শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন ফাঁদে পাইকগাছাসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ

অবিলম্বে ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করার দাবী
বিশেষ প্রতিনিধি (নিউজ অফ পাইকগাছা)
ভারতীয় ভিসা পাইকগাছাসহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের কাছে যেন দিন দিনই ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠেছে। অদ্ভুত ই-টোকেন ফাঁদে জনপ্রতি গুনতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। তারপরও জটিলতায় সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ভিসাপ্রার্থীরা। সম্প্রতি হাইকমিশন ভিসাপ্রাপ্তি সিন্ডিকেটের ফাঁদ থেকে মুক্ত করতে গিয়ে আরও জটিলতায় ফেঁসে যাচ্ছে ভারতীয় ভিসা প্রার্থীরা। ই-টোকেনের ফাঁদ থেকে মুক্ত করতে পাসওয়ার্ড সিষ্টেমের কথা বলা হলেও তার কোন নির্দশন দেখতে পায়নি দক্ষিনাঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন লক্ষাধীক ভারতীয় ভিসাপ্রার্থীরা। সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও ভিসা সংগ্রহ করতে পারছেন না। সেখানে সংঘবদ্ধ দালালরাই ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। দালালদের হাতে চাহিদা অনুযায়ী ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দেওয়ার পরই কেবল দূতাবাসে সাক্ষাতের সুযোগ মিলছে, কপালে জুটছে ভারতের ভিসা। একদিকে ভোগান্তি, অন্যদিকে টাকা অপচয়ের কারণে ভারতমুখী বহু মানুষ পর্যটন ও চিকিৎসার জন্য মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে প্রতিবেশি এ রাষ্ট্রের দিক থেকে। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষ ভারত ভ্রমণ করে আসছে। এটা উভয় দেশের বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করে।  কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ভৌতিক ই-টোকেন নিয়ে।
    ভারতীয় সরকার বাংলাদেশিদের ভিসাপ্রাপ্তি সহজলভ্য করতে অনলাইনে ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই অনলাইনে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট দালাল চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন (ভিসাপ্রাপ্তির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তারিখ) সহজেই পাওয়া যেত। সংঘবদ্ধ দালাল চক্র দূতাবাস থেকে ছাড়া সব ই-টোকেনই নিজেদের দখলে নিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য ফেঁদে বসেছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বছরে এ উপজেলা থেকে প্রায় কয়েক হাজার ভিসার আবেদন করা হয়। ই-টোকেন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পাইকগাছা বাজারের কিছু কম্পিউটার ক্যাফেতে দু থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে মিলবে ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন বলে জানাযায়। পাইকগাছা বাজারের কম্পিউটার ক্যাফেগুলোতে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন-ঢাকার কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে ই-টোকেনের কাজ করে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি ই-টোকেন সোনার হরিনের মত হয়ে গেছে, এক থেকে দু’সপ্তাহ পর মিলছে ই-টোকেন। ভারতীয় ভীসা প্রার্থী পাইকগাছার একজন ব্যবসায়ী এমএম আহাসন উদ্দীন পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন-বাংলাদেশীদের ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে টাকা ও কষ্টের ঝামেলা ছাড়াতে পারলো না দু’দেশ। সিরিয়াল নিতে ই-টোকেন থেকে পাসওয়ার্ডে আসলো, কিন্তু সাধারন পাবলিকের সিরিয়াল পেতে গুনতে হচ্ছে ২৫০০-৩০০০ টাকা। প্রতিদিন যদি ৫০০০-৬০০০ লোকের সিরিয়াল হয় তাহলে সিন্ডিকেট ধারিরা পায় প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকার মত। এই টাকা যায় কোথায়? কারা সিরিয়াল এর সিন্ডিকেট করছে? এগুলো খোজ নিয়ে বন্দ করুন। পাবলিকের ভোগান্তি কমানোর ব্যাবস্থা করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন