বিএনপি’র মহানগর সভাপতি ও জেলা সম্পাদকের ভিন্নমত
বিশেষপ্রতিনিধি॥
পাইকগাছায় বিএনপি’র চালিকা শক্তিতে কারা? মহাসচিবের নিকট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাঃ আব্দুল মজিদ ও এ্যাড. জিএম আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বের উপজেলা ও পৌর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি স্থগিত বলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জানিয়েছে। মহানগর সভাপতি ও বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি অভিমত। এ্যাড, সবুর, সাঈদ, কুদ্দুস, মনি’র নেতৃত্বে বিএনপি’র একাংশ পুরোদমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে বলে দলীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা ও পৌর বিএনপিতে নতুন মেরুকরণের সৃষ্টি হয়েছে।
পাইকগাছায় বিবাদমান বিএনপি’র উভয় অংশের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানাগেছে-গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী উপজেলায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিএনপি নেতা ডাঃ আব্দুল মজিদকে আহবায়ক ও কপিলমুনি’র সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩১ সদস্য’র উপজেলা ও এ্যাড. আব্দুস সাত্তারকে আহবায়ক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গনমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি প্রবীন নেতা এ্যাড. জিএ সবুর ও সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ ও সহকারী অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস সমর্থিতরা পরেরদিন ৯ ফেব্রুয়ারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রস্তুতি কমিটি প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্র কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করে আল্টিমেটাম দিলে বিএনপি’র অভ্যন্তরিন বিরোধ আরো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। দলীয় নেতাকর্মীরা কর্তৃত্ব-নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বিএনপি’র বিবাদমান উভয় অংশের সংগে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে গ্রুপ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং পৃথক পৃথকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করে আসছেন। এদিকে ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ও পরে সারাদেশের ন্যয় পাইকগাছায় বিএনপি’র সরকার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার চেষ্ঠা করলেও গ্রুপ রাজনীতির নৈতিবাচক প্রভাব, হয়রাণী, গ্রেফতার আতংক ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর কারনে মাঠ দখলের লড়াইয়ে তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। তৃনমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন রাজনীতির সংকটকালে এ সময় বিবাদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপ দলীয় কর্মসূচী ভিত্তিক মিছিল, সভা, সমাবেশ করে টিকে থাকার চেষ্ঠা করলেও অন্য অংশটি তেমন ভূমিকা দেখাতে পারেনি। একাধিক সুত্র জানিয়েছে জেলা বিএনপি’র দায়িত্বশীল নেতারা পাইকগাছা বিএনপি’র অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ মিমাংসার জন্য একাধিকবার চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের ভাষায় বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খানিকটা স্বস্তিদায়ক ভেবে উভয়পক্ষ দলের কর্তৃত্ব নেতৃত্ব নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও একে অপরের বিরুদ্ধে আবারও কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি শুরু করেছেন। এদিকে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিকট পাইকগাছা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. জিএ সবুর, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ, পৌর বিএনপি সম্পাদক টিএম মনিরুজ্জামান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ডাঃ আব্দুল মজিদ ও তার সমর্থিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন। যতদুর জানাগেছে অভিযোগের ৫ মাসে সংকট নিরসন না হলেও হাইকমান্ডের ইঙ্গিতে জেলা এ্যাড. সবুর, সাঈদ, কুদ্দুস ও মনি গ্রুপ পুরোদমে দলীয় রাজনৈতিক মাঠ দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন এবং ইতোমধ্যে ঈদ-পুনঃমিলনীসহ তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ অভিযোগ করেছেন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ডাঃ আব্দুল মজিদ সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক হয়ে বর্তমানে দলের উপজেলা কমিটির আহবায়কের পরিচয় দিয়ে দলীয় রাজনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছে। তিনি আরো জানান আমরা মহাসচিবের কাছে অভিযোগ করলে শেষ পর্যন্ত উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও স্থগিত করেছেন বলে প্রভাবশালী এ নেতা দাবী করেছেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিসহ উপজেলা কমিটির আহবায়ক একই পদ দাবী করে জেলা বিএনপি নেতা ডাঃ আব্দুল মজিদ এ প্রতিনিধিকে বলেন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা এ্যাড. আবু সাঈদের বক্তব্য অসত্য বলে তিনি জানিয়েছেন। এ মুহুর্তে পাইকগাছা বিএনপি’র পূর্নাঙ্গ কোন কমিটি নেই উল্লেখ করে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা জানিয়েছেন-সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি স্থগিত এ খবরও সঠিক নয়, এখন এ প্রস্তুতি কমিটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সম্মেলনের পর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। অপরদিকে মহানগর সভাপতি ও বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু জেলা সম্পাদকের মতামতের ভিন্নমত পোষন করে কেন্দ্রে কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে জানিয়ে বলেন পাইকগাছায় সম্মেলনের মাধ্যমে এ্যাড. সবুর ও সাঈদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কেউ ভাঙতে পারবে না, কমিটি ভাঙতে গেলে গণনতন্ত্র মেনে মিটিং করে তা করতে হবে। ডাঃ মজিদকে আহবায়ক করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন প্রক্রিয়াও যথাযথ হয়নি বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
বিশেষপ্রতিনিধি॥
পাইকগাছায় বিএনপি’র চালিকা শক্তিতে কারা? মহাসচিবের নিকট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাঃ আব্দুল মজিদ ও এ্যাড. জিএম আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বের উপজেলা ও পৌর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি স্থগিত বলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জানিয়েছে। মহানগর সভাপতি ও বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি অভিমত। এ্যাড, সবুর, সাঈদ, কুদ্দুস, মনি’র নেতৃত্বে বিএনপি’র একাংশ পুরোদমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে বলে দলীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা ও পৌর বিএনপিতে নতুন মেরুকরণের সৃষ্টি হয়েছে।
পাইকগাছায় বিবাদমান বিএনপি’র উভয় অংশের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানাগেছে-গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী উপজেলায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিএনপি নেতা ডাঃ আব্দুল মজিদকে আহবায়ক ও কপিলমুনি’র সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩১ সদস্য’র উপজেলা ও এ্যাড. আব্দুস সাত্তারকে আহবায়ক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গনমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি প্রবীন নেতা এ্যাড. জিএ সবুর ও সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ ও সহকারী অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস সমর্থিতরা পরেরদিন ৯ ফেব্রুয়ারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রস্তুতি কমিটি প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্র কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করে আল্টিমেটাম দিলে বিএনপি’র অভ্যন্তরিন বিরোধ আরো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। দলীয় নেতাকর্মীরা কর্তৃত্ব-নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বিএনপি’র বিবাদমান উভয় অংশের সংগে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে গ্রুপ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং পৃথক পৃথকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করে আসছেন। এদিকে ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ও পরে সারাদেশের ন্যয় পাইকগাছায় বিএনপি’র সরকার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার চেষ্ঠা করলেও গ্রুপ রাজনীতির নৈতিবাচক প্রভাব, হয়রাণী, গ্রেফতার আতংক ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর কারনে মাঠ দখলের লড়াইয়ে তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। তৃনমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন রাজনীতির সংকটকালে এ সময় বিবাদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপ দলীয় কর্মসূচী ভিত্তিক মিছিল, সভা, সমাবেশ করে টিকে থাকার চেষ্ঠা করলেও অন্য অংশটি তেমন ভূমিকা দেখাতে পারেনি। একাধিক সুত্র জানিয়েছে জেলা বিএনপি’র দায়িত্বশীল নেতারা পাইকগাছা বিএনপি’র অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ মিমাংসার জন্য একাধিকবার চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের ভাষায় বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খানিকটা স্বস্তিদায়ক ভেবে উভয়পক্ষ দলের কর্তৃত্ব নেতৃত্ব নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও একে অপরের বিরুদ্ধে আবারও কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি শুরু করেছেন। এদিকে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিকট পাইকগাছা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. জিএ সবুর, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ, পৌর বিএনপি সম্পাদক টিএম মনিরুজ্জামান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ডাঃ আব্দুল মজিদ ও তার সমর্থিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন। যতদুর জানাগেছে অভিযোগের ৫ মাসে সংকট নিরসন না হলেও হাইকমান্ডের ইঙ্গিতে জেলা এ্যাড. সবুর, সাঈদ, কুদ্দুস ও মনি গ্রুপ পুরোদমে দলীয় রাজনৈতিক মাঠ দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন এবং ইতোমধ্যে ঈদ-পুনঃমিলনীসহ তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ অভিযোগ করেছেন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ডাঃ আব্দুল মজিদ সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক হয়ে বর্তমানে দলের উপজেলা কমিটির আহবায়কের পরিচয় দিয়ে দলীয় রাজনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছে। তিনি আরো জানান আমরা মহাসচিবের কাছে অভিযোগ করলে শেষ পর্যন্ত উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও স্থগিত করেছেন বলে প্রভাবশালী এ নেতা দাবী করেছেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিসহ উপজেলা কমিটির আহবায়ক একই পদ দাবী করে জেলা বিএনপি নেতা ডাঃ আব্দুল মজিদ এ প্রতিনিধিকে বলেন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা এ্যাড. আবু সাঈদের বক্তব্য অসত্য বলে তিনি জানিয়েছেন। এ মুহুর্তে পাইকগাছা বিএনপি’র পূর্নাঙ্গ কোন কমিটি নেই উল্লেখ করে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা জানিয়েছেন-সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি স্থগিত এ খবরও সঠিক নয়, এখন এ প্রস্তুতি কমিটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সম্মেলনের পর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। অপরদিকে মহানগর সভাপতি ও বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু জেলা সম্পাদকের মতামতের ভিন্নমত পোষন করে কেন্দ্রে কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে জানিয়ে বলেন পাইকগাছায় সম্মেলনের মাধ্যমে এ্যাড. সবুর ও সাঈদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কেউ ভাঙতে পারবে না, কমিটি ভাঙতে গেলে গণনতন্ত্র মেনে মিটিং করে তা করতে হবে। ডাঃ মজিদকে আহবায়ক করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন প্রক্রিয়াও যথাযথ হয়নি বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন