✪ #আ’লীগ সর্বশেষ সম্মেলন : ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর
✪ #বিএনপি সর্বশেষ সম্মেলন : ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর
✪ #যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন : ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারী
✪ #যুবদলের সর্বশেষ সম্মেলন : ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে
✪ #ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন : ২০১০ সালের ৪ঠা জুন
✪ #ছাত্রদলের সর্বশেষ সম্মেলন : ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর
✪ #বিএনপি সর্বশেষ সম্মেলন : ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর
✪ #যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন : ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারী
✪ #যুবদলের সর্বশেষ সম্মেলন : ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে
✪ #ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন : ২০১০ সালের ৪ঠা জুন
✪ #ছাত্রদলের সর্বশেষ সম্মেলন : ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর
বিশেষ প্রতিনিধি॥
জাতীয় সম্মেলনের আগে উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন করার নির্দেশ থাকলেও তা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি জেলা আ’লীগ-বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। প্রধান দুই দলেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সাংগঠনিক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে বলে দল দু’টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা উপজেলায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী কোন সংগঠনের’ই পূর্ণাঙ্গ কোন কমিটি নেই। সংগঠনগুলোর নির্দিষ্ট মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর-যুগ আগে। ফলে এসকল সংগঠনের বেশিরভাগ কার্যক্রম চলছে জোড়াতালি দিয়ে। বছরের পর বছর সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশী ও সংগঠনের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
সুত্রমতে- উপজেলা আ’লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিগত ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর। সে সময় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ বেলাল উদ্দিন বিলু ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক পৌর মেয়র এস,এম মাহাবুবর রহমান। সেই থেকে অদ্যবধি উপজেলা আ’লীগের আর কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ইতিমধ্যে ২০০৯ সালের ১লা এপ্র্রিল এস,এম মাহাবুবর রহমান ও ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারী শেখ বেলাল উদ্দিন বিলু ইন্তেকাল করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহবায়ক ও মোঃ রশীদুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির গঠনের পর প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চললেও আজও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। উল্লেখ্য জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ইউপি নির্বাচন সময়ে বিভিন্ন জনসভায় দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা বললেও অদৃশ্য কারনে তার বাস্তবায়ন হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে তৃনমূল নেতা কর্মীদের মাঝে।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর। যদিও কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা থেকে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও একটি সংশোধিত কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিল মর্মে বলা হলেও লিখিত কোন নথি আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। এর আগে ২০০৩ সালের মে মাসে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে আলহাজ্ব এড. জি,এ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী ডাঃ আঃ মজিদকে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারী। সে সময় সভাপতি হিসেবে এস,এম শামসুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কাজল কান্তি বিশ্বাস নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই হতে বিগত প্রায় এক যুগ ধরে ওই কমিটিই বহাল রয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল বিগত ২০১০ সালের ৪ঠা জুন। সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে শেখ আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এস,এম আমিনুর রহমান লিটু নির্বাচিত হন। বিগত ৬ বছরেও কোন ইউনিয়ন, কলেজ কমিটিসহ কোন সম্মেলনই করতে পারেনি উপজেলা কমিটি। এমনকি যেন তেনভাবে সরকারি প্রোগ্রাম পালন করে আসছে উক্ত কমিটি। সম্প্রতি খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ছাত্রলীগ পুনঃগঠনে জেলা কমিটি কাজ শুরু করেছেন। জেলা কমিটির সজাগ হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন কলেজের নবাগত শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে এ উপজেলার কমিটিও বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষনার দাবী তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নতুন নেতৃত্¦ের প্রত্যাশায় আছে এ উপজেলার মুজিব আদর্শের শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা যুবদলের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে। সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে আমজাদ হোসেন গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে শেখ বেনজীর আহম্মেদ লাল নির্বাচিন হয়েছিলেন। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় যুবদলের সম্মেলনের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অদ্যবধি কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ইতিমধ্যে ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ উপজেলা যুবদল সভাপতি আমজাদ হোসেন গোলদার মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে আহবায়ক কমিটি দিয়ে। ছাত্রদলের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর। সম্মেলনে সভাপতি পদে আসলাম পারভেজ ও সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ আবুল হোসেন নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর উপজেলা ছাত্রদলের এসএম এমদাদুল হককে আহবায়ক করে সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তবে আজও ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। যে কারনে ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের বয়স, বিবাহ, চাকুরীসহজনিত কারনে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
জাতীয় সম্মেলনের আগে উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন করার নির্দেশ থাকলেও তা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি জেলা আ’লীগ-বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। প্রধান দুই দলেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সাংগঠনিক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে বলে দল দু’টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা উপজেলায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী কোন সংগঠনের’ই পূর্ণাঙ্গ কোন কমিটি নেই। সংগঠনগুলোর নির্দিষ্ট মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর-যুগ আগে। ফলে এসকল সংগঠনের বেশিরভাগ কার্যক্রম চলছে জোড়াতালি দিয়ে। বছরের পর বছর সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশী ও সংগঠনের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
সুত্রমতে- উপজেলা আ’লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিগত ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর। সে সময় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ বেলাল উদ্দিন বিলু ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক পৌর মেয়র এস,এম মাহাবুবর রহমান। সেই থেকে অদ্যবধি উপজেলা আ’লীগের আর কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ইতিমধ্যে ২০০৯ সালের ১লা এপ্র্রিল এস,এম মাহাবুবর রহমান ও ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারী শেখ বেলাল উদ্দিন বিলু ইন্তেকাল করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহবায়ক ও মোঃ রশীদুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির গঠনের পর প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চললেও আজও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। উল্লেখ্য জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ইউপি নির্বাচন সময়ে বিভিন্ন জনসভায় দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা বললেও অদৃশ্য কারনে তার বাস্তবায়ন হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে তৃনমূল নেতা কর্মীদের মাঝে।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর। যদিও কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা থেকে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও একটি সংশোধিত কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিল মর্মে বলা হলেও লিখিত কোন নথি আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। এর আগে ২০০৩ সালের মে মাসে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে আলহাজ্ব এড. জি,এ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী ডাঃ আঃ মজিদকে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারী। সে সময় সভাপতি হিসেবে এস,এম শামসুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কাজল কান্তি বিশ্বাস নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই হতে বিগত প্রায় এক যুগ ধরে ওই কমিটিই বহাল রয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল বিগত ২০১০ সালের ৪ঠা জুন। সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে শেখ আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এস,এম আমিনুর রহমান লিটু নির্বাচিত হন। বিগত ৬ বছরেও কোন ইউনিয়ন, কলেজ কমিটিসহ কোন সম্মেলনই করতে পারেনি উপজেলা কমিটি। এমনকি যেন তেনভাবে সরকারি প্রোগ্রাম পালন করে আসছে উক্ত কমিটি। সম্প্রতি খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ছাত্রলীগ পুনঃগঠনে জেলা কমিটি কাজ শুরু করেছেন। জেলা কমিটির সজাগ হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন কলেজের নবাগত শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে এ উপজেলার কমিটিও বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষনার দাবী তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নতুন নেতৃত্¦ের প্রত্যাশায় আছে এ উপজেলার মুজিব আদর্শের শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা যুবদলের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে। সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে আমজাদ হোসেন গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে শেখ বেনজীর আহম্মেদ লাল নির্বাচিন হয়েছিলেন। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় যুবদলের সম্মেলনের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অদ্যবধি কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ইতিমধ্যে ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ উপজেলা যুবদল সভাপতি আমজাদ হোসেন গোলদার মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে আহবায়ক কমিটি দিয়ে। ছাত্রদলের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর। সম্মেলনে সভাপতি পদে আসলাম পারভেজ ও সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ আবুল হোসেন নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর উপজেলা ছাত্রদলের এসএম এমদাদুল হককে আহবায়ক করে সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তবে আজও ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। যে কারনে ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের বয়স, বিবাহ, চাকুরীসহজনিত কারনে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন