বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১৬

যৌন উত্তেজকসহ নিষিদ্ধ ঔষধ বিক্রিয়ের খেসারত ‪#পাইকগাছায়‬ হাকিম শাহাদাতের নামে মামলা

‪#‎বিশেষ‬ প্রতিনিধি।। আমদানী নিষিদ্ধ, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন, বিক্রয় নিষিদ্ধ, বিদেশী ঔষধসহ দেশীয় রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ঔষধ বিক্রয়ের অভিযোগে খুলনার পাইকগাছা ইউনানী দাওয়াখানার স্বত্তাধীকারী হাকীম মোঃ শাহাদাত হোসাইনের নামে খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছেন খুলনার ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মাহমুদ হোসেন।
‪#‎জানা‬ গেছে, জেলার পাইকগাছা উপজেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় পল্লী চিকিৎসকগণ (যাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোন চিকিৎসা জ্ঞান নেই) ও ইউনানী দাওয়াখানায় চিকিৎসকগণ অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত আমদানী নিষিদ্ধ, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন, বিক্রয় নিষিদ্ধ, বিদেশী ঔষধসহ দেশীয় রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ঔষধ বিক্রয় করে আসছেন। এ সকল ঔষধ সেবন করে অনেকেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এমনকি অকালে মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়েছেন বলে জনশ্রুত রয়েছে।
‪#‎একটি‬ সুত্র জানিয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পল্লী চিকিৎসকরা কোন প্রকার ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ বিক্রয় করে আসছেন বহাল তবিয়াতে। এ সকল চিকিৎসকরা সামান্য কিছু ঔষধ সর্ম্পকে ধারনা নিয়ে নিজেদের চেম্বারে ঔষধ রেখে এলাকার সহজ সরল লোকদের চিকিৎসা দিয়ে সর্বশান্ত করছে। এমনকি তারা এলাকার সহজ সরল লোকদেরকে ভাল ডাক্তার দেখানোর নাম করে উপজেলা এবং জেলার বিভিন্ন কিনিকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিনিক থেকে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে রোগীদের ঠকিয়ে নিজেদের পকেট গরম করছে।
‪#‎এলাকাবাসী‬ এ সকল পল্লী চিকিৎসকের ব্যাপারে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনরে জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ইউনানী দাওয়াখানার চিকিৎসকরাও বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ঔষধসহ অল্পদিনে মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন অবৈধ কোম্পানীর ক্ষতিকার ঔষধ বিক্রয় করে আসছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় ড্রাগ সুপার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভি
যান পরিচালনা করলেও কিভাবে যেন অসাধু এ সকল চিকিৎসকগণ টেরপেয়ে সাবধান হয়ে যান। সর্বশেষ ২৩ এপ্রিল খুলনার ড্রাগ সুপার মাহমুদ হোসেন উপজেলার বিভিন্ন ঔষধের দোকানে ও ইউনানী দাওয়াখানায় অভিযান পরিচালনা করেন।
‪#‎অভিযান‬ পরিচালনার সময় উপজেলা সদরের হাকীম মোঃ শাহাদাত হোসেনের পাইকগাছা ইউনানী দাওয়াখানা থেকে আমদানী নিষিদ্ধ ১১ আইটেমের ১০টি ভারতীয় এবং ১টি বাংলাদেশী বিক্রয় নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ করে। পরবর্তিতে ২৪ এপ্রিল শাহাদাতকে কারন দর্শনোর নোটিশ প্রদান করলে ২৭ তারিখে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হাকীম শাহাদাত।
‪#‎কিন্তু‬ কর্তৃপক্ষ তার জবাবে সন্তুষ্ঠ হতে না পেরে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গত ১৮ মে খুলনার ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মাহমুদ হোসেন THE DRUGS (CONTROL) ORDINANCE, 1982 (ordinance No-V111 of 1982) এর ৫ (১) ধারা লংঘন এবং উক্ত অধ্যাদেশের ১৬ (অ) ধারার অধীনে পাইকগাছা ইউনানী দাওয়াখানার নামে খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
‪#‎এদিকে‬ এলাকাবাসী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন পল্লী চিকিৎসকদের চেম্বারে অনুমতি ছাড়া ঔষধ রাখার ব্যাপারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন