বিশেষপ্রতিনিধি ॥
খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরীটি তার ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দৃশ্যমান মুর্তিতে পরিণত হয়েছে। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের রশি টানাটানিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে পৌরসভার দাায়িত্বে লাইব্রেরীটি থাকলেও তা দেখভালের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পৌরসভার দায়িত্বহীনতার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সুধীজনরা অভিমত ব্যক্ত করেন। বিগত কয়েকদিন যাবৎ এ লাইব্রেরীর বেহালদশা ও উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের লাইব্রেরীর দ্বিতল ভবন ব্যবহার করে জীম পরিচালনা করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ যেন কানে তুলো দিয়ে বসে এ বেহাল দশা উপভোগ করছে। সরকারি সম্পত্তিা কিভাবে ভাড়া দিয়ে জীম পরিচালনায় দেয়া হলো এটা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বের লাইব্রেরীটি দেখভাল করা না হলে তরুন প্রজন্ম পাইকগাছার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞতায় থেকে যাবে বলে মনে করছেন লাইব্রেরী অধিকাংশ সদস্যরা। লাইব্রেরীটির ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলা ফেরাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সুত্রমতে-সুন্দরবন সংলগ্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, আদর্শ শিশু বিদ্যালয় ও যাদুঘর ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, রাড়–লী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও গাজী মিজানুর রহমান মন্টু এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৫ হাজার টাকায় ২শ আজীবন সদস্য ও ২শ বই নিয়ে যাত্রা শুরু করে লাইব্রেরীটি। পরবর্তীতে বইয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজারের মত। বর্তমানে অনেকগুলো বই চুরি ও নষ্ট হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের নামে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র আদালত চত্ত্বর এলাকায় ০.১৩১১ একর জমি ক্রয় করা হয়। যেখানে তৈরী করা হয় ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১ তলা ভবন। ভবনটির দ্বিতল ভবনের কাজ আংশিক সমাপ্ত হলেও ভবনের অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গাচুরা ১৩টি আলমারী, ২০ খানা চেয়ার, ৩টি টেবিল যা সবই ব্যবহার অনুপযোগী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫ হাজার বই কেনা হলেও পরে এখানে আর নতুন করে কোন বই কেনা হয়নি বলে জানা যায়।
লাইব্রেরীটির দ্বিতল ভবন অবৈধ সুবিধায় কিছু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে উচ্ছৃংখল যুবকদের বিচরণ শুরু হয় এই জীমে (ব্যমাগার)। যার নেতৃত্বে রয়েছে অনিক নামের এক যুবক। লাইব্রেরীটির সম্মুখে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে জীমে যাওয়া যুবকদের কাছ থেকে। তারপরেও প্রতিকার মিলছে না। উল্লেখ্য ইভজিটিং-এর দ্বায়ে ইতোপূর্বে জীমের পরিচালকসহ ওইখানকার অনেক যুবককে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবিরউদ্দীন আটক করে সাজাও দিয়েছে। পাইকগাছা থানা পুলিশ ইভটিজিং-এর অভিযোগে ২ বার আটক করলেও মুচলেকায় ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ এ প্রতিবেদককে বলেন-কাউন্সিলর হওয়া শর্তেও জীমটা কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে আমি জানিনা। তবে এটা বন্ধের চেষ্ঠা করেও আমি ব্যার্থ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রাণী বলেন-এ বিষয়টি পৌর মেয়র জানেন আমি জানিন। তবে জীমের ব্যাপারে শুনেছি এটা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর সচিব তুষার কান্তি দাশ বলেন-পাবলিক লাইব্রেরীর ভবন ব্যবহার করে যে জীম (ব্যামাগার) পরিচালিত হচ্ছে সেটা আমাদের ভাড়া দেয়া না, কিংবা পৌরসভার সাথে কোন চুক্তিপত্র নাই। তবে মেয়র আসলে এ বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাবলিক লাইব্রেরীটি নতুন করে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। জীমটি (ব্যামাগার) কিছুদিনের জন্য মৌখিকভাবে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছিলো। আপত্তিকর ও অনিয়মের বিষয়টি শুনলাম অবিলম্বের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে জীমটি বন্ধ করে দেয়া হবে।
খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরীটি তার ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দৃশ্যমান মুর্তিতে পরিণত হয়েছে। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের রশি টানাটানিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে পৌরসভার দাায়িত্বে লাইব্রেরীটি থাকলেও তা দেখভালের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পৌরসভার দায়িত্বহীনতার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সুধীজনরা অভিমত ব্যক্ত করেন। বিগত কয়েকদিন যাবৎ এ লাইব্রেরীর বেহালদশা ও উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের লাইব্রেরীর দ্বিতল ভবন ব্যবহার করে জীম পরিচালনা করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ যেন কানে তুলো দিয়ে বসে এ বেহাল দশা উপভোগ করছে। সরকারি সম্পত্তিা কিভাবে ভাড়া দিয়ে জীম পরিচালনায় দেয়া হলো এটা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বের লাইব্রেরীটি দেখভাল করা না হলে তরুন প্রজন্ম পাইকগাছার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞতায় থেকে যাবে বলে মনে করছেন লাইব্রেরী অধিকাংশ সদস্যরা। লাইব্রেরীটির ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলা ফেরাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সুত্রমতে-সুন্দরবন সংলগ্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, আদর্শ শিশু বিদ্যালয় ও যাদুঘর ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, রাড়–লী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও গাজী মিজানুর রহমান মন্টু এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৫ হাজার টাকায় ২শ আজীবন সদস্য ও ২শ বই নিয়ে যাত্রা শুরু করে লাইব্রেরীটি। পরবর্তীতে বইয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজারের মত। বর্তমানে অনেকগুলো বই চুরি ও নষ্ট হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের নামে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র আদালত চত্ত্বর এলাকায় ০.১৩১১ একর জমি ক্রয় করা হয়। যেখানে তৈরী করা হয় ২ কক্ষ বিশিষ্ট ১ তলা ভবন। ভবনটির দ্বিতল ভবনের কাজ আংশিক সমাপ্ত হলেও ভবনের অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গাচুরা ১৩টি আলমারী, ২০ খানা চেয়ার, ৩টি টেবিল যা সবই ব্যবহার অনুপযোগী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫ হাজার বই কেনা হলেও পরে এখানে আর নতুন করে কোন বই কেনা হয়নি বলে জানা যায়।
লাইব্রেরীটির দ্বিতল ভবন অবৈধ সুবিধায় কিছু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে উচ্ছৃংখল যুবকদের বিচরণ শুরু হয় এই জীমে (ব্যমাগার)। যার নেতৃত্বে রয়েছে অনিক নামের এক যুবক। লাইব্রেরীটির সম্মুখে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে জীমে যাওয়া যুবকদের কাছ থেকে। তারপরেও প্রতিকার মিলছে না। উল্লেখ্য ইভজিটিং-এর দ্বায়ে ইতোপূর্বে জীমের পরিচালকসহ ওইখানকার অনেক যুবককে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবিরউদ্দীন আটক করে সাজাও দিয়েছে। পাইকগাছা থানা পুলিশ ইভটিজিং-এর অভিযোগে ২ বার আটক করলেও মুচলেকায় ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ এ প্রতিবেদককে বলেন-কাউন্সিলর হওয়া শর্তেও জীমটা কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে আমি জানিনা। তবে এটা বন্ধের চেষ্ঠা করেও আমি ব্যার্থ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রাণী বলেন-এ বিষয়টি পৌর মেয়র জানেন আমি জানিন। তবে জীমের ব্যাপারে শুনেছি এটা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর সচিব তুষার কান্তি দাশ বলেন-পাবলিক লাইব্রেরীর ভবন ব্যবহার করে যে জীম (ব্যামাগার) পরিচালিত হচ্ছে সেটা আমাদের ভাড়া দেয়া না, কিংবা পৌরসভার সাথে কোন চুক্তিপত্র নাই। তবে মেয়র আসলে এ বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাবলিক লাইব্রেরীটি নতুন করে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। জীমটি (ব্যামাগার) কিছুদিনের জন্য মৌখিকভাবে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছিলো। আপত্তিকর ও অনিয়মের বিষয়টি শুনলাম অবিলম্বের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে জীমটি বন্ধ করে দেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন