বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত জরাজীর্ণ ১৩ কিলোমিটার সড়ক; জরুরী সংস্কারের দাবী

বিশেষ প্রতিনিধি॥
পাইকগাছায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১৩ কিলোমিটার সড়ক। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বর্তমানে সড়কের এতটাই বেহাল অবস্থা যে উল্লেখ্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাইকগাছা খুলনা রুটের ৬৬ কিলোমিটার সড়কের বেতগ্রাম থেকে খুলনা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে হাইওয়ে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার সড়কের বেতগ্রাম থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হলেও কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা উপজেলা সদর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। যদিও গত কয়েক মাস আগে যেনতেন ভাবে সংস্কার কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যায় সংস্কার কাজ। সেই থেকে অদ্যাবধি মুখ থুবড়ে পড়েছে সংস্কার কাজের। অথচ খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা এবং সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও তালা সহ পাশ্ববর্তী এলাকার লাখ লাখ মানুষের জেলা ও রাজধানী শহরে  যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সড়কটি। চট্টগ্রাম গামী এসপি লাইন পরিবহনের ম্যানেজার বাবুল হাসান জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রাম গামী কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টি পরিবহন যাতায়াত করে থাকে। ইতোমধ্যে ঈদের আগে সড়কটি সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন করে পাইকগাছা নাগরিক কমিটি। এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির লাইন সেক্রেটারী শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, পাইকগাছা খুলনা রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে ১২০টি বাস যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে এতদঞ্চলের উৎপাদিত হাজার হাজার টন চিংড়ি ও মৎস্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অথচ দক্ষিণাঞ্চলের জন গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন কোন মাথাব্যাথা নেই। এদিকে জনভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারে জাতীয় সংসদে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর বারবার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এ ক্ষেত্রে সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একটু বর্ষা হলেই জনভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। অনতি বিলম্বে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে যে কোন মূহুর্তে সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন