বুধবার, ৬ জুলাই, ২০১৬

পাইকগাছা পৌরসভায় ভিজিডি’র চাল থেকে বঞ্চিত ৩ নং ওয়াডের অসংখ্য পরিবার #‪অভিযোগের‬ তীর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর

#‎অভিযোগের‬ তীর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালামের দিকে
‪#‎দীপচ্যাটার্জী‬, বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হলেও এর সুফল পাচ্ছেনা পৌরবাসী। বিশেষ করে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিডি’র চাল থেকে আওয়ামী নেতা কর্মী সহ বঞ্চিত হয়েছেন ৩নং ওয়ার্ডের অসংখ্য পরিবার। আর অভিযোগের তীর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালামের দিকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তবে এবারই প্রথম বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ভিজিডি’র চাউল বিতরণে অনিয়মের খবর শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাইকগাছা পৌরসভা স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক ও বিগত পৌর পরিষদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২য় শ্রেণির পৌরসভা চলতি বছর প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয়। যার ফলে পৌরসভার সকল ক্ষেত্রে নাগরিক সুযোগ সুবিধাও বেড়ে যায়। যেমন বিগত বছর ভিজিডি কার্ড ধারীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১শ ৮০ জন চাউলের পরিমাণ ছিল কার্ড প্রতি ১০ কেজি। যার সংখ্যা এ বছর দাড়িয়েছে ৪ হাজার ৬শ ৪০ জনে, চাউলের পরিমাণ করা হয়েছে কার্ড প্রতি ২০ কেজি। বিগত বছরের চেয়ে চলতি বছর দেড় হাজার ভিজিডি কার্ড বর্ধিত হলেও আগামী বৃহস্পতিবার আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাউল বিতরণে বঞ্চিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী নেতাকর্মী সহ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ৩ নং ওয়ার্ডের বান্দিকাটী গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মোক্তার আলী গাজী বিএনপি, জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি বিগত দিনে ভিজিডি চাল পেলেও এবারই প্রথম বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এমনি ভাবে চাউল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সরল গ্রামের ভ্যান চালক মামুন গাজী, হাবিবুর রহমান, রফিকুল গাজী, সবুর মোড়ল, ঝর্ণা বেগম, আনোয়ারা বেগম, ইয়াকুব্বার, বাবর আলী, আনিছুর রহমান গাজী, ছাত্তার গাজী, আনাম গাজী। বান্দিকাটী গ্রামের হামিদ জোয়াদ্দার, খালেক জোয়াদ্দার, হাসি বেগম, শাহ আলম মিস্ত্রী, মিলন সরদার, আতাউর রহমান সরদার, মুরশিদা খাতুন, শ্রমিক জামির হোসেন, আজমির হোসেন, শরীফা বেগম, মনোয়ারা বেগম, অহেদ আলী, ইমরান জোয়াদ্দার, কামরুল ইসলাম, আফজাল, মজিদ গাজী, সালমা বেগম, মৃত কিনু গাজীর স্ত্রী বিধবা তানজিলা বেগম, আমেনা বেগম, রুহুল আমিন, রাশেদ শেখ, ছকিনা বেগম সহ ৩নং ওয়ার্ডের অসংখ্য মানুষ ভিজিডি’র চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অথচ অভিযোগ উঠেছে যারা পৌরসভার বাসিন্দা না এমন অনেকেই পেয়েছেন ভিজিডি’র চাল। আর বঞ্চিতরা কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালামের এহেন কর্মকান্ডে হতাশা প্রকাশ করে। আবার একই পরিবারের ৩/৪ জন সদস্য প্রত্যেকেই চাউল পেয়েছেন এমন অভিযোগ অসংখ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্ডবাসী জানান, পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হওয়ার পর ভিজিডি কার্ডের পরিমান যে ভাবে বেড়েছে তাতে ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি পরিবারকে একটি করে কার্ড দিলেও কার্ড থেকে যাওয়ার কথা। অথচ অসংখ্য মানুষ প্রধান ধর্মীয় উৎসবে সরকারী ভিজিডি চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা খুবই দুঃখ্য জনক। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র জানান, চলতি বছর ভিজিডি কার্ড যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে সচারাচার কাউকে বঞ্চিত থাকার কথা না। আর বিশেষ করে ৩ নং ওয়ার্ডে এ বারের ঈদে পূর্বের চেয়ে দেড়শ কার্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক নাজমুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ-উল-মোস্তাক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুবিধা বঞ্চিত পৌরবাসী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন