#সুচিন্তিত মন্তব্য করুন ▼
#বিশেষপ্রতিনিধি।।
জেলার পাইকগাছা পৌরসভা ও উপজেলায় প্রতি দ’হাজার জন লোকের জন্য একজন করে পুলিশ রয়েছে। অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ অধ্যুষিত পাইকগাছায় পুলিশের বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগন্য। ফলে প্রতিনিয়ত অপরাধমূলক কর্মকান্ড যেমন বেড়েই চলেছে তেমনি স্বল্প সংখ্যক পুলিশ অপরাধ দমনে তথা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
#বিশেষপ্রতিনিধি।।
জেলার পাইকগাছা পৌরসভা ও উপজেলায় প্রতি দ’হাজার জন লোকের জন্য একজন করে পুলিশ রয়েছে। অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ অধ্যুষিত পাইকগাছায় পুলিশের বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগন্য। ফলে প্রতিনিয়ত অপরাধমূলক কর্মকান্ড যেমন বেড়েই চলেছে তেমনি স্বল্প সংখ্যক পুলিশ অপরাধ দমনে তথা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
২০১০ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেস আদমশুমারী অনুযায়ী পাইকগাছা উপজেলায় লোকসংখ্যা
প্রায় তিন লাখ। এরপর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যা। ক্রমবর্ধমান
জনসংখ্যার সাথে তাল মিলিয়ে এখানে পুলিশী জনবল বাড়ানোর কোন উদ্যোগ না নেয়ায়
মাঝে মধ্যে অবনিত ঘটছে আইন-শৃঙ্খলার।
থানাসুত্র নিউজ অফ পাইকগাছাকে
জানায়-চলতি বছর পহেলা জানুয়ারী থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক
আসামীসহ ৭১০ জন অপরাধীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময়ের মধ্যে থানায় মামলা হয়েছে
১৭৪টি। উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে তিন কেজি গাঁজা, ৭০ পিস ইয়াবা, ৪টি ককটেল ও
১০১ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল।
সুত্রমতে(ডিপি)-পাইকগাছা থানা এবং থানার
অধীনে ক্যাম্প ও ফাঁড়িতে বর্তমানে অফিসার ও কনস্টেবল মিলিয়ে ১৫৩ জন কর্মরত
রয়েছৈন। এর মধ্যে থানা ২জন পরিদর্শক (ওসি), ৭ জন উপ-পরিদর্শক, ১০ জন
সহকারী উপ-পরিদর্শক ও ৪৪ জন কনস্টেবল। এছাড়া কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি, দেলুটীর
বিগরদানা ক্যাম্প, হরিঢালী ক্যাম্প, রাড়ুলীর বাঁকা ক্যাম্প ও গড়ইখালীর ৯০
জন পুলিশ, এর মধ্যে ১১ জন অফিসার ও বাকিরা কনস্টেবল। উপরোক্ত হিসাবমতে
পাইকগাছা বর্তমানে কর্মরত পুলিশ ফোর্সের সংখ্যা মাত্র ১৫৩ জন। প্রায় ৩ লাখ
লোক অধ্যুষিত এই থানায় এত স্বল্প সংখ্যক পুলিশের কারনে অপরাধ দমনে বার বার
হোচট খাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। কেননা চলতি বছরের সাড়ে ৬ মাস অতিবাহিত হলেও
থানায় একটিও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন