শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬

পাইকগাছা পৌরসভার ৬ মন্দিরের শারদীয় দূর্গোৎসবের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মত পার্থক্য

পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌঃ খ্রীঃ ঐক্য পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা
বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসবের পরে পৌরসভায় প্রতিমা বিসর্জন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মত পার্থক্য, একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারপ ও কাঁদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। ৫ মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাতিখালী হরিতলা মন্দিরের সভাপতি ও উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তের ফলে এ অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মন্দিরের পক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। এদিকে উদ্বৃর্দ্ধ পরিস্থিতি নিরসনের জন্য জেলা, উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে গনমাধ্যমে দু’ধরনের খবর প্রকাশ হওয়ায় এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, সদ্য সমাপ্ত শারদীয় দূর্গোৎসবে পাইকগাছায় শান্তিপূর্ণভাবে পৌর সদরের ৬টি মন্দিরের পূজা সমাপ্ত হয়েছে। জানাগেছে পূর্ব সিদ্ধান্তমতে ৬টি মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ৫ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে সিদ্ধান্ত অমান্য করে ১২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিয়ে হরিতলা মন্দির কমিটির সভাপতি গৌতম মন্ডল ও উপদেষ্ট সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল পৃথকভাবে প্রতিমা বিসর্জন এবং ঐ রাতেই সংশ্লিষ্ট হরিতলা মন্দিরে ধর্মীয় যাত্রাপালার অনুষ্ঠান করলে উভয়ের মধ্যে চরম মতপার্থক্য দেখা দেয় এবং এ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার সরল কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দিরের সভাপতি দেবব্রত রায়ের সভাপতিত্বে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও কাউন্সিলর ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এদিকে এ সভাকে শারদীয় দূর্গোৎসবের পুর্নঃমিলনী অনুষ্ঠান ও অপরদিকে হরিতলা মন্দিরের সভাপতি ও উপদেষ্টাকে সামাজিকভাবে বয়কট গণমাধ্যমে দু’ধরনের খবর প্রকাশিত হওয়ায় বিভ্রান্তীতে পড়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। এদিকে হরিতলা মন্দিরের উপদেষ্টা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাগেছে-গতকাল হরিতলা মন্দিরে এ নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরের সভাপতি গৌতম কুমার মন্ডল পাল্টা অভিযোগ করেছেন ১৩ বছর আগে ৫ মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিববাটীতে রাস মেলা, বাজার মন্দিরে রথযাত্রা, হরিতলায় মহানামযজ্ঞ ও সরল কালীবাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবের সিদ্ধান্ত হয়। গতবছর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সরল কালিবাড়ি মন্দিরে মহানামযজ্ঞ হওয়ায় ঐক্য ভেঙে যায়। পৌর মেয়রকে এ বিষয়ে সমাধানের জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি বিধায় এ বছর পৃথকভাবে প্রতিমা বিসর্জন ও ধর্মীয় যাত্রাপালার আয়োজন করি। অবিলম্বে ধর্মীয় নেতাদের বিষয়টি নিরসনের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের ঐক্য থাকার আহবান জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন