বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬

পাইকগাছায় ৬৮ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির হয়রাণীমূলক মামলা

পাইকগাছা  প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় হারির টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে হয়রানী মুলক শ্লীলতাহানি মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে হয়রানী মূলক মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গত ১ জুলাই উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের মৃত ধীরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে ভূবনেশ্বর সরকার (৬৮) কে একমাত্র আসামী করে পাইকগাছা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন একই এলাকার মৃত অনিল সরদারের স্ত্রী দেবলা সরদার (৩৭)। তথ্যানুন্ধ্যানের জন্য বুধবার সকালে সরেজমিন গেলে ভুবনেশ্বর সরকারের স্ত্রী ইভারানী সরকার (৫৫) জানান, আমার স্বামী একজন অসুস্থ্য বয়স বৃদ্ধ মানুষ। সে নিজেই ঠিকমত চলতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে যে ধরণের ন্যাক্কারজনক অভিযোগ আনা হয়েছে তা আদৌ সঠিক নয়। ছেলে শিবানন্দ সরকার (৩০) জানান, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমাদের বাড়ীর পাশে জমি ভূক্ত থালিহারানি খাল নামে একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। যেখানে আমাদের নিজস্ব ১৬ বিঘা জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে এলাকার প্রভাষ গংরা দীর্ঘদিন চিংড়ি ঘের করে আসছে। প্রভাষ গংদের নিকট কয়েক বছরের হারির টাকা পাওনা হওয়ায় আমার বাবা স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি ইউএনও হয়ে তদন্তের দায়িত্বভার বর্তায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নিকট। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আমাদের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করলে আমার বাবা তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রভাষ গংদের বিরুদ্ধে আদালতে ৭৭১/১৬ নং মামলা করলে আসামীরা জেলে যায়। এরই জের ধরে দেবলা সরদার নামে ঐ মহিলা আমার বাবাকে জড়িয়ে হয়রানি মূলক মামলা করেছে বলে ছেলে শিবানন্দ জানান। শ্লীলতাহানির মত কোন ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেন দেবলা সরদারের ভাসুর মৃত অতুল সরদারের ছেলে হরিপদ সরদার (৬৫)। প্রতিবেশী সন্তোষ সরদারের ছেলে পঙ্কজ সরদার জানান, মামলার এজাহার অনুযায়ী ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আমি বাজার থেকে বাড়িতে আসি। তবে বাড়িতে এসে এ ধরণের কোন খবর জানতে পারিনি। মামলার ৩নং স্বাক্ষী সন্তোষ সরদারের ছেলে গোলক কুমার সরদার জানান, ঘটনার দিন আমি দক্ষিণ কাইনমুখি মামা বিশ্বজিতের বাড়িতে ছিলাম। ঘটনা সম্পর্কে আমার কোন কিছুই জানা নেই। এখন দেখছি মামলায় আমাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই প্রবীন চক্রবর্তী জানান, মামলাটি এই মূহুর্তে প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। তদন্তে ঘটনা প্রমাণিত না হলে অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে মামলার তদন্ত এ কর্মকর্তা জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন