সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬

পাইকগাছায় প্রেম ভালবাসার নামে কি চলছে? বিপদগামী হয়ে পড়ছে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষাথীরা

পারিবারিক সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ
বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় নানা কারণে বিপদগামী হয়ে পড়ছে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা। ছুটির দিন কিংবা স্কুল চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন সড়ক কিংবা র্নিজন এলাকায় জুটি হিসাবে দেখা যায় এ ধরণের ছেলে মেয়েদের। কিছু কিছু সময় পুলিশের হাতে আটক হলেও অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা রয়েছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের জানার বাইরে। এ ব্যাপারে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, পাইকগাছা কলেজ, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ, পাইকগাছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা প্রেম ভালবাসার নামে বিপদগামী হয়ে পড়ছে। প্রেমিক জুটি হিসাবে এ সব ছেলে মেয়েরা স্কুল চলাকালিন কিংবা ছুটির সময়ে আলমতলাস্থ পিকনিকস্পট, শিববাটী ব্রীজ রোড, শিববাটী ওয়াপদা রোড, বোয়ালিয়া ওয়াপদা রোড সহ বিভিন্ন সড়ক ও র্নিজন এলাকায় দেখা যায় প্রেমিক জুটি হিসাবে এসব ছেলে মেয়েদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টি জানেন না শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তবে মাঝে মধ্যে ধরা পড়তে দেখা যায় পুলিশের হাতে। সম্প্রতি গত ৪ দিন আগে পৌরসভার একটি বাসাবাড়ী থেকে সোলাদানা গ্রামের প্রফুল্ল সানার ছেলে রাড়–লী আর কে বি কে হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটের এইচএসসি পড়–য়া শিক্ষার্থী অনিক ও পৌর সদরের ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি পড়–য়া মেধাবী এক শিক্ষার্থীকে আটক করে থানা পুলিশ। যদিও আটকের পর পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এ ঘটনার পর ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ অভিভাবক মহল। ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, এ প্রতিষ্ঠানে উপজেলার মেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১জন গাইড টিচার নিয়োগ করা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই শিক্ষক সহ আমরা সকলেই প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত এবং সামগ্রীক বিষয় গুলি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করি। তবে কোচিং করার সুযোগে ও মোবাইলের অবাধ ব্যবহারের কারণে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বিপদগামী হয়ে পড়ে। আর বিশেষ করে কলেজ চলাকালিন সময়ে সকল শিক্ষার্থীরা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হোস্টেলের বাইরে যে সকল শিক্ষার্থী রয়েছে তারা অনেকটাই কলেজ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। এ ক্ষেত্রে মোবাইলের অবাধ ব্যবহার বন্ধ সহ অভিভাবকদের সতেনতার সহিত অধিক ভূমিকা রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন। প্রেম ভালবাসার নামে এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকদেরকে বেশি বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে সচেতনতার উপর গুরুত্ব দেয়া উচিৎ বলে উপজেলা শিশু অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি জানান। ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান জানান, এ ধরণের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের বিষয়টি মুখ্য নয়। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রত্যেক শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে পারিবারিক সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রত্যেক অভিভাবককে তার ছেলে মেয়েদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে বলে পুলিশের স্থানীয় এ কর্মকর্তা মনে করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন