রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬

পাইকগাছায় দু’ইউপিতে ১০ টাকার চাল বিতরণ; ঝুলে গেছে ৭ ইউপি’র তালিকা; তৃনমুলে ক্ষোভ বাড়ছে

রেশন কার্ডে ডিলার দম্পতি তালিকাভূক্ত
বিশেষপ্রতিনিধি ॥
খুলনার পাইকগাছায় ১০ টাকা কেজিতে খাদ্য সহায়তা স্বরুপ দারিদ্রের তালিকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পুত্র ও ডিলার দম্পত্তির চাল উত্তোলনের অভিযোগ উঠায় ব্যাপক হই চই শুরু হয়েছে। কপিলমুনি, গড়ইখালীতে চাল বিতরণ সম্পন্ন। ক্ষমতাসীন আ’লীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ, চেয়ারম্যান, মেম্বরদের সমন্বয়হীনতার কারনে ৭ ইউপি’র চূড়ান্ত তালিকা ঝুলে গেছে। এ নিয়ে সুবিধাভোগীদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ডিলার নিয়োগে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের অভিযোগের খবর গনমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর  আদালতসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
    উপজেলা খাদ্য বিভাগ সুত্রে জানাগেছে-এ উপজেলার ১০ ইউপিতে ১০ টাকা কেজি দরে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ১৩ হাজার ১২৩ দারিদ্র পরিবারের তালিকার বিপরীতে ২৫ ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। গত দু’দিন ধরে চূড়ান্ত তালিকা সম্পন্ন হওয়ায় কপিলমুনিতে ১৮৬৭ ও গড়ইখালীতে ১২৯০ কার্ডধারী দরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল তুলে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে কপিলমুনি ইউপিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত নূর খাঁর পুত্র দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী ফিরোজা এ চাল উত্তোলন করেছেন। অনুসন্ধানে জানাগেছে-খাদ্য বিভাগে জমাকৃত গত মাসের ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির চূড়ান্ত তালিকায় ৭৫৪ নং ক্রমিকে দেলোয়ার হোসেন খাঁনের নাম ও ৭১২ নং ক্রমিকে দিলু স্বামী পরিচয় দিয়ে তার স্ত্রী ফিরোজার নাম অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। জানাজানির পর সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগসহ কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার জাানিয়েছেন জানাজাানির পর ডিলার দম্পত্তির নাম বাদ দেওয়া হবে বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানিয়েছেন-শনিবার তার ইউনিয়নে তালিকাভূক্ত কার্ডধারীদের মাঝে ১০ টাকার চাল বিক্রি করা হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় তালিকা তৈরীতে আ’লীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ ও সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের মতানৈক্যের কারনে ৭ ইউপি’র চূড়ান্ত তালিকা ঝুলে যাওয়ায় তৃনমূলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে লক্ষ্য করা গেছে। তালিকা তৈরীতে অনিয়ম, অর্থ গ্রহণ ও ফেরত সম্পর্কে গনমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বিরোধীদের অপপ্রচারের অংশ উল্লেখ করে জানিয়েছেন, এমপি’র মনোনিত আ’লীগের নেতৃবৃন্দ, ইউপি মেম্বারদের সরবরাহকৃত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে এ ইউপি’র প্রভাবশালী নেতা উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল বাশার বাবুল সরদার এ প্রতিনিধিকে বলেন দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা দলীয় তালিকা তৈরী করে সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে হরিঢালীতে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারপ্রাপ্ত উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ শেখ জানিয়েছেন-সে বৈধ কাগজপত্রের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ তার পিতা জামায়াত সমর্থিত এ অপপ্রচার খুবই দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন। সর্বশেষ হরিঢালী ও লতায় ডিলার নিয়োগে সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বঞ্চিত রঞ্জিত কুমার দে এবং বিধান রায় এ নিয়ে আদালত ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পর্যন্ত যাবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন্

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন