াস হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ছাত্রনেতা এস,এম, নাজমুল হুদা মিন্টু, গাজী ফয়সাল রাশেদ সনি, জাকির হোসেন, ইস্রাফিল আহমেদ, শেখ মাহমুদুল হক মুন্না, শেখ ফরহাদ হোসেন মুক্ত, হারুন-অর-রশিদ, সাইফুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, রাশেদুজ্জামান রাসেল, ফিরোজ আহমেদ, শেখ রিপন, হেলাল হাফিজ, মিলন, তৈয়েবুর রহমান, খোকন, কাজী সেফায়েতউল্লাহ, জুবায়ের হোসেন বাবু, আবুল বাশার বাদশা, সাব্বির হোসেন, মোঃ মুর্শিদ, মেজবাহউদ্দীন, মিজানুর রহমান ও তরিকুল।

এমপি পুত্র শেখ রফিকুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
খুলনা-৬ পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য এড. শেখ মোঃ নূরুল হক এর সেজো ছেলে সদ্য প্রয়াত শেখ রফিকুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় পাইকগাছা উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা মন্দিরে (সরল কালিবাড়ী) প্রার্থনা ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এবং উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা মন্দির (সরল কালীবাড়ি), বাজার সার্ব্বজনীন পূজা মন্দির, শিববাটি সার্ব্বজনীন পূজা মন্দির, শিববাটি পুর্বপাড়া সার্ব্বজনীন পূজা মন্দির ও সরল গোপালপুর দাশ পাড়া সার্ব্বজনীন পূজা মন্দিরের যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় পূজা মন্দির প্রাঙ্গনে প্রার্থনা সভা শেষে স্মরন সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্দির কমিটির সভাপতি দেবব্রত রায় দেবু। স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি সমীরন সাধু, ঐক্য পরিষদের উপজেলা সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেন, পৌরসভা সভাপতি সন্তোষ কুমার সরদার, সোলাদানা ইউনিয়ন সভাপতি পঞ্চানন সানা, উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক জগদীশ রায়। মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক অখিল মন্ডল এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন দীপক কুমার মন্ডল, বিশ্বনাথ দাশ, তরুন মন্ডল, প্রশান্ত মন্ডল, সুভাষ কুমার মন্ডল, বাবুরাম মন্ডল, পঙ্কজ কুমার সানা, প্রভাষ মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় সরদার, দিপু মন্ডল, সঞ্জয় ঢালী, সুজিত সানা, শ্যামপদ মন্ডল, প্রেমদাশ দাশ, তুষার মন্ডল, তাপস চক্রবর্তী, অমর মন্ডল, নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, পিযুষ সাধু প্রমুখ। কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রার্থনা সভা পরিচালনা করেন মন্দিরের পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তী। অনুরূপভাবে সোমবার বাদ আছর শেখ রফিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় ৩৪২ নং শেরে বাংলা রোডস্থ খুলনার বাসভবনে কুলখানী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত কুলখানী ও দোয়ানুষ্ঠানে সকলের উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মরহুমের পিতা এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক।

শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

চিংড়ির নার্সারি ব্যবস্থাপনা ও গুরুত্ব:



লেখক :

Md. Ashraful Hoque
Technical Specialist (Aquaculture and Genetic Improvement) 

  =USAID-Aquaculture for Income and Nutrition Project
WorldFish-Bangladesh

D:\Shrimp-Pict,15\All pictures_Hook board Shrimp\73.jpg 
wPswoi bvm©vwi e¨e¯’vcbv:
1.1) wPswoi bvm©vwi, †N‡ii bvm©vwii ¸iæZ¡, ¯’vb I AvKvi :
mvavibZ †N‡ii g‡a¨ †N‡ii g‡a¨ †h‡Kv‡bv GK cv‡k¦© A_ev †N‡ii evwn‡i KvQvKvwQ ev `~‡i ¯’vqxfv‡e cvo wbg©vY K‡i wPswoi wcGj 20-25 w`b jvjb cvjb K‡i Ry‡fbvBj ev KvwV ev wcP A_ev QvwU ˆZwi Kiv‡KB wPswoi bvm©vwi ejv n‡q _v‡K|
¯’vqx bvm©vwi Kivi ¸iæZ¡ :
GgwUwU c×wZ‡Z msM„wnZ wcGj bvm©vwi‡Z 20-25 w`b jvjb-cvjb K‡i †N‡i Qvov n‡j
·         wcGj-Gi mwVK cwiPh©v Ges Lvevi †`Iqv mnR nq Ges †N‡ii cwi‡e‡ki mv‡_ mn‡R Lvc LvB‡q wb‡Z cv‡i
·         wcGj mwVKfv‡e e„w× cvq I mej n‡q I‡V Ges †eu‡P _vKvi nvi e„w× cvq
·         gRy` †N‡i mwVK gvÎvq Ry‡fbvBj gRy` Kiv hvq
wPswoi bvm©vwii ¯’vb I AvKvi : †N‡ii wfZ‡i †h †Kv‡bv GK cv‡k¦© K¨v‡bj/bvjv K‡i A_ev evB‡i KvQvKvwQ ev `~‡i cyKz‡ii g‡Zv euva (†ewo) w`‡q bvm©vwi ˆZwi Ki‡Z n‡e| †N‡ii AvKvi n‡e gyj †N‡ii 10% A_©vr cÖwZ 100 kZvsk g~j †N‡ii Rb¨ 10 kZvsk bvm©vwi|

1.2) wPswoi bvm©vwii cvo †givgZ Ges Zjvi cPv Kv‡jv Kv`v AcmviY :
kxZ/emšÍKv‡j cyivZb bvm©vwi n‡j †mP w`‡q cvwb ïwK‡q Zjvi Kv‡jv I cPv Kv`v Zz‡j cvo fv‡jvfv‡e †givgZ Ki‡Z n‡e|
1.3) bvm©vwi‡Z Pzb cÖ‡hvM :
Pzb Kx Ges Pz‡bi aib : cv‡bi mv‡_ hv LvIqv nq ZvB Pzb; hv †`L‡Z mv`v e‡Y©i Ges GwU K¨vjwmqvg Gi GKwU †hŠM| evRv‡i wewfbœ ai‡bi Pzb cvIqv hvq, †hgb-KwjPzb, †cvov Pzb, K…wlPzb, W‡jvgvBU BZ¨vw`| Gi g‡a¨ wPswo Pv‡li Rb¨ me‡P‡q fv‡jv n‡jv †cvov Pzb, hv †`L‡Z cv_‡ii b¨vq | bvm©vwi cÖ¯‘‡Zi mgq †cvov Pzb cÖwZ kZvs‡k 1 †KwR nv‡i w`‡Z n‡e|
Pzb cÖ‡qv‡Mi DcKvwiZv : (K) cvwb cwi®‹vi A_©vr cvwbi †NvjvZ¡ `~i K‡i (L) ev‡R M¨vm `~i K‡i (M) cvwb I gvwUi wcGBP-Gi gvb evovq (N) cøvsKU‡bi e„w×i Rb¨ cÖ‡qvRbxq cwi‡ek ˆZwi K‡i (O) K¨vjwmqvg mieivn K‡i (P) `ªæZ ˆRe c`v‡_©i cPb NUv‡Z mnvqZv K‡i (Q) ciRxex, †ivM-Rxevby I e¨vK‡Uwiqv aŸsm K‡i|

1.4) bvm©vwi‡Z ˆRe wbivcËv eRvq ivLv
†N‡ii evB‡i †_‡K †N‡ii wfZ‡i †h †Kv‡bv ai‡bi cÖvYx; †hgb-mvc, e¨vO, †cvKv-gvKo ev Ab¨ †Kv‡bv cÖvYxi cÖ‡ek eÜ K‡i †N‡ii wPswo I gvQ‡K iÿv Kiv‡KB ˆRe wbivcËv ejv nq| †N‡i Pzb cÖ‡qv‡Mi c~‡e© Nbduv‡mi bxj †bU 6 Bw gvwUi wb‡P Mfxi K‡i XywK‡q w`‡q mg¯Í †NiwU wN‡i w`‡Z n‡e|
1.5) bvm©vwi‡Z cvwb D‡Ëvjb, w_Zv‡bv I †kvab :

bvm©vwi‡Z cvwb D‡Ëvjb : mvaviYZ †Rvqv‡ii mgq bvm©vwi‡Z K¨vbvj ev Lv‡ji cvwb XyKv‡bv fv‡jv| cvwb XyKv‡bvi c‡_ QuvKzwbwU Nb I `yB ¯Íi wewkó n‡Z n‡e| 1g QuvKzwbi †gm mvBR 1.5 wgwg Ges 2q wUi duvm 0.5 wgwg n‡Z n‡e| QuvKzwbi evwn‡i GKwU wbivcËv evbvi e¨e¯’v _vK‡j g~j QuvKzwb †UKmB n‡e|  
w_Zv‡bv : bvm©vwi‡Z cvwb D‡Ëvj‡bi ci Kgc‡¶ 3 w`b A‡c¶v Ki‡Z n‡e| vi
†kvab : bvm©vwi‡Z cvwb XyKv‡bvi 3 w`b ci weøwPs cvDWvi 1 †KwR / cÖwZ kZvsk/ cÖwZ dzU cvwb‡Z e¨env‡ii gva¨‡g cvwb †kvab Ki‡Z n‡e|  
we‡eP¨ welqmg~n :
·         GgwUwU c×wZ‡Z bvm©vwi‡Z cvwb †kva‡bi Rb¨ ïaygvÎ weøwPs cvDWvi e¨envi Kiv DËg
·         weøwPs cvDWvi e¨env‡ii ci wbqwgZ niiv †U‡b w`‡j AwaK †kIjv Rb¥v‡bvi m¤¢vebv K‡g hv‡e
j¶Yxq : weøwPs cvDWvi cÖ‡qv‡Mi 3-4 w`b ci cÖwZ kZvs‡k 250-300 MÖvg nv‡i K…wl Pzb cÖ‡qvM Ki‡j fv‡jv nq|

1.6) bvm©vwi‡Z mvi cÖ‡qvM
mv‡ii cÖKvi‡f` : `yB ai‡bi mvi  bvm©vwi‡Z †`qv nq, h_v- ˆRe I A‰Re mvi
·           ˆRe mvi wnmv‡e- mwilvi ˆLj, wPUv¸o, A‡Uvcvwjk Ges B‡÷i wgkÖY †`Iqv nq
·           A‰Re mvi wnmv‡e- BDwiqv Ges wUGmwc mvi †`Iqv nq

bvm©vwi‡Z mvi cÖ‡qv‡Mi cÖ‡qvRbxqZv : mvi w`‡j  bvm©vwi‡Z cÖvK…wZK Lvevi, †hgb- †kIjv, cÖvwYKYv Ges †QvU †QvU †cvKv-gvKo Rb¥vq †h¸‡jv wcGj Gi cÖavb Lv`¨| bvm©vwi‡Z hw` m~‡h©i Av‡jv mwVKfv‡e c‡o Ges wVKg‡Zv mvi cª‡qvM Kiv nq Z‡e bvm©vwi‡Z cÖPzi cwigv‡Y cÖvK…wZK Lv`¨ ˆZwi nq| d‡j m¤ú~iK Lv`¨ Kg mieivn Ki‡jI PvlK…Z wcGj Gi Lv‡`¨i NvUwZ c‡o bv|

mv‡ii gvÎv, cÖ‡qvM c×wZ I mgq :
Pzb cÖ‡qv‡Mi 3-5 w`b ci Ges wcGj Qvovi Kgc‡¶ 4-5 w`b c~‡e© cÖwZ kZvsk wb‡¤œv³ gvÎvq mvi w`‡Z n‡e  
mv‡ii aib
DcKiY
mv‡ii cwigvY (MÖvg/kZvsk)
cÖ‡qvM c×wZ
ˆRe mvi
mwilvi ˆLj
50-100
wPUv¸o, A‡Uvcvwjk Ges B÷ Av‡Mi w`b GK‡Î wgwk‡q wظb cwigvY cvwb‡Z wfwR‡q †i‡L ciw`b mKv‡j †Qu‡K ïay `ªebUzKz †N‡ii cvwb‡Z wQwU‡q w`‡Z n‡e| Gfv‡e GKB wPUv¸o I A‡Uvcvwj‡ki wgkÖYwU ci ci `yBevi e¨envi K‡i †d‡j w`‡Z n‡e| mwilvi ˆLj Avjv`v fv‡e 12-14 N›Uv c~‡e© wfwR‡q †i‡L cvwb‡Z wQwU‡q w`‡Z n‡e|

wPUv¸o
100

A‡Uvcvwjk ev Kzov
100

1 Pv PvgyP

A‰Re mvi
BDwiqv
50-100
wUGmwc Av‡Mi iv‡Î wfwR‡q †i‡L c‡ii w`b BDwiqvi mv‡_ GK‡Î cvwb‡Z wgwk‡q cvZjv K‡i mg¯Í †N‡i wQwU‡q w`‡Z n‡e mKvj 9-10 Uvi mgq

wUGmwc
100-125

1.7) bvm©vwii cÖvK…wZK Lv`¨ I cvwbi Dchy³Zv cixÿv :
nvZ w`‡q cÖvK…wZK Lv`¨ cix¶v : mvi cÖ‡qv‡Mi 4-5 w`b ci †N‡ii †iŠ‡`ªv¾j ¯’v‡b 2 dzU Mfxi cvwb‡Z †b‡g nv‡Zi Zvjy fvR K‡i KbyB ch©šÍ A_©vr 10-12 Bw cvwbi Mfx‡i Wyev‡j hw` Zvjy †`Lv bv hvq Z‡e eyS‡Z n‡e ch©vß cÖvK…wZK Lv`¨ ˆZwi n‡q‡Q| hw` KbyB ch©šÍ Wzev‡bvi c‡iI Zvjy †`Lv hvq Zvn‡j eyS‡Z n‡e cÖvK…wZK Lv`¨ Kg Av‡Q| ZLb cybivq mvi cÖ‡qvM Ki‡Z n‡e| †Nvjv cvwb‡Z G c×wZ Kvh©Ki n‡e bv|
MvgQv-Møvm/ QvKwb-Møvm cÖvK…wZK Lv`¨ w`‡q cix¶v : mvi cÖ‡qv‡Mi 4-5 w`b ci cÖ_‡g 2 Rb GKwU MvgQvi 2 cÖvšÍ a‡i nvUz cvwb‡Z †b‡g mgvšÍiv‡j `vov‡e| Gici GKRb w¯’i _vK‡e Ges Ab¨Rb cyKz‡ii Av‡iv Mfxi Ask w`‡q gvwUi 3-4 Bw Ici w`‡q MvgQv †U‡b Ny‡i cybivq mgvšÍiv‡j G‡m `vov‡e Ges MvgQvi cvwb Kwg‡q 1/2 Møvm cwigvY cvwb Møv‡m †b‡e| Zvici wUDeI‡q‡ji cvwb †hvM K‡i Møvm fwZ© Ki‡e| Gevi MøvmwU‡K GK nv‡Z m~‡h©i w`‡K ai‡e Ges jÿ¨ Ki‡e KZwU cÖvwYKYv Møv‡mi cvwb‡Z †`Lv hvq| 5-10wU cÖvwYKYv †`Lv †M‡j eyS‡Z n‡e ch©vß cÖvK…wZK Lv`¨ ˆZwi n‡‡q‡Q| hw` Gi †P‡q Kg †`Lv hvq Zvn‡j cÖvK…wZK Lv`¨ Kg Av‡Q| iwOb Qvcgviv A¯^”Q Møv‡m G c×wZ Kvh©Ki n‡e bv|
bvm©vwii cvwbi Dchy³Zv cixÿv : †h bvm©vwi‡Z wcGj Qvov n‡e †mB bvm©vwi‡Z wcGj Qvovi c~‡e© gkvwii GKwU nvcv ¯’vcb K‡i Zv‡Z 100 wU wcGj gRy` K‡i 72 N›Uv †i‡L cvwbi Dchy³Zv cixÿv Ki‡Z n‡e| 72 N›Uv ci hw` wcGj my¯’ I †eu‡P _v‡K Z‡e eyS‡Z n‡e cvwb‡Z Dchy³Zv bvB| hw` †e‡P bv _v‡K Zvn‡j K‡qKw`b A‡cÿv Ki‡Z n‡e|
1.8) bvm©vwii ÿwZKi RjR †cvKv-gvKo `gb :
mvi cÖ‡qv‡Mi d‡j RjR †cvKv †hgb- nuvm †cvKv, WªvMb d¬vB wbç, gvLb †cvKv BZ¨vw` Rb¥ †bq| G¸‡jv `g‡bi Rb¨ cÖwZ kZvs‡k 125 wgwj †K‡ivwmb ev 100 wgwj wW‡Rj wQwU‡q w`‡Z n‡e Ges wQwU‡q †`qvi 1 N›Uvi g‡a¨ Nb dvu‡mi Rvj w`‡q Zz‡j †dj‡Z n‡e|

1.9) bvm©vwi‡Z wPswoi AvkÖq¯’j ˆZwi : cÖwZ kZvs‡k 1-2wU ïK‡bv bvwi‡Kj ev ZvjcvZv A_ev 8-10wU Kw nvjKvfv‡e †eu‡a cvwb‡Z ¯’vcb Kiv †h‡Z cv‡i|
wPswoi AvkÖq¯’j ˆZwii cÖ‡qvRbxqZv : †Lvjm cwieZ©‡bi gva¨‡g wPswo eo nq| Avevi wPswo mRvwZfyK ¯^fv‡ei nIqvq mej wPswo `~e©j I big †`‡ni wPswo‡K Ges eo wPswo †QvU wPswo‡K a‡i Lvq| myZivs wPswo hLb †Lvjm cwieZ©b K‡i ZLb †Lvjm cwieZ©bKvix ev `~e©j wPswo I †QvU wPswo¸‡jv iÿvi Rb¨ bvm©vwi‡Z K…wÎgfv‡e Avkªq¯’j ˆZwi K‡i w`‡Z nq hv‡Z Avc`Kvjxb mg‡q Gmg¯Í Avkªq¯’‡j wbivc‡` _vK‡Z cv‡i|
1.10) bvm©vwi‡Z wcGj Gi gRy` NbZ¡ wba©viY : †Uwe‡j cÖ`Ë Z_¨ Abyhvqx bvm©vwi‡Z evM`vi †ÿ‡Î wcwmAvi cixwÿZ wcGj gRy` Kiæb|
1.11) wcGj Af¨¯ÍKiY I gRy`
wcGj Af¨¯ÍKiY I gRy` : AwaKvsk mgq wcGj K·evRvi n‡Z Av‡m; GB Rb¨ wcGj G‡bB †N‡i †Q‡o †`Iqv hv‡e bv| cwjw_b e¨vM Avav N›Uv g‡Zv cvwb‡Z fvwm‡q ivL‡Z n‡e| Zvici Kgc‡¶ 30-40 wgwbU a‡i cvwb A`j-e`j K‡i ax‡i ax‡i jeYv³Zv I ZvcgvÎvi mv‡_ Lvc LvB‡q wb‡Z n‡e| wPswoi wcGj Af¨¯ÍKi‡Yi mgq cÖwZ 30 wgwb‡U 2-3 wcwcwU jeYv³Zv cv_©K¨ `~i Kiv hvq| bvm©vwii A‡c¶vK…Z Mfxi ¯’vbwU‡Z cwje¨v‡Mi gyL Ly‡j KvZ K‡i A‡a©K gyL Wywe‡q cvwb‡Z g„`y †mªv‡Zi m„wó Ki‡j hw` bvm©vwii cvwbi jebv³Zv Ges ZvcgvÎv wcG‡ji mnbxq gvÎvq G‡m _v‡K Zvn‡j wcGj †¯^”Qvq †N‡ii cvwb‡Z P‡j hv‡e|
wPswoi wcGj gRy‡`i †¶‡Î cvjbxq civgk©¸‡jv nj-
·         `ycy‡i ev hLb †N‡ii cvwb Mig _v‡K ZLb wcGj Qvov hv‡e bv
·         mwVK gRy` NbZ¡ eRvq ivLv
·         mKv‡j ev weKv‡j Zzjbvg~jK VvÛv AvenvIqvq wcGj gRy` Ki‡Z n‡e

wcwmAvi cixwÿZ †cvbv gRy‡`i ¸iæZ¡ : †Ni cÖ¯‘wZ n‡Z ïiæ K‡i hveZxq Kvh©vejx wbLyZfv‡e m¤úbœ Kivi c‡iI wPswo‡Z fvBivm AvµgY n‡Z cv‡i hw` wcwmAvi cixwÿZ wcGj †N‡i gRy` Kiv bv nq| KviY †h †Kv‡bv wcGj G fvBivm _vK‡Z cv‡i| ZvB wPswo Pvwl‡K Aek¨B wcwmAvi cixwÿZ wcGj gRy` Kiv DwPZ|

1.12) bvm©vwi‡Z Lv`¨ cÖ`vb :
cÖwZ 1000 evM`v wcGj Gi Rb¨ Lvev‡ii cwigvY I cÖ‡qv‡Mi mgq wb‡¤œ †`Iqv nj-
mgq
6:00Uv
11:00Uv
5:00Uv
9:00Uv
cÖwZ w`b †gvU Lv‡`¨i cwigvY
w`b
†gvU Lv‡`¨i kZKiv nvi Ges †mB Abyhvqx Lv‡`¨i cwigvY (MÖvg)
20%
20%
25%
35%
1-5 w`b
2-4
2-4
2.5-5.0
3.5-7.0
10-20 MÖvg
6-10 w`b
4-6
4-6
5.0-7.5
7.0-10.5
20-30 MÖvg
11-15 w`b
6-8
6-8
7.5-10.0
10.5-14.0
30-40 MÖvg
16-20 w`b
8-10
8-10
10.0-12.5
14.0-17.5
40-50 MÖvg
21-25 w`b
10-12
10-12
12.5-15.0
17.5-21.0
50-60 MÖvg
26-30 w`b
12-14
12-14
15.0-17.5
21.0-24.5
60-70 MÖvg

Lv`¨ cÖ‡qvM c×wZ :
Lv`¨ cÖ‡qv‡Mi c~‡e© wPswoi AvKvi I eqm, wPswoi Mo IRb I cvwbi ¸Yv¸Y Aek¨B Rvb‡Z n‡e| cwigvYg‡Zv Lvevi ˆ`wbK †N‡ii wbw`©ó ¯’v‡b Qwo‡q †`Iqv †h‡Z cv‡i A_ev wdwWs †Uª ¯’vcb K‡iI Lvevi †`Iqv †h‡Z cv‡i| wdwWs †Uª ¯’vcb K‡i Lvevi †`Iqv DËg| †Uª-†Z Lv`¨ cÖ`vb K‡i ch©‡e¶‡Yi gva¨‡g Lvevi bv _vK‡j cwigvY evwo‡q w`‡Z n‡e| Avi †Uª-‡Z Lvevi Aewkó _vK‡j cieZ©x‡Z Lv`¨ Kg w`‡Z n‡e|
Lv`¨ cÖ‡qv‡Mi mZK©Zv :
·         wPswoi Lv`¨ Aek¨B wc‡jU AvKv‡ii n‡Z n‡e
·         Lv‡`¨i gvb Dchy³ n‡Z n‡e, ZvB Lv`¨ cix¶v K‡i †bIqv DwPZ
·         cPv ev dvsMvmhy³ Lvevi wPswo‡K †`Iqv hv‡e bv
·         wPswoi Lv`¨ MÖnY (†Uª c×wZ‡Z) ch©‡e¶Y Ki‡Z n‡e
·         wbw`©ó ¯’v‡b wbw`©ó mg‡q Lv`¨ w`‡Z n‡e
·         †MÖv_ ni‡gvb ev †Kv‡bv cÖKvi Gw›Uev‡qvwUK Lvev‡ii mv‡_ e¨envi Kiv hv‡e bv